Amazon Affiliate Program থেকে আয় করার পরিপূর্ণ গাইড
আপনার যদি কোনও ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে, তবে অর্থ উপার্জন করার জন্য “Amazon Affiliate Program” একটি কার্যকর উপায়। আমাজনের এই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটি আমাজন অ্যাসোসিয়েট নামে পরিচিত। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার পরে আপনাকে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে তাদের পণ্যের প্রচারণা লিংক যুক্ত করতে সুযোগ দেওয়া হয়। আপনার প্রচার করা লিংক ব্যবহর করে কেউ যদি কোনো পণ্য ক্রয় করে, তাহলে আমাজন আপনার সাথে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন শেয়ার করে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস শুরু করার জন্য আমার পছন্দের তালিকায় সেরা প্রোগ্রাম হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে কিভাবে অর্থোপার্জন করতে হয় তা জানতে আরও পড়ুন। এই সেক্টর থেকে আয় করার জন্য আপনাকে এর কাজের পদ্ধতি ভালো করে জানতে হবে এবং বুঝতে হবে।
শিখবেন, আরও একটু অ্যাডভান্স হবেন এবং সফল হবেন। সবকিছুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শুরু করা। লেখাটা পড়ে অনেকেই বলবে আচ্ছা অনেককিছু জানতে পরলাম। আরেকটু শিখার পরে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো। সত্যি বলতে তাদের কখনও শুরু করা হবেনা। কারণ আরও একটু শেখার চেষ্টা কখনও শেষ হবেনা। আমি বেশি কথা বলে লেখাটি বড় করতে চাই না। কিভাবে কি করতে হবে তার জন্য পরিপূর্ণ একটা গাইড সবার জন্য শেয়ার করতে চাই। আজকে শুধুমাত্র অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিয়ে কথা বলবো। তবে আপনারা চাইলে আমাজন ছাড়াও আরও অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে যাদের সাথে পার্টনার হতে পারেন।
Amazon Affiliate Program কাজের জন্য নিশ বাঁচাই করুন:
এটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে Amazon.com ভিজিট করতে হবে। এখানে আপনি নিজের পছন্দের পণ্য নিয়ে রিসার্চ করবেন। সেসকল পণ্যের সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা আছে সেই সকল পণ্য নিয়ে কাজ করাটা সবচেয়ে ভালো হবে। আমার কাছে নিশ বলতে মনে হয় যে বিষয় নিয়ে আপনার ভালো ধারণা রয়েছে সেই বিষয়টা। শুধুমাত্র বেশি লাভের জন্য অজানা বিষয়ে কাজ করাটা বোকামি। যে বিষয়ে আপনার ভালো জ্ঞান নেই সেই বিষয় নিয়ে আপনি কখনও ভালো করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই এমন পণ্যগুলো বাঁচাই করুন যে পণ্যের সম্পর্কে আপনার জ্ঞান রয়েছে।
এবার আপনার সিলেক্টেড পণ্যের জন্য কতপরিমাণ কমিশন দেওয়া হবে তা এই লিঙ্কে 😍 গিয়ে যাচাই করুন। এখানে আপনি প্রতিটি ক্যাটাগরি অনুসারে কমিশনের লিস্ট দেখতে পাবেন। নিশ বাঁচাই করার সময় এমন কোনো নিশ বাঁচাই করবেন না। যে পণ্যের জন্য আমাজন আপনাকে কমিশন শেয়ার করবেননা। সুতরাং এমন পণ্য নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে যেন পণ্যের সেল জেনারেট করে আপনি অ্যাফিলিয়েট কমিশন আয় করতে পারেন।
একটি ওয়েবসাইট/ব্লগ তৈরি করুন:
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য ওয়েবসাইট হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম৷ আপনার সকল প্রচারণা ও আয়ের সাোর্স হবে আপনার ওয়েবসাইট। এক্ষেত্রে আপনি ব্লগ সাইট বা ই-কমার্স ব্যাজ এফিলিয়েট সাইট তৈরি করতে পারেন। ব্লগ সাইটের জন্য আপনি দ্রুত অর্গানিক ট্রাফিক জেনারেট করতে পারবেন কিন্তু ই-কমার্স স্টাইলের সাইটের জন্য আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে। তবে ই-কমার্স স্টাইলের ওয়েবসাইট থেকে আপনি বেশি সেল জেনারেট করতে পারবেন।
অ্যামাজনের জন্য তৈরি করা সেরা অ্যাফিলিয়েট ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে 99% ওয়েবসাইট নিজস্ব ডোমেইন ও হোস্টিং দিয়ে তৈরি করা হয়। যাতে অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক সহজে যুক্ত করা যায়। নিজস্ব ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এই বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম। আপনাকে হয়তো প্রতি একবছরে জন্য $50 থেকে $80 বিনিয়োগ করতে হবে। যা আপনার আয়ের পরিমাণ থেকে খুবই নগণ্য। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য একটা ভালো মানের ওয়েবসাইট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর একটা ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে ভালো মানের ওয়েব হোস্টিং এবং একটা রেসপন্সিভল থিম প্রয়োজন। আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই প্রফেশনাল বা ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটগুলোর মতো হওয়া প্রয়োজন। যেন আপনার ইউনিক লিঙ্কটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। হাই স্পিড এবং উচ্চ সিকিউরিটি সম্পন্ন কয়েকটি ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর সার্ভিস ব্যবহার করতে আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি। তবে আপনি আপনার পছন্দের যেকোনো কোম্পানির হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন।
ভালো মানের কয়েকটি ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি:
HostGator: আমার পছন্দের তালিকায় সবসময় HostGator সবার প্রথমে থাকে। এই কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কে আমার অসাধারণ অভিজ্ঞতা রয়েছে। এদের কিছু অসাধারণ হোস্টিং প্ল্যান রয়েছে যেখান থেকে আপনার পছন্দের প্ল্যানটি ক্রয় করতে পারেন। এদের প্রতিটি প্ল্যান আপনার বাজেটের মধ্যে থাকবে। কারণ এরা তাদের গ্রাহকদের নিয়ে সবচেয়ে কাজ করতে ভালবাসে। এখানে আপনি প্রথম অর্ডারে 40% থেকে 70% পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন। যা একজন নতুন বিনিয়োগকারীর জন্য খুবই কাজে দেয়।
এদের সার্ভিস সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। এদের সার্ভিস সম্পর্কে আমি এককথায় বলবো অসাধারণ। কারণ এখন পর্যন্ত HostGator নিয়ে কোনো ক্লায়েন্ট অসন্তুষ্ট হতে পারেনি। এদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ও ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করতে ভিজিট করুন।
Namecheap: বিগিনারদের জন্য Namecheap এক জনপ্রিয় ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি। নতুন কোনো অনলাইন স্টার্টআপ হোস্টিং সার্ভিসের জন্য অভিজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চাইলে 90% অভিজ্ঞরা Namecheap এর সার্ভিস ব্যবহার করতে পরামর্শ দিবে। আমিও ঠিক 90% অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতো বলবো। সবচেয়ে কম টাকা বিনিয়োগ করে ভালো মানের হোস্টিং সার্ভিস পাওয়ার জন্য এটি খুবই পরিচিত কোম্পানি। এদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনাকে সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত থাকেন। Namecheap তাদের নতুন ক্রেতাদের জন্য 30 দিনের ফ্রি সার্ভিস প্রদান করে থাকেন। আপনি তাদের সার্ভিস পরিক্ষা করার জন্য 30 দিনের ফ্রি সেবা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করতে ভিজিট করুন।
Bluehost: এটি অনেকটা HostGator এর মতো। আপনি যদি খুব ভালো মানের একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রস্তুত থাকেন তাহলে চিন্তা ছাড়াই Bluehost অথবা HostGator কে সিলেক্ট করতে পারেন। আমি এখানে এমন তিনটি ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি কে সাজেস্ট করলাম যে কোম্পানিগুলোর সার্ভিস সম্পর্কে আপনার কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আপনি এই কোম্পানিগুলোর সার্ভিস ব্যবহার করে সন্তুষ্ট না হলে আপনি 100% money back গ্যারান্টি পাবেন। 30 দিনের মধ্যে আপনি তাদের সার্ভিস বাতিল করে আপনার সম্পূর্ণ টাকা ফেরত নিতে পারবেন। এই কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করতে ভিজিট করুন।
একটা এসইও ফ্রেন্ডলি রেসপনসিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম বাঁচাই করুন:
থিমের উপর নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইটের সুন্দর্য কেমন হবে এবং ওয়েবসাইটে কেমন ফিচার যুক্ত করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকগুলো প্রতারক নাল থিম ফাইল অরিজিনাল বলে খুবই কমদামে বিক্রি করে। বিশ্বস্ত থিম বিক্রয়কারী কোম্পানি ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে নাল থিম সংগ্রহ করে ব্যবহার করা খুবই বিপদজনক! আপনি যদি নাল থিম ব্যবহার করে থাকেন আমি নিশ্চিত বলতে পারি কোনো না কোনো সময় আপনার ওয়েবসাইটের সমস্যা হবে। এমনকি অরিজিনাল থিম ফাইল ব্যবহার না করলে আপনার ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে। সুতরাং আমাদের সবার উচিত নাল এবং লাইসেন্স ছাড়া কোনো থিম ফাইল ব্যবহার না করা।
থিম ক্রয় করার জন্য বিশ্বের জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত কোম্পানিটি হচ্ছে Themeforest। এখানে রয়েছে লাখ লাখ থিম যার মধ্যে থেকে বাচাই করতে পারবেন আপনার পছন্দের ডিজাইন। Themeforest থেকে ক্রয়কৃত যেকোনো ওয়েব টুলের সাথে পাবেন একটা অরিজিনাল লাইসেন্স। এবং যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে 24/7 লাইভ সাপোর্ট পাবেন।
Themeforest সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ও আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটা ভালো থিম ক্রয় করতে ভিজিট করুন।
ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করুন:
ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। বর্তমানে 59.4% উদ্যোক্তারা ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করছে। কোনোরকম কোডিং ঝামেলা ছাড়া এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা ছাড়া যেকেউ ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ম্যানেজ করতে পারেন। এটি খুবই সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি সিএমএস। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এটি দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করলে আপনার সাইটের কন্টেন্টগুলো সহজে অপটিমাইজ করার সুবিধা রয়েছে।
বর্তমানে অর্গারিক ভিজিটর বৃদ্ধি করতে অনেকবেশি প্রতিযোগিতা করতে হয়। আপনি যদি অন্যদের থেকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে না পারেন তাহলে যথেষ্ট ভিজিটর পাওয়া সম্ভব হবে না। এদিক থেকে ওয়ার্ডপ্রেস অন্যতম সেরা প্লাটফর্ম। কারণ এখানে অনেকগুলো টুলস রয়েছে যা ব্যবহার করে খুব সহজে অপটিমাইজেশন করতে পারবেন। এসব টুলসগুলো প্লাগিনস নামে পরিচিত।
ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নত করতে, এবং পাঠকরা আপনার সাথে যেন সহজে যোগাযোগ করতে পারেন তাদের জন্য সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো কে ওয়েবসাইটের সাথে লিংক করুন। আপনার সাইটের ব্যাকলিংক এবং ভিজিটরের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য দুর্দান্ত প্লাটফর্ম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।
আপনি বেশি বেশি অ্যাফিলিয়েট কমিশন আয় করতে আপনার সাইটের লেখাগুলো ফেসবুক, টুইটার বা লিংকডইনে পোস্ট করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে সাহায্য করে এমনকিছু টুলসও আছে যা নিয়ে পরে বিস্তারিত লিখবো। ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে আপনার আমাজন এফিলিয়েট থেকে আয় করার প্লাটফর্ম তৈরি হয়ে গেলো। এখন আপনাকে পরবর্তী কাজগুলো ধীরে ধীরে করতে হবে। বাকি কাজ করার জন্য আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে হবে না।
ধারাবাহিকভাবে ভালো মানের কন্টেন্ট পোস্ট করুন:
কন্টেন্ট হচ্ছে ওয়েবসাইটের পাওয়ার। আপনার এফিলিয়েট কমিশন নির্ভর করবে আপনার প্রকাশ করা কনটেন্টের উপর। আপনি আপনার কন্টেন্টের মান অনুসারে পাঠককে আকৃষ্ট করতে পারেন, তাই প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একটি করে আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটে পোস্ট করুন।
Amazon Affiliate Program থেকে দ্রুত ও বেশি আয় করার কৌশল:
অনলাইনে যেকোনো কাজে আপনাকে অন্যদের থেকে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখতে হবে। যতবেশি শিখে তা প্রয়োগ করতে পারবেন ততই আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই মজার একটা বিজনেস। আমি অনলাইনের আয়ের পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কিভাবে বেশি আয় করা যায়?
আমি জানি যারা শুরু করে তারাই এই প্রশ্ন বার বার করে। কারণ এটি লোভনীয় ব্যবসা। $100 কমিশন পেলে বলবে $200 কিভাবে পাওয়া যায়। যারা বেশি আয় করতে চান তাদের জন্য সহজ উত্তর হচ্ছে, বেশি সময় দিন, ভাল লিখুন, জনপ্রিয় পণ্য নিয়ে কাজ করুন এবং সঠিকভাবে প্রচারণা করুন তাহলে এখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। চলুন আরও একটু বিষয়ে জানা যাক।
ভিজিটরদের মন আকর্ষণ করুণ:
আপনার পোস্ট লিঙ্কগুলিতে লেখার মাধ্যমে আপনি ভিজিটরদের যত বেশি মজা দিতে পারবেন, তত বেশি একশন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। আপনার এফিলিয়েট ব্লগগুলো এমনভাবে লিখুন যেন আপনার ভিজিটররা মনোযোগ দিয়ে পড়তে আগ্রহী হয়।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি বছরের সেরা উদ্ভাবনী নতুন পণ্য বা বেস্ট সেইলিং বইয়ের জন্য -রিভিউ ব্লগ পোস্ট লিখে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারেন। এখানে প্রতিটি পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করতে পারবেন। মানুষ এই লিঙ্কটি একটি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করার জন্য ভিজিট করবে। সুতরাং আপনার লিংকটি ব্যবহার করে যতগুলো পণ্য ক্রয় করবে সবগুলোর জন্য আপনাকে কমিশন দেওয়া হবে। এবার চালুন জেনে নিই।
কিভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য আবেদন করতে হবে:
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য আবেদন করতে affiliate-program.amazon.com এই লিঙ্কে ভিজিট করুন এবং আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে প্রাথমিক অনুমোদনের জন্য আবেদন করুন। মনে রাখবেন ওয়েবসাইট তৈরি করার তিন থেকে চার মাস পরে আবেদন করা ভালো। এক্ষেত্রে আপনার আবেদন দ্রুত গ্রহণ করা হবে।
Amazon Affiliate Program আপনার প্রতিটি একশন বা বিক্রয়ের জন্য কমিশন দেয় যা পণ্যের ধরণের উপর নির্ভর করে। একশন জেনারেট করতে আপনাকে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করতে হবে। মনে রাখবেন টার্গেটেড ভিজিটরদের সাইটে নিয়ে আসা খুবই প্রয়োজন। কারণ টার্গেটড ভিজিটর কে আপনার ক্লায়েন্ট হিসেবে রুপান্তর করা সম্ভব। নিয়মিত পোস্ট করুন এবং সহজ ও তথ্য বহুল পোস্ট লিখুন। প্রতিটি পোস্টের জন্য সময় নিয়ে অন-পেইজ এসইও, অফ-পেইজ এসইও মনোযোগ দিয়ে করুণ।
রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন:
আপনি প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০টি পণ্য অবশ্যই বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার সাইটে মাসে 1000 ভিজিটর সংগ্রহ করতে পারেন, তাহলে আশা করা যায় মাসে অন্তত 10টি একশন সংগ্রহ করতে পারলে $100 থেকে $200 ডলার কমিশন আয় করা সম্ভব।
আমাজন অ্যাসোসিয়েটসের সকল ধাপ সম্পন্ন করার পর আপনি আমাজনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখন পালা আপনার ওয়েবসাইটের ভিতরে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করা এবং অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটি প্রমোট করা।
Amazon Affiliate Program সম্পর্কে আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করুন। আপনি যদি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নিতে চান তাহলে bdbloq.com ভিজিট করুন!