লাভজনক কিছু জনপ্রিয় পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
ব্যবসা হচ্ছে এমন একটি উপার্জনের মাধ্যম যেটাতে প্রতিটি ধর্ম সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। এমনকি ইসলাম ব্যবসায়ীদেরকে যেভাবে সম্মানিত করেছে তা সবারই জানা। আজকে আমরা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশাকরি, এই ব্যবসা আইডিয়া গুলো আপনাদেরকে সাহায্য করবে আপনার পাইকারি ব্যবসা শুরু করার জন্য।
বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার খুবই খারাপ। যদি নিজ উদ্যোগে কিছু করতে চান, তাহলে একমাত্র ব্যবসা হচ্ছে আপনার জন্য উপযুক্ত। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবারই নিজ উদ্যোগে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা উচিত। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি জানতে পারবেন বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে।
বিজনেস সম্পর্কে আমাদের বিডিব্লগ ওয়েবসাইটে আরো অনেকগুলো আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে। আপনি যদি বিজনেস সম্পর্কে একটি ধারণা অর্জন করতে চান, তাহলে আমাদের বিড়িব্লগের ব্যবসা ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।
জেনে নিন পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে –
এখানে আমরা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ব্যবসা আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে আপনি যখন কোন ব্যবসা আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে কাজ শুরু করবেন। কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করবেন। এবং নিজের অভিজ্ঞতা যদি থাকে, তাহলে একটি প্লেন তৈরি করে কাজ করবেন।
গহনা পাইকারি ব্যবসা শুরু করুন –
আদিম যুগ থেকেই মেয়েদের সাজগোজ এর বিভিন্ন গহনা নিয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা হয়ে আসছে। যদিও আদিম যুগের উন্নত মানের কোন গহনা তৈরির ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এই শিল্পক্ষেত্র শতভাগ উন্নত হয়েছে। পাইকারি গহনা ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি চাইলে নিজ উদ্যোগে গহনা তৈরি ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারেন। অথবা আপনি উন্নত মানের কোম্পানির সাথে পাইকারি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।
পাইকারি গহনা ব্যবসা খুবই অসাধারণ একটি লাভবান ব্যবসা। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনাকে প্রাথমিকভাবে লাখের মত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তবে আপনার যদি বিভিন্ন উৎপাদন কোম্পানির সাথে পরিচয় হয়ে যায়। কম টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আপনি কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।
এ ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমাণে লাভ করা সম্ভব। আমি যদি এই ব্যবসার লাভের জন্য আপনাকে একটি ধারণা প্রদান করে থাকে, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। প্রতিটি খুচরা পণ্য বিক্রি করে কত টাকা প্রফিট করা সম্ভব। সাধারণত একটি গহনা বিক্রয় করে খুচরা বিক্রেতারা ৬০ পার্সেন্ট এরও বেশি প্রফিট সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন পাইকারি বিক্রেতা হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ পারসেন্ট প্রফিট নিতে পারেন।
টেক্সটাইল পণ্য পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া –
কাপড়ের ব্যবসা কখনো কমে যাবে না। আদিম যুগ থেকে মানুষ কাপড় নিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রযুক্তির উন্নতি করতে কাজ করে আসছে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বের মধ্যে টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনের মধ্যে বাংলাদেশও শক্তিশালী অবস্থান দখল করে নিয়েছে।
এব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমদিকে ভালো পরিমাণের একটি বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগের পাশাপাশি এ ব্যবসাতে যাদের সাথে ব্যবসা সম্পর্ক গড়ে তুলবেন, তাদের সাথে সম্পর্কটা কিরকম ভালো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে তাদের কাছ থেকেই কোয়ালিটি পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। যারা আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবসার সম্পর্কে ধারণা না থাকলে কোয়ালিটি প্রডাক্ট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যায়। টেক্সটাইল ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি প্রাথমিকভাবে যদি ভালো পরিমাণে বিনিয়োগ করতে পারেন। তাহলে নিজেই একটি টেক্সটাইলের পণ্য উৎপাদন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারেন। কোয়ালিটি পণ্য উৎপাদন করতে পারলেই এই ব্যবসা কখনো নষ্ট হবে না। বিজনেসের মূল সিক্রেট হচ্ছে ভালো মানের পণ্য উৎপাদনে সক্ষম হওয়া।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির মাধ্যমে আপনি এই টেক্সটাইল বিজনেস শুরু করতে পারেন:
- ফ্যাক্টরি সেটাপ
- সাব–কন্ট্রাক্টিং বিজন্যাস
- গার্মেন্টস পাইকারি ব্যবসায়
- রপ্তানি পরবর্তী উদ্বৃত্ত পণ্যের দোকান
- প্রিন্টিং এবং এ্যামব্রয়ডারি ইউনিট
- ওয়াশিং প্ল্যান্ট
- গার্মেন্টস বায়িং এজেন্সি
- ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস।
এগুলো হচ্ছে টেক্সটাইল ব্যবসার একেকটি ক্যাটাগরি। আপনি এখান থেকে আপনার পছন্দের যে কোন একটা ক্যাটাগরিতে নিজের বিজনেস শুরু করতে পারেন। তবে ফ্যাক্টরি সেটআপ দেওয়ার জন্য আপনাকে বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি প্রাথমিকভাবে ফ্যাক্টরি সেটআপ না করে অন্য কোন ক্যাটাগরিতে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এটি ছোট ব্যবসা নয়। টেক্সটাইল পণ্যের ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মোটা অঙ্কের একটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আপনি ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মাধ্যমে যেকোনো একটি ক্যাটাগরিতে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্যবসায় যত বেশি বিনিয়োগ করতে হয়, ততবেশি এই বিজনেস থেকে লাভবান হওয়া যায়। তবে ভালো মানের অভিজ্ঞতা ছাড়া এ ব্যবসা শুরু না করাই সবচেয়ে ভালো।
দুধ উৎপাদন বিজনেস শুরু করুন –
মানুষের দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য এই পণ্যটি চাহিদা সব সময় থাকে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য এই খাবারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং রয়েছে প্রচুর চাহিদাও। এই ব্যবসাটি আপনি চাইলে পাইকারি ব্যবসা হিসেবে পরিচালনা করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে নিজস্ব কোন খামার গড়ে তুলতে হবে না।
এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনাকে আপনার এলাকার নির্দিষ্ট একটি এরিয়াকে তারগেট করতে হবে। এবং যাদের দুধ উৎপাদন করার গাভী রয়েছে। তাদের সাথে একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। আপনি দুধ উৎপাদনকারীদের ন্যায্য মূল্য প্রদান করে, তাদের সাথে একটি পার্টনারশিপ ব্যবসা করতে পারেন। যেন তারা প্রতিদিনের উৎপাদিত দুধগুলো আপনাকেই সরবরাহ করে।
এই ক্ষেত্রে আপনার কাজ হচ্ছে দুইটি। প্রথমত আপনাকে আপনার এলাকার মধ্যে যারা দুধ উৎপাদন করেন তাদের কাছ থেকে প্রতিদিনের উৎপাদিত দুধ গুলো সংগ্রহ করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ আপনাকে কোন কোম্পানি বা একাধিক খুচরা বিক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। আপনি সরাসরি কোম্পানিকেই সার্ভিস না দিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কে পাইকারিতে বিক্রয় করে বেশি পরিমাণে প্রফিট লাভ করতে পারবেন।
পাশাপাশি এ ব্যবসায়ী আপনি যদি বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করতে পারেন, তাহলে নিজের ব্যক্তিগত একটি খামার গড়ে তোলাই সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে একটি ভালো মানের খামার গড়ে তোলার জন্য আপনাকে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজেকে বিনিয়োগ করার জন্য যথেষ্ট সক্ষম মনে করবেন না, ততক্ষণ পর্যন্ত এ ব্যবসায় আপনি বিনিয়োগ করবেন না।
এ ব্যবসাটি প্রাথমিকভাবে শুরু করার জন্য আপনাকে বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। যদি আপনি ব্যক্তিগত খামার না করেন। আপনি ঘরোয়া বিক্রেতাদের কাছ থেকে এ পণ্য সংগ্রহ করে ব্যবসা করলে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। আবার এটা অবশ্যই নির্ভর করে আপনার ক্রেতাদের উপরে। প্রাথমিকভাবে হয়তো আপনার ক্রেতা কম থাকতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে তার উপর নির্ভর করে পণ্য সংগ্রহ করতে হবে।
চাহিদার তুলনায় বেশি পণ্য সংগ্রহ করলে লস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এজন্য অবশ্যই প্রাথমিকভাবে আপনার ক্রেতার সংখ্যা পরিমাপ করবেন। এবং সে পরিমাপের ভিত্তিতেই আপনি পণ্য সংগ্রহ করবেন।
এব্যবসায় দৈনিক হারাই মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। যদি আপনি যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য পাইকারিতে সরবরাহ করতে পারেন। তাহলে প্রতি কেজি দুধের জন্য দুই থেকে তিন টাকা করে প্রফিট নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে যেহেতু আপনি পাইকারিতে বিক্রয় করবেন। সুতরাং আপনার কেজি হিসেবে লাভের পরিমাণ কম হবে। কিন্তু মোট হিসেবে আপনার লাভের পরিমাণ খুব বেশি হবে।
পাউরুটি উৎপাদন পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া –
এইসব কোন খাবারটি সবার মাঝে পরিচিত। পাউরুটি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের মানুষ পাউরুটি খেতে পছন্দ করে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য ভিন্নভাবে পাউরুটি তৈরি করার প্রচলন রয়েছে। যা খুব বেশি মূল্য দিয়ে বিক্রি করা যায়।
আপনি চাইলে এই সুন্দর ব্যবসাটি আপনার এরিয়াতে শুরু করতে পারেন। অবশ্যই পাইকারি ব্যবসার জন্য আপনাকে একজন উৎপাদক হিসেবে কাজ করতে হবে। পাউরুটি উৎপাদন করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গা সংগ্রহ করতে হবে। যেখানে আপনি আপনার ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবেন।
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রাথমিক ভাবে আপনাকে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ আপনাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গাতেই উৎপাদন করার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং উৎপাদনের জন্য কিছু সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে হবে। আপনার যদি ব্যক্তিগত কোন জায়গা আগে থেকে থাকে, তাহলে আপনাকে জায়গার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ কমে আসবে।
আপনি চাইলে আপনার বাড়িতেও ছোট্ট কোন এরিয়া দখল করে আপনি এই পাউরুটি উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারে। প্রাথমিকভাবে আপনাকে উৎপাদনের জায়গা ব্যতীত ১ থেকে ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে। যদি আপনার এই বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ কমে আসবে।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবসা শুরু করুন –
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে তার গেট করতে হবে চীনা পণ্য। চীনা পণ্যের পাইকারি ব্যবসা চীনাদের সাথে গড়ে তুলতে পারেন। চায়না থেকে পণ্য আমদানি করার জন্য আপনাকে একটি লাইসেন্স করতে হবে। যে কোন রাষ্ট্র থেকে পণ্য আনার জন্য রাষ্ট্রীয় অনুমোদন প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে রাষ্ট্রীয় অনুমোদনের জন্য একটি লাইসেন্স করে নিতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া এ ব্যবসা করলে আপনি পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এজন্য বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে প্রথমেই নিজের ব্যবসায়ীক লাইসেন্স তৈরি করে নেওয়া।
ইলেকট্রনিক আইটেমের মধ্যে আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজনেস করতে পারেন। ইলেকট্রনিক ক্যাটাগরিতে অনেকগুলো পণ্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে চাইলেও আপনি একসাথে অনেকগুলো পন্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। কারণ এটি খুবই জটিল হয়ে যাবে। শুরুতে আপনি পছন্দের কয়েকটা জনপ্রিয় প্রোডাক্ট আমদানি করতে পারেন।
আমি নিজেও ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে ব্যবসা করেছি। সুতরাং এই ব্যবসা সম্পর্কে আমার ভালো একটি অভিজ্ঞতা রয়েছে। লাভ এর কথা যদি বলতে যাই ইলেকট্রনিক পণ্যের মধ্যে আপনি চাইলে ৭০ পারসেন আরো বেশি লাভ করতে পারবে। তবে ব্যবসাকে দীর্ঘদিন এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং সততার সাথে ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত প্রফিট নেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
বর্তমানে এল.ই.ডি লাইট তৈরির ব্যবসাটা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে আপনি চাইলে ভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। যেহেতু এলইডি লাইট নিয়ে অনেকেই এব্যবসা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। তাই এই ব্যবসার প্রতিযোগিতা বেশি হতে পারে। আপনি এমন পণ্যগুলো পছন্দ করুন। যেন আপনার প্রতিযোগী কম থাকে।
বিউটি পণ্য বিতরণ ব্যবসা শুরু করুন –
যুগ যুগ ধরে এসকল প্রোডাক্টের চাহিদা রয়েছে। এবং এই পণ্যের চাহিদা কমার সম্ভাবনা একদমই নেই। আপনি আপনার এলাকার মধ্যে যে কোন একটা এরিয়াকে টার্গেট করে বিউটি প্রডাক্ট পাইকারিতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আপনার এরিয়াতে আপনি কয়েকজন বেকারদের কে হায়ার করতে পারেন। যারা আপনার কাছ থেকে পাইকারিতে পণ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন এরিয়াতে গিয়ে খুচরা দামে বিক্রি করবে।
যারা আপনার কাছ থেকে বিউটি প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে বিভিন্ন এরিয়াতে গিয়ে বিক্রয় করবে। তাদেরকে আপনি আপনার পাইকার হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত করতে পারেন। এ ধরনের প্রোডাক্ট গুলো আপনি চাইলে ন্যাচারাল ভাবে আপনার বাড়িতে তৈরি করতে পারেন। অথবা উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে আপনি আমদানি করতে পারেন।
এ ব্যবসা করার আগে আপনাকে এটা বুঝতে হবে যেন এই ধরনের প্রোডাক্ট গুলোতে কোনরকম অবৈধ কেমিক্যালযুক্ত না থাকে। বিষাক্ত বা অবৈধ কেমিক্যাল মানুষের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য যেন ব্যবহারকারীদের কোনরকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়। এটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আক্তার প্রোডাক্টগুলো ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। আপনি যে কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য আমদানি করেন না কেন। উক্ত কোম্পানীর সাথে আপনাকে এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে হবে।
বিউটি পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি অতিরিক্ত লাভের আশা করতে পারেন। কম টাকা বিনিয়োগ করে পাইকারি ব্যবসা শুরু করার জন্য এটি খুবই সুবিধাজনক একটি ব্যবসা আইডিয়া। বিউটি প্রোডাক্ট এর মধ্যে এমন কিছু প্রোডাক্ট রয়েছে। যেগুলো আপনাকে ক্রয় করতে হবে ৫ টাকা দিয়ে এবং বিক্রয় করতে পারবেন ৫০ টাকা দিয়ে।
এ ব্যবসার সবচেয়ে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে এই প্রোডাক্টগুলোর সহজে নষ্ট হয় না। এবং দীর্ঘদিন ধরে এই প্রোডাক্ট গুলো আপনি আপনার গুদামে রেখে দিতে পারবেন। তবে আবার এমন কিছু প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো দীর্ঘদিন রাখা যায় না। এক্ষেত্রে আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেন আপনাকে লোকসানের শিকার হতে না হয়।
কৃষি পণ্য পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া –
কৃষিপণ্য নিয়ে আপনাকে ব্যবসা শুরু করার আগে কৃষকদের সাথে আপনাকে মিশতে হবে। কৃষি পণ্য সম্পর্কে আপনার ভাল অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি এই ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। এটি যে কোন ব্যবসা হোক না কেন, প্রতিটি ব্যবসা শুরু করার আগে উক্ত ব্যবসা সম্পর্কে আপনাকে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। মনে রাখবেন অভিজ্ঞতা আর জ্ঞানের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার জ্ঞানের প্রয়োজন হবে কিন্তু প্রাথমিকভাবে অভিজ্ঞতার কোন প্রয়োজন নেই।
আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে করতে ধীরে ধীরে আপনি অভিজ্ঞ হবেন। অভিজ্ঞতা আপনার কাজের মাধ্যমে অর্জন হবে। কিন্তু ব্যাবসায়িক জ্ঞান আপনাকে আপনার ব্যবসাটি শুরু করার আগেই অর্জন করতে হবে।
আপনার যদি কৃষি সম্পর্কে ধারনা থাকে, তাহলে ইতিমধ্যে আপনি জানেন যে। কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও জৈব সার ব্যবহার করে থাকে। কৃষকদের ব্যবহূত এই জৈবসার ও কেমিকাল গুলো কম টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে উৎপাদন করা যায়। এখানে অনেকগুলো স্যার আপনি আপনার আশেপাশের পরিত্যক্ত ময়লা আবর্জনা থেকেই তৈরী করতে পারবেন।
জৈব সার তৈরি করার জন্য গরুর গোবর বিশেষ করে ব্যবহার করা হয়। আপনি আপনার এলাকাতে যারা গরু পালন করেন তাদের সাথে একটা পার্টনারশিপ করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে গরুর গোবর সংগ্রহ করে জৈব সার তৈরি করে কৃষকদের মাঝে বিক্রয় করতে পারেন। অনেকগুলো বড় বড় কৃষক থাকে। যারা পাইকারিতে ধরনের সার গুলো সংগ্রহ করেন। তবে আপনি পাইকারিতে এ ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সরাসরি বিভিন্ন দোকান ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারিতে বিক্রয় করতে পারেন।
এ ব্যবসার মজার বিষয় হচ্ছে। এখানে অনেকগুলো প্রোডাক্ট আপনি কোন টাকা বিনিয়োগ না করেই উৎপাদন করতে পারবেন। আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন। টাকা বিনিয়োগ না করে কিভাবে একটি পাইকারিতে ব্যবসা শুরু করা যায়? তাহলে আমি আপনাকে কৃষি ব্যবসার আইডিয়াটি দেব।
এ ব্যবসার শুধুমাত্র আপনি যদি জৈবসার উৎপাদন নিয়ে কাজ করেন। তাহলে আপনি প্রতি কেজি সার বিক্রয়ের জন্য ২৫ টাকা ২৬ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি পাইকারিতে এসকল সার সরবরাহ করতে চান, তাহলে আপনাকে আরো কিছু টাকা কমপ্লিট করে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি খুচরা বিক্রেতাদের কে পাইকারিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা দামে প্রতি কেজিতে বিক্রি করতে পারেন।
কাগজ এবং স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করুন –
কোন একটি নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে কাগজ এবং স্টেশনারি পণ্য ডিলার নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি এমন একটি রিয়াকে বেছে নিতে পারেন। যে এরিয়া জুড়ে বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি অঞ্চলের মধ্যে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এবং প্রত্যেকেই শিক্ষার প্রতি সচেতন হয়ে উঠেছে। সুতরাং এদিক থেকে আপনি কোনো চিন্তা না করেই। যে কোন এরিয়া কে আপনার সুবিধা অনুযায়ী টার্গেট করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কাগজ এবং স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা পুরো বছর জুড়ে থাকে। তবে এই ব্যবসায়ী লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে প্রতিযোগিতাও একটু বেশি। বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের স্টেশনারি ডিজাইন করেন এবং খাতা তৈরি করেন। এই পণ্যগুলোর ডিলার নেওয়ার জন্য আপনাকে সরাসরি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। মূলত কোন নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে কোম্পানিগুলো তাদের ডিলার দের কে নিয়ে থাকেন।
ভালো কোম্পানির ডিলার সংগ্রহ করতে পারলেই। বলা যায় আপনি এব্যবসায় ৯০ ভাগের বেশি সফল। কারণ হচ্ছে আপনি যে এরিয়াতে কোম্পানির ডিলার নিতে পারবেন ওই এরিয়া জুড়ে অন্য কোন ডিলার আপনার সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। তবে ভিন্ন কোন কোম্পানির ডিলার আপনার সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। এজন্য আপনাকে স্বনামধন্য কোন কোম্পানিকে সিলেকশন করতে হবে। যার সাথে প্রতিযোগিতা করে অন্য কোন কোম্পানি এগিয়ে যেতে পারে না।
ডিলার হিসেবে কাগজ ও স্টেশনারি ব্যবসা করে মাসে দুই থেকে চার লাখ টাকা প্রফিট করা সম্ভব। তবে এই অংশটা নির্ভর করবে আপনার এরিয়াতে কতটুকু প্রোডাক্ট সেল দিতে সক্ষম তার উপর। এব্যবসায় লাভের অংশ যেমন বেশি। ঠিক আপনাকে বিনিয়োগ করার অংশটাও বেশি রাখতে হবে। একটি এরিয়াতে ডিলার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনাকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মতো বিনিয়োগ করতে হতে পারে। তবে ছোট কোন কোম্পানির হয়ে ডিলার হিসেবে ব্যবসা শুরু করলে। আপনি আরো কম টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
এই সেক্টরে যারা আগে থেকেই পরিচিত এবং দক্ষ ব্যবসায়ী, তাদেরকে যে কোন কোম্পানি কম টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে। সুতরাং আপনার যদি এই সেক্টরে ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা আগে থেকে থাকে, তাহলে আপনি স্বনামধন্য কোন কোম্পানির কাছ থেকেও কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমেই কাগজ ও স্টেশনারি পণ্যের ডিলার হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
চালের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া:
আপনার এলাকায় সকল খুচরা চাল বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের কে আপনার হাতে নিয়ে আসুন। মানুষের সুন্দর আচরণ ও কথা দিয়ে যা ইচ্ছে করা সম্ভব। আপনি যদি সকল খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে নিয়মিত কিছুদিন যোগাযোগ করে পরিচিত হোন, তাহলে সবাই আপনাকে বিশ্বাস করবে। এবং আপনার সাথে চালের ব্যবসা করতে সম্মত হবে।
চালের আরতদার হিসেবে আপনাকে এই পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হবে। প্রথমে নিজের একটা চালের আরত বা মিল তৈরি করতে হবে। আপনার আরত বা মিলে ধান থেকে সরাসরি চাল বস্তায় সংরক্ষণ করতে হবে।
কিভাবে ধান সংগ্রহ করবেন?
চালের বিজনেস করার জন্য ধানের প্রয়োজন। যেহেতু আপনি পাইকার হিসেবে কাজ করবেন। সুতরাং আপনার প্রচুর পরিমাণ ধানের প্রয়োজন হবে। খুচরো বিক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী যদি চাল দিতে না পারেন, তাহলে আপনাকে ক্রেতা হারাতে হবে। তাই তাদের হাতে রাখতে হলে, তাদের প্রয়োজন মতো চাল সরবরাহ করতে হবে।
এক্ষেত্রে তাদের চাহিদা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনার এলাকায় যারা ধানের চাষ করেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের কে আপনার হাতে নিয়ে আসুন। তারা যেন উৎপাদিত ধান বাহিরে বিক্রি না করে আপনার কাছে বিক্রি করে। কিছুদিন কৃষকদের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখলে তারা আপনাকে ধান দিতে রাজি থাকবে।
ব্যাগের পাইকারি ব্যবসা –
কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসাটা অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় একটা ব্যবসা। এই ব্যবসাটি আপনি আপনার বাড়িতে বসে শুরু করতে পারবেন। এবং খুব কম বিনিয়োগ করে ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে সক্ষম হবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এই ব্যবসাতে কোন প্রকারের লোকসান নেই বললেই চলে।
কাগজের ব্যাগ তৈরির পাইকারি ব্যবসা শুরু করার জন্য। প্রথমে আপনাকে কাগজ তৈরি কারখানা থেকে নির্দিষ্ট সাইজের কাগজ সংগ্রহ করতে হবে। আপনি চাইলে কাগজ নিয়ে আসার পর। আপনি যে সাইজের ব্যাগ তৈরি করবেন। সে সাইজ অনুযায়ী কাগজ গুলো কেটে ফেলতে পারেন। কাগজ গুলোর সাইজ করার পরে আপনার কাজ হচ্ছে ভালো মানের গাম বা লাসা দিয়ে অথবা পিনাপ করে ব্যাগ তৈরি করা।
তৈরি করা ব্যাগ গুলো কোথায় বিক্রি করবেন?
ব্যাগ তৈরি করাটা একটু জটিল হলেও ব্যাগ বিক্রি করাটা খুব সহজ। আপনার তৈরীকৃত ব্যাগ গুলো বিক্রি করার জন্য আপনাকে শপিংমলগুলোতে ভিজিট করতে হবে। আপনি যদি শপিং মলের জন্য ব্যাগ তৈরি করে থাকেন, তাহলে শপিংমল ভিজিট করেন। তাদের সাথে আপনি কথা বলবেন এবং তাদেরকে পাইকারিতে খুব কম দামেই সরবরাহ করবেন তা জানাবেন। দেখেন সবাই আপনার কাছ থেকে ব্যাক নেওয়ার জন্য সম্মতি জানাবেন। এটি এমন একটি পণ্য যেটা সবারই প্রয়োজন হয়।
শপিং মলের পাশাপাশি আপনি চাইলে মুদির দোকানের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। অনেকগুলো ছোট ছোট ব্যাগ মুদির দোকানে প্রয়োজন হয়ে থাকে। কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করে মুদির দোকানে বিভিন্ন পণ্য কাস্টমারদের কে দেওয়া হয়। সুতরাং আপনি আপনার আশেপাশের যতগুলো মোদির দোকান রয়েছে। সে দোকানগুলোতে গিয়ে কথা বলবেন এবং তাদের সাথে আপনার তৈরীকৃত প্যাক গুলো বিক্রি করার জন্য চুক্তি করবেন।
ব্যাগ তৈরি করতে কত টাকা খরচ হতে পারে?
আপনি যেহেতু নিজের হাতে ব্যাগ গুলো তৈরি করবেন। এর জন্য কাঁচামাল বাবদ প্রতি ব্যাগের জন্য ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে আপনি যদি উপযুক্ত জায়গা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ৫০ পয়সার মধ্যেই প্রতিটি ব্যাগ তৈরি করতে সক্ষম হবেন। তার মানে বুঝতে পেরেছেন প্রতিটা ব্যাগ তৈরি করার জন্য আপনাকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে।
এরপর আপনি পাইকারি দামে ব্যাগগুলো বিক্রয় করতে পারবেন। পাইকারিতে বিক্রয়ের জন্য প্রতি ১০০ ব্যাগের জন্য ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা নিতে পারেন। ব্যাগের সাইজ অনুযায়ী মূলত প্রতিটি ব্যাগের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। শপিং মলের জন্য যদি ব্যাগ তৈরি করে থাকেন সে ব্যাগগুলোর প্রতি ব্যাগের মূল্য দুই থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেন। মুদির দোকানের ব্যাগগুলোর মূল্য একটু কম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি ১০০ ব্যাগের জন্য ১০০ থেকে ১৫০ টাকা নিতে পারেন। মুদির দোকানের জন্য ব্যাগ তৈরিতে প্রতি ১০০ ব্যাগের জন্য ৫০ থেকে ৬০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া –
বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে হাজার কোটি জনগণ রয়েছে। এর মধ্যে যদি ৮ কোটি পুরুষ হয়ে থাকে, তাহলে তার মধ্যে কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ টি-শার্ট পড়ে থাকেন। দুই কোটি আমি কম বলেছি। বর্তমান সময়ে সবাই কিন্তু টি-শার্ট পরতে পছন্দ করেন। আপনি চাইলে মেশিন সংগ্রহ করে ব্যক্তিগতভাবে টি শার্ট তৈরির কারখানা তৈরি করতে পারেন। অথবা কোন গার্মেন্টস কোম্পানির সাথে চুক্তি করে। পাইকারিতে টি-শার্ট সংগ্রহ করে আপনার এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে পুনরায় পাইকারিতে বিক্রি করতে পারেন।
এটি খুবই লাভজনক একটি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া। পাইকারি পোশাক সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে। ভালো মানের কোয়ালিটি টি-শার্ট সংগ্রহ করতে ১০০ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। টিশার্ট গুলো পুনরায় পাইকারি দামে বিক্রি করার জন্য আপনার আশেপাশে যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছে, তাদের সাথে চুক্তি করুন। প্রতিটা টি-শার্টে আপনি পাইকারি দামে পুনরায় ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত প্রফিট করে বিক্রি করতে পারবেন।
উপহার এবং হস্তশিল্প ব্যবসা শুরু করুন –
এ হস্তশিল্প ব্যবসাকে ইংরেজিতে হ্যান্ডিক্রাফট বলা হয়। হ্যান্ডিক্রাফট বললে যে কেউ এ ব্যবসা সম্পর্কে জেনে থাকেন। বাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরি করার মাধ্যমেই এ ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে আপনি আপনার বাড়িতে কে ব্যবসার সূচনা করতে পারেন। যদি আপনার কাছে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য থাকে, তাহলে আপনি দেশের বাহির থেকেও হ্যান্ডিক্রাফট প্রোডাক্ট আমদানি করতে পারেন।
সবচেয়ে কম টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এবং এই ব্যবসার লাভের অংশটা কিন্তু অনেক বেশি হয়ে থাকে। অনেক সময় আমাদের বাড়িতে পরিত্যক্ত বিভিন্ন কাগজ-কলম ও অন্যান্য আসবাব পত্রের মাধ্যমে সুন্দর হ্যান্ডিক্রাফট প্রোডাক্ট তৈরি করা সম্ভব। সুতরাং এদিক থেকে যদি আপনি একটু ক্রিয়েটিভ হয়ে থাকেন, তাহলে কোন বিনিয়োগ না করেও হ্যান্ডিক্রাফট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তবে পাইকারিতে এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু লোক নিয়োগ দিতে হবে। যারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারবে। যেন আপনি তা পাইকারিতে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সরবরাহ করতে পারেন। এ ব্যবসায়ী একটি পণ্য বিক্রি করে ৬০ থেকে ৮০ পার্সেন্ট এর বেশি লাভবান হওয়া যায়।
হ্যান্ডিক্রাফট ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য অবশ্যই ক্রিয়েটিভ কর্মীদের প্রয়োজন হবে। যারা যেকোন কিছু নতুন ভাবে উদযাপন করতে সক্ষম। হ্যান্ডিক্রাফট এর মধ্যে একটি বিশেষ অংশ হচ্ছে উপহার তৈরি করা। বর্তমানে বিভিন্ন উদযাপনের ক্ষেত্রে মানুষ একে অপরকে বিভিন্ন ধরনের উপহার দিতে পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে আপনি হ্যান্ডিক্রাফটের মাধ্যমে বিভিন্ন উপহার দেওয়ার মতো প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন। এ ধরনের পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি এবং প্রচুর পরিমাণে মূল্য দিয়ে বিক্রি করা যায়।
পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া –
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করার জন্য। আমাদের এই ব্যবসা আইডিয়া গুলো আপনাদের বাড়িতে আসার পর কেমন লেগেছে সে বিষয়ে আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আপনারা যদি চান, আমরা আরো কিছু নিত্য নতুন ব্যবসা আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করতে প্রস্তুত। তবে এবিষয়ে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য অবশ্যই আপনার কমেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের শেয়ার করা আইডিয়া গুলোর মধ্যে কোন আইডিয়াটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সে বিষয়ে আপনার মতামত আমাদেরকে জানান। এবং এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার আরো কোন কিছু জানার থাকলে, আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।