অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন
1 min read

অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

বাংলাদেশ জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে যারা সমস্যায় আছেন, তাদের জন্য সমাধান রয়েছে আজকের লেখায়। এই গাইডটির মাধ্যমে অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা এবং অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা সমাধান করা। আজকের লেখাটির গুরুত্ব কতটুকু তা আমি নিজে উপলব্ধি করার পরে লিখতে বসলাম।

দীর্ঘদিন ধরে আমি আমার জাতীয় পরিচয় পত্র মানে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করা নিয়ে জটিল সমস্যায় ছিলাম। পরে এটা হাতে পাওয়ার পরে দ্বিতীয় সমস্যা তৈরি হলো। ভাগ্যের কারণে দেখি আমার পরিচয় পত্রের তথ্য ভুল। তাও আমার নিজের নামটা ভুল দেওয়া হয়েছে।

নাম সংশোধন করার পরে আরেকটা সমস্যা তৈরি হয় যা কিছুদিন হলো সমাধান হয়েছে। যদিও এখনও স্মার্ট কার্ড পাইনি। জানিনা এটা পেতে আরও কতগুলো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তবে আমি আজকে আপনাদের জন্য পরিপূর্ণ তথ্য যুক্ত করে একটা পোস্ট করতে যাচ্ছি। যা আমার ব্যক্তিগত জীবনে সমাধান করতে হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করবো।

অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

প্রথমে আমরা শিখবো ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার পদ্ধতি সম্পর্কে। সাধারণত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করে জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করা যায়।

  • সরাসরি নির্বাচন কমিশনারের অফিসে গিয়ে বা পৌরসভা নির্বাচন অফিস থেকে।
  • নিবন্ধন স্লিপ সিরিয়াল নাম্বার ব্যবহার করে।
  • সরাসরি এনআইডি নাম্বার দিয়ে।

সরাসরি অফিসে গিয়ে আপনি যেকোনো সমস্যার সমাধান গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু নিচের দুটি পদ্ধতিতে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে হবে। এবং এখান থেকে পরিচয় পত্র সংগ্রহ করতে হবে। অফিসে গিয়ে কিভাবে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে? এবং কোনো সমস্যা হলে কিভাবে সমাধান করতে হবে? তা আশাকরি বলার প্রয়োজন নেই। কারণ, অফিসে গেলে তারা নিজেরাই আপনাকে সরাসরি সাহায্য করবে।

নিবন্ধন স্লিপ দিয়ে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করবেন?

আপনার কাছে জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে এই ধাপটি অনুসরণ না করে অতিক্রম করতে পারেন। আপনি সরাসরি এনআইডি নম্বর দিয়ে কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করবেন তা জানতে নিচের গাইডটি অনুসরণ করুন। আপনি যদি পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করে থাকেন, কিন্তু এখনও পরিচয় পত্র না পেয়ে থাকেন, তাহলে নিবন্ধন স্লিপ সিরিয়াল নাম্বার ব্যবহার করে ব্যবহার করে কাজ করতে এই ধাপটি অনুসরণ করুন।

নিবন্ধন স্লিপ কি?

আপনি ভোটার হওয়ার সময় আপনার কাছ থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করার পরে আপনাকে একটা স্লিপ দেওয়া হয়েছিল। আপনাকে যে স্লিপটা দেওয়া হয়েছিল সেটি হলো নিবন্ধন স্লিপ। আপনি যদি একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখেন, তাহলে নিবন্ধন স্লিপের ডান পাশে ফরম নম্বর দেখতে পকবেন।

উক্ত নাম্বারটি অবশ্যই আট সংখ্যার হবে। এটি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করবেন। এখান থেকে ডাউনলোড করা আইডি আপনি সকল প্রকার কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া:

প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত এনআইডির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে। আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপটি প্রমাণ করে আপনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। এটি থাকলে আপনাকে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে দেওয়া হবে। রেজিষ্ট্রেশন করতে এই লিঙ্কটি ভিজিট করুন। ➤ nidw.gov.bd

আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার দুটি ডিভাইস ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন। যদি আপনি মোবাইল দিয়ে কাজ করেন, তাহলে নিচের ছবি দেখে আপনার মোবাইলটি ডেস্কটপ ভার্সনে পরিণত করুন।

ভোটার আইডি কার্ড চেক
ভোটার আইডি কার্ড চেক

আপনার কাছে কম্পিউটার থাকলে উপরের কাজটা এড়িয়ে চলুন।

সরাসরি কম্পিউটার থেকে nidw.gov.bd লিঙ্কটি ভিজিট করুন। এই ওয়েবসাইটটির সার্ভার অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকে। সুতরাং সার্ভার ব্যস্ত থাকলে ওয়েবসাইট লোড হতে একটু সময় বেশি লাগবে। দীর্ঘ সময় লোড হলে একটু অপেক্ষা করুন। ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরে সকল তথ্য দেখতে পাবেন। এখানে প্রথমে “NID Online Services” লেখাতে ক্লিক করুন।

এরপর আপনাকে নিচের ছবির মতো দেখাবে। এখন ছবিতে লাল অংশের মধ্যে লেখা যেটা দেখতে পাচ্ছেন। ঠিক এমন লেখাটি আপনার অপেন করা পেইজে দেখতে পাচ্ছেন।

অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন
অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

আপনার ভোটার নিবন্ধন হয়েছে কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র পাননি?

এই লেখাটিতে ক্লিক করুন। এরপর আরও কিছু নির্দেশনা দেখতে পাবেন। আপনি কিছু না ভেবে “ভোটার তথ্য” লেখাটি খোঁজে বের করুন এবং এটাতে ভিজিট করুন।

ভোটারের তথ্য লেখাতে ক্লিক করার পরে আপনি একটি ফরম দেখতে পাবেন। এখান থেকে প্রথমে আপনার এনআইডির নাম্বারটি বের করতে হবে। আপনার পরিচয় পত্রের নাম্বার বের করতে “ভোটার তথ্য” ফরমে যেভাবে দেখানো হয়েছে, ঠিক সেভাবে কাজ করুন।

অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন ভোটার তথ্য
ভোটার আইডি কার্ড

সবকিছু সঠিকভাবে দেওয়ার পরে ক্যাপচা দিয়ে “ভোটার তথ্য দেখুন” বাটনে ক্লিক করুন। এখানে প্রথমবার চেষ্টা করার পরেও আপনার এনআইডি নম্বর না দেখালে বার বার চেষ্টা করুন। সবসময় ক্যাপচাটি সঠিক হয়েছে কিনা দেখবেন। আশাকরি, আপনি সফলভাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এখন আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন:

আপনার যদি আগে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর থাকে, তাহলে আগের ধাপগুলো না করে সরাসরি এখান থেকে কাজ শুরু করুন। এখানে রেজিষ্ট্রেশন করতে আপনাকে NID এর নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। এজন্য প্রথমে আমরা ভোটার নিবন্ধন স্লিপের মাধ্যমে আমাদের NID Card এর নাম্বার বের করেছিলাম। এখন আপনি নিচের ছবিতে দেখানো “রেজিষ্ট্রেশ” বাটনে ক্লিক করুন।

“রেজিষ্ট্রেশ” দেখাবে। এখন “রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে চাই” বানটিতে ক্লিক করুন। এখানে “রেজিস্টার করুন” লেখাতে ভিজিট করুন।

এখান একটা ফরম দেখতে পাবেন। তো দেরি না করে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বসিয়ে দেন। যেটা ভোটার নিবন্ধন স্লিপ দিয়ে বের করেছিলেন। এরপর আপনার জন্ম তারিখ বসান। ফরমের নিচে একটা কোড দেখতে পাচ্ছেন। আপনি আপনার কোডটি খালি বাক্সটাতে লিখুন এবং ” সাবমিট” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।

মনে রাখবেন, কোড ভুল হলে পুনরায় এনআইডি এবং জন্ম তারিখ বসিয়ে চেষ্টা করতে হবে। সাবমিটে ক্লিক করার পরে আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়াী ঠিকানা সিলেক্ট করতে হবে। শুধুমাত্র ঠিকানার জায়গায় ক্লিক করুন। এবং আপনি যে ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্র করার সময় ব্যবহার করেছেন তা সিলেকশন করুন।

এবার “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে খালি ঘর দেখতে পাবেন। খালি ঘরে আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে “বার্তা পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন।

নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব

এখন আপনার মোবাইল যাচাই করুন। আপনি যে নাম্বারটা ব্যবহার করেছেন, সেই নাম্বারে একটা মেসেজের মাধ্যমে কোড পাঠানো হয়েছে। উক্ত কোডটি দিয়ে “বহাল” বাটনে চাপ দিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যান। এই পেইজে “সেট পাসওয়ার্ড” বাটনে ক্লিক করলে আরও একটা নতুন ফরম দেখতে পাবেন।

এখানে প্রথমে একটা ইউনিক ইউজারনেম বসান। এটি আপনার ইচ্ছে মতো যেকোনো নাম ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আলু, আম, জাম বা আপনার গালফ্রেন্ডের নামও ব্যবহার করতে পারেন। তবে নামের মাঝখানে কোনো ফাঁকা জায়গা থাকবেনা।

দ্বিতীয় বাক্সটাতে আপনার ইচ্ছে মতো একটা পাসওয়ার্ড দেন। অবশ্যই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড আপনাকে মনে রাখতে হবে। দ্বিতীয় বাক্সে যে পাসওয়ার্ডটি বসিয়েছেন, ঠিক সেটা পুনরায় তৃতীয় ঘরে বসান। সবশেষে আপডেট বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার কাজ শেষ। এখন services.nidw.gov.bd এই লিঙ্কটি ভিজিট করে লগইন বাটনে ক্লিক করুন। একটা ফরম দেখবেন। প্রথম বাক্সের মধ্যে আপনার এনআইডি নম্বর অথবা ইউজারনেম দিন। এবং এর নিচের বাক্সে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিলেন, তা লিখুন। সবশেষে ক্যাপচাটি খালি ঘরে বসিয়ে “লগইন” বাটনটিতে ক্লিক করুন।

অভিনন্দন! এখন আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সব তথ্য দেখতে পাচ্ছেন। ডাউনলোড লেখাতে ক্লিক করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারেন।

বিকল্প পদ্ধতিতে অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন:

আমাদের অনেকেই অনলাইনে কাজ করতে বেশি পারদর্শী না। আবার অনেক সময় অনলাইনে কাজ করার সময় নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের ওয়েবসাইট অনেক বেশি সমস্যা করে। এমনকি রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন করার কোনো উপায় থাকে না। এক্ষেত্রে আপনি বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে NID (National Identity) সংগ্রহ করতে প্রথমে আপনার মোবাইলে রিচার্জ করে নিন। কারণ, আপনার লাইনটি কখন সংযুক্ত হবে তা জানার থাকে না। অনেক সময় এক ঘন্টার বেশি সময় আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। এবং সংযোগ পাওয়ার পরে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে আপনার কাজ করতে। এই জন্য আপনার ফোনে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকা প্রয়োজন।

এবার হাতের কাছে আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপটা রাখুন। কারণ, আপনাকে সাহায্য করার জন্য তাদের কে আপনার তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে হবে। এবার “105” এই নাম্বারে কল করুন। অনেক সময় কান্ট্রি কোড ছাড়া কল যায়না। এক্ষেত্রে ভুল নাম্বার বললে “880105” এই নম্বরে কল করবেন। আশাকরি সমস্যা হবে না।

এখানে কল রিসিভ হতে মানে সংযোগ পেতে অনেক সময় লাগতে পারে। তবে ধর্য্য হারা হবেন না। আপনার সিরিয়াল আসলেই আপনার কল রিসিভ করা হবে। এখানে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের যেকোনো একজন কর্মরত সেবক আপনাকে সেবা দেওয়ার জন্য কল রিসিভ করবে।

আপনার কল রিসিভ করার পরে আপনার কাছ থেকে সমস্যার কথা জানতে চাইবে। আপনি আপনার সমস্যা সম্পর্কে সুন্দর করে সংক্ষিপ্ত আকারে বলুন। দীর্ঘ সময় কথা বলার চেষ্টা করবেন না। যতদ্রুত সম্ভব আপনার তথ্য দিয়ে সেবা গ্রহণ করুন। আপনার সমস্যা জানার পরে আপনার কাছ থেকে আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপের নাম্বার ও জন্ম তারিখ জানতে চাইবে আপনি তা প্রদান করুন।

এরপর আপনাকে লাইনে থাকতে বলে অপেক্ষা করে আপনাকে সাহায্য করার সময় দিন৷ কিছুক্ষণ পরে আপনার সমস্যার সমাধান করে আপনাকে একটা মেসেজ পাঠানো হবে। উক্ত মেসেজের মাধ্যমে দেওয়া তথ্য ব্যবহার করে আপনার অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন।

নতুন নিবন্ধন সংক্রান্ত সচরাচর জিজ্ঞাসাকৃত কিছু প্রশ্নের উত্তর:

☞ আমি দেশের বাহিরে ছিলাম তাই সঠিক সময়ে ভোটার নিবন্ধন করতে পারিনি, এখন কিভাবে ভোটারের জন্য আবেদন করতে পারি?

➤ আপনি আপনার পাসপোর্টের অনুলিপি, জন্ম নিবন্ধন সনদ, এসএসসি বা এসএসসি শিক্ষকতা যোগ্যতা সনদ (যদি শিক্ষাকতা যোগ্যতা থাকে), নাগরিকত্ব সনদ, বিদ্যুৎ বিলের একটা কপি বা ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট অথবা হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি সহ অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় তথ্য যুক্ত করে আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলায় জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

মনে রাখবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে অবশ্যই আপনার মা বাবা বা পরিবারের দুজন সদস্যের NID Card এর ফটোকপি যুক্ত করবেন। তাহলে আপনার কাজটা আরও সহজে হবে।

আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই

☞ আমি দেশের ভিতরে অবস্থানরত ছিলাম। কিন্তু অবহেলা জনিত কারণে বা সমস্যার কারণে ভোটার হতে পারিনি। আমাকে কিভাবে আবেদন করতে হবে?

➤ আপসার যে কারণে অবহেলা করেছিলেন বা যে সমস্যা কারণে ভোটার নিবন্ধন করতে পারেননি তা বাদ দিয়ে আপনি ঠিক একইভাবে আগের প্রশ্নের উত্তরে দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করুন। তবে এক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট না থাকলেও সমস্যা নেই। আপনি অন্যান্য তথ্য সহ আপনার পরিবারের দুজন সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি যুক্ত করবেন।

☞ আমি অনেক আগে বা ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯ বা ২০১০ সালের দিকে ভোটার হয়েছি। কিন্তু এখনও এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করিনি। আমি কিভাবে আমার এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবো?

➤ আপনি যখন ভোটার হয়েছিলেন, তখন আপনাকে একটা নিবন্ধন স্লিপ দেওয়া হয়েছিল। এই নিবন্ধন স্লিপ ব্যবহার করে আমাদের আগের দেখানো নিয়মানুযায়ী প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে চেষ্টা করুন। যদি কাজ না করে, তাহলে আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপটি নিয়ে আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলায়, জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।

যদি সেখানেও সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে নিবন্ধন রশিদের উপর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের স্বাক্ষর ও সীল সহ যুক্ত করে জাতীয় নির্বাচন কমিশননারের অফিসে বা তাদের নিবন্ধন বিভাগে যোগাযোগ করুন।

☞ কোন জায়গা বা অফিস থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করবো?

➤ আপনি যে এলাকার আওতাভুক্ত উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসের আন্ডারে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন। উক্ত এলাকা বা উপজেলা অফিস থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

☞ আমি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা আমার অন্য কোনো পদবি রয়েছে। আমি আমার সেই পদবি আমার এনআইডি কার্ডে যুক্ত করতে পারবো?

➤ আপনি কোনো সময় জোর করে যুক্ত করে দিলে কিছু করার নেই। হয়তো তা আপনাকে আবার পরিবর্তন করতে হতে পারে বা তা থাকলেও সমস্যা নেই। তবে সবচেয়ে ভালো হয় কোনো পদবি যুক্ত না করা। সাধারণত নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইটের ডাটাবেসে শুধুমাত্র আপনার নাম সংরক্ষণ করা হয়।

☞ আমি ভোটার হওয়ার পরে দেশের বাহিরে চলে আসছি। এখন আমার ভোটার আইডি কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?

➤ আপনি যাকে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবহার করবেন বা আপনার স্ত্রী বা মা বা বাবা এধরণের যে কাউকে দিয়ে আপনার এনআইডি কার্ড উত্তোলন করা যাবে। বা তাদের মাধ্যমে উত্তোলন করে সংগ্রহে রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে সন্দেহ জনক কেউ হলে বা যেকোনো কারণে সন্দেহ হলে আপনার অনুমতি প্রাপ্ত স্বীকারপত্র জমা দিয়ে এনআইডি সংগ্রহ করতে হবে।

☞ আমি নকল একটা ভোটার আইডি কার্ড বানাতে চাই৷

এজন্য আমি ভূয়া তথ্য দিয়ে কার্ডের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছি। কোনো সমস্যা হবে?

➤ জ্বি, অবশ্যই সমস্যা হবে। ইচ্ছে করে জাতীয় পরিচয় পত্রে কোনো ভুল তথ্য দেওয়া যাবেনা। ভূয়া তথ্য দিয়ে পূরণ করলে হয়তো আপনাকে জরিমানা করা হতে পারে অথবা শাস্তি ও জরিমানা সহজ উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।

☞ আমার এনআইডির সংখ্যা ১৩টি তাই আমি নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় সমস্যা হচ্ছে। এখন আমি কি করতে পারি?

➤ সমস্যা হওয়ার কথা না। যদি আপনি এধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন তাহলে ১০৫ নম্বরে কল করতে পারেন। কল না করলে আপনি আপনার ১৩ সংখ্যার শুরুতে আপনার জন্ম সাল বসিয়ে চেষ্টা করুন। হয়তো সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *