বিভিন্ন প্রকারের এসইও এবং SEO এর প্রকার নিয়ে সম্পূর্ণ গাইড
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা SEO একটি জটিল প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন ধরণের রয়েছে। যতগুলো এসইও এর প্রকার আছে সবগুলোর একই লক্ষ্য: সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে ওয়েবসাইটকে সহজে দৃশ্যমান করা হচ্ছে এসইও এর কাজ। প্রিয় পাঠক বাংলা ভাষায় এসইও শেখার জন্য আমরা নিয়মিত বাংলা ব্লগ লিখে যাচ্ছি আপনাদের জন্য। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লেখা গুলো অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, তাহলে আপনি খুব সহজেই এসইও সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
এই পোস্টে আপনি বিভিন্ন ধরণের এসইও এবং প্রতিটি প্রকারের বেসিক কৌশলগুলো শিখবেন।
আসলে একটা ওয়েবসাইটকে রেংকিং এ নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এই কৌশলগুলো নির্ভর করে অনেকটা সার্চ ইঞ্জিনগুলোর প্রাইভেসি পলিসির উপর। প্রাইভেসি পলিসি এইজন্য মানতে হয়। কারণ আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিনের প্রাইভেসি পলিসি না মানেন, তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইট রেংক করাতে পারবেন না। এবং অতিরিক্ত কোনো দোষ এর কারণে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন পেনাল্টি দিতে পারে। প্যানাল্টি বলতে অনলাইন থেকে আপনার ওয়েবসাইট টা কে ব্যান করে দেওয়া হতে পারে।
SEO কি এর সংজ্ঞা দিয়ে শুরু করা যাক:
এসইও হ’ল সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ করে ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো সহজে খোঁজে পাওয়ার জন্য এবং এবং ওয়েবসাইটে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কনটেন্ট সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিন কে বোঝানোর জন্য যে প্রক্রিয়ায় ওয়েব সাইটের কনটেন্ট গুলোকে অপটিমাইজ করা হয় বা সাজানো হয় তাকে এসইও বলা হয়। এসইও এর মূল লক্ষ্য হ’ল ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলোর পজিশনের উন্নতি করে সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে অর্গানিক ট্র্যাফিক বাড়ানো।
শুরুতে (২০০০ সালের প্রথম দিকে ভাবেন) এসইও তখন অনেক সহজ ছিল, তবে কয়েক বছর ধরে পুরো এসইও প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠেছে। ২০০০ সালের দিকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সম্পর্কে মানুষ এত বেশি আগ্রহী ছিল না এবং এই সম্পর্কে ভালো বুঝতো না। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের মতো বিশ্বের মধ্যে মানুষ খুবই কম ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতো। তখন থেকেই ইন্টারনেট আস্তে আস্তে সবার মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছিল।
বর্তমানে আপনি যে ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন অর্থাৎ যে প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছেন তা হচ্ছে মানুষের মাঝে ইন্টারনেট পৌঁছে যাওয়ার ফলাফল। মানুষ এখন ইন্টারনেট থেকে আয় করার জন্য প্রফেশনাল হিসেবে ইন্টারনেটের বিজনেস শুরু করে দিয়েছে। ই-কমার্স থেকে শুরু করে ইন্টারনেটে অনেক ধরনের বিজনেস করা যায়। যা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। যদি আপনি ইন্টারনেট সম্পর্কে বেশি না জেনে থাকেন, তাহলে হয়তো আপনি ইন্টারনেট বিজনেস সম্পর্কে জানতে একটু সময়ের প্রয়োজন হবে।
সার্চ ইঞ্জিনগুলোর জন্য কোনও ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করার সময়, আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিংয়ের শত শত শর্ত অনুসরণ করতে হবে। এবং একই সাথে আপনার ওয়েবসাইটের অডিয়েন্সের খুশি রাখতে কয়েকশ নিয়ম মানতে হবে। মানে আপনার অডিয়েন্স যেন আপনার লেখাগুলো পড়ে। আপনার ওয়েবসাইটে সময় ব্যয় করে। তার জন্য তারা কি চাচ্ছে সে বিষয়ে আপনাকে বিভিন্ন শর্ত মেনে আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনার কনটেন্ট গুলো কে সাজাতে হবে।
এসইওর সম্পূর্ণ কাজকে সহজ করার জন্য এসইও শিল্প বিভিন্ন ধরণের এসইও নিয়ে এসেছে। এজন্য এসিডকে বিভিন্ন প্রকারের ভাগ করা হয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও হয়তো এক আরো বিভিন্ন প্রকার এসইও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটা আসলে নির্ভর করে সময় এবং চাহিদার উপর। প্রতিটি প্রকারের জন্য নির্দষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তবে আপনাদের যেটা বলতে চাই, তা হলো: SEO এর প্রক্রিয়াটি জটিল মনে করবেন না। শুধু কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে পারলেই আপনি সফলভাবে এই কাজ করতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে দেখা যায় বাংলাদেশের অনেকেই এই বিষয়টিকে অনেক জটিল মনে করে। সমস্যাটা হচ্ছে আসলে বাংলাদেশের যারা এই বিষয়টাকে জটিল মনে করে তারা কখনও এই বিষয়টাকে সরসা করেনি এবং চেষ্টা করেনি কিভাবে এটি কাজ করে তা জানার জন্য।
জেনে নেওয়া যাক: SEO এর বিভিন্ন প্রকার:
টেকনিকেল এসইও
অন-পেজ এসইও
অফ-পেজ এসইও
লোকাল এসইও
মোবাইল এসইও
ই-কমার্স এসইও
৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদ:
উপরে হয়তো আপনি অনেকগুলো এসইওর প্রকার সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু এর মধ্যে তিনটি প্রকার সম্পর্কে আপনি সবসময় জানতে পারবেন। এবং এই প্রকারগুলো আপনাকে সবসময় ব্যবহার করতে হবে। এই তিনটি প্রকার হচ্ছে, টেকনিক্যাল এসইও, অন-পেইজ এসইও, অফ-পেইজ এসইও।
টেকনিকেল SEO:
Technical seo এই নামটির অর্থ যা বোঝায় তা হলো: প্রযুক্তিগতভাবে যা Search Engine গুলোতে কোনও ওয়েবসাইটকে দৃশ্যমান করতে কাজ করে।
টেকনিকেল এসইও এর মূল লক্ষ্য হ’ল সার্চ ইঞ্জিন crawlers কোনো সমস্যা ছাড়াই যেকোনো ওয়েবসাইট crawl করে index করতে পারেন তা নিশ্চিত করা।
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ টেকনিকেল এসইও এর কাজ গুলো হলো:
- সার্চ ইঞ্জিনগুলো সঠিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য আপনার robot.txt যুক্ত করা।
- গুগল সার্চ কনসোল দিয়ে ওয়েবসাইট যুক্ত করা এবং আপনার পছন্দসই ডোমেনটি ভেরিফাই করা।
- crawl সম্পর্কিত ত্রুটিগুলো খুঁজে পেতে এবং ঠিক করতে কভারেজ রিপোর্টটি ব্যবহার করা।
- XML Sitemap তৈরি করা এবং যতগুলো বড় সার্চ ইঞ্জিন আছে সবগুলোতে জমা দেওয়া।সাইটের স্ট্রাকচার এবং ইউআরএল স্ট্রাকচার অপটিমাইজ করা।
- এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েব ডিজাইন অনুসরণ করা।
- ওয়েবসাইটকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন ডেস্কটপ এবং মোবাইল উভয় ডিভাইসে দ্রুত লোড হয়।
অন-পেজ এসইও:
অন-পেজ এসইওতে কাজগুলো মনোযোগ দিয়ে করা উচিত।
কীভাবে সার্চ ইঞ্জিন এবং ভিজিটরদের জন্য সহজ ও ফ্রেন্ডলি করা যায়, তা পরিক্ষা করতে আপনাকে সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। এটি লক্ষ করা উচিত যে সার্চ ইঞ্জিনগুলো সামগ্রিকভাবে কোনও ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্কিং দেওয়ার সময়, পেজের স্তরের ভিত্তিতে র্যাঙ্কিং দিয়ে থাকে। এজন্য আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজের অপটিমাইজেশনের দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অন-পেজ এসইও নির্দেশিকা:
অন-পেজ যেহেতু খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা অনপেজ এর বিভিন্ন সেক্টর গুলোকে আরো সহজে বোঝানোর জন্য এগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।
পোস্টের টাইটেল অপটিমাইজ করা:
এটি একটি ক্রিটিক্যাল এসইও ফ্যাক্টর। পোস্টের টাইটেল সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে দেখানো হয়। ভিজিটর আপনার পোস্টের টাইটেল দেখে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে আগ্রহী হয়।
এজন্য আপনার ব্যবহ্নত টাইটেলটি অবশ্যই সহজ ও আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। পোস্টের টাইটেল আপনার আলোচনার বিষয় বস্তু সম্পর্কে ধারণা দেয়। তবে এমন কোন টাইটেল ইউজ করা যাবে না যা আপনার কনটেন্ট এর সাথে মিল নাই।
H1 ট্যাগটি অপটিমাইজ করুন:
পোস্টের টাইটেল SERPS দেখানোর সময়, H1 ট্যাগটি কোনো পেজের শীর্ষ শিরোনাম হিসাবে প্রদর্শিত হয়।
যদি একটি অপটিমাইজ করা পেজে কেবলমাত্র ১টি H1 ট্যাগ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে এটাকে উপযুক্ত বলা যায়। প্রতিটি পেয়েছে শুধুমাত্র একটি H1 ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এক পেজের মধ্যে একাধিক H1 ট্যাগ ব্যবহার করলে আপনার আর্টিকেলটি স্পামিং লিস্টে চলে যাবে। এর ফলে আপনি রেংকিং পাওয়ার পরিবর্তে রেংকিং হারাতে পারেন।
হেডিং ট্যাগ অপটিমাইজ করুন:
H1 ট্যাগ ছাড়াও একটি পেজে বিভিন্ন বিভাগের জন্য উপ-শিরোনাম (H2, H3) থাকা দরকার। দীর্ঘ কন্টেন্টের ক্ষেত্রে, সাবহেডিংগুলো ভিজিটরদেরকে আর্টিকেল পড়তে সহজতর করে এবং crawlers দ্বারা স্ক্যান করে।
ছবিগুলো অপটিমাইজ করুন:
ওয়েব পেজে ব্যবহৃত ছবি সঠিকভাবে অপটিমাইজ করা উচিত, অন্যথায় সার্চ ইঞ্জিনগুলো বুঝতে পারে না। ছবিটি একটি সম্পর্কের সেটা বোঝানোর জন্য আপনার ছবিতে ALT তথ্য ব্যবহার করতে হবে। ফাইলের নাম, ফাইলের আকার এবং ALT দ্বারা ছবিকে অপটিমাইজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এগুলো এসইওর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পেজের সঠিক ডিজাইন বজায় রাখুন:
পাবলিশ করা কন্টেন্টের সৌন্দর্যের জন্য সময় ব্যয় গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পেজে ব্যবহ্নত লিখা, ছবি এবং ভিডিও সমূহের সঠিক ডিজাইন করতে হবে। আপনার পেজ যেন খুব দ্রুত লোড হয় এবং ভিজিটর যেন সহজে কন্টেন্ট গুলো পড়ে বুঝতে পারেন। তার জন্য সঠিক ভাবে আপনার কনটেন্ট গুলো কে সাজিয়ে বুঝিয়ে লেখুন।
অফ-পেইজ এসইও:
অফ-পেইজ এসইও সমস্ত প্রচার সম্পর্কিত কাজ। পূর্ববর্তী এসইও ধরণ খুবই সহজ ছিল। ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো র্যাঙ্ক করতে অফ-পেইজ এসইওর কৌশলগুলো এত জটিল ছিল না। আপনি ইন্টারনেটে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রচার করার জন্য যতগুলো কৌশল ব্যবহার করেন সবগুলো অফ-পেজ এসইও হিসেবে পরিচিত। জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো গুগলে কম জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর চেয়ে বেশি র্যাঙ্কের সম্ভাবনা থাকে।
জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করে আপনার সাইটকেও গুগলে র্যাঙ্ক করাতে পারেন। এজন্যই মূলত অফ-পেজ এসইও প্রয়োজন।
অপ-পেজ এসইও এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি গুলো:
লিঙ্ক বিল্ডিং করা: লিঙ্ক বিল্ডিং হ’ল অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করে ওয়েবসাইটের বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ট্রাফিক পাওয়ার কৌশল। এই ব্যাকলিঙ্কগুলো একটা ওয়েবসাইটের জন্য “বিশ্বাসের ভোট” হিসাবে কাজ করে। তবে অবশ্যই লিঙ্ক গুলো “Do-Follow” হতে হবে।
ব্র্যান্ড প্রমোশন: গুগল সার্চ রেজাল্টে পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোকে উচ্চ র্যাঙ্ক দিতে পছন্দ করে। কারণ লোকেরা ব্রান্ড ওয়েবসাইটগুলোকে বিশ্বাস করে। ব্যাকলিঙ্ক পেতে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রচার করার পাশাপাশি আপনার ব্র্যান্ডের প্রচারেও কাজ করা উচিত।
বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া নেটওয়ার্কে এবং ফোরামে আপনার সাইট সম্পর্কে আলোচনা করতে ভিজিটরদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে আপনার ব্রান্ডিং করতে পারেন। গুগল এই সিগন্যালগুলো বাছাই করতে পারে এবং লোকেরা যে ওয়েবসাইটগুলো নিয়ে কথা বলে, গুগল তাদের সবার উপরে র্যাঙ্ক দেয়।
কনটেন্ট এসইও
কন্টেন্ট এসইও হ’ল অন-পেইজ এসইও এর একটি সাবসেট। Content seo বলতে কন্টেন্টের মান এবং কিভাবে এটি আরও ভাল করা যায় সে সম্পর্কে কাজ করাকে বুঝায়। এসইওতে সাফল্য পাওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং এটি এসইও এর অন্যতম প্রকার হিসাবে বিবেচনা করা যায়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে অন-পেইজ এসইও এর অধীনে কন্টেন্ট এসইও এর কাজ চলে আসে। ভিজিটররা সহজ পড়তে পছন্দ করে এবং সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে এমন আকর্ষনীয় কন্টেন্ট তৈরি করাই হচ্ছে কন্টেন্ট এসইও।
এটিতে সাফল্য অর্জন করতে, আপনি নিচের নির্দেশিকাগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
- কীওয়ার্ড গবেষণা দিয়ে আপনার কন্টেন্ট তৈরি প্রক্রিয়া শুরু করুন।
- আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এসইও কীওয়ার্ডগুলো বাঁচাই করুন এবং সেগুলো আপনার কন্টেন্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করুন।
- আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সফলতা পেতে দীর্ঘ কীওয়ার্ড এবং শব্দার্থগতভাবে সম্পর্কিত কীওয়ার্ডগুলো সার্চ করুন। এবং সেগুলো আপনার টাইটেল, সাব-টাইটেল এবং মূল কন্টেন্টে যুক্ত করুন।
- পুরোপুরি এবং যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য যুক্ত করে এমন কন্টেন্ট প্রকাশ করুন, যাতে ভিজিটর যা চান, তা পেতে পারে।
- কীওয়ার্ডগুলো সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে আপনার কন্টেন্টের প্রসঙ্গটি বোঝার জন্য যথেষ্ট সংকেত হিসেবে কাজে দেবে।
- ব্যবহারকারীদের কোনো বিষয় সম্পর্কে আরও শিখতে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য উচ্চ-মানের ওয়েবসাইটগুলোকে ব্যাকলিংক শেয়ার করা আপনার জন্য একটা ভালো কাজ। কারণ এটাও আপনাকে র্যাঙ্ক পেতে সাহায্য করে।
- আপনার কন্টেন্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো সার্চ ইঞ্জিনকে সহজে বোঝতে সহায়তা করতে স্কিমা এবং স্ট্রাকচার ডেটা ব্যবহার করুন।
লোকাল এসইও:
লোকাল এসইও এমন এক প্রকারের এসইও যা কেবল স্থানীয় ব্যবসায়ের জন্য উপযুক্ত। যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট থাকে এবং আপনার লক্ষ্য যদি হয় ক্লায়েন্টদের আপনার স্থানীয় স্টোর পরিদর্শন করনো। তবে লোকাল এসইওর জন্য আপনার ওয়েবসাইটটি অপটিমাইজ করা উচিত।
নিচে বর্ণিত সমস্ত কিছু লোকাল এসইওর জন্য প্রয়োজন:
- আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত পেইজে আপনার ব্যবসায়ের নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য দেওয়া আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- আপনার হোমপেজে স্থানীয় ব্যবসায়িক স্কিমা যুক্ত করুন।
- “Google My Business” এ ব্যবসা অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- বিশ্বস্ত ডিরেক্টরিসে আপনার ব্যবসা রেজিষ্ট্রেশন করুন (যেমন: Yelp, Yahoo small business, Foursquare এবং অন্যান্য।)
- লোকাল ডিরেক্টরি এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইট প্রচার করুন।
মোবাইল এসইও
মোবাইল এসইও আবার অন্যান্য পদ্ধতি থেকে আলাদা ধরণের নয়, তবে এটি মোবাইল ডিভাইসগুলোর জন্য নির্দিষ্ট এসইওর একটি উপসেট বলা যায়। এটি সত্য যে ৭০% এরও বেশি গুগল সার্চ এখন মোবাইল ডিভাইসে এর মাধ্যমে হয়। এটি একটি বিশাল সংখ্যা এবং একটি ভাল ইঙ্গিত যে ইন্টারনেট প্রচলিত ডেস্কটপ থেকে দূরে চলেছে এবং মোবাইল ডিভাইসে চলেছে।
এই কারণেই গুগল মোবাইলের জন্য দ্রুত ইনডেক্স পদ্ধতি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনার ওয়েবসাইটটিকে সম্পূর্ণ মোবাইল ফ্রেন্ডলি করাই হচ্ছে মোবাইল এসইও।
মোবাইলের এসইওতে কাজ করার সময়, আপনাকে অবশ্যই যে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে:
- ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি তা নিশ্চিত করতে “mobile friendly test” টুলটির মাধ্যমে পরিক্ষা করুন।
- সাইটটি যেন মোবাইলে দ্রুত লোড হয় তা নিশ্চিত করুন।
- ওয়েবসাইট মোবাইলে ব্যবহার কতটা সহজ তা যাচাই করুন।
- মোবাইলে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা যাচাই করুন।
ই-কমার্স এসইও
ইকমার্স একটি বিশাল শিল্প। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে, কোনও ইকমার্স ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করা কোনো ব্লগ বা কর্পোরেট ওয়েবসাইটের কাজ করার চেয়ে জটিল।
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ই-কমার্স এসইওর কারণগুলো হ’ল:
- হোমপেজ এবং ক্যাটাগরি পেজগুলো দিয়ে একটি অনলাইন শপের কাজ শুরু হয়। এই পেজ দুটি অবশ্যই সঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে হবে।
- আপনার কীওয়ার্ড রিসার্চ ফলাফলের ভিত্তিতে আপনার পণ্য পেজগুলো অপটিমাইজ করুন।স্টোরের সমস্ত ভিজ্যুয়াল উপাদান (ছবি, ভিডিও) অপটিমাইজ করুন।
- প্রয়োজনীয় স্কিমা যুক্ত করুন (পণ্য, অফার ইত্যাদি।)
- সামাজিক মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলোতে আপনার স্টোর প্রচার করুন।
- পণ্য সম্পর্কিত একটি ব্লগ সাইট তৈরি করুন।
- এই হলো এসইও এর কাজ। আশাকরি আপনাদের বিভিন্ন প্রকার এসইও সম্পর্কে সঠিকভাবে গাইডলাইন দিতে পেরেছি। যদি কোনো ভুল হয়, তাহলে অবশ্যই তা কমেন্টে জানাবেন।
এসইও এর প্রধান ৩টি প্রকার আছে:
White Hat SEO
Black Hat SEO
Green Hat SEO
আমার আপনাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে:
আপনারা কখনও “White Hat SEO” ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি অনুসরণ করবেন না। যদি আপনি একজন ভালো মানুষ এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যবসায়ী হতে চান। আমাদের এই আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের মতামত আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের মতামত পেলে আমরা উৎসাহিত হয় এবং পরবর্তী আর্টিকেলটা লেখার জন্য মানসিক এনার্জি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।