সৌদি আরবে বহিঃবিশ্ব থেকে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করতে যায়। সেখানে এত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। মূলত সৌদির অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কি?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
সৌদি আরবের অর্থনীতি বিশ্বের শীর্ষ ২০ টি অর্থনীতির মধ্যে একটি ।দেশের অর্থনীতি তেলের উপর নির্ভরশীল,কারণ দেশে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রমাণিত পেট্রোলিয়াম মজুদ রয়েছে, এবং দেশটি বিশ্বের পেট্রোলিয়ামের বৃহত্তম রফতানিকারক। এই দেশে পঞ্চম বৃহত্তম প্রমাণিত প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে এবং দেশটি “জ্বালানি শক্তির মহাশক্তি” হিসাবে বিবেচিত হয়। মোট ৩৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে সৌদি আরবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে।
যদিও আমি অর্থনীতির ছাত্রী নয়। তবুও অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন দেখলে উত্তর দিতে চেষ্টা করি।
বিশ্বের সেরা ২০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সৌদি আরব একটি। word Bank এর তথ্য মতে ২০২০ সালে মানে Covid-19 এর আগে সৌদি আরবের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.১% এটাই ছিল সর্বোচ্চ গত কয়েক বছরে।
সৌদি আরবে অর্থনীতিতে বর্তমান ২০ তম স্থানে রয়েছে। যদিও এটা সবার চোখে দেখতে ভালো লাগে, তবুও আমার চোখে একদমই না।
যে হারে তেল তেল করতেছে মানুষ, সে তেল থেকে তাদের জিডিপি যা আসে তার চেয়ে বেশি আসে পরিষেবা খাতে ৫৪%+। পরিষেবায় সবচেয়ে বড় খাত হলো বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ।
এই শ্রমিকদের কাজ থেকে কলা কৌশলে তাদের রক্তঝরা বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলার তারা আদায় করে নিচ্ছে, অথচ তার কোনো সঠিক রিপোর্ট পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি কোনো আর্ন্তজাতিক সংস্থাও।
সৌদি আরবে যে পরিমাণ প্রকৃতিক সম্পদ রয়েছে তা দিয়ে পুরো ইউরোপ মহাদেশ ক্রয় করা সম্ভব।
আপনি সম্প্রতি কয়েকবছরের চিত্র দেখলে বুঝতে পারবেন, সৌদি আরবের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিন দিন নিম্নমুখী। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো অব্যবস্থাপনা।
তারা তাদের জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে তারা “ভিশন-২০৩০” হাতে নিয়েছে।
এই ভিশন সফল করতে পারলে তাদের উন্নতি হবে চারদিকে। না হয় বড় কোনো ধাক্কার জন্য সৌদি আরবের সাধারণ জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।