বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার হার কত? কারিগরি দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্হান পৃথিবীতে কততম?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
কারিগরি শিক্ষার হার:
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ২০১৮ সালের তথ্যে দেশের কারিগরি শিক্ষার্থীদের হার মাত্র ১৪ শতাংশ। ২০২০ সালে এই হার ২০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে তা ৩০ শতাংশ করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে
কারিগরি শিক্ষার মান:
বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান একেবারেই খুবই পশ্চাৎপদ। সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মান কিছুটা থাকলেও সেখানে চলছে- পশ্চাৎপদ শিক্ষা দান পদ্ধতি, মান সম্পন্ন শিক্ষক, ন মান প্রশ্ন ও উত্তর পত্র মূল্যায়ন ব্যবস্থা, নকল ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন জালিয়াতি, ল্যাব ফ্যাসিলিটির স্বল্পতা, আর্থিক বরাদ্দ প্রভৃতি বহুমাত্রিক সংকট। এমনকি রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শীর্ষ নেতৃত্বের মনোযোগের সংকটও। দেশের একমাত্র সরকারি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক্সের শিক্ষকরা অধিকাংশই চুক্তিভিত্তিক। অল্প কিছু নিয়মিত শিক্ষক আছেন, যাদের মাধ্যমে ছাত্ররা খুব একটা উপকৃত হতে পারছেন না। পত্রিকান্তরে জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের প্রাকটিক্যাল উপকরণের অধিকাংশই ব্যবহার অনুপযোগী, গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ছাড়াই প্রাকটিক্যাল করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কেনা মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরি উপরকরণগুলো অনেক সময় যথোপযুক্ত ট্রেনিং ও অভিজ্ঞতার অভাবেই ব্যবহারহীন হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। কোথাও নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি। কারও কারও খুব ছোট একটি ল্যাব থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ, প্রাকটিক্যালের জন্য নেই কোনো ভারী, মূল্যবান ও অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ। রাজধানীর বাইরে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা চলছে নামসর্বস্ব অবস্থায়। এখানকার শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিক্যালে পড়েন নামে মাত্র, স্বল্প কিছু মুখস্থবিদ্যা নিয়ে। এখানে নেই কোনো ভালো মানের ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক। নেই প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস উপকরণ। এটাকে টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট কেনা বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না। বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল চালুর জন্য শিক্ষক, শিক্ষা অবকাঠামোর কী কী থাকতে হবে তার স্ট্যান্ডার্ড চেক লিস্ট তৈরি ও বাস্তবায়ন হয়নি।
এসব প্রতিষ্ঠানের কারিকুলামের অবস্থাও প্রতিষ্ঠানের মতোই পিছিয়ে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না এসব কারিকুলাম। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি উদ্যোগের কথা বলা হয়। ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবোটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ব্লকচেইন টেকনোলজিসহ আধুনিক বিষয়গুলোর ওপর জোর দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু এখনও বাস্তবায়নের কোনো গতি লক্ষ্য করা যায়নি। কারিকুলাম রয়ে গেছে সেই আগের মতোই। তবে রোবোটিক্স মেইনটেন্যান্স, কন্ট্রোল সিস্টেম মেইনটেন্যান্স সাপোর্ট, ওয়েস্ট রি-সাইক্লিং, সোলার এনার্জি ও রিনিউয়্যাবল এনার্জির মতো বহু নতুন বিষয় শুরুর প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না।