বাংলাদেশ-মায়ানমার সমুদ্রসীমা মামলার রায় হয় কবে?
One thought on “শিক্ষা”
সর্বশেষ জাতীয় আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিনোদন খেলা স্বাস্থ্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা চট্টগ্রাম প্রতিদিন
search
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধের রায় ১৪ মার্চ
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধের রায় ১৪ মার্চ
ঢাকা: সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মামলার রায় আগামী ১৪ মার্চ প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালত এ বিষয়ে মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে।
’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিজ) আয়োজিত সমুদ্রসীমা বিষয়ক এক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সেমিনারে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ ন্যায়বিচার পাবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের ফলে সামুদ্রিক সম্পদে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অধিকার আদায়ে প্রতিবেশীদের প্রতি পররাষ্ট্রনীতি নতজানু ও দুর্বল নয়। ’
প্রতিবেশীদের কাছে থেকে নায্য অধিকার রক্ষায় শেখ হাসিনার সরকার কোনো ক্ষেত্রেই ছাড়ও দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লস বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত সচিব খুরশেদ আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ মহাপরিচালক ইমরুল কায়েস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আলোচনার পর দেখেছি এ বিরোধে কোনো ফলাফল আসছে না। এর প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকার সমুদ্রসীমায় নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য স্বল্পতম সময়ে ফলাফল আদায় করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অধিকার আদায়ের জন্যই বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে যাই। ’
এতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে’ বলেও মন্তব্য তার।
দীপু মনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই আমরা দাবির কথা তুলে ধরে ন্যায়বিচারের আশায় আছি। ’
ভারতের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের রায়ও আগামী ২০১৪ সালের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত প্রসন্ধে খুরশেদ আলম বলেন, ‘সমুদ্র নিয়ে গবেষণার জন্য বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার কোনও সুযোগ নেই। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ খুলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। ’
প্রসঙ্গত: জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ল অব দ্য সি (ইটলস) এ গত সেপ্টেম্বরে মামলার শুনানি হয়। এ মামলার বিষয়ে দুই দেশ নিজ নিজ দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা রয়েছে ২০০ নটিক্যাল মাইল। গভীর সাগরে বিরোধপূর্ণ সীমানার মধ্যে ২৭টি তেল-গ্যাস ব্লক থাকলেও এর মধ্যে ভারত ও মিয়ানমার ১৮টি তাদের বলে দাবি করে আসছে।
বাংলাদেশের দাবি, ন্যায্যতার ভিত্তিতেই হবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ। আর ভারত-মিয়ানমার চায় সম দূরত্বের ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে চায়।
সর্বশেষ জাতীয় আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিনোদন খেলা স্বাস্থ্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা চট্টগ্রাম প্রতিদিন
search
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধের রায় ১৪ মার্চ
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধের রায় ১৪ মার্চ
ঢাকা: সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মামলার রায় আগামী ১৪ মার্চ প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালত এ বিষয়ে মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে।
’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিজ) আয়োজিত সমুদ্রসীমা বিষয়ক এক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সেমিনারে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ ন্যায়বিচার পাবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের ফলে সামুদ্রিক সম্পদে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অধিকার আদায়ে প্রতিবেশীদের প্রতি পররাষ্ট্রনীতি নতজানু ও দুর্বল নয়। ’
প্রতিবেশীদের কাছে থেকে নায্য অধিকার রক্ষায় শেখ হাসিনার সরকার কোনো ক্ষেত্রেই ছাড়ও দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লস বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত সচিব খুরশেদ আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ মহাপরিচালক ইমরুল কায়েস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আলোচনার পর দেখেছি এ বিরোধে কোনো ফলাফল আসছে না। এর প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকার সমুদ্রসীমায় নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য স্বল্পতম সময়ে ফলাফল আদায় করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অধিকার আদায়ের জন্যই বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে যাই। ’
এতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে’ বলেও মন্তব্য তার।
দীপু মনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই আমরা দাবির কথা তুলে ধরে ন্যায়বিচারের আশায় আছি। ’
ভারতের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের রায়ও আগামী ২০১৪ সালের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত প্রসন্ধে খুরশেদ আলম বলেন, ‘সমুদ্র নিয়ে গবেষণার জন্য বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার কোনও সুযোগ নেই। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ খুলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। ’
প্রসঙ্গত: জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ল অব দ্য সি (ইটলস) এ গত সেপ্টেম্বরে মামলার শুনানি হয়। এ মামলার বিষয়ে দুই দেশ নিজ নিজ দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা রয়েছে ২০০ নটিক্যাল মাইল। গভীর সাগরে বিরোধপূর্ণ সীমানার মধ্যে ২৭টি তেল-গ্যাস ব্লক থাকলেও এর মধ্যে ভারত ও মিয়ানমার ১৮টি তাদের বলে দাবি করে আসছে।
বাংলাদেশের দাবি, ন্যায্যতার ভিত্তিতেই হবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ। আর ভারত-মিয়ানমার চায় সম দূরত্বের ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে চায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২