আমরা জানি, মানুষ মাটির তৈরি। কথাটি আমাদের মাঝে খুবই প্রচলিত। তাই এই কথাটির ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি।
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
মানুষ আসলে কিসের তৈরি?
কুরআন কি বলে?
মানুষ সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহ সুবহানাহু সুন্দরতম বর্ণনা দিয়েছেন।
আমি এখনে পবিত্র কুরআনের সুরা হজ্বের ৫ নং আয়াতটি উপস্থাপন করছি,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنْ كُنْتُمْ فِي رَيْبٍ مِنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِنْ مُضْغَةٍ مُخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاءُ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنْكُمْ مَنْ يُتَوَفَّى وَمِنْكُمْ مَنْ يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِنْ بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنْزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنْبَتَتْ مِنْ كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ-
হে লোক সকল! মৃত্যুর পর পুনরুত্থান সম্পর্কে যদি তোমরা কোনো সন্দেহ পোষণ করে থাক (তাহলে ভেবে দেখ) আমি তোমাদেরকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছি, পরে শুক্রকীট হতে, তারপর রক্তপিণ্ড হতে, পরে মাংসপিণ্ড হতে যা আকৃতি সম্পন্নও হয়, আবার আকৃতিবিহীনও; যেন তোমাদের নিকট প্রকৃত সত্য সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করি। আমি যেটিকে (শুক্রকীটকে) ইচ্ছা করি একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জরায়ুর মধ্যে স্থিতিশীল করে রাখি। পরে তোমাদেরকে শিশুরূপে ভূমিষ্ঠ করি। ফলে তোমরা তোমাদের যৌবনে পদার্পণ করে থাক। আর তোমাদের মধ্যে কাউকে এর আগেই মৃত্যু দেওয়া হয়। আবার কাউকে নিকৃষ্টতম জীবন (বার্ধক্যের) দিকে প্রত্যাবর্তন করানো হয়, ফলে সে সব কিছু জেনে নেওয়ার পরও কিছু জানে না। আপনি শুষ্ক জমিন দেখতে পাচ্ছেন। পরে যখনই আমি তার ওপর পানি বর্ষণ করি সহসাই তা সতেজ হয়ে ওঠে, ফুলে উঠে এবং তা সব ধরনের সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপাদন করতে শুরু করে দেয়, (সূরা হজ-৫) ।
এই প্রসঙ্গে সুরা হিজর এর ২৬ নং আয়াতটি আরো চমৎকার একটা বিষয় উঠে এসেছে।
হাদিসে কি পাওয়া যায়?
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটা হাদিসে মানবসৃষ্টির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেছেন,
আজকের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলে?
আজকের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছেন, মানব শিশু জন্মের পূর্ব থেকে বিভিন্ন ধাপ অবলম্বন করেছেন। নারীর ডিম্বাণুর বহিরাবরণে প্রচুর সিয়ালাইল-লুইস-এক্সসিকোয়েন্স নামের চিনির অণুর আঠালো শিকল শুক্রাণুকে যুক্ত করে পরস্পর মিলিত হয়।
আর এই শুক্রাণু দেখতে ঠিক মাথা মোটা ঝুলে থাকা জোঁকের মতো। জোঁক যেমন মানুষের রক্ত চুষে খায়, শুক্রাণু ঠিক তেমনি ডিম্বাণুর মধ্যে প্রবেশ করে মায়ের রক্তে থাকা প্রোটিন চুষে বেড়ে ওঠে।
নিষিক্ত ডিম্বাণুটি সন্তান জন্মের রূপ নিলে সাধারণত নিম্নে ২১০ দিন ও উর্ধ্বে ২৮০ দিন জরায়ুতে অবস্থান করে। ওই সময়ের মধ্যে ডিম্বাশয়ে নতুন করে কোনো ডিম্বাণু প্রস্তুত হয় না।