মানবজাতির মধ্যে প্রথম হত্যাকান্ডের প্রচলন করেন কে?
মানবজাতির মধ্যে প্রথম হত্যাকান্ডের প্রচলন করেন কে?
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
মানবজাতির প্রথম হত্যাকান্ড হযরত আদম (আ) এর সন্তান হাবিল আর কাবিলের মধ্যকার ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাটি।
নিজেকে কেমন জানি অপরাধবোধ হয় যে, মানবজাতির প্রথম হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার প্রধান কারণ নারী
এটা জানার পর এক ধরনের অপরাধবোধ হয়
(লিখাটি পড়ার বিনীত অনুরোধ রইল, পুরো লিখাটি না পড়লে অনেক কিছু অজানা থেকে যেতে পারে)
হাবিল-কাবিলের দ্বন্দ্ব:
হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর ঘরে কতজন সন্তানের জন্ম হয়েছিল, তা নিয়ে দুটি মত পাওয়া যায়। মুফাসসির ইবনে জারির (রহ.) বলেছেন, ‘হাওয়া (আ.) ২০ বার গর্ভধারণ করেন; প্রতিবারই যমজ সন্তান জন্ম দেন—একটি ছেলে একটি মেয়ে।’ আবার কেউ বলেছেন, ‘১২০ বার গর্ভধারণ করেন এবং ২৪০ জন সন্তান জন্ম দেন।’ (নবুওয়াতু আদম ওয়া রিসালাতুহু: পৃ.১১৫; মুজাজুত-তারিখিল ইসলামি: ২ / ১৩)
যেহেতু তখন পৃথিবীতে আদমসন্তান ছাড়া কোনো মানুষ ছিল না, তাই বংশবৃদ্ধির জন্য আল্লাহর নির্দেশে আদম (আ.) নিজের ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ে দিতেন। প্রতিবারই এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নিত। নিয়ম ছিল, একবারের ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে অন্যবারের মেয়ে ও ছেলেকে বিয়ে দেওয়া হতো। নিয়ম অনুযায়ী হাবিল-কাবিলের বিয়ের বিষয়ও সামনে আসে। কাবিল বড় ছিলেন এবং তাঁর যমজ বোনটি হাবিলের যমজ বোনের চেয়ে বেশি সুন্দর ছিলেন। এ কারণে কাবিল তাঁর যমজ বোনকে হাবিলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না।
(তাফসির ইবনে কাসির, কাসাসুল কোরআন)
কোরবানির ঘটনা
উল্লিখিত সমস্যার সমাধান হিসেবে আদম (আ.) সিদ্ধান্ত দিলেন—তাঁরা উভয়ে আল্লাহর দরবারে কোরবানি পেশ করবেন। যার কোরবানি কবুল হবে, তিনি নিজের ইচ্ছা পূরণের অধিকার পাবেন। তাওরাতের বর্ণনা অনুযায়ী, সেকালে কোরবানি ও মানত কবুল হয়েছে কি না—তা বোঝা যেত। নিয়ম অনুযায়ী, মানত ও কোরবানির বস্তু কোনো উঁচু স্থানে রেখে আসতে হতো। সেটি আল্লাহ দরবারে কবুল হলে আসমান থেকে আগুন এসে বস্তুটি পুড়িয়ে দিত।
হাবিল পশু পালন এবং কাবিল কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিয়মান অনুযায়ী হাবিল নিজের পশুর পাল থেকে একটি হৃষ্টপুষ্ট দুম্বা আল্লাহর নামে কোরবানি দেন। আর কাবিল নিজের শস্যভাণ্ডার থেকে কিছু শস্য কোরবানির জন্য পেশ করেন। সেকালের কোরবানির নিয়ম অনুসারে অদৃশ্য থেকে আগুন এসে হাবিলের কোরবানির বস্তু পুড়িয়ে ফেলল। আর কাবিলের কোরবানির বস্তু যেমন রাখা হয়েছিল, তেমনই রয়ে গেল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত তাদের যথাযথভাবে শোনাও। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্য জনের কোরবানি কবুল হলো না।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
পৃথিবীর প্রথম খুন
কোরবানি কবুল না হওয়ায় কাবিল অপমানিত হলেন এবং ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘(একজন) বলল, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব।’ বিপরীতে হাবিল শান্ত ভাষায় তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন এবং খুনের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করলেন। হাবিল বললেন, ‘আল্লাহ তো সংযমীদের কোরবানিই কবুল করে থাকেন। আমাকে খুন করতে তুমি হাত বাড়ালেও তোমাকে খুন করতে আমি হাত বাড়াব না। নিশ্চয়ই আমি সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহকে ভয় করি। তুমি আমার ও তোমার পাপের ভার বহন করো এবং জাহান্নামি হও—এই তো আমি চাই; এটিই অনাচারীদের কর্মফল।’ (সুরা মায়েদা: ২৭-২৯)
এরপর কাবিল আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না। হাবিলের উপদেশ ও সতর্কবার্তা কাবিলের মনে তীরের মতো বিঁধতে লাগল। তিনি ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়লেন এবং ছোট ভাই হাবিলকে নির্মমভাবে হত্যা করলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরপর তার মন তাকে ভাইকে খুন করতে প্ররোচনা দিল এবং সে (কাবিল) তাকে (হাবিলকে) হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হলো।’ (সুরা মায়েদা: ৩০)
এই বিষয়ে আরো অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। কাবিল অনুতপ্ত হলেন,,, অনেক দীর্ঘ একটি ঘটনা। আজ এইটুকুই….