মজনু শাহ মাদারিয়া। নিচে তার সম্পর্কে আরো কিছু জেনে নিই। মজনু শাহ মাদারিয়া তরিকার একজন ফকির ছিলেন। সৈয়দ বদিউদ্দিন কুতুবউল শাহ মাদার এই তরিকার প্রতিষ্ঠাতা। কানপুরের নিকট মাকানপুরে শাহ মাদারের মাজারে তার কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ছিল। ১৭৭১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে লেফটেন্যান্ট ফেলথামের নেতৃত্বাধীন সিপাহীদের সাথে তার প্রথম সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ অসফল ছিল। এরপর তিনি বগুড়ার মহাস্থানগড়ের খানকায় চলে যান। ১৭৭৩ সালের শীতের সময় মজনু শাহ ও তার ফকিরদের দল রাজশাহীতে পুনরায় দেখা দেয়। তারা সন্ন্যাসীদের একটি দলের সাথে যোগ দেয়। ১৭৭৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিপাহীদের চারটি কোম্পানির সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। কোম্পানির সেনাবাহিনী পুনরায় তাদের হামলা প্রতিহত করে।[১] উধুয়ানালার যুদ্ধ (১৭৬১) ও বক্সারের যুদ্ধে (১৭৬৪) মজনু শাহ বৃহৎ সংখ্যক মুসলিম ফকির ও হিন্দু সন্ন্যাসীকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে একত্রিত করেন। ইতিপূর্বে ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার নবাবের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তগত করে। দিনাজপুর ও বগুড়া জেলা তার কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ছিল।[৩] তিনি জনগণকে স্বাধীনতা, ধর্ম ও ঐক্যের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেন। তথ্যসূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া Reply
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রধান নেতা ছিলেন মাদারিপন্থী পীর মজনু শাহ।
মাদারিপন্থী পীর মজনু শাহ।
বাংলার ফকির সন্ন্যাসীদের প্রধান নেতা ছিলেন —মাদারীপন্থী পীর মজনু শাহ।
মজনু শাহ মাদারিয়া।
নিচে তার সম্পর্কে আরো কিছু জেনে নিই।
মজনু শাহ মাদারিয়া তরিকার একজন ফকির ছিলেন। সৈয়দ বদিউদ্দিন কুতুবউল শাহ মাদার এই তরিকার প্রতিষ্ঠাতা। কানপুরের নিকট মাকানপুরে শাহ মাদারের মাজারে তার কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ছিল।
১৭৭১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে লেফটেন্যান্ট ফেলথামের নেতৃত্বাধীন সিপাহীদের সাথে তার প্রথম সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ অসফল ছিল।
এরপর তিনি বগুড়ার মহাস্থানগড়ের খানকায় চলে যান। ১৭৭৩ সালের শীতের সময় মজনু শাহ ও তার ফকিরদের দল রাজশাহীতে পুনরায় দেখা দেয়।
তারা সন্ন্যাসীদের একটি দলের সাথে যোগ দেয়। ১৭৭৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির
সিপাহীদের চারটি কোম্পানির সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। কোম্পানির সেনাবাহিনী পুনরায় তাদের হামলা প্রতিহত করে।[১]
উধুয়ানালার যুদ্ধ (১৭৬১) ও বক্সারের যুদ্ধে (১৭৬৪) মজনু শাহ বৃহৎ সংখ্যক মুসলিম ফকির ও হিন্দু সন্ন্যাসীকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে একত্রিত করেন।
ইতিপূর্বে ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার নবাবের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তগত করে।
দিনাজপুর ও বগুড়া জেলা তার কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ছিল।[৩] তিনি জনগণকে স্বাধীনতা, ধর্ম ও ঐক্যের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া