1 min read
বর্তমান সমাজের অধিক শিক্ষিত বেকার হওয়ার কারণ কি?
- বর্তমান সমাজে দেখা যায় উচ্চ শিক্ষিত থেকে শুরু করে স্বল্প শিক্ষিত পর্যন্ত একাডেমি ক্যারিয়ার শেষ করে বেকারত্বের জীবনে ঘুরছে। কিন্তু বেকারত্বের জন্য শুধু কি রাষ্ট্র দায়? নাকি আমরা শিক্ষিতরাও দায়? আর আমরা দায়ী হলে আমাদের করণীয় কি?
অসাধারণ প্রশ্ন, আপনাকে ধন্যবাদ।
জ্বী বর্তমান সমাজে বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে। আমি আরো একটু যোগ করি, ২০১৯-২০ সালের দিকের অবস্থা অনুযায়ী, বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলে বছরে ৪০ লাখ গ্রাজুয়েশন করা তরুণ-তরুণী বের হয়।
কিন্তু অন্যদিকে সারা দেশে প্রতি বছর বিসিএস ক্যাডার পদ থেকে শুরু করে পিয়ন পদ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২ লাখ পদশূন্য হয়।
এই ২ লাখ পদের জন্য যদি ২ লাখ গ্রাজুয়েটও নেন তাহলেও বছরে ৩৮ লাখ গ্রাজুয়েট বেকার থাকেন।
এবার আসি উত্তরে:
এটার জন্য আমি রাষ্ট্র এবং আমাদের দুটোই দায়ী করবো।
এবার আসি আমাদের দায়:
এই দায় থেকে আমরাও মুক্ত না। এই দায় আমরাও এড়াতে পারি না। আমি দেখতেছি যে, চাকরির বাজার খুবই খারাপ, এটা আমরা বুঝতেছি, আজ না ২ দশক আগে থেকেই।
কিন্তু আমরা কি আমাদের কর্মসংস্থানের জন্য কিছু করেছি? অথবা আমরা কি বিশ্বময় তুমুল প্রতিযোগিতায় ঠিকে থাকার জন্য অন্তত নিজেকে ভালোবেসে কিছু করেছি? ৮০%+ গ্রাজুয়েটের কাছ থেকে উত্তর আসবে না। করিনি।
তাহলে এখানে আমি বেকার, এটার জন্য তো আমিই দায়ী।
সরকারের করণীয়:
যুগোপযোগী কোনো সিদ্ধান্ত নিন। বছরে অন্তত ১০ লাখ কর্মসংস্থান বাড়ান। মালেশিয়ার দিকে দেখুন। খুব কাছের উদাহরণ দিই মাত্র কিছু দিন আগে সরকার পরিবর্তন হওয়া আফগানের মোল্লাদের দিকে দেখুন। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রুপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিন।
সরাসরি বলে ফেলি, আপনার বয়স আজকে ২৬-৩০ বছর। গুগলে সার্চ করে দেখুন ২৬-৩০ বয়সী ১ জন আমেরিকান যুবক কি করেন? একজন জাপানি যুবক কি করেন? তারা কি চাই? কিভাবে চাই?
উত্তরটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি আপভোট দিবেন। এতে লিখার গতিটা আরো বেগবান হবে।
আল্লাহ হাফেজ
ধন্যবাদ সুন্দর মতামত পেশ করার জন্য।
আধুনিক সমাজে আরও শিক্ষিত লোকের বেকার হওয়ার ঘটনাতে অবদান রাখতে পারে এমন অনেক কারণ রয়েছে। কিছু সম্ভাব্য কারণ অন্তর্ভুক্ত:
অর্থনৈতিক মন্দা: অর্থনৈতিক মন্দার সময়, বেকারত্বের হার বাড়তে থাকে, এবং শিক্ষিত কর্মীদের তাদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা বেশি হতে পারে বা নতুনদের খুঁজে পেতে কঠিন সময় হতে পারে।
চাকরির বাজারে পরিবর্তন: অর্থনীতির বিকাশের সাথে সাথে কিছু শিল্প এবং চাকরির ভূমিকা অপ্রচলিত হতে পারে, যখন নতুন শিল্প এবং চাকরির ভূমিকা আবির্ভূত হতে পারে। এটি কর্মীদের দক্ষতা এবং শিক্ষা এবং উপলব্ধ চাকরির মধ্যে একটি অমিল তৈরি করতে পারে।
চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা: কিছু ক্ষেত্রে, সীমিত সংখ্যক চাকরি খোলার জন্য আরও উচ্চ শিক্ষিত লোক প্রতিযোগিতা করতে পারে, যা আরও শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের কারণ হতে পারে।
বৈষম্য: নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর শিক্ষিত কর্মীরা, যেমন জাতিগত বা জাতিগত সংখ্যালঘু বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা, চাকরির বাজারে বৈষম্যের সম্মুখীন হতে পারে, যা তাদের বেকারত্বে অবদান রাখতে পারে।
ব্যক্তিগত পরিস্থিতি: কিছু উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি ব্যক্তিগত পরিস্থিতির কারণে কাজ করতে অক্ষম হতে পারে, যেমন পরিবারের সদস্যের যত্ন নেওয়া বা অক্ষমতা।
বেকারত্ব বাংলাদেশের জন্য কমন একটা সমস্যা।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে হলে ও কিন্তু দেশের সব থেকে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব । চাহিদার তুলনায় যখন শিক্ষার মান বেশি হয়ে যায় তখন এই সমস্যার সৃষ্টি হয় । আমাদের দেশে এই সমস্যা এখন চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সরকারী , বেসরকারী কিংবা জাতীয় বিস্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষিত ছাত্র ছাত্রী পাস করে চাকরি না পেয়ে নিজেদের নাম কে বেকারের খাতায় তুলে দিচ্ছেন।তবে বেকারত্ব চাইলেই দূর করা সম্ভব।