1 min read

বর্তমান সমাজের অধিক শিক্ষিত বেকার হওয়ার কারণ কি?

  1. বর্তমান সমাজে দেখা যায় উচ্চ শিক্ষিত থেকে শুরু করে স্বল্প শিক্ষিত পর্যন্ত একাডেমি ক্যারিয়ার শেষ করে বেকারত্বের জীবনে ঘুরছে। কিন্তু বেকারত্বের জন্য শুধু কি রাষ্ট্র দায়? নাকি আমরা শিক্ষিতরাও দায়? আর আমরা দায়ী হলে আমাদের করণীয় কি?

4 thoughts on “বর্তমান সমাজের অধিক শিক্ষিত বেকার হওয়ার কারণ কি?

  1. অসাধারণ প্রশ্ন, আপনাকে ধন্যবাদ।

    • প্রশ্ন বিশ্লেষণ :

    জ্বী বর্তমান সমাজে বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে। আমি আরো একটু যোগ করি, ২০১৯-২০ সালের দিকের অবস্থা অনুযায়ী,  বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলে বছরে ৪০ লাখ গ্রাজুয়েশন করা তরুণ-তরুণী বের হয়।

    কিন্তু অন্যদিকে সারা দেশে প্রতি বছর বিসিএস ক্যাডার পদ থেকে শুরু করে পিয়ন পদ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২ লাখ পদশূন্য হয়।

    এই ২ লাখ পদের জন্য যদি ২ লাখ গ্রাজুয়েটও নেন তাহলেও বছরে ৩৮ লাখ গ্রাজুয়েট বেকার থাকেন।

       এবার আসি উত্তরে:

    আপনার প্রশ্ন হলো এর জন্য কে দায়ী? শুধু কি রাষ্ট্র? নাকি আমরাও দায়ী?

    এটার জন্য আমি রাষ্ট্র এবং আমাদের দুটোই দায়ী করবো। 

    • প্রথমত, রাষ্ট্র এটিকে সমস্যা হিসেবে বেছে নিয়েছেন,  এটা বড় একটি সমস্যা সেটা জানেন। আজকে জানেন না। ২০ বছর আগে থেকেই জানেন। সুতারাং এটা নতুন কোনো ইস্যু নয়। পুরাতন একটি ইস্যু।
    • এই ইস্যু নিয়ে ২০ বছর ধরে বছরের পর বছর ডিসকাশন হয়েছে ডিসিশন হয়নি।

    • সরকার কি চাইলে এই ২০ বছরে কোনো  সমাধান করতে পারতো না? ৪০ লাখ না হোক, চাইলে কি বছরে অন্তত ২০ লাখ গ্রাজুয়েট বেকারের কর্মসংস্থান করতে পারতো না? তাহলেও অন্তত আমরা বাঁচতাম। দেশের মানুষ বাঁচত।

    • আর সরকার যদি না পারেন ২০ টা বছরেও তাহলে তো আপনারা রাজনীতি করার কোনো অধিকার রাখেন না। আপনাদের তো লজ্জা হওয়া উচিত। 

    এবার আসি আমাদের দায়:

    এই দায় থেকে আমরাও মুক্ত না।  এই দায় আমরাও এড়াতে পারি না। আমি দেখতেছি যে, চাকরির বাজার খুবই খারাপ, এটা আমরা বুঝতেছি, আজ না ২ দশক আগে থেকেই। 

    কিন্তু আমরা কি আমাদের কর্মসংস্থানের জন্য কিছু করেছি? অথবা আমরা কি বিশ্বময় তুমুল প্রতিযোগিতায় ঠিকে থাকার জন্য অন্তত নিজেকে ভালোবেসে কিছু করেছি? ৮০%+ গ্রাজুয়েটের কাছ থেকে উত্তর আসবে না। করিনি।

    তাহলে এখানে আমি বেকার, এটার জন্য তো আমিই দায়ী।

    • সমাধান: 

    সরকারের করণীয়:

    সরকার ২০ বছর ধরে ডিসকাশন করে আসছেন, এবার বলবো থামুন।অনেক হয়েছে ডিসকাশন, এবার ডিসিশন নিন।

    যুগোপযোগী কোনো সিদ্ধান্ত নিন। বছরে অন্তত ১০ লাখ কর্মসংস্থান বাড়ান। মালেশিয়ার দিকে দেখুন। খুব কাছের উদাহরণ দিই মাত্র কিছু দিন আগে সরকার পরিবর্তন হওয়া আফগানের মোল্লাদের দিকে দেখুন। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রুপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিন।

    • আমাদের করণীয় :

    সরাসরি বলে ফেলি, আপনার বয়স আজকে ২৬-৩০ বছর। গুগলে সার্চ করে দেখুন ২৬-৩০ বয়সী ১ জন আমেরিকান যুবক কি করেন? একজন জাপানি যুবক কি করেন? তারা কি চাই? কিভাবে চাই? 

    সারা পৃথিবীর যুব সমাজ চাই নিজের একটা প্রতিষ্ঠান হোক। আমরা প্রতিযোগিতা করি চাকুরে হওয়ার জন্য। আর তারা প্রতিযোগিতা করে চাকরি দেওয়ার জন্য। আমরা কয়জন পড়াশোনা করছি চাকরি দেওয়ার জন্য?  

    আজকেই সিদ্ধান্ত নিন। পকেটে ১০০০ টাকা থাকলে সেরা নিয়ে সকালে বের হন,  পাশের শহর থেকে পত্রিকা কিনুন ৮০০ টাকার। ২/৩ ঘন্টা বাস স্টেশন বা রেল স্টেশনের পাশে ঘুরাঘুরি করে বিক্রি করুন। আর দুপুরে ১২০০ টাকা নিয়ে ম্যাচে আসুন। 

    দুপুর থেকে আছর পর্যন্ত বিশ্রাম নিন। আছরের পর ১০০০ টাকা নিয়ে বের হন, ৪০ টাকা করে টিশার্ট নিন ২৫ টি।  আবার সকালের জায়গায়, মানে রেল বা বাস স্টেশনে যান। প্রতি পিস ২০ টাকা লাভে বিক্রি ২/৩ ঘন্টায় বিক্রি করে ১৫০০ টাকা নিয়ে ম্যাচে চলে আসুন। 

    উত্তরটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি আপভোট দিবেন। এতে লিখার গতিটা আরো বেগবান হবে। 

    আল্লাহ হাফেজ

    1. ধন্যবাদ সুন্দর মতামত পেশ করার জন্য।

  2. আধুনিক সমাজে আরও শিক্ষিত লোকের বেকার হওয়ার ঘটনাতে অবদান রাখতে পারে এমন অনেক কারণ রয়েছে। কিছু সম্ভাব্য কারণ অন্তর্ভুক্ত:

    অর্থনৈতিক মন্দা: অর্থনৈতিক মন্দার সময়, বেকারত্বের হার বাড়তে থাকে, এবং শিক্ষিত কর্মীদের তাদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা বেশি হতে পারে বা নতুনদের খুঁজে পেতে কঠিন সময় হতে পারে।

    চাকরির বাজারে পরিবর্তন: অর্থনীতির বিকাশের সাথে সাথে কিছু শিল্প এবং চাকরির ভূমিকা অপ্রচলিত হতে পারে, যখন নতুন শিল্প এবং চাকরির ভূমিকা আবির্ভূত হতে পারে। এটি কর্মীদের দক্ষতা এবং শিক্ষা এবং উপলব্ধ চাকরির মধ্যে একটি অমিল তৈরি করতে পারে।

    চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা: কিছু ক্ষেত্রে, সীমিত সংখ্যক চাকরি খোলার জন্য আরও উচ্চ শিক্ষিত লোক প্রতিযোগিতা করতে পারে, যা আরও শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের কারণ হতে পারে।

    বৈষম্য: নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর শিক্ষিত কর্মীরা, যেমন জাতিগত বা জাতিগত সংখ্যালঘু বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা, চাকরির বাজারে বৈষম্যের সম্মুখীন হতে পারে, যা তাদের বেকারত্বে অবদান রাখতে পারে।

    ব্যক্তিগত পরিস্থিতি: কিছু উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি ব্যক্তিগত পরিস্থিতির কারণে কাজ করতে অক্ষম হতে পারে, যেমন পরিবারের সদস্যের যত্ন নেওয়া বা অক্ষমতা।

  3. বেকারত্ব বাংলাদেশের জন্য কমন একটা সমস্যা।

    বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে হলে ও কিন্তু দেশের সব থেকে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব । চাহিদার তুলনায় যখন শিক্ষার মান বেশি হয়ে যায় তখন এই সমস্যার সৃষ্টি হয় । আমাদের দেশে এই সমস্যা এখন চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সরকারী , বেসরকারী কিংবা জাতীয় বিস্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষিত ছাত্র ছাত্রী পাস করে চাকরি না পেয়ে নিজেদের নাম কে বেকারের খাতায় তুলে দিচ্ছেন।তবে বেকারত্ব চাইলেই দূর করা সম্ভব।

    • নিজেকে জানুনঃ আপনি কি কাজ করতে ভালোবাসেন, তা ভালো করে জানুন। সেই সব কাজ করে কি চাকরী পাওয়া যাবে? বা সেইসব কাজ করে কি কোনভাবে টাকা রোজগার করা যাবে? এইসব তথ্যগুলো জানতে হবে।
    • দক্ষতা অর্জন করুনঃ ডিগ্রী নেই বলে কি চিন্তায় আছেন?বা সার্টিফিকেটের রেজাল্ট ভালো না?না, এইসব নিয়ে চিন্তা করার কোন দরকার নেই।
    • শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনঃ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তন সাধন করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
    • অনলাইন কাজ খুঁজুনঃ বেকারত্ব সমস্যা ঘোচান বর্তমানে পরিস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রী  থেকে শুরু করে টিচার, ডাক্তার এরাও অনলাইন কাজ করছেন। তাই আজই আপনি আপনার মোবাইল এ গুগল এ সার্চ করে দেখুন আপনার পছন্দের কাজ দিয়ে কি করে অনলাইন কাজ করা যায়।অনলাইন কাজে অনেকটাই সময় লাগে টাকা রোজগার করতে এই ভেবে নিরাশ হবেন না। অনলাইন কাজে তো আপনার কোন খরচও নেই, তাহলে চালিয়ে যেতে অসুবিধে কি? দিনের কিছুটা সময় অনলাইন কাজের জন্য দিন।সময় থাকলে সাইডে আরো কিছু কাজ করুন আর বেকারত্ব দূর করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *