- আপনার জীবনের সেরা সিদ্ধান্তগুলো কি?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্তগুলো –
১. রোজ সকালে ছ টায় ঘুম থেকে উঠবো।
২. দিনে কমসে কম আট ঘণ্টা পড়ব
৩. অশ্লীল ভিডিও দেখব না
৪. নিজের পড়ার রুটিন তৈরি করব।
৫. যুক্তিবাদী হব।
৬. প্রয়োজন ছাড়া কথা বলব না
৭. ইমো একাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছি।ওটা নেশা হয়ে যায়।
৭. হোয়াটস আপ করা কমাবো।
৮. নিজের একটি আলাদা ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলব
৯. সবার আগে আত্মসম্মান ,তারপর অন্যকিছু
১০. অসৎ পথে যাবো না।সৎ হয়ে রোজগার কম হলেও চলবে।
১১. ফোন থেকে দূরত্ব বজায় রাখবো।
১২.আর যেটা সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত সেটা হলো যেচে কারো উপকার করতে যাবো না।অনেক শিক্ষা হয়েছে এর ফলে।
ধন্যবাদ আপনাকে,
প্রশ্নটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে তাই আপভোট দিলাম।
এবার আসি আসল কথায়,
আমার জীবনের কঠিন ৩টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ২ টি আলহামদুলিল্লাহ সম্পন্ন হয়েছে। আরো ১ টি বাকি। সবগুলো নিয়ে কথা বলবো ইনশাআল্লাহ।
পছন্দের সাবজেক্ট নিয়ে পড়া:
আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলাম, কিন্তু আমার কোনো গ্রুফ সাবজেক্ট কখনও আমাকে টানতো না।
আমার বাবা-মা আর নিকটতম আত্মীয়রা চাইতে আমি ডাক্তারি পড়ি।
রেজাল্ট ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো করছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমাকে কখনো সেদিকে টানতো না।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিই। চবি তে IR আর রাবি তে বাংলা আসছিল। ভর্তি হয়নি।
পরে সবার সাথে অভিমান করে বড় আপুকে নিয়ে IIUC এর ELL এ ভর্তি হয়।
এখন ২য় সেমিস্টারে, আলহামদুলিল্লাহ ১ম সেমিস্টারে ১ম হয় আমার বিভাগে।
পরিবার পরিজন, শিক্ষকরা যথেষ্ট পরিমাণ আন্তরিক।
হারাম সম্পর্ককে লাল কার্ড:
আসলে আমার এতটুকু বয়সে আমার কোনো ছেলে বন্ধুও নেই। একটা সময় আফসোস করতাম আমার বুঝি আর কোনো ছেলে বন্ধু হবে না। কিন্তু আজ শুকরিয়া আদায় করি আল্লাহর।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি এমন কেউ আমার জীবনে আসুক যিনি কিনা রাসুলুল্লাহ (সা) বীর সাথীদের মত আসুক। দ্বীনটা জীবনের মিশন হিসেবে নিবেন।
নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা :
নিজের জন্য নয়, সত্য চিরসুন্দর ও বিকৃতিহীন তথা কুরআনের বাণীগুলো যেন আল্লাহ জমিনে প্রতিটি পরতে পরতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করতে পারি।
একটা বিষয় বলছি নিচে, শুধু আপনাকে এবং এই উত্তরটা যারা পড়বেন ওনাদের জন্য, যেন উৎসাহী হয় ভালো কাজে,
আমি ইসলামের দিকে ফিরেছি মাত্র কয়েক মাস আগে।আর তখন থেকে আমার বাবা মা যা টাকা দেন আর আমি যা উপার্জন করি তা হতে মাসের শুরুতে একটি অংশ আমি ইসলামের পথে ব্যয় করি আলহামদুলিল্লাহ।
গত মাস থেকে দেখলাম আমার সাথে পরিবারের সবাই যুক্ত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কি এক উচ্চ মানের শান্তি মনে কাজ করে বুঝাতে পারবো না।
প্রশ্নটি দেখে কিছুক্ষণ ভেবেছি আমার জীবনে সেরা সিদ্ধান্ত কোনগুলো সেটা নিয়ে। কয়েকটি সেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলি তাহলে।
করোনার গৃহবন্ধী সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে ফেসবুকে সময় কাটাতাম। আমার অনেক সময় কেড়ে নিয়েছে এই ফেসবুক। সেই সময়গুলো আমি অন্য কোনো প্রোডাক্টিভ কাজে লাগাতে পারতাম। তাতে নিজের স্কিল ডেভেলাপমেন্ট হতো ও উপকারে আসতো। তাই আমি তখন ফেসবুকিং করা প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিলাম। একটানা ৩ মাস ফেসবুকে আসিনি। সময়টি খুবই ভালো কেটেছে। এখন প্রয়োজন পড়লে তবেই ফেসবুক ব্যবহার করি।
করোনার সময় আমরা বন্ধুরা মিলে চিন্তা করছিলাম সমাজের জন্য কিছু একটা করার। তারপর অনেক আলোচনার পর আল্লাহর রহমতে ২০২০ সালের জুলাই মাসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই। এটার একটা দায়িত্বেও নিযুক্ত আছি। আলহামদুলিল্লাহ অনেকগুলো ছোট-বড় প্রজেক্ট সফল ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সামর্থ্য দিলে ভবিষ্যতেও কাজ চালু থাকবে।
সকল সদস্যদের সহায়তায় আমাদের সংগঠনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে একটি পাঠাগার চালু করি। হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে থেকেই সবচেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। ধীরে ধীরে বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে। স্কুলের পাশের একটি দোকানই (সংগঠনের সভাপতির) হলো পাঠাগারের অস্থায়ী ঠিকানা। যদি সম্ভব হয় আমরা পরবর্তীতে একটি পাঠাগারের নিজের জায়গার ব্যবস্থা করব, ইনশাআল্লাহ।
অন্য যেকোনো ব্যায়ামের চেয়ে দৌড়ানো হলো সবচেয়ে কার্যকরী একটি ব্যায়াম। তাই অলসতা ভেঙ্গে ফযরের নামাযের পর কিছুক্ষণ দৌড়ানোর অভ্যাস শুরু করেছি সম্ভবত ২ মাস আগে থেকে। গ্রাম এলাকা তাই অনেকে অন্য চোখেও দেখে ব্যাপারটিকে।
অনেকদিন যাবৎ নিজেকে কোনো একটি কাজে দক্ষ করার চেষ্টায় ছিলাম। ২০২১ সালে গ্রাফিক ডিজাইন শিখেছিলাম। তারপর ল্যাপটপের কিছু সমস্যা আর নিজেরও কিছুটা ভালো না লাগা উভয়ে মিলে আর এডভান্স লেভের কাজ শেখা হয়নি।
তারপর পাইথন প্রোগ্রামিং শিখেছিলাম ৩ মাস। বেসিকটা ভালোভাবেই শেষ করেছিলাম। কিন্তু কেন জানি সেটাও ছেড়ে দিয়েছি।
তারপর প্রায় ৬/৭ মাস যাবৎ কনটেন্ট রাইটিংয়ের সাথে যুক্ত আছি। আশা আছে কনটেন্ট রাইটিংয়েই ক্যারিয়ার গড়ে তোলার।
আপনাদের নিকট দুআ প্রার্থী।