1 min read

নিচের ছবি থেকে আপনি কি শিখলেন?

 

ছবিতে আমরা ৩ টি প্রাণী এবং তাদের দীর্ঘ ছায়া দেখতে পাচ্ছি।  এই চিত্রটির মধ্যে আমাদের বাস্তব জীবনের অনেকগুলো শিক্ষা রয়েছে।আপনি এখান থেকে কি কি শিক্ষা নিতে পারেন? ছবিটি দেখার জন্য প্রশ্নের উপর ক্লিক করুন।

 

2 thoughts on “নিচের ছবি থেকে আপনি কি শিখলেন?

  1. আমি যদি ভুল না করি, এগুলো মেষের ছবি। এখান থেকে যদিও অনেকগুলো বিষয়ে কথা বলা যায়, তবুও আমি একটি শিক্ষার কথা বলছি।

    নিজেকে কখনো যেন নিজের ছায়া দেখে পরিমাপ না করি।  কারণ, ছায়া যতই নিজের চেয়ে বড় হবে,  বুঝতে হবে বিলিন হওয়ার সময় ততই নিকটে। 

    এক সময় রাতের অন্ধকারে হারিয়ে যাবে ছায়া, কিন্তু আপনি রয়ে যাবেন।

    আরো একটি বিষয় হলো, আমার অর্জন, আমার অর্থ এসব হলো আপনার ছায়ার মত থাকবে। অন্ধকার বা অমাবস্যার রাতের মত বিপদে এগুলো কোনো কাজেও না আসতে পারে। তখন আমি আমার,  এবং আমাদের প্রতিপালকই একমাত্র ভরসা।

     

  2. ওমর ভাইয়ের মতো আমারও মনে হচ্ছে এগুলো মেষ বা ভেড়ার ছবি। ছবিটা বড় ব্যাপার নয়। মূল বিষয় হচ্ছে এখান থেকে কি শিখতে পারছি।

    আমার এই মুহুর্তে যা মনে হচ্ছে তাই শেয়ার করছি।

    ১. এমন কিছু নিয়ে গর্ব করা উচিত না যেটিতে নিজের কোনো কৃতিত্ব নেই।

    ছবিতে মেষগুলোর ছায়া দেখা যাচ্ছে উটের মতো বড় বড়!

    এত বড় ছায়া থাকার কারন হলো ভোরের বা সন্ধার সূর্যের তীর্যক আলোর জন্য। তাই উটের মতো বিশাল ছায়ার অধিকারী হতে পারলেও তাতে মেষের নিজের কোনো কৃতিত্ব নেই।

    তাই আমাদেরও উচিত নিজের অবদান নেই এরকম কাজের জন্য আত্মতৃপ্তি বোধ না করা। এটা নিয়ে অহংবোধ করাতো একেবারেই উচিত নয়।

    ২. যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কিছু পেরে তা স্থায়ী হয় না।

    সূর্য যখন মাথার উপরে থাকে কিংবা সন্ধায় অস্ত যায় তখন মেষগুলোর বিশাল সাইজের ছায়া পাওয়া যাবে না। এটা নিয়ে যদি মেষগুলো আফসোস করে বা মন খারাপ করে বসে থাকে তবে তা শুধু সময়ের অপচয়ই হবে।

    আমরা যদি অযোগ্য হয়েও কিছু পেয়ে যাই তবে তা স্থায়ী হবে না। কারন সেটি ধরে রাখার যোগ্যতাও নিজের মধ্যে থাকতে হবে।

    ঈশপ মহাশয়ের হাতে ছেড়ে দিলে এতক্ষণে আস্ত বই লিখে ফেলতেন শুধু শিক্ষা নিয়ে। আমার মাথায় আপাতত এটুকুই আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *