1 min read

নাস্তিকরা কেন মুসলমানদের নাম ব্যবহার করে?

মুসলমানদের ঘরে জন্ম নিয়েও যারা নাস্তিকতা পোষণ করে তারা কেন, তাদের মুসলমান থাকা অবস্থায় যে নাম ছিল তা পরিবর্তন করেন না?

2 thoughts on “নাস্তিকরা কেন মুসলমানদের নাম ব্যবহার করে?

  1. নাস্তিকরা জন্মগতভাবে কোনো না কোনো ধর্মের অনুসারী থাকেন। পরবর্তী পরিবেশের প্রভাবে তারা নাস্তিক্যবাদ পোষণ করেন।  যারা মুসলমান থেকে নাস্তিক হয় তারা তাদের নাম পরিবর্তন করেন না। কারণ,

    • তারা বড় হয়ে নাস্তিক হয়। ততক্ষণে তাদের অনেক সার্টিফিকেট হয়ে যায়। যেখানে তাদের নাম আগের টা লিখা হয়।  এছাড়া এখন জন্ম নিবন্ধন,  এনআইডিতে সমস্যা হয়।তাই তারা পরিবর্তন করেন না।
    • আবার অনেক আছেন, যারা বুঝাতে চান যে, আমি আগে মুসলিম ছিলাম, ওখানে ভুল আছে, ঐ ধর্ম বৈজ্ঞানিক নয় তাই তারা ধর্ম পরিবর্তন অর্থাৎ তাদের জীবন দর্শন পরিবর্তন করেছেন।

     

  2. প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক এবং বিষয়টি নিয়ে আমার আপনার মতো সকলের মনেই প্রশ্ন আসে। তারা যেহেতু নাস্তিক হয়েছে তাই তাদের মুসলিম নামও পরিবর্তন করা উচিত এটা ভাবাটা স্বাভাবিকই বটে।

    প্রশ্নে দুটি বিষয় রয়েছে।

    1. মুসলমানদের নাম।
    2. নাস্তিকরা কেন মুসলমান থাকা অবস্থায় যে নাম ছিল তা পরিবর্তন করেন না?

    দুটি বিষয় নিয়েই বলতে চেষ্টা করি।

    মুসলমানদের নাম

    আপনি যদি কোনো নাস্তিককে এই কথা বলতে যান তবে সবার আগে যেই জবাব পাবেন সেটি হলো, মুসলমানদের নাম কি জিনিস? এগুলোতো আরবী নাম।

    সাধারন ভাবে দেখলে নামের ধর্ম হয় না। কিন্তু নাম শুনে আমরা ধর্ম বুঝতে পারি এটিই বাস্তবতা।

    হাদীসে এসেছে,

    সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। -মুসনাদে বাযযার (আলবাহরুয যাখখার), হাদীস ৮৫৪০

    এখানে সুন্দর নাম রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা যেহেতু নবী সা. দের নাম, সাহবী রা. দের নামের সাথে মিলিয়ে আমাদের বা সন্তানদের নাম রাখি তখন সেটির অর্থ খুবই সুন্দর হয়। একই সাথে সেটি আরবদের নামের অনুকরণ হয়। আমরা এই নামগুলোকেই মুসলিম নাম হিসেবে জানি। এবং নাম শুনে মুসলিমদের চিনতে পারি।

    এই বিষয়টি শুধু মুসলিমদের মধ্যে নয় আপনি খ্রিষ্টান, ইহুদী তাদের মধ্যেও দেখতে পাবেন। যেমন, আব্রাহাম, জন, মোশে ইত্যাদি নাম প্রচুর দেখতে পাবেন খ্রিষ্টানদের ও ইহুদীদের মধ্যে।

    এবার দ্বিতীয় প্রশ্নে আসি।

    নাস্তিকরা কেন মুসলমান থাকা অবস্থায় যে নাম ছিল তা পরিবর্তন করেন না?

    পূর্বেই কানিতা আন্টি বলেছেন যে সার্টিফিকেট হয়ে যাওয়ায় তারা নাম পরিবর্তন করে না। তাছাড়া তারা নিজেরা যে আগে মুসলিম ছিল তা বুঝানোর জন্য আগের নাম রেখে দেয়।

    এই বিষয়টা আমি একটু উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করব।

    ধরুন, একজনের নাম হলো “নজরুল ইসলাম”। এখন তিনি যদি নাস্তিক্যবাদ প্রচার শুরু করেন, তবে কিন্তু সবাই তার কথা একবার হলেও মনযোগ দিয়ে শুনবে ও বুঝার চেষ্টা করবে যে সে কেন এরকম করছে। এটাই সাধারণ প্রবণতা।

    কিন্তু ধরুন যদি “শ্রী নজরুল কান্তি বর্মণ” বা “মাইকেল জন নজরুল” নামের কেউ যদি ইসলামের বিরুদ্ধে বলা শুরু করে তবে কিন্তু মুসলিমরা তাকে গুরুত্ব দিবে না। কারন সে বলতেই পারে।

    একইভাবে “নজরুল ইসলাম” নামের কেউ যদি হিন্দু ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্ম, বুদ্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলে সেটা মার্কেট পাবে না।

    আরজ আলী মাতুব্বর থেকে শুরু করে হালের তসলিমা নাসরিন সবাই মুসলমানদের নাম ব্যবহার করে তাদের বিশ্বাস প্রচার করেছে এবং ইসলামের বিরোধীতা করেছে। একারনেই তারা বারবার আলোচনায় এসেছে। অন্যধর্মাবলম্বীর নাম নিয়ে একই কাজ করলে তারা মার্কেট পেত না।

    আমারা ধারনা অনুযায়ী, এসব কারনেই নাস্তিকরা তাদের নাম পরিবর্তন করে না। এর পেছনে অবশ্যই এসব খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।

    কারন, অন্য ধর্ম থেকে যখন কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তখন কিন্তু তারা কোর্টে গিয়ে এফিডিভিট করে দৌড়াদৌড়ি করে হলেও নিজের নাম পরিবর্তন করে। কিন্তু তেনাদের মধ্যে এসব প্রবণতা খুবই খুবই কম। মূলত তারা নাস্তিক হওয়ার পাশাপাশি ইসলাম বিদ্বেষও লালন করে। এজন্যই নাম পরিবর্তন করার ইচ্ছা খুবই কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *