বেশ কয়েক বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামিক স্কলারসরা এই মতবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। আসলে ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ টা কি? কেন এখানে ইসলামিক স্কলারসরা এটাতে মেনে নিতে পারেন না?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবেনা, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মকে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে না। কাউকে ধর্ম পালনে বাধ্য করা হবে না। সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
প্রথমে একাডেমিক ভাবে দেখা যাক,
ব্রিটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব ইলিয়ক সর্বপ্রথম “ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেকুলারিজম” শব্দটি ব্যবহার করেন ১৮৫১ সালে। জর্জ জ্যাকব ধর্মের কোনো রকম সমালোচনা ছাড়া, সমাজে শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য তার এই ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা প্রকাশ করেন। তিনি এই মতবাদকে আরো বিস্তৃত করেন এবং বলেন যে,
সংজ্ঞা ও একাডেমিক আলোচনা খুবই ভদ্র ও মার্জিত। এবং এতে অনেক মানুষেরই সমর্থন পাওয়া যায়। সমস্যাটি হলো অন্য জায়গায়। চলুন দেখি,
জর্জ জ্যাকব তার সংজ্ঞায় বলেছেন, “এটি খ্রিষ্টধর্মের বিরুদ্ধে কোনো মতবাদ নয়”। অর্থাৎ, দেখুন মতবাদটি তৈরি হয়েছিল খ্রিষ্টধর্মের প্রেক্ষিতে বা সমমান পরিস্থিতিতে।
এখানে ইসলামি স্কলারগণের বিরোধীতার কারন হলো,
অর্থাৎ, মানব জীবনের জন্য যা প্রয়োজন সবই ইসলামে রয়েছে। তাহলে বাহিরের একটি মতবাদ কেন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে?
ইসলামী খেলাফতে অমুসলিমদের অধিকার সহ যাবতীয় বিষয়গুলো পূর্ণাঙ্গ দিক নির্দেশনা রয়েছে। সুতরাং এখানে ধর্ম নিরপেক্ষ কনসেপ্ট প্রয়োজন হয় না।
আরো বিষয় রয়েছে। সব বিষয় নিয়ে জানতে হলে আমাদের আরো পড়ালেখা করতে হবে।
এবিষয়ে দৈনিক ইনকিলাবের “ধর্মনিরপেক্ষতা বলে কি কিছু আছে?” শিরোনামের এই লেখাটি পড়তে পারেন।