1 min read
তারামন বিবি কে ছিলেন??
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত একটি বিপ্লব ও সশস্ত্র সংগ্রাম। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবং বাঙালি গণহত্যার প্রেক্ষিতে এই জনযুদ্ধ সংঘটিত হয়
তারামন বিবি:
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎযাপন করলাম ২ বছর হয়ে গেলো। আমাদের ১ম শ্রেণির পাঠ্য বই থেকে শুরু করে এইচএসসি পর্যন্ত কোথায় আমাদের ” বীর প্রতীক তারামন বিবি” এর নাম নেই।
আমরা আজ এমন এক অসুস্থ সমাজে বসবাস করছি যেখানে নারী অধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের হাতেই ধর্ষিত হয়, আমার মা, ৪ বছরের ছোট বোন, রেহায় পায় না আমার ৭৫ বছরের দাদী নানী। সেখানে তারামন বিবির খোঁজ কে রাখেন?
অত্যন্ত দূঃখের বিষয়, আমাদের অনেক উচ্চ শিক্ষিত মানুষ তারামন বিবিকে জানেন না।
আপনাকে ধন্যবাদ এই প্রশ্নের জন্য।
যাইহোক আসল কথায় ফিরে আসি,
তারামন বিবি ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুস সোহবান এবং মায়ের নাম কুলসুম বিবি।
তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুরে ছিলেন। তখন ১১ নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।
যিনি তারামনের গ্রামের পাশের একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন তারামনের বয়স ছিলো মাত্র ১৩ কিংবা ১৪ বছর। কিন্তু পরবর্তিতে তারামনের সাহস ও শক্তির পরিচয় পেয়ে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালনা শেখান।
পরবর্তীতে সহকর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের সাথে অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক তারামন বিবি ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বর নিজ বাসভবন কুড়িগ্রামে মৃত্যু বরণ করে।
তথ্যসূত্র: (তোমাদের এই ঋণ শোধ হবে না, বাংলা উইকিপিডিয়া, বিবিসি বাংলা)