সম্প্রতি ড. জাফর ইকবাল নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে, তার কিছু বিশ্বাস পাঠ্যবইয়ে ঢুকিয়ে শিশুদের মগজধোলাই করার চেষ্টা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়া প্লাটফর্মে অভিযোগ করছে। আপনি বিষয়গুলো কিভাবে দেখছেন?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ড. জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক, পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ ও আন্দোলনকর্মী। তিনি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ক্যলিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি ও বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চে ১৮ বছর কাজ করার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন ও ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে ৩ অক্টোবর তিনি অবসরে যান।তিনি বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লিখেছন। তার লেখা কিছু উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তাকে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ড. জাফর ইকবাল সাহেব নিঃসন্দেহে একজন মেধাবী ব্যক্তি। তিনি আমেরিকার ক্যালটেকে গবেষণা করেন। পরবর্তীতে বেল ল্যাবরেটরিতে কাজ করেন। তাই একাডেমীক মেধার বিবেচনায় উনি অনেক মেধাবী একজন ব্যক্তি।
তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষক ছিলেন। তিনি শাহাজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।
এতকিছু বলার কারন হলো, তিনি চাইলে দেশে পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা ও আন্তর্জাতিক মানের রিসার্চ পেপার পাবলিশ করার সুযোগ তৈরি করতে পারতেন। উনার হাতে সেই সুযোগ ছিল। উনি একজন সেলিব্রেটি এবং দেশের পলিসি নির্ধারন পর্যায়ে কাজ করেন। সুতরাং তিনি পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছিলেন নিশ্চয় এসব করার জন্য। উনি চাইলে আর পরিশ্রম করলে সম্ভব হতো।
কিন্তু উনার সবচেয়ে আগ্রহের জায়গা লক্ষ্য করেছি বিবর্তনবাদ নিয়ে। উনি বানর থেকে মানুষ এসেছে কনসেপ্টটা উনার অনেক বক্তব্য ও লেখার মধ্যে অসংখ্যবার তুলে ধরেছেন। একজন নামকরা বিজ্ঞানী হিসেবে উনার কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না যে, বিজ্ঞানের একটি হাইপোথিসিসকে এমন ভাবে প্রচার করবেন।
উনার এই কাজের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হলো পাঠ্যবইয়ে এসব অন্তর্ভুক্ত করা। এছাড়াও ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ডট অর্গ থেকে কপি পেস্টের মাধ্যমে যেভাবে পাঠ্যবইয়ে লেখা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রথম আলো নিউজ করেছে।
এরপর উনি ভুল স্বীকার করেছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার উনি কোনো দায় নেননি। সব অধঃস্তনদের ওপর চাপিয়েছেন।
এসব বিষয় বিবেচনা করলে উনার কাজগুলো অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ।