1 min read

''ক্রয় ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব'' প্রদান করেন কে?

দুই দেশের মুদ্রা  ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত্বকে ক্রয়ক্ষমতা সমতা তত্ত্ব বলে।

2 thoughts on “''ক্রয় ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব'' প্রদান করেন কে?

  1. সুইডেনের অর্থনীতিবিদ গুস্তাফ কাসেল ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে এই তত্ত্বটি প্রচার করেন।

    ক্রয়ক্ষমতা সমতা বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (ইংরেজি: Purchasing Power Parity), যা পিপিপি নামেই সুপরিচিত। এটি একটি সূচক যার মাধ্যমে ২টি দেশের মুদ্রার প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা নির্ধারণ করা যায়।

    ক্রয়ক্ষমতা সমতার তত্ত্ব অনুযায়ী দুটি ভিন্ন মুদ্রার দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী বিনিময় হার-ই মূলত ঐ দুই মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতার হার। এটি একটি পণ্যের একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ বাজারে, কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের একটিই মাত্র মূল্যমান থাকবে।

    পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি একটি জনপ্রিয় অর্থনৈতিক সূচক, এবং যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা দেশসমূহের তুলনাযোগ্য জাতীয় আয় পরিমাপের জন্য এই সূচকটি প্রায়শ: ব্যবহার করে থাকে, তবু এর সমর্থনে গবেষণালব্ধ ফলাফল আদৌ নিরঙ্কুশ নয়। গত প্রায় একশত বৎসরে এ তত্ত্বটি নিয়ে শত শত গবেষণা হলেও নিশ্চিত হওয়া যায় নি যে বাস্তবে এই তত্ত্বটি প্রমাণযোগ্য।

    তত্ত্বের ব্যাখ্যা

    যদি এক বাক্স পণ্যের মূল্য এক ডলার হয়, এবং ঐ একই পরিমাণ ও মানের পণ্যের মূল্য যদি পাউন্ড এককে এক পাউন্ড হয়, তবে ক্রয়ক্ষমতা সমতার বিনিময় হার হবে পাউন্ড/ডলার। যদি কোনো পণ্যের আঞ্চলিক বিনিময় হার তুল্য মুদ্রার মানের থেকে বেশি হয়, তবে কম বিনিময় হার বিশিষ্ট মুদ্রাটি বড় বিনিময় হার বিশিষ্ট মুদ্রার ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে। উদাহরণস্বরূপ যদি ধরা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বা কমোডিটির মূল্য ডলার এককে ১,৫০০ ডলার, এবং ঐ একই পণ্যের মূল্য যুক্তরাজ্যে পাউন্ড এককে ১,০০০ পাউন্ড; তবে মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা হার হবে প্রতি পাউন্ডে (১৫০০/১০০০) = ১.৫ ডলার। এখন পণ্যটি বিনিময়ের সময় যদি মুদ্রাহার থাকে প্রতি পাউন্ডে ১.৮ ডলার, তবে আমরা বলে পারি ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মূল্যমান ২০% বেশি।

    (১.৮–১.৫) = ০.৩; এবং (০.৩/১.৫)% = ২০%

    বিঃদ্রঃ এটি আমার লিখা না। সম্পূর্ণ বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা।

  2. “ক্রয় ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব” কেবলমাত্র একটি ধারণা না, বরং এটি বিভিন্ন তত্ত্বগুলির সমন্বয়ে উদ্ভব হয়েছে। ক্রয় ক্ষমতা এর সমতা তত্ত্ব নির্দেশ করে যে ক্রয় এবং বিক্রয় দুটি পক্ষের মধ্যে ক্ষমতা সমান থাকা উচিত। এটি প্রথমতঃ উদ্যোগী ব্যক্তি জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেননা তারা নিজেদের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে তাদের ব্যবসায়িক কাজকে চালিত করতে পারেন।

    এই তত্ত্বটি বিভিন্ন কানুন এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিছু উদাহরণ হলো ক্রয়কারী এবং বিক্রয়কারী দুটি পক্ষ একই শর্তসমূহে ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারে এবং একই উপভোগ করতে পারে এবং একই সময়ে পরিষেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *