আমরা অনেক সময় একটা পর্যটন এলাকায় অনেকবার যায়, তারপরে আবারও যেতে মন চাই। এমন একটি পর্যটন স্পট বলুন যেখানে আপনি ইতোমধ্যে গিয়েছেন, তবুও আবার যেতে চান।
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমি কিছু দিন আগে সাজেক ভ্যালি গিয়েছিলাম। আমি যদি আবারও যাওয়ার সুযোগ পাই তাহলে আমি সাজেক ভ্যালি যাওয়া পছন্দ করবো
সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল। এটি রাঙ্গামাটি জেলার সর্বউত্তরে মিজোরাম সিমান্তে অবস্থিত। সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এর উত্তরে ভারতের ত্রিপুড়া, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা অবস্থিত। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতার সাজেক ভ্যালি যেন এক প্রাকৃতিক ভূ-স্বর্গ। প্রকৃতি এখানে সকাল বিকাল রঙ বদলায়। চারপাশে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বিস্তীর্ণ পাহাড় সারি, আর তুলোর মতো মেঘ, এরই মধ্যে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে রয়েছে নৈস্বর্গিক সাজেক ভ্যালি।
ধন্যবাদ,
আলহামদুলিল্লাহ ইতোমধ্যে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে, গত বছরও গেছিলাম, জীবনে যদি আমার শতবার সুযোগ হয়, না করবো না। আর সেই জায়গাটা হলো পবিত্র হারাম শরীফে।
এখানে সত্যি সত্যি অসাধারণ একটি মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। কাবা শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া পাহাড়ের শায়ী করা মানে দৌঁড়ানো কি এক দারুণ প্রশান্তি।
কত অল্প বয়সী আপুরা কান্না করেন আল্লাহ সন্তোষ অর্জনের জন্য। আশেপাশের এলাকা জুড়ে এক জান্নাতি সুগন্ধি।
আমি প্রথম বার যখন গেছি যখন ক্লাস এইড নাইনে পড়ছিলাম। পরবর্তী ৪/৫ বার যাওয়া হয়েছে আম্মু আর বড় আপুর সাথে।
একবার যদি যান, আপনার আগের সকল ভ্রমণ ভুলিয়ে দিবে, আত্মার এক অন্য রকম প্রশান্তি।
সফর!!
সফরের কথা শুনলে মনটা সত্যি একঝাঁক আনন্দে ঢেকে যায়। ঢাকার বাহিরে ঐ একবারই যাওয়া হয়েছিল। ঐ এক সপ্তাহের কথা আমি আজো ভুলতে পারিনা। পরীক্ষার পর আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। হঠাৎই সিদ্ধান্ত হলো, আমরা বান্দরবান ঘুরতে যাচ্ছি। একটু আগেও যেটা আমাদের কল্পনাতে ছিলনা……তারপর আমাদের খুশি আর দেখে কে!! তারপর এক সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে তার পরের দিন ভোরেই আমরা আল্লাহর নামে রওনা দিলাম বান্দরবানের পথে। পথে অনেক ভোগান্তি হয়েছিল; তবে সেকথা না হয় না-ই বললাম। নতুন জায়গা নতুন অভিজ্ঞতা। যতই এগুচ্ছিলাম ততই বাড়ি-ঘর, শহর-ঘাট আর নদীর ভিন্ন রূপ ভিন্ন সোন্দর্য্য দেখে অভিভূত হচ্ছিলাম। আমরা বান্দরবানে পৌঁছানোর পথে যখন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অতিক্রম করছিলাম তখন দূরের পাহাড়গুলো দেখে প্রচন্ড রকম আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। আর গাড়ি যখন পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করছিল তখন তো কথাই নেই। যাহোক, আমরা যেহেতু রাতে পৌঁছেছিলাম ; তাই তার পরের দিন থেকে আমরা বান্দরবানের বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলোতে ঘুরা শুরু করলাম। নীলগিরি,মেঘলা,নীলাচল,শৈলপ্রপাত সহ বিভিন্ন জলপ্রপাতে আমরা ঘুরেছি। ঝর্ণার পানিতে হাত-পা ভিজিয়েছি ;সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আল্লাহর সৃষ্টিকে খুব কাছ থেকে দেখা। আমরা তো মেঘও ছুঁয়েছিলাম সেদিন। নাহ্, সেদিনের অনুভূতি আমি লিখে প্রকাশ করতে পারবো না। ফিরতে মনে চাইছিলো না; তবু ফিরতো হলো।
আজ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে ; তবু আমার স্মৃতিতে এখনো দিনগুলো জ্বলজ্বল করে। আমি ভুলতে পারিনা। আমি প্রায়শই স্বপ্ন দেখি, আমি বান্দরবানে ঘুরতে গেছি। সত্যি সত্যিই আমার আজও বান্দরবান যেতে মনে চায়…….
ধন্যবাদ।।
ভালো লাগলে অবশ্যই একটা আপভোট দিবেন।।