পৃথিবীর কোনো ধর্ম নারীর ব্যক্তিগত বিষয় পোশাক নিয়ে হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু ইসলামে দেখি সেটাতে ভয়ংকর রকমের কঠোরতার অবলম্বন করেন। সবচেয়ে দূঃখজনক সত্য যে সেটা আজকের বৈজ্ঞানিক যুগেও মোল্লাটা চৌদ্দশ বছরের পুরোনো সংস্কৃতি চালু রেখেছে। এতে কি তাদের চরম অন্যায় নয়?
Share
ইসলাম নারীর পোশাকে হস্তক্ষপে করেছেন, এটা নারীর জন্য অনেক আনন্দের। নারীর জন্য এটা গর্বের।
সারা পৃথিবীতে সআ দামী জিনিসগুলো নিরাপত্তার জন্য লোকচক্ষুর আড়াল করে রাখেন। ইসলামও নারীদের দামী জিনিস বলে, আড়াল করে রাখছেন। এটা নারীদের অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
কারণ, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই পুরো পৃথিবীকে যদি একটি বাজার ধরা হয়। সেখানে সবচেয়ে দামী জিনিসটি হলো চরিত্রবান নারী।
আমাদের কাছে আমাদের দেখা সবচেয়ে দামী জিনিস হলো সোনা, হিরা ইত্যাদি। আমরা সেগুলো কতইনা যত্নে রাখি।
কাচামাল থেকে বাজারজাতকরণ এবং সেখান থেকে আপনি পর্যন্ত আসতে সেই হিরাটা কতই না যত্নের সাথে আসে। আপনার কাছেও কতই না যত্নে থাকে।
কারণ আপনি এর মূল্য বুঝতে পারেন। আপনি জানেন সোনার টুকরো বা হিরার টুকরোটার মূল্য কত।
আর একজন রাস্তার পাগল কখনো সেই সোনার বা হিরার টুকরোর মূল্য বুঝতে পারেন না। তাই তার মাটির টুকরো যেমন হিরার টুকরোও তেমন।
একটা প্রশ্ন করি এখানে, আপনি কি কখনো জুয়েলারিতে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, যে সোনা বা হিরাগুলোকে কেন বন্ধী করে রেখেছেন? অথবা আপনার কাছে থাকা সোনার বা হিরার টুকরোর ব্যাপারে কেউ কি এমন অভিযোগ করেছেন?
এবার আসুন, ইসলাম নারীদের মূল্য বুঝেন, নারী মর্যদা দিতে জানেন, তাই নারীকে পরপুরুষের আড়াল করে রাখতে বলেছেন। অন্য কোনো ধর্ম-বর্ণ সে মূল্য জানে না, বুঝেন না বলেই তারা পাগলের হাতপ সোনার বা হিরার টুকরোর মত সেখানে সেখানে ছুটে মারেন।
আপনার কাছে দামী সোনার বা হিরার টুকরোর নিরাপত্তা যেমন, ইসলামের কাছে নারীরাও তেমন।
আপনি কয়টি ধর্ম নিয়ে জানেন বা সেই সব ধর্মে নারীদের পোষাক বিষয়ে কতটুকু হস্তক্ষেপ করেছে বা করেনি সেই কতটুকু স্টাডি করেছেন?
আর এই আধুনি সময়ে এসেও কিভাবে বলতে পারেন ইসলাম নারীদের বিষয়ে কঠোরতা অবলম্বন করে? যেখানে বিশ্বে হাজার হাজার অমুসলিম নারীর মনে করছে ইসলাম এমাত্র ধর্ম যার প্রণিত নিয়মেই নারীরদের প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা নিহিত।
আপনি তো সময়ের জ্ঞানও রাখেন না। আপনি জানেনা যে বর্তমানে যে যুগ চলছে তা বিজ্ঞানের যুগ নয়। বিজ্ঞানের আমরা পার করে ফেলেছি। আমরা এখন তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে আছি।
যেকোন কন্ট্রোভার্সিয়াল বিষয়ে কথা বলতে হলে স্বাভাবিক ধারণা থাকা দরকার। নিজেকে হাইড করে এসব সস্তা নাস্তিক প্রতিনিধি প্রমাণ করতে আসবেন না।
আসলে আপনাদের মত অন্ধ ধর্ম বিশ্বাসীরা এসব সস্তা মার্কা কমেন্টস, আর হুট করে এসে ২/৪ টা খরাপ আচরণ ছাড়া কোনো যুক্তি, দিতে পারেন না।
আরে ভাই, তথ্য-প্রযুক্তি বিজ্ঞানের একটি অনুচ্ছেদ মাত্র। নিজেকে অনেক বড় জ্ঞানী মনে করেন। পারলে ফালতু কথা ছেড়ে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে কথা বলু। যত্তসব ফালতু।