ইসলামী স্কলারদের কিছু অংশ গণতন্ত্রের পক্ষে আবার কিছু অংশ গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আসলে ইসলাম এ বিষয়ে কি বলে?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমার আগে কানিতা খানম আন্টি ভালো একটি উত্তর দিয়েছেন। আলেমদের মধ্যে এই বিষয়ে ইখতেলাফ রয়েছে।
একদল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে আর অপর দল করে না। তাদের দ্বন্ধ বহুবছর যাবৎ চলমান এবং এটি বন্ধ হবারও চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না।
আমি এর মধ্যে কয়েকদিন এসব বিষয়ে মোটামোটি জানতে চেষ্টা করেছিলাম। অনেক লেখাও পড়েছি। উভয় দলই তাদের নিজেদের যুক্তি প্রমাণ দিয়ে নিজেদের সঠিক পথের বলে দাবী করছে।
এখন দুই দলের কিছু পয়েন্ট দেখার চেষ্টা করি। তাহলে ইসলাম আর গণতন্ত্রের সামঞ্জস্য ও সাংঘর্ষিতা নিয়ে কিছুটা ক্লিয়ার হওয়া যাবে।
১. গনতন্ত্রের পক্ষে যুক্তি
যারা গনতন্ত্রের পক্ষে তাদের প্রধান যুক্তি হলো সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একজন যোগ্য শাসক নির্বাচন করা। যেমনটা রাসূল সা. খন্দকের যুদ্ধের সময় করেছিলেন।
নবীজি সা. খন্দকের যুদ্ধের খবর পেয়ে সকল সাহাবীদের রা. নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে একজন সাহাবী রা. মদীনা শহরের চারপাশে একটি পরিখা খননের পরামর্শ দেন। এর ফলেই মূলত কুরাইশরা সেই যুদ্ধে হেরে যায়।
শুধু তাই নয়, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগেই নবী সা. সকলের মতামত নিতেন। এসব ঘটনাকে ভিত্তি করে একদল মুসলিম গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে।
২. গনতন্ত্রের বিপক্ষে
গনতন্ত্রের বিপক্ষে যারা তাদের প্রধান যুক্তি হলো গনতন্ত্রের মাধ্যমেতো একজন অযোগ্য ব্যাক্তিও ক্ষমতায় বসতে পারেন। কারন জনগন যাকে ভোট / সমর্থন দেবে সেই জয়ী।
তারা উল্লেখ করেন, ইসলামে শাসক নির্ধারনের পদ্ধতি শিখিয়েছেন হযরত উমর রা.। তিনি কিভাবে শাসক নির্ধারন করেছিলেন?
হযরত উমর রা. কে আক্রমন করে আহত করার পর তিনি পরবর্তী খলিফা নির্ধারনের জন্য একটি শুরা কমিটি গঠন করেন। ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। সেখানে ছিলেন আলী রা., উসমান রা., আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রা. , আবু তালহা রা., জুবায়ের রা., এবং সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা.।
হযরত উমর রা. এর নির্দেশ নিয়ে অনেক লম্বা ইতিহাস আছে। আমি সংক্ষেপ করার চেষ্টা করছি।
এটিই হলো মূল বিষয়।
যারা গতানুগতিক গনতন্ত্রের বিপক্ষে তাদের বিরোধিতা এই একটি জায়গাতেই। কারা খলিফা হওয়ার যোগ্য তাদের একটি তালিকা করে তারপর উনাদের মধ্য থেকেই একজনকে খলিফা বানানো যাবে ভোটের মাধ্যমে।
আর গতানুগতিক গনতন্ত্রের মাধ্যমে যে কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আছে। সে হোক পাগল, অপরাধী কিংবা অযোগ্য লোক।
খেলাফত
এটি আরেকটি বিষয়। ইসলামি দলগুলোর খেলাফতের একটি স্বপ্ন রয়েছে। তবে এই খেলাফত গঠনের প্রক্রিয়াতেই উনারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছেন। একদল চাচ্ছে গনতন্ত্রের মাধ্যমে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে আর অপরদল এটির বিরোধিতা করছে।
আশাকরি, এই ব্যাপারে বেসিক ধারনা দিতে পেরেছি। এসব বিষয়ে আরো ধারনা পেতে হলে ইসলামি স্কলারগণ অনেক বই লিখেছেন সেগুলো পড়তে পারেন। ধন্যবাদ।
অনেক কঠিন একটি প্রশ্ন। ভারতীয় উপমহাদেশের আলেমদের মধ্যে এই বিষয়টি শতশত বছর ধরে আলোচনা করে আসছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নি।
এখনে ইসলাম ও গণতন্ত্র এর পক্ষে যেমন অনেক শক্তিশালী যুক্তি আছে, তেমনি এর বিপক্ষেও যুক্তি আছে।
এখানে আমি কোনো দিক আলোচনা করার সাহস পাচ্ছি না। তবে আমি একটা ঘটনা বলি,
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের সময় ওনি কাউকে বলে যান নি, বরং সাহাবিদের পছন্দ অনুযায়ী হযরত আবু বকর (রা) কে আমির বানিয়েছেন।
এরপর ৪ জন খলিফা এভাবে নির্বাচিত হন জনগণ দ্বারা।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাইলে আবু বকর (রা) এর নাম বলে যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেন নি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমির নির্বাচিত হয়েছেন।