1 min read

আল্লাহ বলছে ৪ টা, কিন্তু মুহাম্মদ করলো ১১ টা বিয়ে, সে এখানে আল্লাহর অবাধ্য করেছেন, এখন সে জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে?

কুরআনে আল্লাহ সর্বোচ্চ ৪ টা বিয়ের কথা বলেছেন। কিন্তু নবী মুহাম্মদ করেছেন ১১ টা। তাহলে এখানে তিনি আল্লাহর কথা অমান্য করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো তিনি জান্নাতে যাবেন নাকি জাহান্নামে?

2 thoughts on “আল্লাহ বলছে ৪ টা, কিন্তু মুহাম্মদ করলো ১১ টা বিয়ে, সে এখানে আল্লাহর অবাধ্য করেছেন, এখন সে জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে?

  1. জ্বি পবিত্র কুরআনে ২ টি, ৩ টি, ৪ টি যদি তাদের মধ্যে সমতা করতে না পারেন, ন্যায় বিচার করতে না পারেন ১ টির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আর বিশ্বনবী (সা) আল্লাহর নির্দেশে ১১ টি বিয়ে করেছেন। এখানে তিনি আল্লাহর আর্দেশ অমান্য করেন নি।

    আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তোমাদের মধ্যে আর্দশ হিসেবে প্রেরণ করেছি।

    খাদিজাতুল খুবরা (রা) এর ইন্তেকালের পর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,  খাদিজা যদি বেঁচে থাকতেন, আমি কস্মিনকালেও ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতাম না।

     

  2. ফারজানা ম্যাম, অনেক সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।

    রাসুল (সাঃ) এর ১১ জন পত্নী ও ২ জন উপপত্নী ছিলেন।রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবগুলো বিয়ে করেছেন আল্লাাহর নির্দেশে। এগুলোর বিভিন্ন প্রেক্ষাপট রয়েছে।যেমন:

    1. খাদিজাতু্ল খুবরা (রা): ওনি ছিলেন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রথম স্ত্রী।  যার সাথে ২৫ হতে ৫০ বছরের পূর্ণ  যৌবনকাল অতিবাহিত করেছেন। ওনি থাকা অবস্থায় আর কোনো স্ত্রী ছিল না।  ৫৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সংসার করেছেন। খাদিজা (রা) এর ইন্তেকালের পর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। খাদিজা যদি বেঁচে থাকতেন, আমি কস্মিনকালেও ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতাম না।
    2. সাওদা বিনত জামআ: ওনাকে বিয়ে করেছিলেন, যখন সাওদা প্রায় ৫৫ বছর বয়সী ছিলেন, নবীত্বের দশম বছরে, খাদিজার মৃত্যুর পরে।অসহায়কে সাহায্য করতে। সাওদা (রা) এর আগে বিবাহ করেন যেখানে ৫/৬ টা সন্তান ছিলেন।
    3. আয়েশা বিনতে আবু বকর (রা) : রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একমাত্র কুমারী স্ত্রী হলে আম্মাজান আয়েশা (রা)।

    এভাবে এক এক করে বর্ণনা দিতে অনেক সময় লাগবে। যদি হাতে সময় থাকতো তাহলে অবশ্যই লিখতাম। তবে আমি জাস্ট কয়েকটি পয়েন্ট বলছি :

    • বিভিন্ন যুদ্ধে যারা স্বামী হারা হয়েছেন,  ওনাদের সাহায্য করতে।
    • নবীজি (সা) ও তার সাহাবিদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন তৈরি করতে। এটা আল্লাহ ইচ্ছে ও নির্দেশ ছিল।
    • আরবের বিভিন্ন গোত্রকে একত্রিত করার জন্য।  এখনে আরবে বিভিন্ন গোত্র আছে।

    রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতিটি বিয়ে আল্লাহর আদেশে হয়েছে।  তিনি আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্যে ছিলেন। অনেকগুলো রেফারেন্স দেওয়া যেত।সবাই বুঝতে সহজ হওয়ার জন্য সবটুকু বাংলাতেই লিখা

     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *