1 min read
আপনি কিভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিখেছেন?
আমাদের সবারই প্রাথমিক শিক্ষাটা শুরু হয় বাসা থেকে। একটু বড় হলে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য সকাল বেলা মকতবে যায়।
যেখান থেকে বেশির ভাগ মানুষ কুরআনসহ প্রাথমিক ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন। তো আপনার কুরআন শেয়ার গল্পটা জানতে চাই।
অন্য সবার মতো আমিও ছোট বেলায় মক্তবে পাঠানো হয়। সেখানে দুইজন হুজুর আমাদের পড়াতেন। প্রথম প্রথম কঠিন লাগলেও পরে আস্তে আস্তে ভালো লাগার শুরু হয়।
আলহামদুলিল্লাহ, অন্যদের তুলনায় আমি অনেকটা আগেই পড়া শেষ করি। যখন মক্তবে যেতাম তখন হুজুর ইয়া বড় বড় বেত নিয়ে বসে থাকতেন। প্রয়োজনে পেটাতেন।
কিন্তু আমি একদিনও হুজুরের বেতের পিটুনি খাইনি। কেন জানি না। আমি তখন আমার বয়সের তুলনায় অনেক মোটা ছিলাম। তাই অন্য বাচ্চারা যেভাবে হুজুরের আড়ালে দুষ্টামি করতে পারতো আমি বিশাল আয়তন নিয়ে তাদের সাথে পেরে উঠতাম না। এজন্য সবসময় হুজুরের পাশে বসতাম। এজন্যই হয়তো কখনো মার খাইনি।
হুজুর পড়ানোর সময় আমাদেরকে আলিফ, বা, তা, ইত্যাদির কোনটার কতটুকু টান দিতে হবে এসব নিয়েই অনেক সময় চলে যেত। হুজুর অনেক মজার মজার উদাহরন দিয়ে আমাদের কোন বর্ণে কতটুকু টান দিতে হবে তা শেখাতেন।
এভাবে কায়দা, আমপাড়া, আলিফ লাম এবং সবশেষে পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ার সুযোগ পাই। কুরআন শরিফ খতম দিতে কয়েকমাস লেগেছিল।
আমাদের মক্তবগুলোতে এখন বড় একটা সমস্যা হলো ঘন ঘন হুজুর পরিবর্তন করা। এতে বাচ্চারা দ্রুত গতিতে পড়া আগাতে পারে না। প্রত্যেক হুজুর এসে আবার প্রথম থেকে শুরু করেন। এটা নিয়ে সবার সচেতন হওয়া উচিত।
আরেকটি বিষয় মনে আসছে। লিখেই ফেলি তাহলে।
হুজুর যখন অন্য বাচ্চাদেরকে মাঝে মাঝে অন্যায়ের শাস্তি দিতেন তখন আমরা ভাবতাম হুজুর কত বোকা! কারন ঐ বাচ্চাকে ৩টা বাড়ি দিলে ১টা গায়ে লাগতো আর ২টা দেয়ালে। এখন বুঝি তিনি আসলে ইচ্ছা করেই এরকম করতেন। ভয় দেখানোর জন্য। এসব ভাবলে হুজুরদের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যায়।