আমাদের পরম শ্রদ্ধার আর ভালোবাসার ডাকগুলোর একটি হলো বাবা। অনেক সময় আমরা বাবাকে কাছে পাই আবার অনেকে পাই না। আপনার বাবাকে নিয়ে একটি গল্প বলুন। যেটা আমাদের বাবার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আরো বৃদ্ধি পাবে।
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
বাবার গল্প :
প্রাণের চেয়ে প্রিয় মানুষটা হলো আমার আব্বা। আমি পরম সৌভাগ্যবানদের একজন যে, আমি ২ টা বাবা পেয়েছি।আলহামদুলিল্লাহ। একজন বাবা আমাকে জন্ম দিয়েছেন। আর একজন (আমার পরম শ্রদ্ধেয় শ্বশুর) আমার স্বপ্নে পেছনে কাজ করেছেন।
আমার ৪/৫ বছর বয়সে আমি আমার মাকে হারায়। ইন্না-লিল্লাহ। আমার বাবা একজন ধার্মিক ও কোমল স্বভাবের মানুষ। আমরা বড় হয়েছি বড় বোনের আদরে।
বড় বোনের বিয়ের পর বাবাই আমাদের বাবা, বাবাই একা মা, আবার বাবাই একা বড় বোন।
এবার আসি ২য় বাবার গল্পে,
আমার ২য় বাবাকে কখনোই শ্বশুর মনে করতে পারিনি। ওনও কখনোই সুযোগ দেন নি। বিশেষ করে আমার পড়াশোনা নিয়ে আব্বা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করতেন।
আব্বুটার জন্য কখনো আমি মন খারাপ করতে পারিনি। আমি এম.এ একবার শেষ করার পর আর পড়াশোনা করতে চাই নি। কিন্তু আব্বুটা বার বার করে, বিভিন্নভাবে, চলে বলে কৌশলে আবার ভর্তি করিয়েছেন।
গত কয়েকমাস আগে আমার কামিল (এম.এ) এর রেজাল্ট দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি সারাদেশের ১৯ তম স্ট্যান্ড করেছি। অনেকে মজা করে বলেন ডাবাল এম.এ আপা।
আব্বা (শ্বশুর) যখন রেজাল্টের কথা শুনছেন, মনে হলো ওনার রেজাল্ট দিল।
আমার আব্বাটা আজ ১ বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থ। তারপরেও শুয়ে শুয়ে সবাইকে কল দিয়ে আমার রেজাল্টের কথা জানালেন।
আমার বড় মেয়ে (আমি বউদের বড়) ১৯ নাম্বারে পাশ করছেন। বার বার পাশ থেকে আমার মেজ ঝ্বা শিখিয়ে দিচ্ছেন, ১৯ তম স্ট্যান্ড করছেন। বাবা বার বার ১৯ নাম্বারে পাশ করছেন এটাই বলতেছে।
বাবাটা খুবই অসুস্থ, আল্লাহ যদি সুস্থ করেন পিএইচডি টা করা হতে পারে।
আমার এইচএসসি পরবর্তী সকল ফলাফল, সকল অর্জনের একমাত্র স্বপ্নদ্রষ্টা আমার ২য় আব্বা।
লিখটা লিখতে গিয়ে অনেকবার বাবার চেহারার দিকে দেখছি। হৃদয় থেকে শ্রদ্ধার সাথে দোয়া আসে। বাবা পুরো এলাকায় একজন সম্মানি ব্যক্তি। ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য বাবা একাই যুদ্ধ করেছেন।
ওনাকে নিয়ে লিখা শেষ হবার নয়। শুধু রবের কাছে দোয়া করি যেন সুস্থ করে দেন।আমার জন্মদাতা বাবা ও ২য় বাবা ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ আপনার এতো সুন্দর প্রশ্নটির জন্য।আপনার প্রশ্নের সুবাধে বাবাকে নিয়ে একটি গল্প লিখার সুযোগ হলো।আসলে বাবাকে নিয়ে লিখতে গেলে গল্পটি কখনো শেষ হবে না।বাবা নামক মানুষটা বট গাছের ছায়ার মতো যেন সারাজীবন পাশে থাকে আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়াই করি।আমার বাবা শুধু আমার বাবাই নন,তিনি আমার শিক্ষক,গুরুজন ও বটে।মানুষটি আমাদেরকে ভালো রাখতে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।