আপনার জেলার নাম উল্লেখ করে, এবং কেন কি কারণে বিখ্যাত বলেন।এবং আপনার জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তিদের নাম উল্লেখ করতে পারেন সাথে তারা কি কারণে বিখ্যাত সেটাও উল্লেখ করতে হবে
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
হাওর-বাওর মইষের শিং, তিনে মিলে ময়মনসিং।
আমাদের জেলার স্লোগানই এটি। জ্বি ঠিকই ধরেছেন। আমার বাড়িও ময়মনসিংহ জেলায়। বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী জেলা এটি। কয়েকবছর আগে এটিকে বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে মজার ব্যাপার কি জানেন? বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার চেয়ে ময়মনসিং বিভাগের আয়তন কম। কারন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলাও রয়েছে। কিন্তু বিভাগ গঠনের সময় কিশোরগঞ্জকে ঢাকা বিভাগের সাথে রেখে দেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার নামকরন ও ইতিহাস:
নামকরন নিয়ে বেশ মজার একটি ঘটনা আছে। মোগল আমলে মোমেনশাহ নামে একজন সাধক ছিলেন। তার নামেই এই অঞ্চলটির নাম হয় মোমেনশাহী।
কিন্তু ১৬ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহের জন্য একটি নতুন রাজ্য গঠন করেন এই অঞ্চলে। সেটির নাম দেন নাসিরাবাদ।
বৃটিশ আমলে বর্জনলাল এন্ড কোম্পানির পক্ষ থেকে নাসিরাবাদ রেলস্টেশন এর জন্য ২০ টিন কেরোসিন তেল বুক করা হয়। কিন্তু সেই তেল চলে যায় রাজপুতনার নাসিরাবাদ রেল স্টেশনে!
তাই নামের বিভ্রান্তি এড়াতে রেল স্টেশনটির নামই পরিবর্তন করে ফেলা হয়। নতুন নামকরণ করা হয় ময়মনসিংহ। পরবর্তীতে ১৭৮৭ সালের ১লা মে ভারতের তৎকালীন সর্ববৃহৎ জেলা ময়মনসিংহ গঠন করা হয়।
ময়মনসিংহ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
ময়মনসিংহ জেলায় অনেক দর্শনীয় স্থান এবং স্থাপনা রয়েছে। যেগুলো ঐতিহাসিক মূল্য রাখে। তাছাড়া সুস্বাদু খাবারতো সবাইকেই আকর্ষণ করে।
প্রথমে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিই।
১. মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
এটি জমিদারের আসল বাড়ি ছিল। এখানে থেকেই সমস্ত জমিদারি পরিচালনা করতেন। এটি জেলা শহরের পাশে মুক্তাগাছায় অবস্থিত।
২. শশী লজ
এটি জেলা শহরের কেন্দ্রেই অবস্থিত। ময়মনসিংহ রেল স্টেশন থেকে ২০/৩০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগবে। আমি শশী লজের পাশেই একটি ছাত্র হোস্টেলে ছিলাম ৬ মাসের মতো। আমার রুম থেকে শশী লজের ভেতরের পুরোটা দেখা যেত। খুব ভালো প্রাকৃতিক পরিবেশ এখানে।
এখানে মূলত জমিদার তার অবসর সময় কাটাতে আসতো।
৩. আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল
শশীলজের থেকে ২/৩ মিনিট হাটলেই আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলের যাওয়া যায়। ২ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন। স্থাপত্যশৈলীও অসাধারন। ক্যাসেলের মাঠে ক্রিকেট খেলেছি অসংখ্যবার।
আমি যতদূর জানি, এখানে জমিদার বিনোদন নেয়ার জন্য আসতেন।
৪. বিপিন পার্ক
৫. চীনা মাটির টিলা
৬. গারো পাহাড়
৭. কেল্লা তাজপুর
৮. ব্রহ্মপুত্র নদ
৯. তেপান্তর ফ্লিম সিটি
১০. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১১. ময়মনসিংহ জাদুঘর
১২. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পার্ক
আরো অসংখ্য স্থান রয়েছে।
ময়মনসিংহের কোন খাবারগুলো বিখ্যাত?
১. মুক্তাগাছার মন্ডা
২. গফরগাঁওয়ের বেগুন
৩. চ্যাঁপার পুলি
৪. কুমড়ার মোরব্বা
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার আছে যেগুলো আমি জানি না।
ময়মনসিংহের বিখ্যাত কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ
১. ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার।
তিনি আমাদের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এখানেই উনার কবর রয়েছে।
২. বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু।
৩. কানাহরি দত্ত, মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি।
৪. হেমেন্দ্রমোহন বসু, একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী।
৫. কেদারনাথ মজুমদার, বিখ্যাত সাংবাদিক, ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক ছিলেন।
৬. আবুল কালাম শামসুদ্দিন, সাংবাদিক, রাজনীতীবিদ ও ভাষাবিদ ছিলেন।
৭. আবুল মনসুর আহমেদ, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক ছিলেন।
আমরা পাঠ্যবইয়ে “আয়না” নামে যেই গল্প পড়ি ও বিখ্যাত “আদুভাই” গল্পটি উনারই লেখা। এছাড়াও উনার আরো জনপ্রিয় বই রয়েছে।
৮. মৌলভী আব্দুল জব্বার পাহলোয়ান, অবিভক্ত বাংলার আইনসভার সদস্য (১৯২১-১৯৩৯) ছিলেন তিনি।
৯. চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন।
১০. জোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর হাতে নিহত বুদ্ধিজীবী।
১১. আফম আহসানুদ্দীন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি।
১২. রফিক উদ্দীন ভুঁইয়া, ভাষা আন্দোলন কর্মী ও রাজনীতিবিদ। উনার নামে একটি স্টেডিয়াম রয়েছে ময়মনসিংহে।
১৩. শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
উনার জন্ম ময়মনসিংহে। ৪৭ এর দেশভাগের পর কলকাতায় চলে যান।
এছাড়াও বর্তমানে দেশব্যাপি পরিচিত মুখ এরকম কয়েকজন রয়েছেন। চলুন উনাদেরকেও দেখে নিই।
১. আরেফিন শুভ, চিত্র নায়ক।
২. সানিয়া সুলতানা লিজা, সঙ্গীত শিল্পী।
৩. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ক্রিকেটার।
৪. মোসাদ্দেক সৈকত, ক্রিকেটার।
বি.দ্র: উপরে যাদের নাম উল্লেখ করলাম তা উনাদের কর্ম বা অবদানের ক্রমানুসারে সাজানো হয়নি।
আর কথা বাড়াচ্ছি না। অনেক বড় হয়ে গেছে। এপর্যন্ত কেউ পড়তে আসবেন কি না আমি নিশ্চিত নই। ধন্যবাদ এতবড় লেখা সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
চট্টগ্রাম বিখ্যাত এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভাসের জন্য। চট্টগ্রামের মেজবান জয় করেছে সারা দেশের মানুষের মন।চট্টগ্রাম জেলা মেজবান ও শুঁটকি এর জন্য বিখ্যাত।
চট্টগ্রাম জেলার বিখ্যাত ৫টি স্থান:
আমাদের দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলা, এ জেলাটি বাংলাদেশের একটি বৈচিত্র্যময় জেলা কারন চট্টগ্রামের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাহার, সমুদ্র, বন ।৫২৮৩ বর্গ কিমি আয়তন নিয়ে চট্টগ্রাম জেলাটি বিস্তৃত। এ জেলাটি ১৫টি উপজেলা এবং ৩০ থানা নিয়ে গঠিত।
আমি চট্টগ্রামের গর্বিত কন্যাঃ
চট্টগ্রামের যেদিকে তাকায় সেদিকে মন জুড়ে যায়। কি ইতিহাস? কি ঐতিহ্য, কি ব্যক্তিত্ব কি অস্তিত্ব। সবদিকে চট্টগ্রাম এক অন্যন্য উচ্চতায়।
আমাদের চট্টগ্রামে আছে, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তর এলাকায় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় “
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনুছ আমাদের চট্টগ্রামের সন্তান।
বারো আউলিয়ার চট্টগ্রাম, শাহ্ আমানতের চট্টগ্রামে রয়েছে অসংখ্য পীর দরবেশ, যা ইসলাম প্রচারের এক অন্যন্য ভূমিকা পালন করেছেন।
আর চট্টগ্রামের মানুষের মত সহজ সরল মানুষ বাংলাদেশের কোনো জায়গায় জাদুঘরে রাখার জন্যও পাওয়া যাবে না।
আমরা সবাই বাংলাদেশের সন্তান। কিন্তু আমি চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়াতে চট্টগ্রাম সম্পর্কে আমার একটু বেশি ধারণা থাকবে। এটা শুধু সবাই ধারণা পাওয়ার জন্য লিখা। চট্টগ্রাম নিয়ে যেখানে কয়েক হাজার পিএইচডি করা যাবে,সেখানে এই লিখা কিছুই না।