সারাদিনে কয়টি ভালো কাজ:

সারাদিন আমরা অনেক ভালো কাজ করি। আপনিও করেন। সমস্যা হলো আমাদের ভালো কাজগুলো বেশিরভাগ সময় ত্রুটিপূর্ণ হয়। মানে সারাদিন আমরা অনেক ত্রুটিপূর্ণ ভালো কাজ করি। যেমনঃ

• আপনি ফজরের নামাজে দাড়াঁন। দাঁড়িয়ে মুখে কেরাত পড়তে পড়তে আপনি আর নামাজে নেই। oh sorry, আপনি আছেন আপনার মনটা সেখানে নেই।এখানে আপনি ভালো কাজ করছেন কিন্তু সেটাতে ত্রুটি ছিল।
• আপনি সবার সাথে নাস্তা করতেছেন এটা ভালো কাজ। কিন্তু খাবার মুখে নিয়ে যে পাশের জনের কথার জবাব দিচ্ছেন না কথা বলতেছেন এটা ত্রুটিপূর্ণ।

এরকম আমি আপনি অনেক ভালো কাজ করি,  কিন্তু এসব বেশিরভাগ হয় ত্রুটিপূর্ণ। আমি কি কি ভালো কাজ করছি:  আমি আপনাকে আমার পুরো দিনের রুটিনটা বলি।

1. খুব ভোরে উঠা হয়। ফজরের নামাজের অন্তত ১ ঘণ্টা আগে। তারপর নিজের জন্য কিছু নফল নামাজ পড়ে পড়তে বসি। এটা আমার পড়ার সবচেয়ে বেস্ট টাইম। তারপর ফজর নামাজ পড়ে বাচ্চাদের ডেকে নাস্তা রেডি করা হয়।
2. বাচ্চারা নামাজ পড়তে পড়তে নাস্তা প্রায় রেডি। এখানে একটি বিষয় বলি, আলহামদুলিল্লাহ আমার ৬ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়ে নিয়মিত নামাজ পড়েন আলহামদুলিল্লাহ।  আমি কখনো আমার বাচ্চাদের নামাজের জন্য তাগিদও দিই নাই।
3. বাচ্চারা (বড় ছেলে) কুরআন তিলাওয়াত করতে করতে আমার রান্নার কাজটা শেষ হয়। খেয়ে ৩ জনই ক্লাসের জন্য বের হয়।
4. সকাল ৮-১০ টা আমি একটা প্রতিষ্ঠানে (মহিলা আলিম মাদ্রাসা)  সময় দিই। ১১-১২ টা আরেকটা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। এটা কামিল (এম.এ) মাদ্রাসা।
5. মহিল আলিম মাদ্রাসায় একটু বিকেলেও সময় দিতে হয়। ২ টা প্রতিষ্ঠানে শিখি একটাতে প্রিন্সিপাল হিসেবে শিখি আর একটাতে আরবি লেকচারার হিসেবে শিখি।
6. সন্ধ্যার পর থেকে বাচ্চাদের পড়াশোনা সাথে সাথে রান্নার কাজও শেষ করতে হয়। নিজেকেও পড়াশোনা করতে হয়।
7. এরপর মোবাইল নিয়ে আব্বুর (শ্বশুর)  অবস্থাটা জানা হয়। আব্বুটা আজ ১৩ টা মাস মেডিকেলে, সাথে আম্মুও (শ্বাশুড়ি)।

এই যে আপনাকে ৭ টি পয়েন্টে উত্তর লিখলাম, এই কাজগুলোর প্রতিটি ভালো কাজ। তবে ত্রুটিপূর্ণ ভালো কাজ। সপ্তাহের জুমাবার ও শনিবার বাদ দিয়ে এটা আমার Daily Routine.