SEO কিভাবে শিখবো? ক্যারিয়ার গড়ুন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হিসেবে
1 min read

SEO কিভাবে শিখবো? ক্যারিয়ার গড়ুন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হিসেবে

আমাদের আজকের টিউটোরিয়াল এসইও কিভাবে শিখবো। আজকের টিউটোরিয়াল আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ুলে ইনশাআল্লাহ আপনি “SEO” শেখার গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন গুগল ট্রেন্ডিং এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।  কোন চিন্তা ছাড়া বলে দেওয়া যায় অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে সর্বোচ্চ মানের একটা সেরা পদ্ধতি।

অনলাইনে যারা ব্যবসা করে থাকেন তারা প্রত্যেকেই এসইও এক্সপার্ট দের দ্বারপ্রান্ত হয়ে থাকেন।  আপনি যদি এসইও  স্পেশালিস্ট হতে পারেন,  তাহলে আপনি যেকোন ভাবে অনলাইন থেকে নিজের কাজ সংগ্রহ করতে পারবেন।  ফাইবার আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডট কম এর মত জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন রিলেটেড কাজগুলো অনেক বেশি পাওয়া যায়। 

SEO কিভাবে শিখবো? 

এসইও শেখার জন্য শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে আপনাকে বেসিক ধারণা অর্জন করতে হবে।  এটি কখনো জটিল কোনো বিষয় নয়। এটি খুব সহজ এবং শুধুমাত্র বুঝার একটি বিষয়। আপনি যদি বুঝতে পারেন একটি সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে? কেন আপনি কোন কিছু লিখলেই অটোমেটিকলি আপনাকে ডাটা সরবরাহ করে? মূলত এর প্রসেসিং টা কি? এ সামান্য কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর যদি আপনি পেয়ে যান তাহলে আপনি একজন এসইও স্পেশালিস্ট হতে পারবেন।

 শেখা কিভাবে শুরু করবেন?

 এসইও শেখার শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটা ওয়েবসাইট। বর্তমানে খুব কম খরচের মধ্যে একটা ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেলা সম্ভব।  যদি আপনার কোনো সামর্থ্য না থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব বা অনলাইনে যারা বিজনেস করে তাদের সাহায্য করতে পারেন।  তাদের সাহায্য করার মাধ্যমে আপনি নিজে সাহায্য গ্রহণ করে এসইও শিখতে পারেন। 

SEO কিভাবে শিখবো
SEO কিভাবে শিখবো

এর জন্য আপনি আপনার বন্ধু বা আশেপাশের পরিচিত উদ্যোক্তার ওয়েবসাইট এসইও করার দায়িত্ব নিতে পারেন। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তা এবং আপনি উভয়পক্ষই লাভবান হতে পারেন।  আপনি এসইও সম্পর্কে প্রাকটিস করতে পারবেন।  অপরপক্ষে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে উদ্যোক্তা আপনাকে সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে সে তার কোম্পানির বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারবে।

তবে আমি পরামর্শ দিব আপনি নিজেই নিজের ব্যক্তিগত একটা ওয়েবসাইট করে ফেলুন, যেন সেটি ভবিষ্যতে আপনার পোর্টফলিও হিসেবে কাজ করে। অনলাইনে কাজ করার জন্য নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কাজে প্রমাণ উপস্থাপন করার জন্য একটি পোর্টফোলিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

SEO শিখার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগবে?

SEO শিখার জন্য আবশ্যই আপনার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। কারণ যোগ্যতা ছাড়া কোন কাজ করা সম্ভব নয়। যদি তা সম্ভব হতো, তাহলে আপনিও অ্যাপলের থেকে ভালো ডিভাইস তৈরি করতেন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখার জন্য আপনার কিছু সাধারণ যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। যেমন- ইংরেজি জানতে হবে ও বুঝতে হবে এবং কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে, টাইপিং দক্ষতা ভালো থাকতে হবে ইত্যাদি।

এই সামান্য সাধারণ দক্ষতাগুলো থাকলেই আপনি একজন এসইও স্পেশালিস্ট হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন এবং এই ক্ষেত্র কে ব্যবহার করে প্রফেশনাল লাইট তৈরি করতে পারবেন।  সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, এক্ষেত্রে আপনি কোন প্রজেক্ট এর কাজ না পেলেও নিজেকে বসে থাকতে হবে না। আপনি বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন সেই বিষয় নিয়ে না হয় পরে আলোচনা করবো। আর আপনি নিজেই বুঝে যাবেন যদি এই প্রফেশনে আপনি কাজ শুরু করেন।

“SEO” শিখে আপনার কি কাজে লাগবে?

এসইও শিখে আপনি অনলাইনে ‘SEO’ সেবা দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন, ইন্টান্যাশনাল মার্কেটে কাজ করতে পারবেন এবং লোকাল মার্কেটেও খুবই দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবেন।

এসইও এর মাধ্যমে কত টাকা আয় করা সম্ভব?

SEO এর মাধ্যমে ঘন্টায় ২০০ থেকে ২০০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ‘SEO’ শিখতে হবে?

আপনার যদি ইংরেজি, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সম্পর্কে দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি এসইও শিখার জন্য প্রথাম ধাপ এগিয়ে গেছেন বা এসইও এর প্রথম ধাপ শিখে ফেলেছেন।

অনেক গুলো সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে গুগল। গুগল এর সার্চ রেজাল্টে আপনার বা আপনার ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারকে প্রথমে নিয়ে আসার জন্য আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন নিয়ে কাজ করতে হবে।

একটি কমপ্লিট এসইও এর জন্য ৪টি পদ্ধতি রয়েছে –

১. কিওয়ার্ড সিলেকশন

২. কনটেন্ট তৈরি

৩. অন পেজ অপটিমাইজেশন

৪. অফ পেজ অপটিমাইজেশন।

এভাবেই আপনাকে ধাপে ধাপে কাজ করে আপনার বা আপনার ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করতে হবে।

১. কীওয়ার্ড সিলেকশন কিভাবে করতে হয় তা জনার জন্য ইউটিউবে ভিডিও দেখুন। না হয় আপনি ভালো বুঝতে পারবেন না।

২. কিওয়ার্ড সিলেকশন হয়ে গেলে কনটেন্ট তৈরি করতে মনোযোগ দেন। অবশ্যই ভালো কনটেন্ট আপনার এসইও অভিজ্ঞতার ফল হবে।

৩. অন পেজ অপটিমাইজেশন হচ্ছে সাইটের ভিতরে অংশের কাজ। সার্চ ইঞ্জিন ও ইউজারদের জন্য যথাযথভাবে কনটেন্ট তৈরির পদ্ধতি ও টুলসের সঠিক ব্যবহার করতে জানলে অন পেজ অপটিমাইজেশন করতে পারবেন।

৪. অফ পেজ অপটিমাইজেশন হচ্ছে লম্বা কাহিনি। সংক্ষিপ্ত করে বললে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য অতিরিক্ত কাজ করার টেকনিক সমূহকে অফ পেজ অপটিমাইজেশন বলে।

এসব কাজ আপনি করতে পারলে অবশ্যই আপনি একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হয়ে উঠতে পারবেন।

ভবিষ্যতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর চাহিদা কি থাকবে?

হ্যাঁ, অবশ্যই থাকবে। সার্চ ইঞ্জিন কে পরিচালনা করার জন্য কোম্পানি যেমন নতুন নতুন টুলস যুক্ত করছে। ঠিক একইভাবে এর চাহিদা পূরণ করতে অপটিমাইজেশন কৌশলও পরিবর্তন করতে হবে। তবে এর চাহিদা কমবে না।

এসইও কি ক্যারিয়ারের অংশ হতে পারে?

অবশ্যই এটি ক্যারিয়ারের অংশ হতে পারে। আপনি যদি একজন দক্ষ অপটিমাইজার হতে পারেন, তাহলে আপনি আপনার জীবনের অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করার সামর্থ রাখেন। 

আশাকরি আমাদের আজকের লেখা টি আপনাদের অবশ্যই ভালো লেগেছে। যদি আমাদের লিখাটি ভালো  লেগে থাকে,  তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনি কতটুকু উপকৃত হতে পেরেছেন? এবং আপনি কি এখান থেকে শিখতে পেরেছেন? SEO কিভাবে শিখবো এ পর্বে আশা করি আমরা আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টে সংযুক্ত করতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *