ব্যবসা শুরু করার ৫টি সূত্র | যা জানলে সফলতা আসবে শতভাগ
ব্যবসা শুরু করার ৫টি সূত্র নিয়ে আলোচনা করব। কোনো এক অনলাইন নিউজে পড়েছি৷ তরুণদের মধ্যে ৬৬ ভাগ চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখেন। কে না চাই, নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতে? কেননা, আপনি যত বড় পদে চাকরি করেন না কেন। আপনি একজন চাকর। কিন্তু আপনি যত ছোট ব্যবসা করেন না কেন। আপনি একজন মালিক।
সবাই চাইলেও ব্যবসায় সফল হতে পারে না ৫টি সূত্র জানা না থাকায়:
বিনিয়োগ করলেই উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। মূলত একজন উদ্যোক্তার কাজ হচ্ছে মানুষের জন্য কিছু করতে পারা। বা জটিল কোন সমস্যার সমাধান করা। যদি আপনি এমনকিছু করতে পারেন। যেটা মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দিতে পারে, তাহলে আপনিও একজন সফল উদ্যোক্তা।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, ব্যাবসায় সফল হওয়ার পাঁচটি সূত্র:
মনে রাখবেন, প্রতি দশজন সফল ব্যবসীদের নয়টি ব্যবসায় আপনি এই পাঁচটি সূত্র পাবেন। যার জন্য তারা সফল।
১. ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ কেমন হবে | ব্যবসা শুরু করার সূত্র
আপনি যদি ব্যবসায় সফল হতে চান, তাহলে অবশ্যই তার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে কতটুকু তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ন্ত্রণ যদি আপনার হাতে না থাকে, তাহলে বেশি সময় আপনি ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবেন না। কোনো না কোনো সময় আপনাকে সরে যেতে হবে।
মনে করুণ, আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে।
এই চ্যানেলে আপনি ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয় করেন। আর সেই ইনকাম দিয়ে আপনার পরিবারের চাহিদা পূরণ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে আপনার যেকোনো ভুলের কারণে ইউটিউব আপনার চ্যানেলটি ডিলিট করে দিল। ফলে পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে গেল। এবং এর জন্য আপনারও কিছু করার থাকবেনা। কারণ এর নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ ইউটিউব কর্তৃপক্ষের।
আমি “বিডি ব্লগ” ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করি। আমি আমার ওয়েবসাইটে যতই ভুল করি না কেন, এটি সম্পূর্ণ আমার নিয়ন্ত্রণে। কেউ চাইলে আমার ওয়েবসাইটটি ডিলিট করতে পারবেনা। বা কেউ নিয়ে নিতেও পারবেনা। এবং আমি চাইলে আমার যেমন ইচ্ছে হয়, সেভাবে ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এজন্য কোন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করতে পারবেন তা ঠিক করতে হবে।
২. আপনার বিজনেসটি শুরু করা কতটা সহজ:
এটাও জানা খুব প্রয়োজন যে, আপনার বিজনেসটি অন্য কেউ শুরু করতে কতটা কঠিন বা সহজ হবে। মনে করুণ আপনি একটা ভার্সিটির সামনে জুসের বিজনেস শুরু করলেন। এখন আপনার কাছ থেকে দেখে আরও কয়েকজন একই বিজনেসটা শুরু করে দিল। ফলে আপনার প্রতিযোগি বৃদ্ধি পেল। সাথে সাথে টিকে থাকার জটিলতাও বৃদ্ধি পেল।
তাই এমন ব্যবসা নির্বাচন করুন যেটা অন্যদের জন্য কঠিন হয়।
এটাও একটি ব্যবসায় সফল হওয়ার সূত্র। মাইক্রোসফট কোম্পানি, ফেসবুক, টুইটার, আমাজন, আলিবাবা আমাদের সবার জানা এরা অবশ্যই সফল উদ্যোক্তা। আবার এরাই বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তি। কেননা, এরা এমন আইডিয়া দিয়ে বিজনেস শুরু করেছে। যেটা অন্যদের জন্য শুরু করা কঠিন। ফলে এখন যদি কেউ এই বিজনেস গুলো শুরু করেন, তাও এদের জায়গায় যাওয়া অসম্ভব।
৩. প্রয়োজনীয়তা যাচাই করুণ | ব্যবসা শুরু করার সূত্র
ব্যবসা শুরু করার আগে আপনি যে পণ্য বা সেবা নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন। তার প্রয়োজনীয়তা যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে পণ্য বা সেবা নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন। তার যদি চাহিদা না থাকে, তাহলে কখনও ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব হবে না। এজন্য ব্যবসা শুরু করার আগে জানতে হবে কিছু প্রশ্নের উত্তর:
- পণ্যের চাহিদা কেমন?
- মানুষ আপনার পণ্যটি কেমন ক্রয় করতে চাচ্ছে? এবং
- কতটুকু বর্তমানে প্রয়োজন হতে পারে?
- ভবিষ্যতে এর চাহিদা কেমন হবে?
- বিজনেস শুরু করার আগে জানতে হবে যে, সেবা বা পণ্যটির ভবিষ্যতে কেমন চাহিদা থাকতে পারে?
- আর থাকলেও বেশি নাকি কম?
৪. সময়ের বিষয় নিয়ে চিন্তা করুণ:
আপনার ব্যবসাটি যদি আপনি ছাড়া অচল হয়ে যায়, তাহলে ভাবতে হবে আপনি বিজনেস শুরু করেননি। আপনি বরং চাকরি করছেন। আপনার অনুপস্থিতে কিভাবে আপনার বিজনেস পরিচালিত হবে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, আপনি সেবা নিতে আসেননি সেবা দিতে এসেছেন। আপনাকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে সেবা দিতে। আপনার যদি মনে হয় আপনি ক্রেতাদের প্রয়োজনে সময়ের মধ্যে সেবা দিতে প্রস্তুত নয়, তাহলে বিজনেস শুরু করাটা বোকামি।
৫. ব্যবসা শুরু করার সূত্র পরিমাপযোগ্য কিনা তা যাচাই করুণ:
ব্যবসা যদি পরিমাপযোগ্য না হয়, তা বড় করা সম্ভব হবে না। আপনি যে বিজনেসটা শুরু করবেন। প্রথমে দেখতে হবে তা ভবিষ্যতে বড় করার মতো কিনা। একটি ব্যবসা তখন বড় করা সম্ভব, যখন তা পরিমাপযোগ্য হবে। বর্তমানে যে অবস্থানে আছে ভবিষ্যতে তার থেকে কত বড় হবে তার পরিকল্পনা রাখতে হবে।