ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং Digital Marketing এর সহজ পরিচয়
আমাদের মধ্যে এখনও আমরা অনেকে এমন আছে। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা রাখিনি। এমন একটি সময় ছিল, যখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অভিজ্ঞতাগুলো মানুষের কাছে খুবই নতুন ছিল। এবং সে সময়ে অনেক লোক এসম্পর্কে কোন ধারণা রাখেনি। কিন্তু সেই চিন্তাহীন ডিজিটালাইজেশনটি ব্যবহার করে, বর্তমান পুরুষ ও মহিলারা ব্যবসায়ের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সুবিধা উপলব্ধি করতে শুরু করেছে।
খুবই কম সময়ের মধ্যে অনলাইনে নিজের ব্যবসা কে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এবং ব্যবসার ব্র্যান্ডিং করার জন্য Digital Marketing এক অন্যান্য পদ্ধতি। শুধুমাত্র অনলাইন বিজনেস এর উপরে ডিজিটাল মার্কেটিং সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমান সময়ে অনলাইনের ব্যবসাকে বৃদ্ধি করার জন্য এবং মানুষের কাছে পরিচিতি বাড়ানোর জন্য অনলাইন কে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ছোট বড় অনেকগুলো শাখার সমন্বয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং গঠিত হয়। Digital Marketing আপনি কখনো দুই শব্দের মধ্যে শেষ করে দিতে পারেন না। আমরা কথায় কথায় দুই শব্দের মধ্যে এটা যদিও উচ্চারণ করে থাকি। কিন্তু এর কাজের ভূমিকা অনেক বেশি বড়। আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে এই মার্কেটিং পদ্ধতির প্রচারণা শুরু হয়েছে অল্প কিছুদিন হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে ভালো কোন কনটেন্ট তৈরি করা হয়নি।
এজন্য আমরা এদিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিলাম। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এই মার্কেটিং পদ্ধতি তাদের ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা শুরু করেছেন। আপনি যদি সে সকল কনটেন্টগুলো মনোযোগ দিয়ে একটু পড়তে পারেন, তাহলে এই মার্কেটিং সম্পর্কে আপনি ভাল ধারণা অর্জন করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলে এই মার্কেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদেরকে নিখুঁতভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে যাবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার প্রয়োজনীয়তা কি?
অনেকের মনে এটা আসতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে শেখার প্রয়োজনীয়তা কি? সাধারণত আমরা নতুন কিছু শিখার ক্ষেত্রে অবহেলা করে থাকি। তবে যারা জ্ঞান আহরণে অভ্যস্ত তাদের জন্য নতুন যেকোনো বিষয় শেখা একটা অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার মত। Digital Marketing প্রতিটি মানুষের জন্য মৌলিক একটি শিক্ষা আমি মনে করি। বর্তমানে এমন কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান নাই। যারা অনলাইন ভিত্তিক সেবা প্রদান করেনা। যদি আপনি ভবিষ্যতে কোনো ভালো কোম্পানিতে জব করার চিন্তা করেন। এবং প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাকে এগিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিতে চান। তাহলে আমি আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বিষয়ে গভীর নলেজ গ্রহণ করার উপদেশ দেবো।
Digital Marketing সম্পর্কে যারা পড়াশোনা করে থাকেন, তাদের কেউ কখনো বসে থাকতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেকে যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে সবার মধ্যে পরিচিত করাতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়া অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে অনেক কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটারদের খোজ করে যাচ্ছেন। যেহেতু এখনও বাংলাদেশের মধ্যে দক্ষ মার্কেটারদের খুঁজে পাওয়া যায় না। এইজন্য যারা অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা করেন সে সকল কোম্পানিগুলোকে অনেক বেশি কষ্ট পেতে হয়। সহজ কথায় আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন। কেন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা প্রয়োজন? তাহলে আমি খুব সহজেই উত্তর দিতে পারবো।
আপনি যদি বসে থাকতে না চান। কোন না কোনভাবে আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপনি কাজ করে এগিয়ে যেতে চান। তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যাদের Digital Marketing সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে তাদেরকে কখনো বসে থাকতে হয় না। আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন অথবা বিভিন্ন ফ্রীলান্স মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস বিক্রয় করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে পারবেন। এমনকি যদি কোন মার্কেটপ্লেস অথবা কোম্পানিতে আপনি চাকরি করতে না চান, তাহলে ব্যক্তিগত ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন সমস্ত মার্কেটিং কৌশল গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। যা ডিজিটাল ডিভাইস ও ওয়েব ব্যবহার করে করা যায়। ব্যবসায়ীরা ব্যবসার ব্যপক প্রচার করার মাধ্যমে আরও বেশি বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কৌশলগুলো নিয়ে কাজ করছে। আমি সহজভাবে একটা সডিজিটাল মার্কেটিং কি? এই বিষয়টি আপনাদেরকে বুঝাতে পারি। কিন্তু এই সংজ্ঞাটির মাধ্যমে আপনারা কখনো একজন ডিজিটাল মার্কেটিং হয়ে উঠতে পারবেন না।
একজন মার্কেটার হতে হলে আপনাদেরকে অনেক কিছু জানতে হবে এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে। যদি আপনারা নিয়মিত এই বিষয়গুলো নিয়ে প্র্যাক্টিস করতে পারেন, তাহলে ধীরে ধীরে একজন মার্কেটের হয়ে ওঠা সম্ভব। এগুলো নিয়ে যদি আমরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারি, তাহলে এগুলো আমাদেরকে আরো বেশি এগিয়ে দিবে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা যেকোন বিষয়ে জানার জন্য অল্প সময় চেষ্টা করি। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এগুলো নিয়ে আমরা পড়াশোনা করি না।
অন্য একটি আর্টিকেল এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আপনাদেরকে পরিচয় দেওয়ার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের শাখা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি। নিচে আমরা কয়েকটি শাখাকে উদাহরণ হিসেবে আপনাদের জন্য উপস্থাপন করলাম। যেমন: সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, ইমেল সহ আরও জনপ্রিয় অনেকগুলো Digital Marketing এর অংশ রয়েছে।
সুতরাং আমরা একদম সহজ ভাষায় Digital Marketing এর সংজ্ঞা সম্পর্কে বলতে পারি। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করার কৌশল ও ব্যবস্থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
অনলাইন মার্কেটিং কাকে বলে?
আবার অনেকের মনে অনলাইন মার্কেটিং বিষয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। আপনি যখন অনলাইনে কাজ করবেন। আপনার ডিজিটাল বিজনেস পরিচালনা করবেন। তখন এই বিষয়গুলো আপনার খুব সহজেই বুঝে চলে আসবে। যেহেতু আমরা আজকে মার্কেটিং বিষয়ে জানতে যাচ্ছি। সুতরাং আমরা অনলাইন মার্কেটিং কি এই বিষয়ে জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং এবং অনলাইন মার্কেটিং বিষয়টি কিন্তু একি।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেকোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য যেসকল কৌশল বা পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করা হয় তাকে ইন্টারনেট বা অনলাইন মার্কেটিং বলা হয়।
আশা করি আমরা আপনাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহজ একটি সংজ্ঞা দিতে পেরেছি। এর মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বোঝার চেষ্টা করেছে মূলত Digital Marketing টা কি। যাদের অনলাইন মার্কেটিং বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাদেরকে আমরা অনলাইন মার্কেটিংয়ের সংজ্ঞাটা সহ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। ডিজিটাল মার্কেটিং এবং অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে একই বিষয়। তবে এরা প্ল্যাটফর্ম এর নামের দিক থেকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভূমিকা:
এখন পর্যন্ত, আমরা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাথে সচেতনতার সাথে ভালভাবে জড়িত নয়। Digital Marketing আপনার ব্র্যান্ডকে শক্তিশালী করার মধ্যে একটি বিল্ডিং ব্লক হতে পারে। কারণ হচ্ছে এই মার্কেটিং পদ্ধতির মাধ্যমেই একটি ব্র্যান্ড কে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এবং কোম্পানির ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে চাহিদামত পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব হয়।
সহজ কথায় বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া কোন ব্যবসার উন্নতি বর্তমান সময়ের জন্য সম্ভব নয়। বর্তমান সময়ে উদ্যোক্তারা যেভাবে তাদের সেবা ও পণ্য বিক্রি করার জন্য প্রতিযোগিতা করতেছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাহায্য গ্রহণ করতে হবে। একমাত্র Digital Marketing পদ্ধতির মাধ্যমে সম্ভব আপনার কোম্পানি কে চাহিদা অনুযায়ী সেলস সংগ্রহ করে দেওয়া।
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করতে হয়:
আপনি হয়তো এবিষয়ে ইতিমধ্যে ধারণা পেয়ে গেছেন। অনলাইনে আপনাকে যে সকল কাজ করতে হবে তার জন্য আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং টুলসের সাহায্য নিতে হবে। অর্থাৎ মোবাইল কম্পিউটার এর মত ইলেকট্রনিক বিভিন্ন ডিভাইস এর সাহায্য আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও ডিজিটাল ডিভাইস গুলোর মধ্যে ইনস্টল করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার অনলাইন টুলস ব্যবহার করতে হবে। এনালগ পদ্ধতিতে মার্কেটিং করার সময় আপনার পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করার জন্য অনেক রকম কৌশল অনুসরণ করে থাকি। ঠিক একইভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করার জন্য আমাদেরকে অনেকগুলো অনলাইন টুল ব্যবহার করতে হয়। আপনি যদি অনলাইনের এই সকল টুলস সম্পর্কে ভাল অভিজ্ঞতা রাখতে না পারেন, তাহলে আপনি কখনো একজন ভালো ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।
অনেকে মনে করতে পারেন যে, আপনাকে মার্কেটিং শেখার জন্য হয়তো সবগুলোর টুলস সম্পর্কে জানতে হবে। আপনারা এই বিষয়ে কখনো ভয় পাবেন না। কারণ আপনি কখনো একদিনের মধ্যে সবকিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন না। অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর টুলগুলো সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করার জন্য আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। এবং নিয়মিত এগুলো ব্যবহার আপনাকে প্র্যাকটিস করতে হবে। যদি আপনি সময় নিয়ে একাজগুলোকে এগিয়ে নিতে পারেন, তাহলে আপনি দিনে দিনে অনলাইনের টুলগুলোর ব্যবহারে এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন।
ওয়েবসাইট:
নিজের ব্যবসায়ের একটি ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়না হতে পারে। এটি ইন্টারনেটে আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিচয় সবার সামনে তুলে ধরে বা এটিই একমাত্র সহজ উপায়। যা একাধিক ক্লায়েন্টদেরকে সহজে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় দেয়। একটি সু-নকশিত ওয়েবসাইট আপনার অনলাইনে স্টোরের ভিজিটর বা ক্রেতাদের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
একটি প্ররোচিত ওয়েবসাইট সাইট দর্শকদের আকর্ষণ করে। এবং এর মাধ্যমে সকল ক্রেতারা আপনার ওয়েবসাইট থেকে আপনার সকল সার্ভিস ও পণ্য সম্পর্কে জানতে পারেন। এবং সেই সাথে কোন ঝামেলা ছাড়াই সহজ পদ্ধতিতে ওয়েবসাইট থেকে তারা যেকোনো পণ্য অর্ডার করতে পারেন।
কোনও ক্লায়েন্ট বা ক্রেতারা বিরক্তিকর এবং নিস্তেজ ওয়েবসাইট দেখতে পছন্দ করে না। আপনার পণ্য এবং পরিষেবাদি যত ভাল হোক না কেন। আপনার পণ্যগুলো সবার সামনে ভালো করে উপস্থাপন করতে অবশ্যই আপনার একটা সুন্দর ওয়েবসাইট প্রয়োজন। সুতরাং বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য। একটি সুন্দর ও শক্তিশালী ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কন্টেন্ট সামগ্রী –
কন্টেন্ট সামগ্রী ডিজিটাল মার্কেটিং চর্চায় একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। কোনও ওয়েব সাইটের বিশেষ সুন্দর ফুটিয়ে তোলা এবং অনলাইন ব্যবসার বৈশিষ্ট্যগুলি মানার জন্য। অবশ্যই আপনাকে কন্টেন্ট সামগ্রী নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেননা, যদি আপনার সাইটটি ইন্টারনেটে যথাযথ এবং প্রাসঙ্গিক তথ্যের পাশাপাশি ভাল সামগ্রী সরবরাহ করে। তবে গুগল অবশ্যই আপনার সাইটটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শীর্ষে স্থান দেবে।
বর্তমানে অনলাইনে নিজের ওয়েবসাইট টাকে সবার প্রথমে নিয়ে আসার জন্য প্রতিযোগিতা সবাই করে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটা কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে নিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে কিন্তু আপনি একজন ব্যর্থ উদ্যোক্তা। ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য মূলত ভাল কনটেন্ট দেওয়ার মাধ্যমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটটা সার্চ ইঞ্জিনের অর্গানিক সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসতে হবে। বলা যায় আপনার কনটেন্ট ভালো মানে আপনার সার্ভিস ভালো।
সুতরাং আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন কে সন্তুষ্ট করে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে প্রথমে আসতে চান, তাহলে অবশ্যই উন্নত মানের কোয়ালিটি কন্টেন্ট আপনাকে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। বুঝতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য কনটেন্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং। অর্থাৎ ভাল কনটেন্ট তৈরি করে তা আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌছানো টাই হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং।
এসইও এবং পিপিসি:
হ্যাঁ, আমি আগে যেটা বলেছি তা হচ্ছে ভাল কন্টেন্ট সামগ্রী বিষয়ে। ওয়েবসাইটকে উচ্চতর র্যাঙ্ক করতে কোয়ালিটি কনটেন্টের পাশাপাশি এসইও এবং পিপিসি বিবেচনায় নেওয়া উচিত। এই দুটি পদ্ধতি আপনাকে আরও ভাল কভারেজ সরবরাহ করতে এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভালো বিক্রয় সংগ্রহ করতে সাহায্য করে।
এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) একটি অকাল পরিশোধিত কৌশল। যা সময়কালে পরিবর্তন করে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। কারণ এটি আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য এবং একটি দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কে কভারেজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। অন্যদিকে, পিপিসি হচ্ছে দ্রুততম উপায়।
পিপিসি মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে বিজ্ঞাপনের জন্য। পিপিসি থেকে আপনি খুব দ্রুত ফলাফল পেতে পারেন। সুতরাং বুঝতে পেরেছেন যদি আপনি দ্রুত ফলাফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সিপিসি মার্কেটিং করতে হবে। আর যদি আপনি দীর্ঘ দিনের জন্য সার্চ ইঞ্জিনে উপরে থাকতে চান। এবং কোনরকম বিনিয়োগ না করেই অর্গানিক্যালি আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে চান। তাহলে আপনাকে কনটেন্ট এবং এসইও নিয়ে কাজ করতে হবে।
সামাজিক মাধ্যম –
যে কোন কোম্পানির দ্রুত ব্রান্ডিং এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। বর্তমান সময়ে যে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার অনলাইন বিজনেস শুরু করতে পারে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কোন বিনিয়োগ না করেই অর্গানিক পদ্ধতিতে মার্কেটিং করা সম্ভব।
অর্গানিক পদ্ধতিতে মার্কেটিং করে ব্যবসার ব্রান্ডিং এবং বিক্রয় সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটের হয়ে উঠতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটিস বাড়াতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনাকে একটি কমিউনিটি তৈরি করতে হবে যারা আপনার পণ্য সম্পর্কে আগ্রহী আপনার সার্ভিসকে আগ্রহী।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিক্রেট হচ্ছে বিশ্বস্ততা অর্জন করা। এই প্লাটফর্মে নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য নিয়মিত আপনাকে আপনার অডিয়েন্স দের সাথে কানেক্ট হতে হবে এবং তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে।
আশাকরি, বিডিব্লগ ওয়েবসাইটের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানার জন্য যথাযথ সাহায্য করবে। আমাদের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্টসের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের কমেন্ট গুলো আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের কমেন্টগুলো আমাদেরকে আগ্রহী করে তুলে ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে।
Thank you
Most welcome!
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ইতিহাস জানতে হলে প্রায় ৩২ বছর পিছনে যেতে হবে। ১৯৯০ সালের কথা, তখন বিশ্বের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে আর্চির যাত্রা শুরু হয় মাত্র কয়েক শো ওয়েব লিস্টিং এর মাধ্যমে। কিন্তু এই সংখ্যা টা এখন বিলিয়ন এ রুপ লাভ করেছে। আর এই আর্চির যাত্রার মাধ্যমেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সূত্রপাত ঘটেছে। এরপর থেকে ডিজিটাল মাধ্যম গুলো যত বেশি উন্নত হতে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং ও তত বেশি ডেভেলপ করতে থাকে৷ ১৯৯৪ সালে আরেকটি এক সময়কার জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু তার কার্যক্রম শুরু করে। হটবোট, লুক স্মার্ট, অ্যালেক্সা রিলিজ করে তাদের ছোট ছোট সার্চ ইঞ্জিন বোট ১৯৯৬ সালে। এই সার্চ ইঞ্জিন বোটগুলো স্পাইডার এর মতো কাজ করে যা নিজে নিজে ওয়েবে রিলিজ হওয়া ডাটা কালেক্ট করতে সক্ষম। ১৯৯৭ সাল তখনও মাইক্রোসফট এর এম, এস, এন এবং গুগলের যাত্রা শুরু হয়নি তখন প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া সাইট হিসেবে সিক্স ডিগ্রি ডট কম এর যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে গুগলের যাত্রা শুরু হয় এবং ইয়াহু তে সার্চ অপশন এড করা হয়, এর পাশাপাশি মাইক্রোসফট এর এমএসএন এর যাত্রা শুরু হয়। গুগল, ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনগুলো আসার পর ২০০০ সালে নেট দুনিয়ায় এক রেভ্যুলেশন আসে। এ সময় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের থেকে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। প্রথম মোবাইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালু করে ইউনিভার্সাল মিউজিক ২০০১ সালে। বর্তমানে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট হলো লিংকড ইন। যার পদ চারণা ২০০২ সাল থেকে৷ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে এখন অধিকাংশ ওয়েবসাইট-ই তৈরি করা হয়। আর এই ওয়ার্ডপ্রেস এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে এবং একই সাথে মাইস্পেসের ও। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক এর কার্যক্রম শুরু হয় এবং একই সময় গুগল নিয়ে আসে জি-মেইল এর ব্যবহার। ২০০৫ সালে ইউটিউব এর যাত্রা শুরু হয়। টুইটার এর যাত্রা শুরু হয় ফেসবুক এর ও পরে ২০০৬ সালে। কিন্তু বিখ্যাত ব্যক্তিদের টুইটারে টুইট করতেই বেশি দেখা যায়। এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট টি তারা বেশ ভালোই ব্যবহার করে থাকেন। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল আই ফোন এর লঞ্চ হয় একই সাথে টাম্বলার এর। ২০০৯ সালে গুগল তার অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় এবং ইন্সটেন্ট সার্চ রেজাল্ট চালু করে। ২০১০ সালে আরেকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট হোয়াটসঅ্যাপের যাত্রা শুরু হয় এবং একই সাথে গুগল বাজ ও যাত্রা শুরু করে। গুগল পান্ডা এবং গুগল প্লাস রিলিজ হয় ২০১১ সালে গুগল বাজ শাট ডাউন হওয়ার পর। ২০১২ সালের দিকে এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়া বাজেট ৬৪% এ রুপ লাভ করে৷ যদিও বর্তমানে এর থেকে অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালের দিকে মোবাইল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। এর কারণ হতে পারে মোবাইল ফোনের এর অপ্রতুলতা, সহজলভ্যতা। আর এই সময় মানুষ কম্পিউটার এর থেকে মোবাইল দিয়েই বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। এই সময় ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ কে কিনে নেয় এবং ফেসবুক তার অন্যতম জনপ্রিয় ফিচারস মেসেঞ্জার এড করে। এই সালেই লিংকড-ইনের টেইলর্ড এড ফিচার টি যুক্ত হয়। স্ন্যাপচ্যাট এটির ডিসকাভার ফিচার টি যুক্ত করে ২০১৫ সালে। ফেসবুক লাইভ এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। এরকম যত আপডেট সোশ্যাল মিডিয়াগুলো তে আসতে থাকে ততই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো কে কেন্দ্র করে ডিজিটাল মার্কেটিং গড়ে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর পথ সুগম করে তুলেছে। এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করার ফলে মানুষ এখন এই প্ল্যাটফর্মগুলো কে-ই কেন্দ্র করে অনলাইন বিজনেস গড়ে তুলছে। আর এই অনলাইন বিজনেস কে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্ভব হয়েছে।