ব্লগ তৈরি করার নিয়ম – ব্লগ তৈরি করে আয় স্টেপ বাই স্টেপ গাইড
আপনি কীভাবে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সে সম্পর্কে একটি সঠিক, সহজ, গাইড় ধাপে ধাপে শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই লেখাতে ব্লগ তৈরি করার নিয়ম গাইড আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। তা অনুসরণ করে আপনি পরিপূর্ণ একটি ওয়েবসাইট তৈরির ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনাকে কীভাবে একটি সুন্দর এবং কার্যকরী একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে তা সবই সহজ ধাপে ধাপে টিউটোরিয়ালে প্রদর্শিত হবে।
আমি ২০১৫ সাল থেকে ব্লগ এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে চলেছি। সেই সময়টিতে আমি আমার নিজের কয়েকটি ব্লগ চালু করেছি। এবং আরও অনেক ব্যক্তিকে ব্লগ এর ক্যারিয়ার শুরু করতে সহায়তা করেছি।
আমি জানি যে একটি ব্লগ শুরু করা অপ্রতিরোধ্য এবং ভয়ঙ্কর মনে হতে পারে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ব্লগিং সম্পর্কিত এবং প্রাথমিক কম্পিউটার দক্ষতা সহ ব্লগার হওয়ার উপায় আপনাকে শিখিয়ে দেবে। সুতরাং আপনার বয়স যদি ১৬ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে, তাহলে আপনি আমার আজকের লেখাটি পড়ে কম সময়ে নিজের ব্লগ তৈরি করতে পারেন।
এটা স্বীকার করতে লজ্জা পাচ্ছি না যে, আমি যখন প্রথম কোনও ব্লগ তৈরি করতে শিখছিলাম। তখন আমি অনেকগুলি ভুল করেছিলাম। আপনি আমার ৩ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারেন। যাতে আপনি নিজের ব্লগ তৈরি করার সময় আমার মত একই ভুলগুলি পুনরায় না করেন।
আমি এই গাইডটি তৈরি করেছি যাতে যে কেউ দ্রুত এবং সহজেই ব্লগ শুরু করতে পারে তা শিখে। এবং আপনি যদি কোনও মুহূর্তে আটকে যান, তবে দয়া করে সমস্যার কথা বিস্তারিত উল্লেখ করে আমাকে আবার ফেসবুকে একটি মেসেজ করুন অথবা নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। আমি আপনাকে সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
যাইহোক ব্লগ কি?
সংক্ষেপে, একটি ব্লগ এমন এক ধরণের ওয়েবসাইট। যা মূলত লিখিত সামগ্রীতে ফোকাস করে। এটি ব্লগ পোস্ট হিসাবেও পরিচিত। আমাদের পছন্দের জনপ্রিয় ওয়েব সাইটগুলোতে আমরা প্রায়শই নিউজ ব্লগ বা সেলিব্রিটিদের খবরা-খবর সম্পর্কে শুনে থাকি। আমরা যেই ওয়েবসাইটগুলোতে আমাদের প্রিয় সেলিব্রিটিদের নিউজ ও তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পারি। এই ওয়েবসাইট গুলো হচ্ছে একটি ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট। এই ব্লগ বা ওয়েব সাইটগুলোতে প্রকাশিত প্রতিটি লেখাকেই বা প্রতিটি ওয়েবপেজকে একটি ব্লগ পোস্ট বলা হয়।
ব্লগাররা প্রায়শই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখেন। যা তাদের পাঠকদের সাথে সরাসরি সংযোগ করতে দেয়। এছাড়াও, বেশিরভাগ ব্লগে একটি “মন্তব্য” বিভাগ থাকে, যেখানে পাঠকরা ব্লগারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। মন্তব্য বিভাগে আপনার পাঠকদের সাথে আলাপচারিতা ব্লগার এবং পাঠকের মধ্যে সংযোগ আরও বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।
পাঠকের সাথে এই সরাসরি সংযোগ হলো একটি ব্লগ শুরু করার অন্যতম প্রধান সুবিধা। এই সংযোগটি আপনাকে অন্যান্য সমমনা লোকের সাথে মতবিনিময় এবং ধারণাগুলি ভাগ করে নিতে দেয়। এটি আপনাকে আপনার পাঠকদের সাথে আস্থা তৈরি করতেও সহায়তা করে। পাঠকদের আস্থা ও আনুগত্য থাকা আপনার ব্লগ থেকে অর্থোপার্জনের দ্বার উন্মুক্ত করে, যা আমি এই গাইডটিতে পরে আলোচনা করব।
আপনি কেন একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন?
ব্লগ শুরুর বিষয়ে একটি ভুল ধারণা হ’ল সফল হওয়ার জন্য অনেক বড় মনের একজন লেখক হওয়া দরকার। তবে এমন মন্তব্য পুরোপুরি সঠিক নয়। লোকেরা বিষয়গুলিতে ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে সাইটগুলি পড়ে। তাই বেশিরভাগ ব্লগার খুব অনানুষ্ঠানিক এবং কথোপকথনের স্টাইলে লেখেন।
একটি সফল ব্লগ করার জন্য আপনার নিজেকে একাধিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। উদাহরণস্বরূপ, একটি রান্না ব্লগের পাঠকরা আপনার লেখা ব্লগগুলো পড়ার সময়। আপনি কোনও খাদ্য বিজ্ঞানীর কাছ থেকে পাঠ্যপুস্তকটি পড়ছে কি-না তা জানার চেষ্টা করে না। তারা এমন কোনও ব্যক্তির অভিজ্ঞতা শুনতে চান, যিনি আসলে কিছু বাস্তব খাবার তৈরি করে দেখাতে পারেন।
একজন ব্লগার হিসাবে সফল হওয়ার জন্য কেবলমাত্র একটি গুন প্রয়োজন:
আপনাকে আপনার ব্লগের বিষয়ের প্রতি আবেগি হতে হবে। ব্লগিং আপনার জ্ঞানকে বিশ্বের সাথে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে সাহায্য করে। একটা পরিপূর্ণ নতুন ব্লগ শুরু করার জন্য আপনি আগ্রহী এমন একটি বিষয় নির্বাচন করা উচিত। যে বিষয়ে আপনি অন্য কারো সাহায্য ছাড়া দক্ষতার সাথে লিখতে পারেন। একটি সফল ব্লগ শুরু করার প্রক্রিয়াটিকে এটি সহজ করে তোলে।
আপনি একাধিক বিষয়ে লেখালেখি করলেও আপনাকে কেউ জরিমানা করবে না। তবে মূল বিষয় হচ্ছে ব্লগিং এ সফল হওয়ার জন্য আপনি শুধুমাত্র একটা বিষয়কে তারগেট করুন। যে বিষয় সম্পর্কে আপনার খুব ভালো ধারণা রয়েছে সে বিষয় নিয়ে আপনি লেখালেখি করুন। যেন আপনি আপনার পাঠকদের ধরে রাখতে পারেন এবং তাদের মনের মধ্যে যেন আপনার লেখাগুলো জায়গা করে নিতে পারে।
আপনি কেন ব্লগিংয়ের কাজ করা শুরু করবেন?
ব্লগিং শুরু করার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সব মিলিয়ে আপনার লাভের জন্যই মূলত আপনি একটি ব্লগ শুরু করবেন। ব্লগ শুরু করার সময় আপনার একটি উদ্দেশ্য ঠিক রাখা প্রয়োজন। এটি যেন শুধুমাত্র আপনার লিখা প্রকাশ করার একটি ক্ষেত্র না হয়। এটি যেন আপনার একটি ব্যবসা ক্ষেত্র হয়।
যখন আপনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে একটি ব্লগ শুরু করবেন, তখন আপনার উভয় দিক থেকে ইমপ্রুভমেন্ট প্রয়োজন হবে। যেমন আপনি আপনার পাঠকদেরকে সর্বোচ্চ ধারণাগুলি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং এখান থেকে যেহেতু আপনি অর্থ উপার্জন করবেন। সুতরাং আপনি আপনার পাঠকদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য আপনার ভিতরের সেরা জ্ঞানগুলো তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আপনার পাঠকরাও ঠিক এটাই চাই যেন আপনি তাদের জন্য সেরাটাই দিয়ে দেন। আর এটাই আপনাকে একমাত্র সাহায্য করতে পারে। আপনার ব্লগিং কে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে এবং এখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে। ব্লগিং শুরু করার কিছু সুবিধা সম্পর্কে আমরা নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।
বাড়িতে বসে অর্থোপার্জন করুন:
সঠিকভাবে করা গেলে ব্লগিং বেশ লোভনীয় হতে পারে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্লগাররা অনেকে স্মার্ট ভাবে উপার্জন করেন। তবে কোনও খণ্ডকালীন ব্লগারও যদি জিনিসগুলি সঠিকভাবে করতে পারেন। তারাও একটি দুর্দান্ত লাভের আশা করতে পারেন। এটির সর্বোত্তম অংশটি হলো ব্লগিং প্যাসিভ আয়ের একটি রূপ।
আপনি একটি ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য সপ্তাহে কয়েক ঘন্টা ব্যয় করতে পারেন। ব্লগ পোস্টটি একবার লেখার অনেক পরেও তা থেকে আজীবন অর্থোপার্জন চালিয়ে যেতে পারেন। এই গাইডের পরে কীভাবে অর্থের জন্য ব্লগ করবেন সে সম্পর্কে আমি আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আপনার গল্প ভাগ করার সুবিধা:
আমার মতে একজন ব্লগার তার মনের সকল কষ্ট ও জ্ঞান সবার সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য সহজ মাধ্যম হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারে। সাধারণ মানুষ যখন কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয় তখন তারা ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে চলে যায়। কিন্তু একজন ব্লগার যখন চিন্তা করে সে তার চিন্তাগুলোকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে। এবং চিন্তাগুলো তার মনের ভেতর থেকে বেরিয়ে যায়। যেহেতু একজন ব্লগার তার কষ্টগুলোকে সবার মাঝে ভাগ করে ফেলে। এজন্য তার মনে আর কোন কষ্ট জমে থাকেনা।
পৃথিবীতে ব্লগার এবং গায়করা খুব সহজেই তাদের মনের কথাগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারে। তারা তাদের মনের কথাগুলো শেয়ার করার জন্য পুরোপুরি ভাবে স্বাধীন। ঠিক আপনিও যদি আপনার মনের কথাগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান। আপনার জ্ঞান গুলোকে বিশ্বের মানুষের জন্য যদি উন্ক্ত করতে চান, তাহলে আপনি একটি ব্লগ শুরু করতে পারেন।
নিজের বা আপনার ব্যবসায়ের স্বীকৃতি:
একটি সফল ব্লগ আপনাকে নিজের ক্ষেত্রে স্বীকৃতি দিতে পারে। অনেক ব্লগার কেবল তাদের ব্লগের কারণে বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরিচিত। এবং কেউ কেউ তাদের ব্লগের উপর ভিত্তি করে বই এবং চলচ্চিত্রের চুক্তিও অর্জন করেছেন। ঠিক আপনিও যদি একটি কমিউনিটি তৈরি করতে চান আপনার মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। এবং জায়গা করে নিতে চান একজন জনপ্রিয় লেখক হিসেবে, তাহলে আপনি একটা ব্লগ শুরু করতে পারেন।
একটি পরিপূর্ণ ব্যক্তিগত সম্প্রদায় তৈরি করার সুবিধা রয়েছে:
আপনি একটি ব্লগ পোস্ট লিখুন এবং যেন লোকেরা এতে মন্তব্য করে। এটি আপনার মতো একই জিনিসগুলির প্রতি আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি দুর্দান্ত উপায়। ব্লগিং আপনাকে আপনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই লোকগুলিকে শেখানোর অনুমতি দেয়। এবং এটি আপনার পাঠকদের কাছ থেকেও শেখার সুযোগ দেয়।
সুসংবাদটি হ’ল ইন্টারনেট বর্তমানে প্রবৃদ্ধির সাথে বিস্ফোরিত হচ্ছে। আগের চেয়ে বেশি লোক অনলাইনে রয়েছেন। বৃদ্ধির এই বিস্ফোরণটির অর্থ আপনার ব্লগের আরও সম্ভাব্য পাঠক পাওয়ার সম্ভাবনা। আপনি যদি কোনও ব্লগ শুরু করার কথা ভাবছেন, তবে এখনকার চেয়ে ভাল সময় আর নেই। অপেক্ষা না করে আজ থেকে শুরু করুন। যত বেশি অপেক্ষা করবেন তত বেশি আপনি উপযুক্ত সময় গুলো হারিয়ে ফেলবেন।
৬টি ধাপে কোনও ব্লগ কীভাবে শুরু করবেন?
ব্লগিং এর সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে এবং কেন আপনি ব্লগিং করবেন এই সম্পর্কে আমরা অনেক আলোচনা শুনেছি এতক্ষণ পর্যন্ত। এখন আমরা বাস্তব দিক থেকে কিভাবে একটি ব্লগ তৈরি করা যায় এই বিষয়ে একটি সহজ গাইডলাইন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। একটা ওয়েবসাইট তৈরী করা খুব সহজ বিষয় যদি আপনি এটাকে খুব সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন।
আমরা আজকে আপনাদেরকে বলবো ৬টি ধাপ অনুসরণ করে কিভাবে আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
একটি ব্লগের নাম বাছুন-
প্রথম ধাপে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি নাম পছন্দ করতে হবে। এই নামটি নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার চাহিদার উপর। মনে করেন আপনি টেকনোলজি ব্লগ তৈরি করবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি টেকনোলজির সাথে সম্পৃক্ত নাম বাছাই করতে হবে। অথবা মনে করুন আপনি স্বাস্থ্য সচেতন সম্পর্কে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোন নাম আপনাকে বাছাই করতে হবে।
নাম বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওয়েবসাইটের নাম আপনার পরিচয় বহন করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের নাম দেখলেই বুঝতে পারবে আপনার ওয়েব সাইটে কি ধরনের কনটেন্ট আপনি শেয়ার করে থাকেন। যদি আপনি সহজ এবং সুন্দর একটা নাম বাছাই করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন।
ব্লগিং এর জন্য ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলুন (ব্লগ তৈরি করার নিয়ম):
সেট তৈরি করা খুবই সহজ বিষয়। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার কাছে একটি নাম (যেটা ডোমেই নামে পরিচিত), হোস্টিং সার্ভার, এবং একটি আকর্ষণীয় থিম প্রয়োজন। এই তিনটি মৌলিক উপাদান আপনার কাছে থাকলে খুব সহজে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করা সম্ভব।
আপনার যদি ওয়েবসাইট তৈরীর সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতার না থাকে, তাহলে কোন ডেভলপারের সাহায্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন।
আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটি তৈরি করার জন্য বিডি ব্লগে যোগাযোগ করুন।
রিসোর্স
একটি ওয়েবসাইট তৈরীর ক্ষেত্রে হোস্টিং সার্ভার ক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আপনার ওয়েবসাইটের হোস্টিং সার্ভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার ওয়েবসাইটটি কে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং আপনার কনটেন্ট গুলো সুরক্ষিত রাখার জন্য। যারা নতুন ব্লগে শুরু করতে চায় তাদের এই বিষয়ে জ্ঞান না থাকার কারণে অনেক সময় তাদের পুরোপুরি ওয়েবসাইট এবং কনটেন্ট গুলো হারাতে হয়।
কয়েকটি জনপ্রিয় ডোমেইন ও হোস্টিং কোম্পানির না আমরা নিচে যুক্ত করে দিলাম:
- Namecheap
- HostGator
- BlueHost
- Hosteve
সেরা এবং জনপ্রিয় কিছু ওয়ার্ডপ্রেস থিম কোম্পানির ওয়েবসাইট নিচে যুক্ত করা হলো:
- ThemeForest
- Elegantthemes – Divi
ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়ে গেলে আপনার পরিপূর্ণ কাজ কিন্তু সফল হয়ে গেল। পরবর্তীতে কনটেন্ট নিয়ে আপনাকে প্ল্যানিং করতে হবে এবং আপনার পাঠকদের জন্য উপযুক্ত মানের কনটেন্ট আপনাকে তৈরি করতে হবে।
কনটেন্ট তৈরিতে কাজ করুন:
কনটেন্ট হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের মৌলিক উপাদান। আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর থেকে আপনাকে নিয়মিত কনটেন্ট এর উপর রিসার্চ করতে হবে এবং কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার জন্য কেউ আপনাকে বাধ্য করবে না। তবে আপনি যদি আপনার বিজনেস এগিয়ে নিতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে হবে।
সহজে কনটেন্ট তৈরি করার জন্য কিছু কৌশল রয়েছে এই বিষয়ে আপনি ইউটিউব অথবা গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন। আপনার যে বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে সে বিষয়ে কিভাবে আপনি খুব সহজে আপনার কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। এবং এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট কিভাবে লিখা সম্ভব। এই বিষয়ে জানার জন্য ইউটিউব এবং গুগল আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করবে।
আপনার ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিনে প্রকাশ করুণ –
চতুর্থ ধাপে আপনার ওয়েবসাইটে যদি যথেষ্ট পরিমান কনটেন্ট আপনি প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলে সাবমিট করুন। গুগোল হচ্ছে একমাত্র সার্চ ইঞ্জিন যেখান থেকে আপনি ৭০% এর বেশি পাঠক পেয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটটি সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করার সময় আপনি চাইলে একজন অভিজ্ঞ ডেভলপারের সাহায্য নিতে পারেন। যদি এ বিষয়ে আপনার ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি নিজেই এ কাজটি খুব সহজে করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যদি সঠিকভাবে আপনার সাইটে সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করা না হয়, তাহলে আপনার কনটেন্ট গুলো পাঠকদের কাছে সহজে পৌঁছাবে না। এজন্য আপনার কনটেন্ট গুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন সাবমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি কমিউনিটি তৈরি করুন:
আপনার লেখা সম্পর্কে আরও অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য এবং আপনার পাঠকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি কমিউনিটি তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ফেসবুকে একটি পেইজ তৈরি করে অথবা একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে সেখানে আপনার পাঠকদের কে একত্রিত করতে পারেন।
এছাড়াও টুইটার সহ লিংকডইনের মত যতগুলো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই অনেকগুলো ওয়েবসাইটের ভিজিটর পেয়ে যাবেন যারা নিয়মিত আপনার লেখাগুলো পড়তে পারে।
আপনার ব্লগটি মনিটাইজ করুন:
অনেকগুলো আলোচনার পরেই আমরা আমাদের সব শেষ ধাপে চলে আসলাম। আপনি যদি পুর্বের ধাপগুলো অনুসরণ করে একটি পরিপূর্ণ ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন। এখন সময় এসেছে সেই ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে এখান থেকে অর্থ উপার্জন করার। একটি ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। আপনি একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার ব্লগ মনিটাইজ করে এখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আজকে আমরা কয়েকটি জনপ্রিয় মাধ্যম আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যে মাধ্যমগুলো অধিকাংশ ব্লগাররা ব্যবহার করে. তাদের ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে অর্থ উপার্জন করছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন জনপ্রিয় উপায়গুলো –
বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম:
বিশ্বের ৯০ ভাগেরও বেশি ব্লগাররা গুগোল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা গুগোল বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ উপার্জন করি। আপনার ওয়েবসাইটে যদি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার পাঠক নিয়মিত আপনার লেখাগুলো পড়তে আসেন।
এই 15000 পাঠকদের মনিটাইজ করে আপনি মাসে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খুব সহজে ইনকাম করতে পারেন। যদি আপনার ওয়েবসাইটটি ইংরেজিতে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে আপনি ১৫০০০ পাঠক কে মনিটাইজ করে মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করুন:
এটি আমার প্রিয় একটি মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করি মজাদার হয়ে থাকে। গুগোল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার পাশাপাশি আপনি একই পাঠকদের ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডাবল টাকা উপার্জন করতে পারেন।
আমরা নিজেরাও গুগল বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানির এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে এখান থেকে অর্থ উপার্জন করে থাকি।
এছাড়াও জনপ্রিয় আরো কিছু অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হচ্ছে:
- অতিথি লেখক হিসেবে প্রতিটা লেখার জন্য পেমেন্ট সংগ্রহ করা।
- কোন কোম্পানির জন্য স্পনসর্শিপ আর্টিকেল পাবলিশ করা।
- বিভিন্ন কোম্পানি কে বিজ্ঞাপনের জন্য জায়গা বিক্রি করা।
- নিজের ব্যক্তিগত ই-বুক বা ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করা।
আজকে এই পর্যন্ত থাকল। যারা আমাদের বিডি ব্লগ কে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই আমাদের বিডি ব্লগে আপনার মতামত প্রকাশ করতে ভুলবেন না। নিচে কমেন্ট বক্সে রয়েছে এখানে কমেন্টস করে আপনি আপনার মতামত জানান আমাদের এই লিখাটি আপনার কেমন লেগেছে।
আমাদের লেখা গুলো যদি আপনাদের কে কোন ভাবে সাহায্য করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমাদের পুরা কষ্ট টাই বৃথা যাবে। আমরা আমাদেরকে তখন মনে করি যখন এখান থেকে আমাদের পাঠকরা উপকৃত হতে পারে।