বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ও bKash সম্পর্কিত সকল তথ্য
1 min read

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ও bKash সম্পর্কিত সকল তথ্য

বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে এক অন্য মাত্রা যুক্ত করেছে বিকাশ। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস দাতা কোম্পানি। বর্তমানে বিকাশ একাউন্ট ও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করা খুবই সহজ। আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ও bKash ব্যবহার সম্পর্কে সব তথ্য জানতে চান, তাহলে আমাদের এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এখানে আপনার মনের মধ্যে থাকা সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

বিকাশ কি এবং কেন? | বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ হচ্ছে একটি অনলাইন ডিজিটাল পেমেন্ট ও টাকা লেনদেন করার সিস্টেম। এটির মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে মূহুর্তের মধ্যে টাকা লেনদেন করা যায়।

একসময় শহর থেকে গ্রামে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে ব্যক্তিকে সরাসরি গ্রামে চলে আসতে হতো। নিজে আসতে না পারলে কোনো ডাক বিভাগের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যেতো। কিন্তু বর্তমানে সেই এনালগ পদ্ধতি ও ডাক বিভাগের সেবা আর ব্যবহার হয় না। এমনকি বাংলাদেশ ডাক বিভাগও বিকাশের মতো ডিজিটাল সেবা চালু করেছে। যেটি নগদ নামে পরিচিত। নগদ নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিকাশ অ্যাপ ও ব্যবহার:

বিকাশের সেবার উন্নতি ও কার্যক্রম কে আরও দ্রুত করার জন্য বিকাশ অ্যাপ চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এদের কোনো মোবাইল অ্যাপ ছিলো না। মোবাইল থেকে কোড ডায়াল করে বিকাশের সেবা ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে অ্যাপ নিয়ে আসার কারণে এটির ব্যবহার আরও সহজ ও দ্রুতগতি হয়েছে।

বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করলে কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়া বিকাশের সকল সেবা ব্যবহার করা যায়। যারা ইংরেজি পড়তে পারে না তাদের জন্য রয়েছে বাংলা ভাষায় সবকিছু ম্যানেজ করার সুবিধা। সহজে সকল সেবা পেতে এখান থেকে বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করতে পারেন। লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনাকে সরাসরি প্লেস্টোরে নিয়ে যাবে৷ যেন আপনি সহজে অ্যাপটি খোঁজে পান ও ব্যবহার করতে পারেন, তার জন্য অ্যাপের লিঙ্ক দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম –

অ্যাপের মাধ্যমে সহজে বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। যদি আপনি বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম না জানেন, তাহলে পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করে বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। অ্যাপ থেকে রেজিষ্ট্রেশন করে একাউন্ট তৈরি করা খুবই সহজ। যদি আপনার জটিল মনে হয় এক্ষেত্রে আপনি বিকাশ এজেন্ট থেকে একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন। চলুন আমরা নিজের একাউন্ট নিজে তৈরি করি। বিকাশ একাউন্ট সুরক্ষিত রাখি।

প্রথমে এখানে ক্লিক করে প্লেস্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ইনস্টল করুন। অ্যাপ ইনস্টলেশন সম্পন্ন হওয়ার পরে অ্যাপটি ওপেন করুন। অ্যাপে ঢুকলে “লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশন” নামের একটা বাটন দেখতে পাবেন। উক্ত বাটনের উপরে ক্লিক করলে “মোবাইল নাম্বার দিয়ে লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশন করুন” এমন একটা লেখা দেখবেন। এখানে নিচের খালি বাক্সটাতে আপনার মোবাইল নাম্বারটি বসান। যে নাম্বারে আপনি নতুন একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে চাইছেন উক্ত নাম্বারটি দিয়ে পরবর্তী লেখার উপরে ক্লিক করুন।

বিষয়গুলো সহজে বুঝার জন্য ধারাবাহিকভাবে যুক্ত ছবিতে দেওয়া নিয়ম দেখুন। আমাদের দেখানো নিয়মের সাথে আপনার কাজ করার নিয়ম ঠিক থাকলে, আপনি সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম প্লেস্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ইনস্টল করুন
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম প্লেস্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ইনস্টল করুন

এবার আপনি যে কোম্পানির সিম ব্যবহার করে রেজিষ্ট্রেশন করতে যাচ্ছেন। উক্ত কোম্পানির লোগোটি সিলেক্ট করুন। এরপর আপনার মোবাইলে একটা ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। উক্ত কোডটি দিয়ে আপনার মোবাইল নাম্বার ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করুন। পিনটি বসিয়ে কনফার্ম করুন লেখাতে ক্লিক করে এগিয়ে যান। পরবর্তী পাতায় গেলে বিকাশের নিয়ম ও শর্তাবলি দেখতে পাবেন। আপনার যথেষ্ট সময় থাকলে এগুলো পড়ে নিবেন। নিয়ম ও শর্তসমূহ পড়ে নিলে পরবর্তীতে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে আপনার আর সমস্যা হবে না। একদম নিচে দেখতে পাবেন “আমার সম্মতি আছে” এমন একটা লেখা। লেখাতে ক্লিক করলে আপনাকে নতুন বিকাশ একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে বলবে।

বিকাশের নিয়ম ও শর্তাবলি
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম বিকাশের নিয়ম ও শর্তাবলি

৩টি সহজ ধাপে নতুন বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তুলতে হবে। ছবি তোলার জন্য নিচে একটি লেখা দেখতে পাবেন ” NID এর ছবি তুলুন”। সুন্দর করে জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তুলে সাবমিট করুন। পরপর দুটি পাশের ছবি তুলতে হবে। NID কার্ডের সামনের অংশ ও পিছনের অংশ দুটির।

৩টি সহজ ধাপে নতুন বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম । ৩টি সহজ ধাপে নতুন বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন

সঠিকভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র সাবমিট করার পর দ্বিতীয় ধাপে NID এর সকল তথ্য দেখতে পাবেন। আপনার পরিচয় পত্রের সাথে যদি সব তথ্য ঠিক থাকে, তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার এনআইডি সফলভাবে সাবমিট হয়েছে। এরপর জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ছাড়া বাকি যে সকল তথ্য অপূর্ণ রয়েছে তা সঠিকভাবে পূরণ করুন। যেমন ব্যবসা, পেশা, মাসিক আয় ইত্যাদি। দ্বিতীয় ধাপটি সম্পন্ন করার পরে তৃতীয় ধাপে নিজের ছবি তুলতে হবে।

নিজের ছবি তুলতে আলো আছে এমন একটা জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে হবে। ছবিতে আপনার চোখ একটু একটু নড়াচড়া করতে হবে। যেন বুঝা যায় আপনি মানুষ। ছবি থেকে ছবি তুলতে চেষ্টা করবেন না। ছবি থেকে ছবি হবেনা। ছবিতে সরাসরি যার NID Card তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। সঠিকভাবে ছবি তোলার পরে তা নিশ্চিত করুন। ছবিটি সাবমিট করলে যদি ছবিটি গ্রহণ করে, তাহলে বুঝতে পারবেন আপনি সঠিকভাবে ছবি তুলেছেন। এরপর আপনাকে কিছু সময় কনফার্মেশন এসএমএস এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

ছবিতে সরাসরি যার NID Card তাকে উপস্থিত থাকতে হবে।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ছবিতে সরাসরি যার NID Card তাকে উপস্থিত থাকতে হবে।

কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়ার পরে পূনরায় অ্যাপে “লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করুন। লগ ইন করার পূর্বে একটা নতুন পিন সেট করার নিয়ম দেখতে পাবেন।

বিকাশে নতুন পিন সেট করার সময় লক্ষ্য রাখুন:

  • শূন্য দিয়ে পিন দিবেন না।
  • 12345 এভাবে পিন ব্যবহার করবেন না।
  • পূর্বে ব্যবহ্নত পিন পূনরায় ব্যবহার করবেন না।
  • 93524 এভাবে পিন সেট করুন।

এখন “লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করে কনফার্মেশন এসএমএস এর মাধ্যমে দেওয়া কোডটি বসিয়ে কনফার্ম করুন। কনফার্ম করার পরে আপনাকে নতুন পিন সেট করতে বলবে। ৫ সংখ্যার একটা শক্তিশালী পিন কোড সেট করুন। আপনার সেট করা গোপন পিন কোডটি কারো সাথে কখনো শেয়ার করবেন না। আপনার বিকাশ একাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এবার আপনার ইচ্ছে মতো টাকা লেনদেন করতে পারবেন। এবং বিকাশের অন্যান্য সকল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

৫ সংখ্যার একটা শক্তিশালী পিন কোড সেট করুন।
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম। ৫ সংখ্যার একটা শক্তিশালী পিন কোড সেট করুন।

বিকাশ লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে সাহায্য নিন:

আপনি যদি বিকাশের কোনো বিষয় সঠিকভাবে বুঝতে না পারেন, তাহলে বিকাশ লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে সাহায্য নিতে পারেন। একাউন্ট সংক্রান্ত, তথ্য পরিবর্তন, লেনদেন সংক্রান্ত যেকোনো সাহায্য বিকাশ লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে পাবেন। কোনো বিষয়ে যদি আপনার জটিলতা মনে হয়। উক্ত জটিলতা কিভাবে সমাধান করতে হবে তা জানার জন্য চ্যাটের সাহায্য নিন।

যেকোনো বিষয়ে নতুন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেককিছু অজানা থাকে। না জেনে অনেকসময় কাজ করতে গেলে বিকাশ একাউন্ট নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত সমস্যা হলে একাউন্ট লক করে দেওয়া হয়। যেন আপনাকে এরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। তার জন্য বিকাশ লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে সবকিছু বুঝে নিতে পারেন। লাইভ চ্যাট শুরু করার জন্য https://webchat.bkash.com/ লিঙ্কটি ব্যবহার করতে হবে। এটাতে ভিজিট করে পরবর্তী নির্দেশনা অনুসরণ করুন। তাহলে আপনি বিকাশ লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে সাহায্য নিতে পারবেন।

লাইভ চ্যাটের বিকল্প:

লাইভ চ্যাট ব্যবহার করতে যদি ঝামেলা মনে হয়, তাহলে আপনি লাইভ চ্যাটের বিকল্প হিসেবে ফেসবুক চ্যাট ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সমস্যার কথা ফেসবুকে মেসেজ করে পাঠাতে হবে। কমন বিষয়ে সাহায্য নিতে চাইলে ফেসবুকে মেসেজ করে বটের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান পেতে পারেন। বিকাশ ফেসবুক ঠিকানা: https://www.facebook.com/bkashlimited

বিকাশ হেল্পলাইন এর ব্যবহার | বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনেকসময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে দ্রুত সাহায্যের প্রয়োজন হয়। আবার অনেকেই আছেন যারা লাইভ চ্যাট ব্যবহার করতে জানেন না। যাদের দ্রুত কোনো হেল্প নেওয়ার প্রয়োজন হয় ও লাইভ চ্যাট ব্যবহার করতে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে বিকাশ হেল্পলাইন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে সমস্যার কথা জানাতে হবে।

অনেকক্ষেত্রে আপনার একাউন্টের নিরাপত্তার জন্য কিছু তথ্য আপনার কাছ থেকে জানতে চাইতে পারে। তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিয়ে আপনাকে সাহায্য গ্রহণ করতে হবে। 16247 হলো বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বার। এটাতে কল করে ২৪ ঘন্টা সাহায্য গ্রহণ করা যায়।

ইমেইল দিয়ে সাহায্য নিন:

অনেক সময় বিশেষ কোনো বিষয়ে অভিযোগ বা সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যান্য সাপোর্ট ব্যবহার না করতে চাইলে ইমেইল সাপোর্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। বিকাশ সাপোর্ট ই-মেইল:  support@bkash.com

বিকাশ কুইজ খেলে পুরস্কার জিতুন:

বিকাশ তাদের সার্ভিস ইউজারদের কাছে জনপ্রিয় করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। ঠিক একইভাবে বিকাশ কুইজ হচ্ছে জনপ্রিয় উদ্যোগ। এটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ক্যাশ রিওয়ার্ড জিততে পারে। কুইজে অংশ গ্রহণ করে আপনাকে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। অন্যদের থেকে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনি জিতে নিতে পারবেন হাজার হাজার নগদ টাকা।

মাঝে মাঝে বিকাশ কুইজ কে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য আকর্ষনীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। বিকাশ কুইজ সম্পর্কে সবসময় আপডেট জানার জন্য আপনাকে বিকাশ অ্যাপটা নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। অ্যাপের মধ্যে বিস্তারিত জানানো হয়।

অফার মানে হচ্ছে বিকাশ অফার –

সাড়াজাগানো অনেকগুলো অফার দিয়ে থাকেন বিকাশ। বিশেষ করে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে এরা আকর্ষনীয় অফার দিয়ে থাকেন। পেমেন্ট করার সাথে সাথে ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক অফার সবচেয়ে জনপ্রিয়। নির্দিষ্টি কিছু অনলাইন শপিংমলে সবসময় বিকাশের অফার চলতে থাকে।

শপিংমল ও অনলাইন পেমেন্ট অফার ছাড়াও বিকাশ আরো একাধিক অফার দিয়ে থাকেন। এরমধ্যে বিল পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি জনপ্রিয়।

বিকাশ একাউন্ট | বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী বিকাশের বিভিন্ন প্রকার একাউন্ট রয়েছে। যেমন পার্সোনাল একাউন্ট, এজেন্ট একাউন্ট, মার্সেন্ট একাউন্ট। প্রতিটি একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। পার্সোনাল একাউন্ট সকল পাবলিকদের জন্য ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে অন্য কোনো শর্ত ছাড়া প্রত্যেকে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট তৈরি করতে পারে। তবে একজন ব্যক্তি একটির বেশি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে পারবে না।

এজেন্ট একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য মেনে নিতে হবে। এটা যেহেতু বিজনেস একাউন্ট। তাই এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে অনেকগুলো তথ্য জমা দিতে হয়। অনেকগুলো তথ্য জমা দেওয়ার পাশাপাশি জামানত হিসেবে কিছু টাকা জমা দিতে হবে। যদি আপনি বিকাশের মাধ্যমে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে এই একাউন্টটি আপনার প্রয়োজন হবে। অন্যতায় এটার কোনো প্রয়োজন নেই।

মার্সেন্ট হচ্ছে যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন তাদের জন্য। অনেকগুলো দোকান ও শপিংমলে পেমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য মার্সেন্ট ব্যবহার করা হয়। এটার মাধ্যমে সহজে পেমেন্ট সংগ্রহ করা যায়।

বিকাশ সার্ভিস সেন্টার

এজেন্ট ও মার্সেন্ট একাউন্ট করার জন্য আপনাকে সরাসরি বিকাশ সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করতে হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বিকাশ সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। আপনার যেকোনো পয়েন্টে গিয়ে যোগাযোগ করে এজেন্ট ও মার্সেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে জানতে পারেন। অনেকসময় জটিল সমস্যা হলে পার্সোনাল একাউন্টের জন্য সরাসরি বিকাশ সার্ভিস সেন্টারে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। লিখিত অভিযোগ পাঠানোর ঠিকানা: বিকাশ লিমিটেড, রাওয়া কমপ্লেক্স (লেভেল-৬), ভিআইপি রোড, মহাখালী, ঢাকা-১২০৬

বিকাশ কোড :

সাপোর্ট ও সেবা গ্রহণ করার জন্য বিকাশের ২টি ডায়াল কোড রয়েছে। বিকাশ সেবা ব্যবহার করার জন্য *247# ডায়াল করতে হবে। যদি সাপোর্ট প্রয়োজন হয় এক্ষেত্রে 16247 ডায়াল করতে হবে।

বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ

ক্যাশ আউট চার্জের ক্ষেত্রে বিকাশ তেমন কোনো অফার দেন না। সাধারণত ক্যাশ আউট চার্জ ১৮.৮৫ পয়সার বেশি কাটা হয়। নতুন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য অ্যাপ দিয়ে ক্যাশ আউট চার্জ প্রথম দিকে ১৫ টাকা রাখা হয়েছিল। তবে এখন সেই অফার আর নেই। এখন বিকাশ অ্যাপ দিয়ে লেনদেন করলে ক্যাশ আউট চার্জ কিছুটা কম টাকা হয়।

সেন্ট মানি করলে ৫ টাকা চার্জ করা হয়। বর্তমানে নতুন একটা সেন্ট মানি অফার চলছে। এক্ষেত্রে ৫টি প্রিয় নাম্বারে সেন্ট মানি করলে কোনো চার্জ কাটা হবেনা। ৫টি প্রিয় নাম্বারে সেন্ট মানি একদম ফ্রি!

বিকাশ এজেন্ট | বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

এজেন্ট বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে অনেককিছু আলোচনা করেছি। আপনি যদি বিকাশের সাথে ব্যবসা করতে চান, তাহলে বিকাশ এজেন্ট সেবা গ্রহণ করতে হবে। বিকাশ এজেন্ট সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানান। আমরা পরবর্তী আরেকটা পোস্ট করে এবিষয়ে সকল তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বর্তমানে বিকাশ থেকে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টেও টাকা পাঠানো যায়। তবে বিকাশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো একদম সহজ। *247# ডায়াল করে মেনু থেকে পছন্দের অপশন সিলেক্ট করে টাকা লেনদেন করা যায়। আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার জন্য বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম আরও সহজ হয়ে গেছে। সহজে লেনদেন করার জন্য বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করুন।

কিভাবে বিকাশে টাকা পাঠানোর যায়? এবিষয়ে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনাদের প্রয়োজন হলে আমরা পোস্টটি আপডেট করে টাকা পাঠানোর নিয়ম যুক্ত করে দেব। যেন আপনারা প্রাকটিকাল পদ্ধতি দেখতে পারেন। কিভাবে বিকাশে টাকা পাঠানোর যায় তা।

বিকাশ একাউন্ট চেক

মোবাইল থেকে কোড ডায়াল করে একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে *২৪৭# ডায়াল করতে হবে। এরপর মেনু থেকে ৮ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর পুনরায় ১ সিলেক্ট করে তারপর আপনার গোপন পিন দিতে হবে। এভাবে মোবাইল থেকে কোড ডায়াল করে একাউন্ট চেক করা যায়।

যদি আপনি অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলে কোনো ঝামেলা ছাড়া ব্যালেন্স যাচাই করতে পারবেন। অ্যাপে ট্যাব করে সহজে আপনার ব্যালেন্স চেক করুন।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম

দুটি পদ্ধতিতে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন। প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে আপনাকে সরাসরি NID নিয়ে বিকাশ অফিসে যেতে হবে। কাস্টমার কেয়ার বা অফিসে গিয়ে বলতে হবে আপনার বিকাশ একাউন্টের প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার একাউন্টটি ডিলিট করতে চান। তাহলে ওরা আপনার একাউন্টটি ডিলিট করে দিবে। মনে রাখবেন, যে একাউন্টটি ডিলিট করবেন। সেই বিকাশ যার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে করা তাকেও সাথে যেতে হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স শূন্য করে ডিলিট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যেকোনো বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে অথবা সাপোর্টে যোগাযোগ করে ডিলেট করতে হবে। এক্ষেত্রে টাকা শূন্য করে যোগাযোগ করলে চিরতরে ডিলিট করে দিবে।

এখানে আমরা চেষ্টা করেছি বিকাশ সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরার জন্য। যদি এরপরেও আপনাদের আরও কোনো বিষয়ে প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাদের কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত তথ্যসহ উত্তর দিয়ে সাহায্য করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *