1 min read

শূণ্য থেকে শুরু করুন অনলাইন ক্যারিয়ার- Bdbloq.com

যারা অনলাইনে ইনকাম করার টিউটোরিয়াল শেয়ার করেন, তাদের জীবনে বহুবার এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয়েছে যে, কোন কাজটি শিখলে সহজে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবো? আজ বলবো শূণ্য থেকে শুরু করুন অনলাইন ক্যারিয়ার।

অনেকে অনেক সময় ইনবক্সে নক দিয়ে, কল দিয়ে, মেসেজ দিয়ে বলেন যে, আমার কোনো আইডিয়া নেই, আমি একদম  শুরু থেকে কোন কাজটি করলে তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবো?

অনেকে আছেন,  আমার তো ভালো মোবাইল নেই, ল্যাপটপ নেই আমি কোন কাজটি শিখলে তাড়াতাড়ি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবো। নিচের যে কোনো একটি শুরু করে দিন।

১। সুর চর্চা:

সুর চর্চা মানে আমি আপনাকে গান করা জন্য বলছি না। সুর চর্চা মানে যে গান করবেন এমন না।

বিভিন্ন সুরে কথা বলবেন। কিভাবে বলবেন বুঝতে পারবেন নিচে একটু পড়ুন।

আচ্ছা আপনি যে কত জনের কণ্ঠে কথা বলতে পারেন লক্ষ্য করছেন? হয় তো করেন নি। আচ্ছা বলছি।

আপনি বন্ধুর সাথে স্বাভাবিক কথা বলেন আর যখন ঝগড়ার  সময় কথা বলেন। তখন আপনার ভয়েস সমান থাকে না।

আপনি আপনার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সাথে কথা বলেন, আর যখন সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন।  এই দুটোর মধ্যে আপনি ভিন্নতা খুঁজে পাবেন।

আপনি আপনার কলিগের সাথে কথা বলেন আর আপনার জীবনে নতুন আসা কোনো মনের অতিথির সাথে কথা বলেন। ২ টা ভয়েস এক হয় না।

আপনি বা আমরা কতবার বন্ধুের সাথে ঝগড়ায় জেতার জন্য,  বন্ধু রাগ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইচ্ছে করে নিজের স্বরকে কত রকম পরিবর্তন করেছেন বলা যাবে? হয় তো না।

এই যে,  এটা আপনার একটা অভিজ্ঞতা।  আপনি চাইলে এই অভিজ্ঞতাকে আরো একটু চর্চা করে কাজে লাগাতে পারেন।

আপনি আপনার এই স্বরকে আরো চর্চা করে, একটি শিল্পে রূপ দিতে পারেন। এটা আপনি বিভিন্ন কাটুন ক্রিয়েটর কোম্পানিগুলোতে সেল করতে পারেন।

আপনি চাইলে অনলাইনে দেশে বিদেশে বিভিন্ন স্টুডিও তে সুর দিতে পারেন। এখানে দেখবেন খুব কম প্রতিযোগিতা।

২। ফটোগ্রাফার :

এই জীবন কতটা সেলফি তুলছেন তা গুনে বলতে পারবেন? মনে হয় না পারবেন? কতজনকে ছবি তুলে দিয়েছেন এটা হিসেব করে বলতে পারবেন?  তাও মনে হয় পারবেন না।

নিজের মোবাইল দিয়ে তো কত ছবি তুলছেন সেটা বলার উপায় নেই। বন্ধুর হাতে যখন নতুন মোবাইল দেখেন।

বন্ধুর হাত থেকে নিয়ে সবার আগে একটা সেলফি তুলে নেন। কয়েক দিকে মুখ আর মোড নিয়ে ডজন খানেক ছবি তুলে নেন।

বন্ধুদের ছবি তুলে দিছেন। এভাবে কত বন্ধুদের ছবি তুলে দিছেন মনে করতে পারবেন?

এই যে এটা আপনার ফটোগ্রাফার এর প্রথম অভিজ্ঞতা।  আপনি এই অভিজ্ঞতাকে আরো একটু শানিত করুন। ভালো ফটোগ্রাফার হয়ে সহজে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি আপনার গ্রামের চারপাশে ঘুরে ঘুরে প্রকৃতির ছবি তোলেন। সেগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে মূল্য দিয়ে বিক্রি করুন।

প্রথম দিকে আশাতীত সাড়া পাবেন না এরা ঠিক।  কিন্তু একটা সময় দেখবেন ১ এটা ছবি বিক্রি আপনি করছেন কয়েকশত ডলার দিয়ে।

আপনি অনলাইনে ছবি বাই সেল করে এরকম ওয়েবসাইট খুঁজে নিন।

৩। লিখালিখি :

মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমার কিছু প্রশ্ন আছে তাদের জন্য,  যারা বলেন, আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, আমি কিছুই পারি না।

আপনাদের বলি,  আপনি তো কম হলেও এইচএসসি তে পড়ছেন। থ্রি থেকে ইংরেজি তে প্যারাগ্রাফ লিখে আসতেছেন, কোনো ক্লাসে বাদ পড়েনি। ইংরেজিতে কয়েক পেইজ কম্পোজিশন লিখে আসছেন।

এবার বলুন তখন কি সব মুখস্থ করে লিখছেন?  অবশ্যই না।

আপনি নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে লিখেছেন।  মানে আপনি লিখতে পারেন। লিখালিখিতে আপনার হাত আছে।

ঐ হাতকে আর একটু শানিত করে নিলেই তো হয়। লিখালিখি শুরু করে দিন।

লিখালিখি করে আয় করতে আপনার খুব বেশি সময় লাগবে না। আপনি একটু মনোযোগী হলেই হয়।

এবার আসুন লিখার পর কি করবেন?

লিখাগুলো বিক্রি করবেন। আপনি যে লিখাটি পড়ছেন bdbloq.com -এ। এখানেও আপনি চাইলে আপনার বাংলা লিখা বিক্রি করতে পারবেন।

আপনি যদি ইংরেজিতে লিখেন, ইসলামিক যে কোনো বিষয়ের লিখা আপনি এখানে বিক্রি করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি অর্ডিনারী আইটি তে লিখতে পারেন। যদি সেখানেও ভালো না লাগে, আপনি ফেসবুকে সার্চ দিন, অনেকগুলো গ্রুপ পেয়ে যাবেন লিখা ক্রয় বিক্রয় নিয়ে।

সেখানে যুক্ত হোন, পরিচয় হোন। ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন।

অবশ্যই লিখার মানের দিকে নজর রাখতে হবে। আমার মত লিখলে হবে না। এমনভাবে লিখতে হবে যেন পাঠক ধরে রাখা যায়।

৪। ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি :

পারিবারিক অনুষ্ঠান,  বন্ধুর জন্মদিন, স্কুল-কলেজের কোনো অনুষ্ঠান, কোথাও কোনো নতুন জায়গায় বেড়াতে গেলে, অথবা কোনো বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় নিজের অথবা অন্য কারো সাথে নিজে বা আশাপাশের সেরা মুহূর্তটা ভিডিও করে রাখেন।

এটা আপনার একটা অভিজ্ঞতা।  এটাকে প্রফেশনাল রূপ দিতে সময় বেশি লাগবে না।

এটাকে কাজে লাগিয়ে সহজে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

এবার আসুন ভিডিওগুলো কোথায় বিক্রি করবো?

এগুলো কোথায় বিক্রি করবেন এটা একটু সার্চ করুন গুগলে। আপনার সামনে কয়েক লাখ রেজাল্ট পেইজ নিয়ে হাজির হবে গুগল।

নিজের করা ভিডিও বিক্রি করতে না চাইলে, নিজের একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপলোড করুন।

আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলুন। মোবাইল দিয়েই ভিডিও এডিট করুন, অপটিমাইজ করুন।

কারো সাহায্য আপনার দরকার নেই। আপনি নিজেই নিজের জন্য বস।

৫।  Bdbloq এ কাজ করে:

যদি আপনি মানতে চান না যে, আপনার অভিজ্ঞতা আছে সেটা। যদি আপনি এখন থেকে আয় করতে চান। আজকেই আয় করতে চান। 

যদি কোনো সময় আপনার হাতে না থাকে, তাহলে বলবো আপনি bdbloq এ কাজ করুন।

এখানে একটি প্রোফাইল খোলে আপনি প্রশ্ন করে, অন্যের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পয়েন্ট অর্জন করবেন।

১ হাজার পয়েন্ট হলে আপনি আপনার নির্ধারিত ফি বিকাশ অথবা যে কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে নিতে পারবেন।

আপনার কোনো অভিজ্ঞতা নেই এটা যদি তারপরেও বলেন, তাহলে বলবো আজ থেকেই বিষয়গুলো যে কোনো একটি  চর্চা করুন। শণ্য থেকে শুরু করুন অনলাইন ইনকাম।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *