আজকের লেখাটি আপনার জীবন পাল্টে দিতে পারে যদি আপনি চান। রিসেলার ব্যবসা এর পরিচয় ও এই ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে পারেন, তার সম্পূর্ণ গাইডলাইন আজকের লেখাটি পড়লে জানতে পারবেন। বাংলাদেশের মধ্যে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইনে কিছু বিজনেস করে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে।
একটা অনলাইনে বিজনেস শুরু করতে হলে, অনলাইনে বিক্রি করার জন্য যে পণ্যগুলোর প্রয়োজন হয়। সে পণ্যগুলোর জন্য বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। অন্ততপক্ষে যদি আমি টি-শার্ট ব্যাবসা করি, তাহলে আমাকে মিনিমাম টি-শার্টের জন্য চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা হলেও বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই হচ্ছে ব্যবসার নিয়ম। কিন্তু আমাদের ছাত্র ছাত্রীরা জানেনা যে কোন রকম বিনিয়োগ না করেও মূলত অনলাইনে বিজনেস করা যায়।
লেখাটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এখানে আমরা আপনাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি পদ্ধতি নিয়ে এসেছি। যে পদ্ধতির মাধ্যমে একজন ছাত্র ছাত্রী কোনরকম বিনিয়োগ না করে অনলাইনে তাদের পছন্দের পণ্য বিক্রয় করতে পারবে। এবং এর জন্য কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হবে না। এতে ডেলিভারির কোন সমস্যা তৈরি হবে না।
এ ব্যবসার মূল বিনিয়োগ হচ্ছে সময়। একজন ছাত্র ছাত্রী যখন তাদের অবসর সময়টা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিক্রয় করার চেষ্টা করবে এবং এখান থেকে যখন কোনো বিক্রয় জেনারেট করতে পারবে বা কোন ক্রেতার সংগ্রহ করতে পারবেন। তখন উক্ত ক্রেতার ডেলিভারি ক্তথ্যগুলো তৃতীয় পক্ষ কোম্পানিকে ট্রানস্ফার করতে হবে।
উক্ত কোম্পানি ক্রেতার পছন্দের পণ্যটি ডেলিভারি করবে এবং ডেলিভারি করার পর টাকা সংগ্রহ করে। পণ্য ডেলিভারি সফল হওয়ার পর লাভের অংশ থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ভাগ করে দিবেন। অর্থাৎ অর্থাৎ একজন ছাত্র ছাত্রী যতগুলো ক্রেতা সংগ্রহ করতে পারবেন ততগুলো খেলা থেকে প্রফিটের একটি নির্দিষ্ট অংশ পেয়ে যাবেন।
রিসেলার ব্যবসা এর পরিচয়:
বাংলাদেশের মধ্যে রিসেলিং ব্যবসা খুবই কম পরিচিত। কেননা, বাংলাদেশ পূর্বে রিসেলিং ব্যবসার সুবিধা খুব কম ছিল। বর্তমানে অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে যারা আস্তে আস্তে রিসেলিং ব্যবসার সুবিধা চালু করতে শুরু করেছে।
সুতরাং রিসেলিং ব্যবসা শুরু করার আগে আমাদের এই ব্যবসাটি সংজ্ঞা বা পরিচিতি জানা খুবই প্রয়োজন। আমরা এখানে এই ব্যবসার সাধারণ সংজ্ঞা তুলে ধরব। যেন যে কেউ বুঝতে পারে। মূলত, রিসেলিং বিজনেস কাকে বলে? বা রিসেলিং ব্যবসা কাকে বলে? যদি শব্দটাকে ইংরেজি এবং বাংলায় একটু ভেঙ্গে লিখি, তাহলে আপনাদের বুঝতে একদম কষ্ট হবেনা।
Reseller শব্দটাকে আমি বাংলায় “রিসেলার” লিখেছি। বাংলায় লেখার কারণে অনেকে হয়তো বুঝতে পারেননি। এখানে ”Re” মানে হচ্ছে পূনরায় / আবার এবং ”Seller” মানে হচ্ছে বিক্রেতা। তাহলে একসাথে বললে হয় “পূনরায় বিক্রেতা”।
পূনরায় বিক্রেতা কাকে বলে?
যখন কোন পণ্য কারো কাছ থেকে ক্রয় করে তা পূনরায় বিক্রি করা হয়, তাকে পূনরায় বিক্রি বলে এবং যিনি বিক্রি করেন, তাকে পূনরায় বিক্রেতা বলে। আশাকরি, আপনাকে রিসেলারের পরিচয়টা দিতে পেরেছি। যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট বাক্স তো আছেই।
রিসেলার হিসেবে কিভাবে কাজ করা যায়?
এই ব্যবসাটাস পরিচয় জেনে গেলেন। এখন যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা এই ব্যবসাটি করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য একটি গাইডলাইন আমরা এখানে শেয়ার করব। যেন তারা সহজে এটি শুরু করতে পারেন এবং কিভাবে শুরু করবে তার পরিপূর্ণ একটি গাইডলাইন এখান থেকে পেয়ে যান।
রিসেলার ব্যবসা এর প্রকারভেদ:
এরিসেলার ব্যবসা মূলত দুই প্রকার হতে পারে। যেমন:
- এনালগ বিক্রেতা (অফলাইন রিসেলার ব্যবসা)
- ডিজিটাল বিক্রেতা (অনলাইন রিসেলার ব্যবসা)।
আজকে আমি অ্যানালগ এবং ডিজিটাল দুটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। কিন্তু আমার আলোচনার মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। কারণ অনলাইনে যারা বিজনেস করতে চান, তাদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী।
যারা অবসর টাইমটা কে কাজে লাগাতে চান। যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীরাই রিসেলিং এর ব্যবসা করতে আগ্রহী। সুতরাং তাদের জন্য সবচেয়ে মানানসই হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি। যেটা একটা ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ তৈরি করে শুরু করা যায়।
কিভাবে একজন ডিজিটাল রিসেলার হবেন?
এটি খুবই সহজ উত্তর। আপনার যদি অনলাইন ও ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকে, তাহলে আপনি একজন “Reseller” হিসেবে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কেউ কোনকিছু পৃথিবীতে শিখে আসে না। সুতরাং আপনি যদি কিছু না জানেন, তাহলে ব্যবসা শুরু করে কাজ করার মাধ্যমে সবকিছু জানতে ও শিখতে পারেন।
যদি আপনি এর আগে এ বিষয়ে না জেনে থাকেন, তাহলে নিচের ভিডিওটি ভালো করে দেখে ফেলুন। আমরা সহজে বোঝানোর জন্য এখানে ভিডিও গাইড যুক্ত করে দিয়েছি। কিভাবে কি করতে হবে এ টু জেড পরিপূর্ণ গাইড পাবেন।
এখানে আমরা কয়েকটি ভিডিও সিডিউল অনুযায়ী যুক্ত করবো। যেগুলো আপনাদের অনেক বেশী সাহায্য করবে এই ব্যবসা সম্পর্কে বুঝাতে এবং এটি কিভাবে শুরু করবেন তার পরিপূর্ণ গাইড দিতে।
কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে রিসেলার ব্যবসা করতে?
আপনার যদি একটা স্মার্টফোন থাকে, তাহলে আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন। ফেসবুক নিশ্চয় চিনেন। ফেসবুক সম্পর্কে যদি আপনি এখনও না জেনে থাকেন, তাহলে আপনি দ্রুত “উগান্ডা” চলে যান। আপনার বাংলাদেশে থাকার প্রয়োজন নেই। একটু মজা নিলাম!😝 একটি সুন্দর ব্রান্ড নাম দিয়ে একটা ফেসবুক পেইজ তৈরি করে আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে একজন রিসেলার হিসেবে বিজনেস শুরু করতে পারেন। তবে সফলভাবে বিজনেস করতে চাইলে একটা ভালো মানের ওয়েবসাইট অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
আপনি একজন রিসেলার হিসেবে বিজনেস করলেও আপনার ক্রেতারা জানতে পারবেনা আপনি যে একজন রিসেলার। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে মজার বিষয়। আপনি যখন অনলাইনে ব্যবসা করবেন আপনার বন্ধু-বান্ধব সবাই জানবে আপনি একটা কোম্পানির মালিক হয়ে গেছেন। তার মানে আপনার অনলাইনে একটি ব্যবসা রয়েছে বা একটি অনলাইন শপ রয়েছে।
এখানে শুধুমাত্র আপনি যে কোম্পানির হয়ে রিসেলিং করবেন তার সাথে আর আপনার ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক রাখবেন। মাঝখানে আপনি এই বিজনেসটা করবেন। কিন্তু আপনার ক্রেতারা সব সময় আপনাকে চিনবে। তারা আপনার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করবে এবং পণ্যের মালিক হিসেবে আপনাকেই চিনবে।
কেন একটা ওয়েবসাইট প্রয়োজন?
ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে আপনি ব্যবসা করতে গেলে ক্রেতা পেয়েও হারাতে পারেন। বর্তমানে ৮০% ক্রেতা শুধুমাত্র ফেসবুক পেইজে বিশ্বাস করেনা। ৮০% ক্রেতা পণ্য অর্ডার করার আগে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে কিনা তা যাচাই করে।
কেননা, অনলানে একটি ওয়েবসাইট আপনার সম্পূর্ণ পরিচয় বহন করে। কারণ, ক্রেতা আপনাকে দেখছে না। এবং আপনি ক্রেতাকেও দেখছেন না। এজন্য ক্রেতাদের বিশ্বাস অর্জন করতে একটা ওয়েবসাইট আপনাকে করতেই হবে। আরও অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে।
ওয়েবসাইট দিয়ে অনলাইন বিজনেস শুরু করলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হচ্ছে। ওয়েবসাইটে ক্রেতা খুব সহজে রেজিষ্ট্রেশন করার মাধ্যমে পণ্য অর্ডার করতে পারেন। কিন্তু অন্যান্য মাধ্যম যেমন: ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে পণ্য অর্ডার করতে অনেক ঝামেলা রয়েছে। যেমন: ডেলিভারি তথ্য, পেমেন্ট সমস্যা ইত্যাদি।
কেন ওয়েবসাইট ভালো মানের হতে হবে?
যখন আপনি মার্কেটের বাহির দোকান থেকে একটি টি-শার্ট ক্রয় করেন, তখন আপনি চিন্তা করেন এটা ২০০ টাকা হতে পারে।অথচ টি-শার্টটির দাম আরও অনেক বেশিও হতে পারে। কিন্তু যখন একই টি-শার্টটি একটা শপিংমল থেকে ক্রয় করতে যান, তখন তারা ২০০ টাকার টি-শার্ট ৫০০ টাকা বললেও আপনি বিশ্বাস করেন বা মানতে রাজি হয়ে যান। ঠিক একইভাবে একটা ভালো মানের ওয়েবসাইটও আপনার পণ্যের দাম ও মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
এজন্য একটা প্রফেশনাল ডিজাইন করা ই-কমার্স ওয়েবসাইট করা প্রয়োজন। তবে ওয়েবসাইটের লোডিং যেন খুব দ্রুত হয়। আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং গতি বৃদ্ধি করতে একটা উন্নতমানের ভালো হোস্টিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। এক্ষেত্রে আপনি “Namecheap” “HostGator” বা “BlueHost” থেকে ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কম হলে অধিকাংশ ক্রেতারা ওয়েবসাইট ভিজিট না করে ফিরে চলে আসেন। এজন্য আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড অবশ্যই ভালো রাখা প্রয়োজন। কেননা যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য ক্রয় করতে যাবেন, তখন তিনি যেন সহজে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
কোন কোম্পানির সাথে রিসেলার ব্যবসা করবেন?
চাইলে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে রিসেলিং পার্টনার হিসেবে চুক্তি করে বিজনেস করতে পারেন। তবে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত রিসেলিং ব্যবসার সুযোগ দেওয়া কোম্পানি হচ্ছে “ShopUp”। শপ-আপের মাধ্যমে আপনি ২ মিনিটে রেজিষ্ট্রেশন করে হয়ে যেতে পারেন একজন রিসেলার ব্যবসা এর মালিক বা একজন নতুন উদ্যোক্তা। এখানে রেজিস্ট্রেশন করা খুবই সহজ। আপনার যদি একটা কম্পিউটার থাকে তাহলে অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ করতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
আপনার যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে, তাহলেও কোন সমস্যা নেই। বর্ধমানের স্মার্টফোনগুলোর খুবই ভালো হয়ে থাকে।আপনার যদি একটা ভালো স্মার্টফোন থাকে তাহলে আপনি সেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট ম্যানেজ করতে পারবেন। অথবা একটি ফেসবুক পেজ খুলে সে পেজটির মাধ্যমে আপনি পূর্ণ সেল করতে পারবেন।
যেহেতু অধিকাংশ ক্রেতারা শুধুমাত্র ফেসবুক পেজের উপরে নির্ভরশীল নয় এজন্য আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছি। তবে আপনি যদি বিক্রয় করতে পারেন তাহলে ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমেও আপনি এই বিজনেস শুরু করতে পারবেন।
শপ-আপ রিসেলার ব্যবসা এর সুবিধা:
- লক্ষ লক্ষ প্রোডাক্টের মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট বাঁচাই করতে পারবেন
- বিজনেস শুরু করার আগে কোন টাকা পরিশোধ করতে হয়না
- পাইকারী দামে সকল পণ্য পাবেন
- আপনার ইচ্ছে মতো নতুন মূল্য দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন
- ক্যাশ-অন ডেলিভারি সুবিধা রয়েছে
- আপনাকে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে না
- আপনার ক্রেতার কাছে শপ-আপ পণ্য পৌঁছে দিয়ে টাকা গ্রহণ করবে
- শপ-আপ ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনার প্রফিটের অংশ আপনাকে প্রদান করবে
- পণ্যের ছবি ও বিবরণ শপ-আপ লিখে দিবে, আপনাকে কষ্ট করে পণ্যের বিবরণ লিখতে হবেনা
- আরও অনেক সুবিধা রয়েছে যা আপনি ব্যবসা শুরু করলে জানতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি ও রিসেলার নিয়ম বুঝতে সমস্যা হচ্ছে?
অনেকেই নিজে নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না। তাদের অন্য কারো সাহায্য নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে না পারেন তাহলে আমরা আপনার জন্য একটি সুবিধা রেখেছি যেন আপনি আমাদের মাধ্যমে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
সাধারণত একটি রিসেলার বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে 4 থেকে 10 হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হতে পারে। একটা ওয়েবসাইট এর খরচ আপনার চাহিদার উপর। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে প্রফেশনাল ও শক্তিশালী করতে চান, তাহলে আপনার বেশি টাকা খরচ করতে হবে। আমরা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটা প্রফেশনাল ওয়েবসাইট 5 থেকে 6 হাজার টাকার মধ্যে করে দেওয়ার চেষ্টা করি।
মনে রাখবেন, আমরা পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে কমপ্লিট সেটাপ দিয়ে থাকি। আপনার যদি ওয়েবসাইট তৈরি করার দক্ষতা না থাকে। অথবা আপনার পরিচিত কোন ওয়েব ডেভলপার না থাকে। তাহলে আপনি আমাদের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নিতে পারবেন। যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে আপনার পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
আমাদের দেওয়া সুবিধাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরীর রিসোর্স পাচ্ছেন না। তবে কেউ 1999 টাকার অফার। বা 2000 টাকায় পরিপূর্ণ একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট করার অফার। এই গুলো গ্রহন করবেন না। এ ধরনের ওয়েবসাইট গুলো নিয়ে আপনারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না। এবং এগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।
কিভাবে শপআপ রিসেলার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া জানা নেই। অথবা রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্পন্ন নতুনদের জন্য আমরা এখানে একটি ভিডিও গাইড যুক্ত করেছি। নিচের ভিডিওটি ভালোভাবে দেখুন এবং ভিডিওটি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে একজন শপআপ রিসেলার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
কিভাবে রিসেলার ব্যবসা শুরু করবেন?
আপনি যদি ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন, তাহলে কাজ শুরু করার জন্য নিচের ভিডিওটি ভালোভাবে দেখুন। এই ভিডিওতে কিভাবে একটি প্রোডাক্ট কফি করতে হয়? এবং কিভাবে একটি পণ্য আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করবেন? পরিপূর্ণ একটা গাইড আমরা শেয়ার করতে চেষ্টা করেছি।
আশাকরি, এই ভিডিওটি দেখলে আপনি আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে পারবেন। এখানে হয়তো কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। কিন্তু আপনি একই কাজ গুলো আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন। আপনাকে একটু ক্রিয়েটিভ হতে হবে। আমি জানি, আমাদের বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা অবশ্যই ক্রিয়েটিভ এবং বুদ্ধিমান।
আজকের এই ভিডিওটি শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়। আপনি যদি একজন বেকার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এটি পারফেক্ট একটা বিজনেস। এমনকি আপনি যদি চাকরি করে তারা কেন, তাহলেও অবসর টাইমে আপনি একজন শপআপ রিসেলার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
কিভাবে আপনার উপার্জিত টাকা সংগ্রহ করবেন?
একজন রিসেলারহিসেবে আপনি যদি কোনো পণ্য বিক্রয় করে থাকেন, তাহলে উক্ত পণ্যের যে পরিমাণ প্রফিট আপনি পাবেন। তার পুরো অংশ আপনাকে বিকাশ অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। আপনার রিসেলার অ্যাপটিতে যখন আপনি লগইন করবেন, তখন আপনি কিভাবে টাকা বিকাশের মাধ্যমে অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হয়? তা সহজে বুঝে যাবেন। এখান থেকে টাকা উত্তোলন করার প্রক্রিয়াটি অনেকটা বিকাশ রকেট ডাচ বাংলা মোবাইল অ্যাপ এর মত।
সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতক্ষণ পর্যন্ত থাকার জন্য। আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। আপনাদের কমেন্ট আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে যদি আপনাদের কোন অজানা প্রশ্ন থাকে সেটি আমাদের করতে পারেন।
Dear,
আমি রিসেলার হিসেবে ফেসবুক বিজনেস পেজ প্রমোটের মাধ্যমে সপআপের পন্য সেল করতে চাই। কোন সমস্যা হবে কি ? পরে ই-কমার্স সাইটে যাব। মতামত চাই।
সমস্যা হবে না। আপনি ফেসবুক পেজ প্রমোট এর মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে শপআপ রিসেলার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন চালু করার জন্য শপআপ নিজে আপনাকে সাহায্য করবে যদি আপনি সাহায্য চান।