বাংলাদেশের জন্য ১০টি মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া
মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে “bdbloq” এর আজকের আলোচনা। ব্যবসা ছোট হোক বা বড়। এটি সবার কাছে সম্মানের হয়ে থাকে। চাকরি করে কখনও আপনি অন্যের জন্য কিছু করতে পারবেন না। দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ব্যবসা করতে হবে। বিজনেস হচ্ছে মানুষের কর্মের মধ্যে সর্বোত্তম পেশা।
জীবনে কিভাবে সংগ্রাম করতে হয়? এবং
কিভাবে সুখী জীবন গড়তে হয়?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা করতে হবে। চাকরি করলে আপনি নিজের জন্য চিন্তা করতে পারবেন। কিন্তু ব্যবসা করলে আপনাকে দেশ ও মানুষের জন্য চিন্তা করতে হবে। আর এটাই হচ্ছে মূলত বিজনেস করার মজা।
আমরা প্রাথমিক আলোচনা আর বৃদ্ধি করতে চাই না। এবার আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাবো।
১০টি মাঝারি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো –
আশাকরি, এই দশটি মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া আপনাদের উদ্যোক্তা হওয়ার পদ বাঁচাই করে নিতে সাহায্য করবে। আমরা বিডি ব্লগের মাধ্যমে এমন কিছু বিজনেস আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করতে থাকি। যা আমাদের পাঠকদের জন্য শুরু করা খুব সহজ হয়। মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া ছাড়াও আমরা অনেকগুলো ব্যবসা আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
যে আইডিয়া গুলোতে ছোট-বড় এবং অনেকগুলো ক্রিয়েটিভ ব্যবসা আইডিয়া আপনাদের জন্য রয়েছে। আজকের পর্বে আমাদের বিষয়টি হচ্ছে মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে। আপনারা হয়তো আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়লে অনেকগুলো আইডিয়া একটার সাথে একটা মিলে যেতে পারে। যেমন আমরা মাঝারি ব্যবসা আইডিয়ার মধ্যে অনেকগুলো ছোট ব্যবসা আইডিয়া ও নিয়ে আসতে পারি। যেগুলো আপনি শুরু করার মাধ্যমে এটা মাঝারি ব্যবসাতে পরিণত করতে পারেন।
০১. বৈদ্যুতিক বাল্ব তৈরির মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া:
বাংলাদেশে বর্তমানে এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। এটাতে কোনো লস নেই বললে চলে। বৈদ্যুতিক বাল্ব তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাচামাল সমূহ চায়না থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে।
আপনি যদি সরাসরি চায়না থেকে কাচামালের অর্ডার করেন। তাহলে আপনার ব্যবসার বিনিয়োগ বেশি প্রয়োজন হবে। এবং এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুমোদন লাইসেন্সও আপনার তৈরি করতে হবে। তাই নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে প্রথমে বড় বিনিয়োগে না যাওয়া ভালো হবে।
সুতরাং আপনি প্রথমে এই ব্যবসা ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করুন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাচামাল পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিজের বাড়িতে বা ছোট কারখানা নিয়ে শুরু করুন।
আপনার এলাকার পাইকারী বৈদ্যুতিক কাচামাল বিক্রয়কারী মার্কেটে আপনি সবগুলো ইনস্ট্রুমেন্ট পাবেন। একটা মাধ্যম কোয়ালিটির বৈদ্যুতিক বাল্ব তৈরিতে আপনার খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আপনি প্রতিটি বাল্ব তৈরি করে পাইকারীতে প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এবং খুচরোতে প্রতি পিস ১০০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। আর ভালো কোয়ালিটির লাইট তৈরি করতে চাইলে প্রতি পিস সাইটের জন্য ৪০ থেকে ৫৫ টাকা খরচ হবে। এক্ষেত্রে প্রতি পিস বাল্ব ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি করা যাবে।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা। তবে আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিতে পারি। এই ব্যবসায় লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা ০%। কারণ এখানে বিনিয়োগের চেয়ে লাভের পরিমাণ তিনগুণ হয়। এই ব্যবসাতে আপনি বেশি টাকা বিনিয়োগ না করে প্রাথমিকভাবে খুব কম টাকার বিনিয়োগ করে শুরু করবেন। এবং আপনার এলাকার মধ্যেই যতগুলো দোকান রয়েছে সে দোকানগুলোতে আপনি আপনার বাড়িতে তৈরি করা লাইনগুলো পাইকারি দামে বিক্রয় করতে পারেন।
মনে রাখবেন এই ধরনের পণ্যগুলোর চাহিদা সব সময় থাকে। শীত বা বর্ষা যেকোনো সময় মানুষের লাইট এর প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য এ ধরনের ইলেকট্রনিক্স জাতীয় পণ্য গুলো নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে কোনরকম লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আবার ক্রেতাদের যেহেতু ইলেকট্রনিক্স পণ্য সম্পর্কে কোন ধারণা বেশি থাকে না। এজন্য এই পণ্যগুলোতে ভালো পরিমাণে আদায় করার সুযোগ থাকে। যদি ভালো লাগে তাহলে কোন চিন্তা না করে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসাটি।
০২. ডিটারজেন্ট এবং কাপড় ধোঁয়ার সাবান তৈরির ব্যবসা:
আগেকার সময়ে এটির বেশি উৎপাদন কারখানা ছিলো না৷ মানুষ এখন দিন দিন এই উৎপাদনশীল ব্যবসাতে ঝুঁকছে৷ কারণ এটা এমন একটা লাভজনক মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া। এতে কোন রিস্ক নেই বললেই চলে।
সবান বা ডিটারজেন্ট তৈরির কাজ আপনি চাইলে আপনার বাড়িতে করতে পারবেন। কিভাবে উৎপাদন করতে হয় তা শিখতে আপনি ইউটিউবে ধারাবাহিক পদ্ধতি দেখতে পারেন। বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে – এখন বর্তমানে অনেকগুলো ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। যেখানে এধরনের ক্রিয়েটিভ কাজগুলো শেখানো হয়। আপনি এরকম একটি ট্রেনিং সেন্টার খুঁজে বের করুন এবং সেখানে গিয়ে এক থেকে তিন মাসের মত আপনি প্রশিক্ষণ গ্রহন করুন। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার জন্য কোন বাধা তৈরি হবে না।
এ ধরনের ব্যবসা গুলোতে আবার পণ্যের মান শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে মনোযোগী হতে হবে। যেহেতু এগুলো মানুষের ব্যবহারযোগ্য পণ্য। সুতরাং এ ধরনের পণ্যের মধ্যে কোন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত করা যাবে না। ডিটারজেন্ট এর ক্ষেত্রে অনেকগুলো পদার্থ যুক্ত করতে হয় যেগুলো কাপড়ের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পণ্যগুলো বাজারজাত করার পূর্বে এগুলো পরীক্ষা করে নিবেন। যেন মানুষের কোনভাবে বা ব্যবহারকারীদের কোনোভাবে ক্ষতি করতে না পারে।
০৩. চামড়ার ব্যাগ তৈরির আইডিয়া:
চামড়ার ব্যাগ তৈরিতে কিছু ছোটখাটো দক্ষতার প্রয়োজন আছে। ব্যাগের ডিজাইন ও মাপ অনুযায়ী কাঁচামাল রিসাইজ করতে সাধারণ অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয়। আপনি চাইলে আপনার সাথে এবিষয়ে আগে কাজ করেছে এমন কাউকে রাখতে পারেন। অথবা এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে এই ধরনের কোন কোম্পানিতে আপনি চাকরি করতে পারেন। যেখানে কাঁচামাল দিকে চামড়ার ব্যাগ জুতা ইত্যাদি তৈরি করা হয়ে থাকে।
চামড়া জাতীয় পণ্য তে প্রচুর পরিমাণে লাভ করা যায়। কারন এ ধরনের পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের ভালো ধারণা থাকে না। এ জাতীয় পণ্য কাঁচামাল হিসেবে ক্রয় করার ক্ষেত্রে খুব কম টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু পণ্য বাজারজাত করার পরে এজাতীয় প্রোডাক্ট এর মান খুবই ভাল হয় বলে। ক্রেতারা অনেক টাকা বেশি দিয়ে এ ধরনের পণ্য ক্রয় করে থাকে। বর্তমান সময়ে একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আপনি চিন্তা করলে তাহলে এই ধরনের আইডিয়াগুলো আপনার মাথায় আসবে।
যদি আপনি এই ধরনের কোন ব্যবসা শুরু করতে চান। যেখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণে লাভ করতে চান। এবং ক্রেতাদের কাছে খুব দ্রুত পণ্য বিক্রয় করতে চান। তাহলে এই ব্যবসাটি কোন চিন্তা না করে শুরু করতে পারেন। ব্যাগ উৎপাদন ব্যবসাতে প্রচুর লাভের আশা করতে পারবেন। কারণ এগুলোর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
০৪. হ্যান্ডি ক্রাফট বিজনেস আইডিয়া:
হ্যান্ডি ক্রাফট বিজনেস শুরু করতে চাইলে আজ থেকে শুরু করতে পারবেন। এটা এমন একটা ব্যবসা যার প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। মানুষ এগুলোর প্রেমে পড়ে যায়। কারণ, এগুলো দেখতে মন কাঁড়ার মতো হয়ে থাকে। এগুলোর মান ও ডিজাইন যত উন্নত করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার প্রচার ও বিক্রি ততই বেশি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এটি শুরু করার জন্য বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। এর অধিকাংশ কাচামাল আপনার বাড়িতে এবং বাড়ির আশেপাশে ফ্রি-তে পেয়ে যাবেন।
কিভাবে হ্যান্ডিক্রাফট পণ্যগুলোও তৈরি করবেন? সে বিষয়ে আপনি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ইউটিউব এর সাহায্য নিতে পারেন। ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও রয়েছে। যেগুলোতে আপনি অনেকগুলো ক্রিয়েটিভ ডিজাইন পাবেন। যেগুলো আপনার ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।
মানুষটার ঘর বাড়ি সাজানোর জন্য এ ধরনের পণ্য গুলো বেশি ক্রয় করে থাকেন। আপনি চাইলে ইয়ং জেনারেশনের কেউ টার্গেট করে এধরনের হ্যান্ডিক্রাফট প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন। পরিত্যক্ত বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করে আপনি হ্যান্ডিক্রাফট পণ্য তৈরি করার সুবিধা পাবেন। বলা যায় কোন রকম বিনিয়োগ ছাড়া এই ধরনের ব্যবসা গুলো শুরু করা যায়। সুতরাং আপনিও কোনরকম বিনিয়োগ না করেই। একটু ক্রিয়েটিভ ভাবেই। হ্যান্ডিক্রাফট ব্যবসা আজ থেকে শুরু করুন।
সুতরাং বলা যায়। আপনি একটু নিজ থেকে চেষ্টা করলে। শূন্য ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে এই বিজনেস শুরু করতে পারেন।
০৫. পশু পাখিদের খাদ্য উৎপাদন মাঝারি ব্যবসা:
মুরগী ও গরু ছাগলের জন্য খাবার উৎপাদনের ব্যবসাটিতে আপনি কখনও লস করতে পারবেন না। যদি আপনি উৎপাদন ব্যবস্থাপনার সঠিক বন্টন করতে পারেন। বর্তমানে মানুষ তাদের গৃহপালিত মুরগি বা অন্যান্য পশুপাখির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ক্রয় করেন।
বিশেষ করে পোল্ট্রি মুরগির খাবার ও গরুর খাবারের চাহিদা অতুলনীয়। আপনি সামান্য অভিজ্ঞতা নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া গুলোতে এটা খুবই লাভজনক। আপনার যদি এই বিষয়ে পূর্বে থেকে কোন অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে আপনি কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমান সময়ে সরকারি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান এই ধরনের প্রজেক্ট গুলোতে নতুন উদ্যোক্তাদের কে সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন। এবং প্রশিক্ষণ শেষে তার উৎপাদন ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেক সময় অর্থ ও কাঁচা মালের ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকেন।
যখন এ ধরনের পশু পাখির খাবার ও ওষুধ তৈরি করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে মেডিসিন খাবারের সাইড ইফেক্ট গুলো বিবেচনা করতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেন আপনার তৈরি করা কোন মেডিসিন ও খাবার পশুপাখিদের কোন ক্ষতি করতে না পারে।
০৬. পশুপাখির ভিটামিন প্রস্তুত করার বিজনেস:
এটা শুনে কি আপনার অবাক লাগছে? কিভাবে ভিটামিন প্রস্তুত করবেন। আপনার তো কোন আইডিয়া নেই। আর আপনি তো কোনো ডাক্তার না।
আসলে এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আপনি যেকোন একটা কৃষি সহযোগিতা কেন্দ্রে গিয়ে পশুপাখির স্বাস্থ্যসম্মত ভিটামিন তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। বর্তমানে সরকার এগুলোর জন্য অনেক ফ্রি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেছে।
পশু-পাখির খাদ্য তৈরি ও ভিটামিন তৈরীর ব্যবসাটি মূলত একই রকম। আপনি যদি পশু-পাখির খাদ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন, তাহলে পরবর্তীতে ভিটামিন কিভাবে তৈরি করতে হয়? সে বিষয়েও আপনি শিখে যাবেন। এবং এই সেক্টরটি আপনি দখল নিতে পারবেন।
এটিতে ঠিকে থাকতে পারলে নিজের ব্রান্ড তৈরি করতে বেশি সময় লাগবেনা।
০৭. জৈব সার উৎপাদন:
জৈব সার তৈরি করতে চাইলে বর্তমান সময়ের জন্য এটা মানানসই এবং প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা। আপনার বাড়ির আশেপাশের গরু মহিষ এর গোবর সংগ্রহ করে। আপনি কোনো বিনিয়োগ ছাড়া এটি শুরু করতে পারেন। আপনার উৎপাদন খরচ ৩ থেকে ৪ টাকা হলে আপনি বিক্রি করতে পারবেন প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা। বলা যায় এই ব্যবসায় ইনভেস্টের তুলনায় প্রফিট ৫ গুণ।
সারা বিশ্বের মধ্যে জৈব পদ্ধতিতে খাবারের উৎপাদন ব্যবস্থা খুবই জনপ্রিয়। মানুষ এ ধরনের উৎপাদিত পণ্য গুলো বেশি টাকা দিয়ে ক্রয় করে থাকেন। স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য জৈব পদ্ধতিতে খাবারের উৎপাদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে সকল খাবার এর সাথে যুক্ত থাকে। সে সকল খাবার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য কোনো না কোনোভাবে ক্ষতি করতে পারে। জৈব পদ্ধতিতে সার তৈরীর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এবং আপনার এলাকার যতগুলো কৃষক রয়েছে। সে সকল কৃষকদের কাছে আপনি এই ধরনের সার গুলো বিক্রি করতে পারবেন।
০৮. কলম ও কাঠ পেন্সিল তৈরির মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া:
আমি মনে করছি, অন্তত আপনাকে বলতে হবেনা কলম ও কাঠ পেন্সিল তৈরির বিজনেসটা সম্পর্কে। আপনি নিজেই বুঝতছেন এগুলোর চাহিদা অতীতে কেমন ছিল? এখন কেমন আছে? এবং ভবিষ্যতে কেমন থাকবে?
তাই কোন চিন্তা ছাড়াই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রথম ধাপে কাঁচামাল তৈরি করতে হবে। এবং কলম তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ডাইস সংগ্রহ করতে হবে। আপনি চাইলে ব্যক্তিগত ডিজাইন তৈরি করেই কলম তৈরির ডাইস তৈরি করতে পারেন।
এই ব্যবসাটি আপনার ঘরের কোন একটা জায়গায় শুরু করতে পারেন। যেহেতু এটি একটি উৎপাদন ব্যবসা। সুতরাং উৎপাদনের জন্য একটা উপযুক্ত জায়গা হলে এ ব্যবসা শুরু করার জন্য যথেষ্ট ভালো।
খুব কম টাকা বিনিয়োগ করে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
০৯. মাছের খাদ্য উৎপাদন:
মাছের খাদ্য কিভাবে তৈরি করতে হয় তা কি আপনার জানা আছে? না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। বর্তমান সময়ে যেকোনো বিষয়ে অনলাইন থেকে সহজে শিখা যায়। মাছের বিভিন্ন পদ্ধতিতে খাবার তৈরি করার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি কয়েক ধরনের ক্যাটাগরিতে মাছের খাদ্য তৈরি করতে পারেন। যদি এই বিষয়ে আপনি শিখতে চান তাহলে ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন। বর্তমান সময় ইউটিউবে হচ্ছে একমাত্র উপযুক্ত মাধ্যম সম্পূর্ণ ফ্রি তে যে কোন কিছু নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসার জন্য।
কয়েকটি পরিত্যক্ত কাচামালের সমন্বয়ে আপনি তৈরি করতে পারেন মাছের খাদ্য। আপনার আশেপাশের কোনো বন্ধুকে নিয়ে শুরু করুন। একসাথে কাজ করুন। কেননা এ ক্ষেত্রে যদি আপনার একজন পার্টনার থাকে তাহলে এই ব্যবসায় আপনি আরও দ্রুত এগোতে পারবেন। এবং খুব দ্রুতই সার্ভিস আপনার ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।
১০. ছোট্ট পরিসরে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার:
মানুষ সবসময় চাই ভালো খাবার খেতে। বলা হয় “Good health, good life.” এজন্য মানুষের সু-স্বাস্থ টিকিয়ে রাখতে ভালো খাবার প্রয়োজন। আপনি আপনার আশেপাশের কিছু ক্রেতাদের টার্গেট করে প্রথমে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পরে অটোমেটিক আপনার ক্রেতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
সুস্বাস্থ্য খাবারের জন্য মানুষ তিনগুণ টাকা বেশি দিয়ে সংগ্রহ করতে চাই। আপনি যদি আপনার ক্রেতাদের বিশ্বস্থতা একবার অর্জন করতে পারেন, তাহলে যেকোনো ক্রেতা আপনার কাছ থেকে তিনগুণ টাকা পেমেন্ট করেই সুস্বাস্থ্য খাবার সংগ্রহ করবে।
বিডিব্লগের সমাপ্তি বার্তা:
আশাকরি আপনাদের আজকের ১০টি বিজনেস আইডিয়া ভালো লেগেছে। এমন আরও জনপ্রিয় মাঝারি ব্যবসা আইডিয়া পেতে চাইলে আমাদেরকে ফেসবুক ও টুইটারে ফলো করুন। আমরা নিয়মিত আপনাদের পছন্দের কন্টেন্ট তৈরি করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। আপনাদের কমেন্টগুলো আমাদের কাছে খুব কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুব গুরুত্ব দিকেই আপনাদের কমেন্ট গুলো রিপ্লাই করে থাকি।