১২টি ডিজিটাল মার্কেটিং সাকসেস কী স্টেপস
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ১২টি কী স্টেপস আপনি ভালো করে আয়ত্ত করতে পারলে, আপনাকে কেউ থামাতে পারবেনা। আমি নিশ্চিত বলতে পারি যে, আপনি অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটা মহা সাগর। এটাতে সাতার কেটে আপনি কোল পাবেন না। এটাকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে চাইলে আপনাকে প্রতিটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হবে এবং এখানে আপনাকে সময় দিতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
এই প্রশ্নটি বেশি মানুষের কাছ থেকে আমি শুনতে পায়। আমি অনলাইন মার্কেটিং নিয়ে কাজ শিখছি এবং কাজ করছি প্রায় ৪ বছরের বেশি সময় ধরে। এখনও আমি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য একটা নির্দিষ্ট সংজ্ঞা কাউকে বলতে পারি না। আমাকে যখন এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করে, তখন আমি প্রথমেই কে আমাকে প্রশ্নটা করছে এবং তার তার বুঝার শক্তি কেমন তা নির্ধারণ করি।
কারণ এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আমি তিন শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করে উত্তর দিতে চেষ্টা করি।
- যারা ইন্টারনেটে নতুন
- ইন্টারনেট সম্পর্কে যাদের কিছুটা ধারণা আছে
- যারা ইন্টারনেট মার্কেটিং শিখতে চান।
আমি এই তিন শ্রেণির মানুষের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সংজ্ঞাটা দিয়ে থাকি। আপনিও একটু ভেবে দেখুন, এখানে তিনটি দলকে কখনও একই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যথেষ্ট বুঝানো সম্ভব হবে না।
এতটুকু পড়ে আপনার কি মনে হয় ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই জটিল?
না। এটা একদম জটিল কোনো বিষয় নয়। আমি এখানে এমন একটা সংজ্ঞা দেব যা আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবে।
“ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ও যন্ত্র ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য যে সকল কৌশল অনুসরণ করা হয় এবং যে পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা করা হয়, তার সম্পূর্ণ কার্যকলাপ কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।”
এটাই হচ্ছে আমার দিক থেকে সবচেয়ে সহজ এবং যুক্তিক এটা সংজ্ঞা। আপনার মতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সংজ্ঞা কেমন হওয়া উচিত নিচের কমেন্ট বাক্সে তা লিখে জানান।
এতোক্ষণ পর্যন্ত আমি ডিজিটাল মার্কেটিং পরিচিত এবং এটার গভীরতা নিয়ে আলোচনা করলাম। এবার আমি আজকের টপিকের মূল আলোচনায় চলে যাচ্ছি। কোনো প্রডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে ১২টি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। এই ১২টি ধাপ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার চাবিকাঠি। আমরা অনেকেই আছি নতুন কিছু শিখতে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু সেই শিক্ষাটা কাজে লাগতে চেষ্টা করি না। আপনি যদি এটা শিখে বসে থাকেন, তাহলে কিন্তু আপনার কোনো প্রফিট হবেনা। বরং শিখার জন্য যে সময়টুকু ব্যয় করছেন তা নষ্ট হবে।
সুতরাং আপনি যদি এই ১২টি মার্কেটিং কী স্টেপস শিখতে পারেন, তাহলে এগুলোকে ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। আপনি যত সঠিকভাবে এগুলোর ব্যবহার বুঝতে পারবেন, ততই ভালো ফলাফল এখান থেকে পাবেন।
কাস্টমার কি চাই তা যাচাই করুনঃ
কাস্টমারের চাহিদা পূরণ করতে আপনার ক্রেতা কি চাই তা নির্ণয় করা প্রথম কাজ। যেমন: আপনার কাস্টমার একটা Walton কোম্পানির ল্যাপটপ ক্রয় করতে চাই এবং ক্রেতা যেন ল্যাপটপটা দিয়ে তার অফিসিয়াল কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে এমন একটা ভালো বাজেট ল্যাপটপ চাচ্ছে৷ এক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে Lenovo কোম্পানির ল্যাপটপ দেখান, তাহলে হয় তো আপনি এই ক্রেতা কে হারাতে পারেন। এটা স্বাভাবিক যে, যদি আপনি তার চাহিদা পূরণ করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু সে কখনও আপনার পণ্য ক্রয় করবে না।
সুতরাং আপনি যদি প্রথমেই ক্রেতার চাহিদা কে গুরুত্ব দিতে পারেন, তাহলে ক্রেতা আপনার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী হবেন। এখানে যেমন ক্রেতা আপনার কাছ থেকে Walton কোম্পানির ল্যাপটপ চেয়েছে এবং তিনি এমন একটা ল্যাপটপ চেয়েছে যেন এটা দিয়ে অফিসের সব কাজ করা যায়। এটাই হচ্ছে ক্রেতার চাহিদা।
রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টঃ
রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আপনাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে হবে এবং তা ডেভেলপ করতে কাজ করতে হবে। রিসার্চ বলতে এখানে আপনাকে মার্কেটপ্লেস রিসার্চ করতে হবে, আপনার পটেনশিয়াল বায়ার কোথায় কোথায় আছে তা খোঁজতে হবে, খোঁজে বের করতে হবে কোন কোন প্লাটফর্মে আপনার সেবা বা পণ্য সম্পর্কে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
প্রতিটি রিসার্চের ফলাফল আপনার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিসার্চ করে যে ফলাফল আপনি পাবোন তাতে অনেকগুলো অপূর্ণতা থাকবে বা বিভিন্ন সমস্যা থাকবে যা আপনাকে ডেভেলপ করতে হবে। মূলত আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে যদি কোনো নেগেটিভ অংশ খোঁজে পান, তা সংশোধন করার কাজটা হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট এর অংশ। রিসার্চের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে ইউটিউব, ফেসবুক, গুগল, ইনস্টাগ্রাম, ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পটেনশিয়াল কাস্টমার খোঁজে বের করুনঃ
ব্যবসার সফলতা নিশ্চিত করতে আপনাকে উপযুক্ত বায়ার খোঁজে বের করতে হবে। আমাদের কে অনলাইন মার্কেটিং করতে অনেক সময় পেইড ক্যাম্পেইন করতে হয়। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের খরচ কমিয়ে আনতে আমাদের টার্গেটেড কাস্টমার খোঁজে বের করতে হবে। একটু আগে আমরা রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনার রিসার্চ যদি ভালো হয়, তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার পটেনশিয়াল কাস্টমারদের খোঁজে পাবেন।
একটু আগে আমি ফেসবুক, টুইটার, লিংকড এবং ইউটিউবের মতো প্লাটফর্ম গুলোকে গুরুত্ব দিতে বলেছি। কোন প্লাটফর্মে potential buyers সবচেয়ে বেশি তা খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ব্রান্ড অ্যাওয়ারনেস বৃদ্ধি করতে কাজ করুনঃ
ক্রেতাদের কাছে বিশ্বস্ত এবং গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে brand awareness বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই কোম্পানির brand awareness বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। এটা আসলে সময়সাপেক্ষ কাজ। আপনি একদিনের মধ্যে আপনার কোম্পানির ব্রান্ড অ্যাওয়ারনেস বৃদ্ধি করতে পারবেন না। আপনি এখানে আপনার পণ্যের মার্কেটিং এবং বিক্রয় করার মাধ্যমে এটা বৃদ্ধি করতবেন। তবে আপনার যখন একটা নতুন পণ্য আসবে বা আপনার কোম্পানি যদি একদম নতুন হয়। এক্ষেত্রে প্রথম থেকে বিক্রি করার চেষ্টা না করে ব্রান্ড অ্যাওয়ারনেস নিয়ে কাজ করতে হবে।
যখন মনে করবেন আপনার নতুন পণ্য বা আপনার কোম্পানি সম্পর্কে ক্রেতাদের মধ্যে পরিচিত বাড়ছে এবং আপনার পণ্যের বিষয় নিয়ে ক্রেতারা আলোচনা করছে। তখন আপনি পণ্য বিক্রি করতে ক্রেতাদের বিভিন্নভাবে অফার পাঠাতে পারেন।
Proposing value:
এটা আপনার পণ্য বিক্রি করতে কাজ করে। এটাতে আপনি কোনভাবে ভুল করতে পারবেন না। আপনার কাস্টমারদের কে পণ্য ক্রয়ের জন্য proposal দেওয়ার জন্য এই ধাপে Proposing value নিয়ে কাজ করতে হবে।
Proposing value আপনার কোম্পানি গোপন একটা তথ্য৷ কাস্টমার কে এটা বুঝতে দেওয়া যাবে না যে, আপনি তাকে জোর করে কিছু বিক্রি করতে চেষ্টা করছেন৷ আপনাকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন কাস্টমার নিজেই মনে করেন যে, আপনার পণ্যটি তার চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন।
প্রতিটি কোম্পানির কিছু নিজস্ব কৌশল থাকে, যা তাকে কাস্টমারের কাছে প্রপোজাল দেওয়ার মাধ্যম পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করে। সুতরাং কাস্টমার প্রপোজাল অবশ্যই প্রফেশনাল এবং আকর্ষনীয় হওয়া আবশ্যক। যেন আপনার পণ্যের বিক্রয় নিশ্চিত করতে পারেন।
পণ্য বা সেবা সমূহের ইউটিলিটি তৈরি করুনঃ
Creating utility বলতে একটা পণ্য আরও দক্ষতার সাথে যেন ব্যবহার করা যায় তার ব্যবস্থা করা। একটা পণ্য ব্যবহারের জন্য অন্য একটা পণ্যের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার বিক্রি করা পণ্য যেন সবাই সহজে বব্যবহার করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা অনাবশ্যক।
যেমন আপনি একটা মোবাইল বিক্রি করলেন কিন্তু মোবাইলটা ব্যবহার করতে মোবাইলের সাথে ব্যাটারি, সার্জার, হেডফোন ইত্যাদির প্রয়োজন আছে। কিন্তু আপনি তা মোবাইলের সাথে সরবরাহ করলেন না। তাহলে কি আপনার পণ্যটা ব্যবহার করার যোগ্য বলেন?
আচ্ছা, মনে করলাম আপনি ব্যাটারি, সার্জার, হেডফোন সাথে দিলেন, কারণ এগুলো স্বাভাবিক মোবাইলের সাথে দেওয়া থাকে। এখন আপনার মোবাইলটা আরও বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে এবং আরও বেশি ফিচার যুক্ত করতে আপনাকে কাজ করতে হবে। যেমন দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার জন্য অতিরিক্ত চার্জ বহন করার ব্যবস্থা করা, মোবাইল সংরক্ষণ করতে কভারের ব্যবস্থা করা, ইত্যাদি।
বিজ্ঞাপন দেওয়াঃ
আপনি যদি সম্পূর্ণ লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে আপনি বুঝতে পেরেছেন বিজ্ঞাপন কেন গুরুত্বপূর্ণ? এবং কেন এটা পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করতে কাজ করে?
একটু আগে আপনি রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনা পড়ছেন। আপনি যখন বাস্তব জীবনে এই আলোচনা প্রয়োগ করবেন, মানে আলোচনা অনুযায়ী কাজ করবেন, তখন রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টের ডাটা গুলো আপনাকে বিজ্ঞাপনের জন্য সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে আপনি উক্ত তথ্য সমূহ ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনের জন্য সঠিক প্লাটফর্ম সিলেকশন করতে পারবেন। এবং খব টাকা খরচ করে আপনার পটেনশিয়াল কাস্টমারদের কাছে পৌছাতে পারবেন।
কেন আমরা বিজ্ঞাপন করি তা সবাই জানি। তবে বিজ্ঞাপন কিভাবে আরও বেশি কার্য করা যায় এবং কিভাবে বেশি ক্রেতাদের কাছে পৌছানো যায় তা আমরা খুবই কম জানি। এজন্যই আমাদের উচিত বিজ্ঞাপন নিয়ে অনেকবেশি সময় দেওয়া। বিজ্ঞাপন দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমরা কত পরিমাণ বেশি বিক্রয় করতে পারছি তা গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন নিয়ে অবশ্যই বিস্তারিত ব্লগ প্রকাশ করা হবে। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন না এখানে আলোচিত প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত ব্লগ আমরা প্রকাশ করতে চেষ্টা করবো। যা আপনাদের ব্যবসার সফলতার জন্য ভূমিকা রাখবে।
প্রমোশন নিয়ে কাজ করুনঃ
বিজ্ঞাপন সাধারণত মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রিত একটা পেইড প্রক্রিয়া। অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে আপনার পণ্য বা সেবা সমূহের প্রচারণা করাকে বোঝায়। যখন পেইড এবং বিনামূল্যে প্রচারের মাধ্যমে পণ্যের বিক্রয় কাজ করা হয়, তখন তাকে প্রমোশন বলা হয়।
বিক্রয়:
মার্কেটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিক্রি করা। এতোক্ষণ পর্যন্ত আমরা অনেক আলোচনা পড়ছি। এসবকিছু করেছি আমরা আমাদের পণ্যের বিক্রয় নিশ্চিত করতে। ক্রয় এবং বিক্রয় না থাকলে যে এটাকে কখনও ব্যবসা বলা যাবেনা। কথায় আছে বেশি বিক্রয় মানে বেশি প্রফিট। সুতরাং আমাদের প্রফিট ও বিজনেস গোল অর্জন করতে হলে অবশ্যই বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে।
শুধুমাত্র পণ্য বা সেবা সমূহ বিক্রয় করার জন্য আমরা প্লানিং করেছি, বিভিন্ন প্লাটফর্ম নিয়ে রিসার্চ করেছি এবং পটেনশিয়াল কাস্টমারদের চিহ্নিত করেছি। সেই সাথে আমরা বিজ্ঞাপনের জন্যও কাজ করেছি। এসবকিছু ছিল পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করতে ও বিজনেস গোল অর্জন করতে।
কাস্টমার ফিডব্যাক:
যাইহোক, আমরা বিক্রয় করার কৌশল নিয়ে অনেকটুকু আলোচনা করেছি এবং বিক্রয়ও করেছি। আমি নিশ্চিত যে, যতটুকু আমরা আলোচনা করলাম তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে আপনার ব্রান্ড খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
কাস্টমার ফিডব্যাক নিয়ে কথা বলা যাক। আপনার উদ্দেশ্য যদি শুধুমাত্র বিক্রয় থাকে, তাহলে আপনি বেশিদিন মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন না। আপনাকে বিক্রয়ের পাশাপাশি কাস্টমারদের সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যাদের নিয়ে ব্যবসার করছেন তারাই যদি আপনার পণ্য নিয়ে সন্তুুষ্ট না থাকে, তাহলে কিভাবে আপনি ব্যবসায় সফল হবেন!
কাস্টমার ফিডব্যাক আপনার কাস্টমারদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়। অনেক সময় কাস্টমার নেগেটিভ ফিডব্যাক দিতে পারেন যা আপনার বিজনেসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেগেটিভ ফিডব্যাক আপনার পণ্যের উপযোগিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং সমস্যা সমাধান করার উপায় খোঁজে দেবে।
Retaining:
ডিজিটাল মার্কেটিং সাকসেস কী নিয়ে আমরা অনেককিছু আলোচনা করলাম এবং অনেকগুলো কৌশল জানতে পারলাম। এখান আমরা আরও অসাধারণ একটা কৌশল নিয়ে কথা বলবো তা হচ্ছে “Retaining.”
Retaining হচ্ছে একজন ক্রেতাকে পুনরায় বিক্রয়ের জন্য টার্গেট করা। সফল এবং বড় বড় ব্রান্ড গুলোর আসল সিক্রেট হচ্ছে রিটার্গেট করা। আপনি প্রতিবাদ টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে গেলে কখনও ভালো প্রফিটের আশা করতে পারবেন না।
আপনার ব্রান্ড কে এগিয়ে নিয়ে Retaining হচ্ছে Massive একটা কৌশল। এটা আপনি বিভিন্ন টুলস এবং বায়ারদের কাছ থেকে সংগৃহীত ডাটা ব্যবহার করে করতে পারবেন। অনলাইনে অনেকগুলো রিটার্গেটিং টুলস আছে যার মধ্যে “Facebook Pixel” খুবই জনপ্রিয়।
Measurement:
কি দিয়েছেন এবং কি পেয়েছেন! এখন এটা হিসাব করার পালা। প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রি কে এই পরিমাপটা করতে হয়। ” Measurement” আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে আপনি কতটুকু অর্জন করেছেন এবং আপনার বিজনেস গোল কত শতাংশ অর্জিত হলো। আপনার গোল হচ্ছে একটা ক্যাম্পেইন থেকে ২৫% প্রফিট করা কিন্তু আপনি যদি ৩০% বিনিয়োগ করে ২৫% প্রফিট করেন, তাহলে তো হবেনা। আর যদি কোনো কারণে আপনার লোকসান হয়েও থাকে, তাহলে লোকসান হয়েছে এবং পরবর্তীতে এটা কিভাবে উন্নত করা যাবে তা জানার জন্য Measurement সাহায্য করে।
সুতরাং প্রতিটি ধাপ শেষ করার পরে চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা পরিমাণ করতে Measurement অবশ্যই করতে হবে।