কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় (টিপস অন্ড ট্রিকস)
1 min read

কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় (টিপস অন্ড ট্রিকস)

কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় জানতে বিস্তারিত পড়ুন। বলুন তো এমন কে আছে যে ব্যর্থ হতে ভালোবাসে? পৃথিবীতে এমন মানুষ আপনি খুঁজে পাবেন না। যিনি নিজ থেকে তার সফল ব্যবসা শুরু করতে চান না। সবাই চাই কোনো না কোনোভাবে সফল হতে। কিন্তু এই সফলতা কেউ চাইলেই পাইনা। এর জন্য আপনাকে এমনভাবে কাজ করতে হবে। যেন তা নিজে নিজেই আপনার কাছে আসে।

একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে প্রতি দশটি ব্যবসার মধ্যে নয়টি স্টার্টআপ ব্যবসাই ব্যর্থ হয়ে যায়। মানে শতকরা ৯০ ভাগ ব্যবসা ব্যর্থ হয় এবং বাকি ১০ ভাগ সফল হয়। মনে করেন, আপনি আজকে একটা নতুন ব্যবসা শুরু যাচ্ছেন, তাহলে আপনার কি মনে হবে এই ব্যবসায় ফেল হওয়ার চান্স ৯০ ভাগ?

যদি সত্যিই আপনার তাই মনে হতো, তাহলে আপনি কখনও এমন ব্যবসা শুরু করতেন না। তবে এটাই বাস্তব প্রতি ১০টি বিজনেস আইডিয়ার মধ্যে ৯টি আইডিয়াই ব্যর্থ হয়। অবশ্যই এর পিছনে যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে। সেই কারণ এবং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে এসে কিভাবে সফলভাবে নিজের ব্যবসা শুরু করা যায়? তার টিপস অন্ড ট্রিকস আমি আজকের ব্লগে শেয়ার করবো।

কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় তা জানতে কাজটি নিজের ভালোবাসা দিয়ে শুরু করুণ:

হঠাৎ আপনার কোন আইডিয়া আসলো এবং আপনার মনে হচ্ছে আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে অনেক টাকা আয় করা যাবে। এজন্যই আপনি আইডিয়াটি নিয়ে কাজ শুরু করছেন। এটাই হচ্ছে স্টার্টআপদের সবচেয়ে বড় ভুল।

ব্যবসা আর ভালোবাসা দুটি একই জিনিস। দুটিতেই শুরু করার আগে লাভ ক্ষতি বিচার করতে গেলে তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।

যেমন ধরুন দুজন বন্ধু মধ্যে প্রথম বন্ধু ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবসা শুরু করলো। প্রথম বন্ধু নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে মূলত এই বিজনেস শুরু করলেন, যা সে স্বপ্ন দেখেছিল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে একটা ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি তৈরি করবে। ঠিক পাঁচ বছর পর প্রথম বন্ধু তার ব্যবসা সফলভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন।

পাঁচ বছর পর দ্বিতীয় বন্ধু তা দেখা সেও এই বিজনেসটি শুরু করলো।

দ্বিতীয় বন্ধু মূলত কোন চাকরি না পেয়ে বাধ্য ও টাকার লোভে ব্যবসা শুরু করেছে। তার স্বপ্ন ছিল কোনরকম ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে একটা চাকরি পেলে জীবন কোনভাবে কাটিয়ে দেবে। মূলত এই ব্যবসার প্রতি তার কোন ভালোবাসা নেই। শুধু অন্যের সফলতা দেখে নিজেও সফল হওয়ার লোভ নিয়ে তা শুরু করেছে। ফলে সে কিছুদিন পর তার মূলধন হারিয়ে ফেলে। মানে ব্যবসায় ব্যর্থ হয়েছে।

কাউকে ভালোবাসলে মাঝে মধ্যে ছোটখাটো অনেক সমস্যা হতে পারে। ঠিক তাই ব্যবসা করতে গেলেও অনেকগুলো বাঁধা আসবেই। ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে যেমন সমস্যা গুলো মেনে নিয়ে সমাধান করতে হয়, একইভাবে ব্যবসার ক্ষেত্রেও সব মেনে নিয়ে বাঁধা গুলো পার করতে হবে। এজন্য ব্যবসা শুরুর আগে লাভের হিসেবটা দেখা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, কাজটার প্রতি ভালোবাসা কতটুকু তার হিসেবটাও দেখা ততটা গুরুত্বপূর্ণ।

টাকার সমপরিমাণ গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করছেন কিনা? ( কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় ):

আমাদের মধ্যে ৯০ ভাগ স্টার্টআপ এমন সব পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করেন, যা গ্রাহকদের টাকার সমপরিমাণ তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারেনা। এজন্য আমাদের প্রতি দশটি ব্যবসার নয়টি ফেল হয়ে যায়।

কেন গ্রাহক আপনার পণ্যটি ক্রয় করবে?

পণ্য নির্বাচণ করার আগে পণ্যের জন্য নিজেকে এই প্রশ্ন অবশ্যই করতে হবে। যদি এই প্রশ্নের উত্তর নিজের কাছ থেকে সঠিক আসে, তাহলে আপনি পণ্যটি নির্বাচণ করতে পারেন। কেননা একজন গ্রাহক তখন আপনার কাছ থেকে পণ্য নিবে যখন তা তার চাহিদা পূরণ করতে সব দিক থেকে যথেষ্ট হবে।

আইডিয়াটি পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব হবে কি-না:

আপনার বিজনেসটি ভবিষ্যতে বড় করার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি পরিবর্তন সম্ভব না হয়, তবে আপনি কখনও আপনার ব্যবসায় নতুন ও উন্নত ভ্যালু যুক্ত করতে পারবেন না। ফেসবুক যখন ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করেন, তখন তারা দু’টি মানুষের ছবি দিয়ে একটা গেম খেলার সুযোগ দিতো যা ফেসম্যাশ মানে পরিচিত ছিল। মূলত ফেসবুকের নাম ছিল ফেসম্যাশ। এখন তাদের গেমসের পাশাপাশি রয়েছে অনেক নতুন নতুন সার্ভিস যা তাদের আইডিয়ার পরিবর্তন করার মাধ্যমে আরও উন্নত করতে সাহায্য করেছে।

ঠিক এরকম প্রতিটি সফল ব্যবসার শর্ত হচ্ছে সময়ের সাথে সাথে তার পরিবর্তন আনা। তাহলে একটা বিজনেস বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে এবং সফল ব্যবসা হিসেবে পরিচিতি পাবে।

ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে ব্যবসার ব্রেইন ( কিভাবে ব্যবসা শুরু করা যায় ):

আমাদের ব্রেইনের কোন সমস্যা হলে কোন কাজ আমরা ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারিনা। কারণ ব্রেইন আমাদের শরিরের প্রতিটি অংশ পরিচালনা করে। ঠিক ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে একটি ব্যবসার ব্রেইন। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট যদি সঠিক না হয়, তাহলে ব্যবসার লক্ষ্য উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই সফলভাবে ব্যবসা করতে ম্যানেজমেন্টের জন্য আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে।

৫. বিজনেস টিকে থাকার জন্য মার্কেটিং হচ্ছে অক্সিজেন:

অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমাদের সবার প্রিয় এবং সফল কোম্পানি অ্যাপলের সফলতার পিছনে মার্কেটিংয়ের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্যার স্টিভ জবস ছিলেন একজন মার্কেটিং এক্সপার্ট। অ্যাপল প্রতি বছর মার্কেটিংয়ের জন্য খরচ করেন প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। এখন আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কত আপনার ব্যবসার মার্কেটিংয়ের জন্য খরচ করবেন। তবে অবশ্যই সঠিক হতে হবে।

শুরু মাত্র মার্কেটিং করলেই হবেনা। মার্কেটিং অবশ্যই টার্গেটেড ক্রেতাদের কাছে করতে হবে। না হয় আপনি মার্কেটিংয়ের কাজে খরচ করতে পারবেন কিন্তু সঠিক আউটপুট আসবেনা।

যদি আপনি এবিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আপনাকে দু’টি বই ক্রয় করতে বলবো। প্রথমটি হচ্ছে “দ্যা $১০০ ডলার স্টার্টআপ” এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে “দ্যা লার্ন স্টার্টআপ“। বইয়ের নামের উপর ক্লিক করেই আপনি বইটি ক্রয় করতে পারবেন। পিডিএফ সংগ্রহ করতে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *