২১টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া: ছাত্র ছাত্রী ও বেকারদের জন্য
অনলাইন বিজনেস করার জন্য সবচেয়ে ভালো এবং উপযুক্ত সময় হচ্ছে এখন। আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান, তাহলে খুব দ্রুতই আপনি শুরু করতে পারেন। কারন, বর্তমান সময়ে যারা ঘরে বসে রয়েছেন, তাদের জন্য এই সময়টুকু খুবই মূল্যবান সময়। আপনি যদি সময়কে অবহেলা না করেন এবং এই সময়টুকু মূল্যায়ন করতে চান। আপনার উচিৎ একটা ই-বিজনেস শুরু করা।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে ব্যবসা করে অনেক মানুষ লাভবান হচ্ছে। যারা অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেছেন, তারা অবশ্যই লাভের দিকে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। যদি আপনিও এই ধরনের একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তাহলে আপনিও অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এখানে আমরা যে সকল অনলাইন বিজনেস আইডিয়া গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। সেই সকল আইডিয়াগুলো হচ্ছে বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী এবং সম্পূর্ণ যারা বেকার রয়েছে, তাদের জন্য উপযুক্ত। আপনারা যদি এই ধরনের একটি ব্যাবসা আইডিয়া নির্বাচন করেন। যেটি আপনার জন্য লাভজনক হবে। এখান থেকে খুব ভালো একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন,
এখানে আমরা যে সকল অনলাইন বিজনেস গুলো শেয়ার করবো,
সেগুলো সব অনলাইন বিজনেস আইডিয়া। এই ব্যবসা বাস্তবায়ন করতে আপনার অবশ্যই কিছু নলেজ অর্জন করতে হবে। আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে কিন্তু আপনার দ্বারা অনলাইনে ব্যবসা করা সম্ভব হবেনা।
ই-ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে নলেজ অর্জন করতে হবে। যারা অনলাইন থেকে কোন কিছু না করে খুব দ্রুত অর্থ উপার্জন করতে চান, তাদের জন্য মূলত অনলাইন বিজনেস উপযুক্ত নয়। অনেকেই মনে করে থাকেন, অনলাইনে শুধুমাত্র একটা একটা ব্যবসা শুরু করলেই অনলাইন থেকে ভাল প্রফিট আদায় করা সম্ভব।
আসলে কিন্তু অনলাইনে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যদি আপনি সফলতা আশা করেন ও একটা লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার প্রতিযোগিরা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেভাবে আপনাকেও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেন আপনি অনলাইন থেকে পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইন বিজনেস
অনলাইন বিজনেস (Online Business) হচ্ছে, এমন এক ধরনের ব্যবসা পদ্ধতি। যেখানে সকল কার্যক্রম অনলাইনের মধ্যে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ আপনি যদি অনলাইনের মধ্যে কোন ব্যবসা করে থাকেন। এই ক্ষেত্রে সে ব্যবসাটাকে অনলাইন বিজনেস বলা হয়। যেমন মনে করুন, আপনি ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারেন, অথবা ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারেন, অথবা রিসেলার ব্যবসা করতে পারেন। এই সকল ব্যবসা গুলোর মধ্যে যে ব্যবসাটি করেন না কেন। সবগুলো ব্যবসা হচ্ছে অনলাইন বিজনেস। যারা অনলাইনে বিজনেস করতে আগ্রহী, তাদের অবশ্যই অনলাইনের মধ্যেই ব্যবসা শুরু করতে হবে।
ই-ব্যবসা শুরু করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হচ্ছে
একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা। যেটাকে আপনি ব্যবহার করে অনলাইনে নিজের ব্যবসাটাকে পরিচালনা করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইন ব্যবসার প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমি এই বিষয়ে উত্তর দেবো। সাধারণত অনলাইনে ব্যবসা করার নির্দিষ্ট কোন প্রকার নেই। অনলাইনে আপনি আনলিমিটেড নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
যদি আপনার কোন ইউনিক আইডিয়া থাকে, সে আইডিয়াটা যদি অনলাইনের মাধ্যমে আপনি বাস্তবায়ন করেন। সেক্ষেত্রে আপনার আইডিয়াটা হবে একটি অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া। সুতরাং আপনি যদি অনলাইন থেকে কোন ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সেটা আপনার অনলাইন ব্যবসা হিসেবে পরিচিত হবে।
প্যাসিভ বনাম একটিভ ইনকাম
অনলাইন থেকে কাজ করে অর্থ উপার্জন করার ক্ষেত্রে কিছু দুটি প্রকারের ইনকাম রয়েছে। একটা প্যাসিভ ইনকাম। প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন একটি ইনকাম পদ্ধতি। যেখানে আপনি একবার ইনকাম শুরু করলে, আপনার ইনকামটা আজীবন হতে থাকবে।
অর্থাৎ আপনার ইনকামটা শেষ হবেনা। অন্যটি হচ্ছে একটিভ ইনকাম। এটা এমন এক ইনকাম পদ্ধতি। এই ক্ষেত্রে আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত কাজ করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার ইনকাম হবে। যেমন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন। সেক্ষেত্রে আপনি কোন মার্কেটপ্লেসে যখন কাজ পাবেন, তখন সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
যদি বায়ারের কাছ থেকে কাজের সুযোগ না আসে,
তাহলে কিন্তু আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না। কিন্তু প্যাসিভ ইনকামের ক্ষেত্রে আপনি যদি ইনকাম শুরু করেন, সেক্ষেত্রে ইনকাম খুব অল্প থেকে শুরু হবে। মনে করুন, আপনার আজকে $১ ডলার ইনকাম হয়েছে। যদি আপনি ধর্য্য ধরে কাজ করতে পারেন আগামী মাসে আপনি দেখবেন সেটি $১০০ ডলারে পরিণত হয়েছে।
যদি আপনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে আপনি অবশ্যই প্যাসিভ ইনকামের দিকে এগিয়ে যাবেন। যেন আপনি ভালো একটা ইনকাম এখান থেকে তৈরি করতে পারেন। যেমন আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন, অথবা গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন। এই ক্ষেত্রে এগুলো হচ্ছে প্যাসিভ ইনকামের উপায়।
বর্তমান সময়ে কিভাবে অনলাইন বিজনেস দাঁড় করানো সম্ভব?
যারা ২০২০ সালকে অবহেলার মধ্যে অতিক্রম করে ফেলেছেন, তাদের জন্য এখন সামনের সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে যেমন টেকনোলজি খুব দ্রুত কাজ করছে। ঠিক অনুরূপভাবে ভবিষ্যতেও টেকনোলজি সবকিছুতে রাজত্ব করবে।
সুতরাং একজন ছাত্র তাদের টেকনোলজির যে জ্ঞান জ্ঞান। সেই জ্ঞানকে ব্যবহার করে পড়াশোনা পাশাপাশি নিজেদের অনলাইন বিজনেস তৈরি করে ফেলতে পারেন।
আজকের আর্টিকেলে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এমন কিছু ই-বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করব। যে আইডিয়াগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালে আপনি আপনার অনলাইন বিজনেস দাঁড় করাতে পারবেন কোনো রকম বাধা ছাড়া। ছাত্রদের জন্য যখন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কথা বলা হয়, তখন অবশ্যই বিনিয়োগের বিষয়টি আমরা মাথায় রাখি।
আমরা জানি একজন ছাত্র ছাত্রীর জন্য বিজনেস শুরু করতে প্রথমদিকে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা মোটেও কোনভাবে সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে আমরা আজকে আপনাদের জন্য এমন কিছু অনলাইন বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করব। যে আইডিয়া গুলোর মাধ্যমে আপনারা কোন বিনিয়োগ না করেই অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এবং নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং:
বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে ছয় কোটির বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা মার্কেটপ্লেসে ইন্টারন্যাশনাল বায়ারদের কে সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে দেশের জন্য ইউএস ডলার ইনকাম করে নিয়ে আসতেছে। বর্তমান সময়ে আমাদের গ্রামের অঞ্চলের যে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তাদের কেও আমরা আগ্রহী করে তুলতে চাই। যেন তারাও ফ্রীলান্সিং জগতে চলে আসে।
গ্রামীন অঞ্চলের যে সকল ছাত্ররা রয়েছে। তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট না থাকার কারণে তারা অনলাইন সম্পর্কে অবগত না। যার কারণে তারা ফ্রীলান্সিং বিষয়টাকে অনেক বেশি ভয় পেয়ে থাকে।
মূলত ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অনেক সহজ কিছু কৌশলের সমষ্টি। যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে সরাসরি ছোটখাটো কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। একজন দশম শ্রেণীর ছাত্র তার বেসিক নলেজ দিয়ে সরাসরি অনলাইনে তার নিজের প্রোফাইল তৈরি করার মাধ্যমে ফ্রীলান্স মারকেটপ্লেস থেকে কাজ সংগ্রহ করতে পারে।
সত্যি বলতে ফিনান্সিং করার জন্য আপনার বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করার কোন প্রয়োজন নেই। এবং হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কোন শিক্ষক হায়ার করারও প্রয়োজন নেই।
কি কি কাজ করা যেতে পারে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে?
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- লোগো ডিজাইন
- ফেসবুক মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ওয়েব ডেভলপমেন্ট
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- কনটেন্ট রাইটার
- কপি রাইটার
- বিজনেস কনসালট্যান্ট
- ই-কমার্স ডিজাইন
- প্রডাক্ট দেস্ক্রিপশন রাইটিং
- ব্লগপোস্ট
- ব্যানার ডিজাইন
- ভিডিও মার্কেটিং
- লিড জেনারে
এখানে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিতরেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, অন্যান্য যত ধরনের মার্কেটিং বিষয়ে রয়েছে। সবগুলোই ডিজিটাল মার্কেটিং আওতাভুক্ত হয়ে থাকে।
আবার ঠিক একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সবগুলোই ক্যাটাগরির একত্রিত রূপ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে গবেষক হতে হবে না। আপনি যদি ফেসবুক চালাতে পারেন, তাহলে একজন ফেসবুক মার্কেটের হিসেবে কাজ করতে পারেন। অথবা আপনি যদি ভাল টুইটার চালাতে পারেন, তাহলে টুইটার মার্কেটের হিসেবে আপনি কাজ করতে পারেন।
বা আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম সম্পর্কে ভাল বোঝেন, তাহলে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটের হিসেবে কাজ করতে পারেন।
সহজ কথায় যেকোনো ছোট ধরনের দক্ষতা নিয়ে একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে গ্রাম বা শহর যে কোন অঞ্চল থেকে অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব। এবং বৈদেশিক মুদ্রা দেশে নিয়ে এসে দেশের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বাংলাদেশের বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সরকারি কিছু কোর্স চালু করা হয়েছে।
লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আন্ডারে অনলাইন সরকারি কোর্স গুলো পরিচালিত হয়।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অথবা গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাহলে সরাসরি সরকারি কোর্স গুলোর জন্য আবেদন করতে পারেন। এখানে দক্ষ এবং এক্সপেরিয়েন্স যুক্ত ট্রেইনারদের মাধ্যমে আপনাদের শেখানো হয়। কিভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং স্টার্ট করতে পারেন? এবং কিভাবে আপনি এখান থেকে দক্ষতার সাথে প্রজেক্ট ডেলিভারি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন? ইত্যাদি।
এমনকি আপনি যখন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবেন, তখন সেই মুদ্রা দেশে চলে আসার পর ফ্রিল্যান্সারদেরকে তার ইনকামের ২% পার্সেন্ট বেশি ইন্টারেস্ট সরকারি ফান্ড থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে। মানে আপনি যত ইনকাম করবেন তার চেয়ে ২% টাকা আপনি সরকার থেকে বেশি পাবেন।
ভার্চূয়াল এসিস্ট্যান্ট অনলাইন বিজনেস
বর্তমান সময়ে অফিসের অতিরিক্ত কাজগুলো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য মানুষ তার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অফিসিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হায়ার করে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে খুব কম টাকায় আমেরিকা ও উন্নত রাষ্ট্রগুলো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করতে পারে। এজন্য বাংলাদেশী অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার কমিউনিকেশন স্কিল একটু হতে হবে। এক্ষেত্রে একটা কোম্পানি বা ব্যক্তির যে রিকোয়ারমেন্ট সেগুলো নিয়ে আপনাকে রুটিন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সহজে বলতে গেলে কোন ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজের যে অংশগুলো আপনাকে দেওয়া হবে। সেই অংশগুলো নিয়ে আপনাকে নির্দেশনা ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ সেগুলো আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে।
এটাই হচ্ছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ। এমনকি তাকে নিয়মিত ঘুম থেকে দেওয়া অথবা তার অফিসের কোন টাইমে কোন প্রোগ্রাম হবে? সেই সম্পর্কে তাকে পূর্ব থেকে জানিয়ে দেওয়া। এগুলো একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হতে পারে।
বিশেষ করে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে খুব বেশি টাকা পেমেন্ট করা হয়ে থাকে।
কেননা এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি বায়ারের সাথে কমিউনিকেট করবেন এবং আপনার কাজে যদি সন্তুষ্ট হয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনাকে ঘন্টা হিসেবে পেমেন্ট করা হবে। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে প্রতি ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ ইউ এস ডলার এবং সর্বোচ্চ ৭০-৮০ ইউ এস ডলার পেমেন্ট করা হয়ে থাকে।
পেমেন্টের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার উপর। আপনার সার্ভিস যদি ভালো হয়ে থাকে, তাহলে এই পজিশনে আপনার নিয়মিত ডিমান্ড বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
সুতরাং এই সেক্টরে আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় কমিউনিকেট করার জন্য দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি একজন প্রফেশনাল এসিস্টেন্ট হিসেবে নিজেকে গড়তে পারেন। এবং এই পজিশন থেকে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
অনলাইন টিউশন:
করোনার সমস্যা আমাদের সবাইকে এটি শিক্ষা দিয়েছে কিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল কাজ কিভাবে সম্পন্ন করতে হয়। বর্তমানে উন্নত বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা ডিজিটালি শুরু করেছে। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশও কিন্তু একেবারেই পিছিয়ে নয়।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করেছে এবং প্রয়োজনীয় কাজগুলো দিচ্ছে। ঠিক একইভাবে মা-বাবা ও তাদের সন্তানদেরকে পড়াশোনার জন্য অনলাইনে টিচারদের কে হায়ার করে নিচ্ছে।
আপনি যদি একজন টিচার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার স্টুডেন্টদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে পড়ানোর জন্য একটি অনলাইন টিউশন শুরু করতে পারেন। প্রথমদিকে বাংলাদেশের মধ্যে হয়তো অনলাইন টিউশনে আপনি অনেকগুলো ছাত্র একসাথে পাবেন না। কিন্তু যদি আপনি এই পজিশন থেকে অনলাইন টিউশন শুরু করেন। আপনি ধীরে ধীরে আপনার ছাত্র দের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
অনলাইনের সবচেয়ে বড় সুযোগ সুবিধা হচ্ছে,
আপনি যেকোনো জায়গা থেকে আপনার ছাত্রদেরকে পড়াশোনার দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন। এবং যেকোন মুহুর্তে তাদেরকে স্টাডি টিপস গুলো বুঝিয়ে দিতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে একজন হোম টিচার হিসেবে আপনি ঘরে বসেই অনলাইন টিউশন শুরু করতে পারেন। আশাকরি, এখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
যারা আসলেই নিজেদেরকে ক্রিয়েটিভ মনে করে থাকেন। তারা কিন্তু ইতিমধ্যে টিউশন বিষয় নিয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আর যারা নিজেদের শুধু ক্রিয়েটিভ না অন্যদের থেকে আপডেট মনে করে থাকেন। তারা ইতিমধ্যে কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমেই টিউশন করে অনলাইন থেকে ইনকাম শুরু করে দিয়েছে। সুতরাং আপনিও যদি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকতে না চান। একজন শিক্ষক হিসেবে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ভালো মানের ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।
ভিডিও ইনফ্লুয়েন্সার:
ভিডিও ইনফ্লুয়েন্সার হচ্ছে আমার পছন্দের একটি কাজ। সাধারণত সবাই নিজেদের কে সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করতে আমরা খুব বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজেকে স্টাইলিস্ট মনে করেন, অথবা আপনার মধ্যে এমন কিছু গুণাগুণ রয়েছে।
সে গুনাগুন গুলোঃ আপনি মানুষের সাথে ভিডিওর মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি মানুষদেরকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেন এমন কিছু কৌশল যদি আপনার থাকে, তাহলে আপনি একজন ভিডিও ইনফ্লুয়েন্সের হিসেবে কাজ করতে পারেন।
বর্তমানে ভিডিও ইনফ্লুয়েন্সের সংখ্যা কিন্তু অনেক বেশি।
ভিডিও ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করার জন্য একাধিক বিষয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার যে কোন একটি বিষয় সিলেক্ট করতে হবে এবং তা নিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে হবে।
কেন আপনি একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করতে সক্ষম, তা আপনাকে প্রমাণ করার জন্য কাজ করতে হবে। আপনি যদি মার্কেটিং বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে মার্কেটিং বিষয়ে বিভিন্ন টিপস ট্রিক্স ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।
বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে কিন্তু আপনি নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারেন। এবং ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমেও কিন্তু নিজের ভিডিও আপলোড করে নিজের ক্রিয়েটিভিটি তা আপনি প্রমোট করতে পারেন। নিজেকে একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে পরিচয় দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে নিজের একটা প্রোফাইল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই ক্ষেত্রে আপনি হয়তো প্রথম দিন থেকেই একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারবেন না। কিন্তু এই পজিশনে আপনাকে ধীরে ধীরে এগোতে হবে এবং যখন আপনার প্রোফাইল গুলো শক্তিশালী হবে না, ততক্ষণ আপনাকে নিজের প্রোফাইল তৈরি করার কাজে সময় দিতে হবে। পাশাপাশি আপনি চাইলে নিজের একটা ওয়েবসাইট করে নিতে পারেন। যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন মার্কেটিং টিপস ট্রিকস শেয়ার করতে পারেন।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করা সত্যিই অসাধারণ একটা মজার কাজ।
ইনফ্লুয়েন্সার মূলত নিজেদের অথরিটি পাওয়ার ব্যবহার করে অন্যের পণ্য সার্ভিস গুলোকে প্রমোট করে। আমরা টিভিতে যতগুলো বিজ্ঞাপন দেখি। সে বিজ্ঞাপনগুলোতে কিন্তু মানসম্মত এবং সেলিব্রিটিদের কে নিয়ে বিজ্ঞাপন গুলো করা হয়।
ঠিক এই বিজ্ঞাপন যদি অপরিচিত কাউকে দিয়ে করানো হয়, সেটাতে অথরিটির পাওয়ার সেটা কিন্তু ব্যবহার হবে না। সুতরাং একজন ইনফ্লুয়েন্সার হতে হলে আপনার নিজের অথরিটি শক্তিশালী করতে হবে। আপনার অথরিটি পাওয়ার কে ব্যবহার করে একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে আপনাকে কাজ করতে হবে।
ব্লগিং অনলাইন বিজনেস:
ছাত্রদের জন্য ব্লগিং থেকে আয় করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি খুবই মানানসই একটি উপায়। আপনারা যে আর্টিকেলটি এখন পড়তেছেন এটিও কিন্তু একটি ব্লগিংয়ের অংশ। তার মানি আমি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্যই এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য লিখেছি। ব্লগিং করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কিন্তু অনেক বড় একটি টাইম হাতে থাকে। এইটা ব্যবহার করে যেকোনো সময়ই একজন ছাত্র চাইলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে তার নিজের একটি ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে পারে।
এটি শুধুমাত্র অনলাইন থেকে ইনকাম করার একটি কার্যকরী উপায় নয়।
এটি একটি নিজেকে ক্রিয়েটিভ করে তোলার এবং নিজের জ্ঞানকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম। ভারতীয়দের মধ্যে ব্লগিং এর চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্লগিং সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ধারণা রয়েছে।
আমাদের বাংলাদেশে এখনো অনেক ছাত্রছাত্রীরা জিজ্ঞেস করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব কিনা? এটা বর্তমান সময়ের জন্য খুবই নিচু মানের একটি প্রশ্ন। এখন আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে এবং নিজেকে কাজ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হবে। আজকে যে আমরা ২১টি অনলাইন বিজনেস আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এই একুশটি আইডিয়ার মাধ্যমে আপনারা যে কোন একটি উপায়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আমি যে এতগুলো লেখা আপনাদের জন্য লিখলাম।
এটিতে কিন্তু আমার দুই ধরনের স্বার্থে এখানে বিরাজ করে। প্রথমত আমি আপনাদের শিখানোর জন্য এই ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। সুতরাং আমি আপনাদের শিখানোর অভ্যাসটা নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে কাজ করছি। কেননা আপনাদের মাধ্যমে আমার জ্ঞানটাকে আমি বৃদ্ধি করার জন্য একটি উপযুক্ত কৌশল হিসেবে এটিকে ব্যবহার করতে পারি। আমি আপনাদের শিখানোর মাধ্যমে এখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারি।
প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন একটি উপায়। যা একবার শুরু হলে শেষ হয় না। মানে প্যাসিভ ইনকাম এর মাধ্যমে আপনি যখন একবার ইনকাম শুরু করবেন। সেই ইনকামটা প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকবে। কিন্তু আপনার ইনকামটা বন্ধ হয়ে যাবে না। উদাহরণ হিসেবে আমাদের এই বিডিব্লগ ওয়েবসাইটটা কে নিতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটে আপনি যখন লেখাগুলো পড়তেছেন।
এই লেখাগুলোর মাঝে মাঝে যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখাচ্ছে। গুগলের এই বিজ্ঞাপন থেকে আমরা ইনকাম করে যাচ্ছি। এই বিজ্ঞাপনগুলো আপনি যেভাবে দেখতে পাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে যতগুলো ভিজিটর আমাদের ওয়েবসাইটে আসবে তারাও কিন্তু আজীবন এই বিজ্ঞাপনগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন। সুতরাং সরকারি চাকরির মত একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ ওয়েবসাইট আপনাকে আজীবন এখান থেকে সেলারি সরবরাহ করতে পারে।
আপনি একজন ছাত্র হিসেবে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার পাঠ্যবইয়ের যেকোন বিষয় নিয়ে আপনি লেখালেখি করতে পারেন। অথবা বিভিন্ন গল্প নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। অথবা বিভিন্ন ইতিহাসগুলো কে আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে একটি বাংলা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনাদের অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে,
কিভাবে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করব?
বর্তমান সময়ে যে কোন একটি আইটি ইনস্টিটিউট আপনাকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করে দিবে। তবে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আপনি চাইলে অনলাইনের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে নিজে নিজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ফেলতে পারেন।
আপনার যদি বেশি টাকা বিনিয়োগ করে ওয়েবসাইট করার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে আপনি ব্লগার ব্যবহার করে নিজের জন্য একটি ফ্রিতে অথবা একটি ৭০০-১০০০ টাকা দিয়ে মাস্টার ডোমেইন ক্রয় করে একটি টপ লেভেল ওয়েবসাইট আপনি তৈরি করতে পারেন।
আপনার পরিচিত যদি কোন আইটি ইনস্টিটিউট না থাকে, তাহলে সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের ফেসবুক অথবা ওয়েবসাইটের কন্টাক্ট রিসোর্সের মাধ্যমে সরাসরি মেসেজ করতে পারেন। মেসেজ করার মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আমরা পরামর্শ ও সরাসরি সার্ভিস সহ ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে পারেন।
ইন্টার্নশিপ অনলাইন বিজনেস:
একজন ছাত্র হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ইন্টার্নশিপ সার্ভিস প্রদান করা সম্ভব। মনে করুন, আপনি মার্কেটিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন। এখন আপনার মার্কেটিং বিষয়ে কিন্তু অনেকটা সাধারণ জ্ঞান ইতিমধ্যে রয়েছে। এখন আপনি চাইলে বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি বা অনলাইন কোম্পানি গুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এবং তাদেরকে অফার করতে পারেন ইন্টার্নশিপ করার জন্য।
আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর টাইম কে কাজে লাগিয়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করে। আপনার পছন্দের কোন কোম্পানির ইন্টার্নশিপ করতে পারেন। এটির সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে আপনি এখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। অর্থাৎ লিমিটেড একটা এমাউন্ট আপনি দাবি করতে পারবেন না। কিন্তু এখান থেকে আপনি কোম্পানির খুশিতে যে ইনকাম করবেন তার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারবেন আপনার ফিউচার।
ইন্টার্নশিপ আপনাকে পরবর্তী কাজের জন্য একজন ওয়ার্কার হিসেবে তৈরি করে নিবে। অনেক ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় সম্পূর্ণ ফ্রিতে বিভিন্ন কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করে থাকেন। যেন নিজেদের দক্ষতা কে উন্নত করা যায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং:
অসাধারণ একটি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এটি যদিও নতুন কোন আইডিয়া নয়। তবে এ আইডিয়াটি আপনি ব্যবহার করে একটি প্রফেশনাল জীবনযাপন করার স্বপ্ন দেখতে পারেন। এটি পুরোপুরি একটা অনলাইন ব্যবসা। সুতরাং এটাকে আপনি কোনোভাবেই অপশনাল হিসেবে না নিলে ভালো হয়। তবে এর মানে এই নয় যে, আপনাকে এই কাজটি করার জন্য পুরাদিন বসে কাজ করতে হবে।
একজন ছাত্র হিসেবে যখন আপনি দিনের সময়টুকু অন্যান্য কাজে ব্যয় করেন, তখন উক্ত সময়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। এবং অ্যাফিলিয়েট কনটেন্ট ও প্রোডাক্ট প্রমোট করে আপনি এখান থেকে আপনার বিজনেসটা দাঁড় করাতে পারবেন। আমি নিজেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করি এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমার অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ হয়।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের কিছু আর্টিকেল পড়লে দেখতে পারবেন।
এখানে আমরা কিছু ডোমেইন ও হোস্টিং কোম্পানির সার্ভিস ও টুলস প্রমোট করে থাকি। যখন কোন ভিজিটর আমাদের সাজেস্ট করা হোস্টিং কোম্পানির কাছ থেকে তাদের নিজেদের ওয়েবসাইট করার জন্য কোন ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করে। তখন এখান থেকে আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস অবশ্যই একটা নেশার মতো। যখন আপনি এটাতে মজা উপভোগ করতে পারবেন। এই পজিশনে আপনি নিজেকে স্থায়ীভাবে বসিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার ফলে আপনার বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন হতে থাকবে। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রমোশনের বিষয়ে প্রডাক্ট দেস্ক্রিপশন লেখার বিষয় যেমন দক্ষ হয়ে উঠবেন, তেমনি পাশাপাশি কিভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং করতে হয়? কিভাবে কোন পণ্য তাদেরকে সেল করার জন্য ইমপ্রেস করতে হয়? সে বিষয়ে আপনি ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা পেতে থাকবেন।
এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাকে অনলাইন বিজনেস জন্য অনেক বেশি হেল্প করবে। বাস্তব ক্ষেত্রে আপনি কাজ করে যে অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করতে পারবেন। তা আপনি কোনোভাবেই অন্য কারো কাছ থেকে শিখতে পারবেন না।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন বিজনেস শুরু করার সাথে সাথে কিন্তু এখান থেকে ফলাফল উপভোগ করতে পারবেন না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট লক্ষ ও গোল সেট করতে হবে। এবং আপনার এফিলিয়েট ওয়েবসাইটটিকে আপনাকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তৈরি করতে হবে। সব কনটেন্টগুলো কে এমন ভাবে মার্কেটিং করতে হবে। যেন আপনার টার্গেটেড ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসে।
গুগল বিজ্ঞাপন:
অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য গুগল বিজ্ঞাপন কমন একটি বিষয়। অনলাইনে যারা কাজ করে থাকে তাদের ৮০ ভাগেরও বেশি গুগল বিজ্ঞাপন থেকে আয় করে থাকেন। আমি নিজেও গুগল বিজ্ঞাপন থেকে কিন্তু বিভিন্নভাবে ইনকাম করে থাকি। আমাদের এই ওয়েবসাইটে যখন আপনারা বিজ্ঞাপনগুলো দেখতেছেন। এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা গুগল বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করতেছি।
আমি ওয়েবসাইট ও ইউটিউব এর মাধ্যমে গুগল বিজ্ঞাপন থেকে রেভিনিউ জেনারেট করে থাকি। ঠিক আপনিও যদি অনলাইন বিজনেস দাঁড় করাতে চান এবং বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করতে চান। গুগল বিজ্ঞাপন হচ্ছে আপনার জন্য সেরা একটি মাধ্যম। যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন। গুগল বিজ্ঞাপন থেকে আয় করার জন্য আপনাকে রকেট সাইন্স জানতে হবে না।
এটি খুব সহজ একটি পদ্ধতি। আপনার শুধুমাত্র একটা ওয়েবসাইট করতে হবে অথবা আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং আপনি বুঝে গেছেন ইউটিউব এবং ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য যে মাধ্যমটি কমানো সবচেয়ে বেশি কাজ করে কাজ করে। সেটি হচ্ছে গুগল এডসেন্স বা গুগল বিজ্ঞাপন।
ফেসবুক বিজনেস এক্সপার্ট:
ফেসবুক বিজনেস এক্সপার্ট হিসেবে আপনি দুইভাবে সার্ভিস সরবরাহ করে অনলাইন থেকে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। প্রথমত আপনি যদি ফেসবুক বিজনেস এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে নিজের জন্য একটি ব্যবসা প্লাটফর্মে দাঁড় করাতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত পণ্য বিক্রয় করতে পারেন অথবা রিসেলিং এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ কোন কোম্পানির সাথে আপনি কাজ করতে পারেন। তাদের পণ্যগুলোর মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি নিজের বিজনেস দাঁড় করাতে পারেন।
দ্বিতীয়তঃ আপনি যদি মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অন্যান্য যারা ফেসবুক বিজনেস উদ্যোক্তা রয়েছে। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য একজন এক্সপার্ট হিসেবে তাদের কাছে আবেদন করতে পারেন। এবং তাদের ব্যবসার বিক্রয় বৃদ্ধি ও উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন স্ট্রাটেজি শেয়ার করতে পারেন। বর্তমানে ফেসবুক বিজনেস এক্সপার্টদের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।
কেননা উদ্যোক্তারা তাদের সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য এবং কোম্পানির বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে এক্সপার্টরা বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে থাকেন। আপনি যদি নিজেকে একজন ফেসবুক বিজনেস এক্সপার্ট মনে করে থাকেন, তাহলে আজকেই আপনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে আপনার সিভি পাঠাতে পারেন। এবং পড়াশোনার পাশাপাশি তিন থেকে চার ঘণ্টা পার্ট টাইম ওয়ার্কার হিসেবে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
সাধারণত অনলাইনে কাজ করার জন্য দিন বা রাত এমনকোন নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়না। আপনি একটি সিডিউল টাইম অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে একজন ফেসবুক বিজনেস এক্সপার্ট সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ গুলোতে যদি একটিভ থাকেন, তাহলে নিজের প্রথম জব খুঁজে পেতে আপনার একদমই কষ্ট হবে না। এমনকি আপনি অন্যদেরকে ইমপ্রেস করার জন্য এবং আপনার প্রথম চাকরিটি সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে পারেন।
ভিডিও মার্কেটার:
বর্তমান সময়ে মানুষ ইন্টারনেটের পেছনে যত সময় ও ইন্টারনেট খরচ করে করে থাকে, তারমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ ভিডিও দেখেই ইন্টারনেট খরচ করে থাকেন।
সুতরাং আপনি বুঝতে পেরেছেন বর্তমান সময়ে ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা কত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও ভিডিও কনটেন্টগুলোর চাহিদায় সবচেয়ে বেশি থাকবে।
বর্তমানের মানুষ দেখে দেখে পড়ার চেয়ে সরাসরি পছন্দের বিষয়ে টিউটরিয়াল ভিডিও দেখতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ভিডিও দেখে যেকোনো বিষয়ে সরাসরি নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন ভিডিও মার্কেটের হিসেবে অনলাইন বিজনেস শুরু করতে চান, তাহলে আজকেই আপনি একটা ইউটিউব চ্যানেল করতে পারেন।
অথবা অন্যান্য যে কোম্পানি বা ইন্ডাস্ট্রিগুলো রয়েছে তাদের হয়ে আপনি একজন ভিডিও মার্কেটের হিসেবে কাজ করতে পারেন। ভিডিও মার্কেটের হওয়ার জন্য আপনাকে রকেট সাইন্স হতে হবে না। তবে আপনি কিছুদিন ভিডিও মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাক্টিস করলেই একজন মার্কেটার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন।
ট্রান্সলেশন সার্ভিস:
আপনার যদি বিভিন্ন ভাষায় অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি একজন ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। সত্যি বলতে অনলাইনে বিভিন্ন ভাষায় ট্রান্সলেট করে আয় করার জন্য এটি খুবই প্রিমিয়াম একটি অনলাইন ইনকামের কাজ এবং বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। মনে করুন, আপনি বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা ভালো বুঝেন এবং তা লিখতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এবং অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে নিজের প্রোফাইল করে কাজ খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন। ফ্রীল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনার প্রোফাইল তৈরি করলে ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইন বিজনেস হিসেবে ছাত্রদের জন্য ট্রান্সলেটর মজার একটা কাজ হবে।
যাদের অনলাইনে ওয়েবসাইট রয়েছে।
তারা তাদের ওয়েব সাইটের কনটেন্ট গুলোকে বিভিন্ন ভাষায় ইউজারদের জন্য ট্রান্সলেট করতে ফ্রীল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে ট্রান্সলেটর হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদেরকে হায়ার করে থাকেন। ঠিক আপনিও ইংরেজি কে হিন্দি ভাষায় ট্রান্সলেট করতে জানলে অথবা হিন্দি কে ইংরেজি ভাষায় ট্রান্সলেট করতে জানলে। একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে অনলাইন বিজনেস শুরু করতে পারেন।
এমন না যে আপনাকে শুধুমাত্র ইংরেজি আর হিন্দি ভাষায় কাজ করতে হবে। আপনি যে ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকেন না কেন, উক্ত ভাষার উপর আপনি সার্ভিস সেল করতে পারবেন একজন ট্রান্সলেটর হিসেবে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং:
Network Marketing আমার পছন্দের একটি কাজ। আপনি যদি এই কাজটি শুরু করেন অবশ্যই এটা আপনি অনেক বেশি উপভোগ করবেন। কেননা এখানে আপনি নিজের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য কাজ করবেন। আপনি বিভিন্ন কোম্পানির নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোম্পানির হয়ে যখন আপনি কাজগুলো সম্পন্ন করবেন আপনার নেটওয়ার্ক কিন্তু অনেক বড় হতে থাকবে।
কথায় আছে যত বড় নেটওয়ার্ক, তত বড় লম্বা হাত। মানে আপনার নেটওয়ার্ক অনেক বড় মানেই আপনি যেকোন কাজ সহজে করতে পারেন। কারন, আপনাকে সাহায্য করার জন্য আপনার পুরো একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে। যারা আপনার ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুত থাকে।
সরাসরি নেটওয়ার্ক তৈরি করা আর নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মধ্যে কিন্তু অনেকটা পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। এখানে নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য আপনাকে এমন কিছু করতে হবে না যে, আপনার নেটওয়ার্কে থাকা মানুষগুলো কে আপনার পিছনে সবসময় লেগে থাকে।
Network মার্কেটিং বলতে বোঝানো হয়, আপনি কোন কোম্পানির হয়ে তাদের কমিউনিটি বিল্ড করার জন্য যত ধরনের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কৌশল রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করে তাদের কোম্পানির জন্য টার্গেটেড ক্রেতাদের নিয়ে বা ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য ক্রেতাদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরি করা।
রিসেলার:
একজন রিসেলার হিসেবে অনলাইন বিজনেস করার জন্য দারুন সুযোগ রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় দিয়ে একজন রিসেলার হিসেবে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬০ হাজারেরও বেশি রিসেলার রয়েছে। যারা অন্যান্য কাজ ও পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে। রেসলিং এর মাধ্যমে আপনি চাইলে নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি আপনার পছন্দের কোন কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে একজন রিসেলার হিসেবে প্রাথমিক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। রিসেলার হিসেবে পণ্য ও সার্ভিস সরবরাহ করার মাধ্যমে আপনি নিজের অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট:
প্রোগ্রামিং নলেজ শিখা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুবই সহজ বিষয়। বর্তমান সময়ে ইউটিউব গুগল থেকে প্রোগ্রামিং শেখা সম্ভব। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে ইউটিউব গুগল থেকে প্রতিদিনই প্রাকটিস করলে। একজন অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে ছাত্র অবস্থায় অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখে ইনকাম করা সম্ভব। ভবিষ্যতের জন্য অ্যপ তৈরি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রিমিয়াম একটি সার্ভিস হতে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে কিন্তু অ্যাপ ডেভলপারের চাহিদা অনেক বেশি। সুতরাং একজন ছাত্র হিসেবে যদি কোডিং সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকে অথবা শিখার ইচ্ছে থাকে, তাহলে ইউটিউব থেকে নিয়মিত প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে একজন অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে কাজ করা শুরু করা যেতে পারে।
একজন ভাল মানের ডেভলপারের একাধিক অ্যাপস ডেভলপ করার কোন প্রয়োজন নেই। ভালো মানের একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারলেই সারা জীবনের জন্য অর্থ উপার্জনের পথ তৈরি হয়ে যাবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ছাত্র হিসেবে অনলাইন বিজনেস করার জন্য অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে সেরা একটি উপায়।
ওয়েবসাইট ডিজাইনার:
বর্তমান সময়ে অনলাইনে কিছু করার চেষ্টা করলেই নিজের একটা ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়ে থাকে। অনলাইনে নিজের পরিচয় মানেই হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করা। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে বিজনেস এর প্রচার প্রসার এবং বিক্রয় সম্ভব হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের চাহিদা এবং কাজ করার আগ্রহ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এইজন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়ত তাদের কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি থেকে। ওয়েব ডেভলপার হিসেবে কাজ করে দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়ে, তাদের চাহিদা পূরণ করার জন্য আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনাকে অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হবে না। আপনি কয়েক সপ্তাহ একটু ভালো করে প্র্যাকটিস করলেই একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব।
বর্তমানে আপনার কোন কোডিং নলেজ না থাকলেও আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেসর মতো সিএমএস ব্যবহার করে ক্লায়েন্টের জন্য উন্নত মানের ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়া সম্ভব।
মিমি মার্কেটিং:
আপনি হয়তো মিমি মার্কেটিং সম্পর্কে অনেকটা কম শুনেছেন। যেহেতু আগে কখনো হয়তো শুনেন নাই। সুতরাং আজকে শুনে নেন। মিমি মার্কেটিং হচ্ছে জনপ্রিয় একটা মার্কেটিং এর উপায়। মিমি মার্কেটিংকে অনেকটা বাইরাল মার্কেটিং এর মতই বলা হয়। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া যেমন: ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের ভাইরাল পোস্ট এবং তার নির্দিষ্ট গোল অর্জন করার কাজ করাই হচ্ছে মিমি মার্কেটিং এর কাজ।
আপনাকে যদি কোন কাজ দেওয়া হয় সেটা যদি আপনি সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন। এবং যেকোনো বিষয়কে যদি আপনি নিজে ভাইরাল করার কৌশল জানেন, তাহলে একজন মিমি মার্কেটের হিসেবে অনলাইনে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এবং এখান থেকে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটার:
আমি ব্যক্তিগতভাবে কনটেন্ট রাইটিং বিষয়টাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। এজন্য নিয়মিত আমি আমার ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লিখতে থাকি। কন্টেন্ট রাইটিংয়ের মজা একবার বুঝে গেলে আপনি নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারবেন। সত্যি বলতে রাইটিং বিষয়টি অনেকের কাছে জীবনের একটা স্বপ্ন হয়ে থাকে। অনেকেই শুধুমাত্র রাইটিং কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে এবং এখান থেকে নিজেকে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে গড়তে পারে। কনটেন্ট রাইটাররা যেহেতু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে থাকে, এজন্য তারা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানী হয়ে থাকে।
অনেকে মনে করে থাকেন কনটেন্ট রাইটিং অনেক জটিল একটা বিষয়। কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য অনেক পড়াশোনা করা প্রয়োজন এবং অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। সত্য বলতে কনটেন্ট রাইটিংয়ের জন্য রকেট সাইন্স হওয়ার কোন প্রয়োজন নাই। নিয়মিত দিনে ৩০ থেকে ১ ঘন্টার মতো প্রাক্টিস করলেই কয়েক মাসের মধ্যে একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিজেকে পরিচিত করা সম্ভব।
কন্টেন লিখলেই হবে না পাশাপাশি কনটেন্টগুলো কে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে আপনি প্রাথমিকভাবে নিজেকে পরিচিত করার জন্য আপনার লেখা কনটেন্টগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারেন। এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার মাধ্যমে সেখান থেকে আপনি নিজের পোর্টফলিও তৈরি করতে পারবেন।
এভাবে কয়েকটা জনপ্রিয় ওয়েব সাইটে আপনার কন্টাক্ট পাবলিশ করতে পারলেই আপনার একটি পোর্টফোলিও তৈরি হয়ে যাবে। আপনাকে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে প্রমাণ করতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে এবং কনটেন্ট রাইটিং জব পাওয়ার জন্য আপনাকে সাহায্য করবে।
কনটেন্ট লেখক হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে নিজের নামে একটি প্রোফাইল তৈরি করা যেতে পারে। যার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। সত্য বলতে কনটেন্ট রাইটার এর চাকরির জন্য আপনাকে বসে থাকতে হবে না। কেননা মার্কেটপ্লেসগুলোতে অভিজ্ঞ কনটেন্ট রাইটারদের অভাব রয়েছে।
কপি রাইটার:
ছাত্রাবস্থায় অনলাইন বিজনেস করে আয় করার জন্য কপি রাইটার কার্যকর একটি পদ্ধতি। কপিরাইটিং কাজ বেশ সহজ তবে এর জন্য আপনাকে একটু ক্রিয়েটিভ হতে হবে। ছাত্র অবস্থায় পার্ট টাইম জব করার জন্য কপিরাইটিং জব খুবই সুবিধাজনক। বর্তমান সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানি কপিরাইটার খোজ করে থাকেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোম্পানির সঠিক ও একজন দক্ষ কপিরাইটার খুঁজে পেতে অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যায়।
সুতরাং আপনি যদি একজন কপি রাইটার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে এই বিষয়টা নিয়ে একটু চেষ্টা করতে পারেন। গুগল ও ইউটিউবে কিছু রিসোর্স দেখলে কিছুদিন প্রাক্টিস করলেই আপনি একজন কপি রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারবেন।
গ্রাফিক ডিজাইনার:
গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কিভাবে কাজ করতে হবে এবিষয়ে না বললেই চলে। বাংলাদেশে বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইনারদের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। এবং বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে গ্রাফিক ডিজাইনয়ের কাজ করে বাংলাদেশীরা হাজার হাজার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে নিয়ে আসছে।
নিজেকে কিভাবে ডিজাইনার হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে?
আপনি যদি কম্পিউটারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার ব্যবহার ভালো করে জানেন। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি মার্কেটপ্লেসগুলোতে নিজের বিজনেস দাঁড় করাতে পারবেন। অনলাইনে বিজনেস করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছেন জনপ্রিয় এবং এটি একটি প্রিমিয়াম সার্ভিস। অনলাইন বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইন সেরা একটি পদ্ধতি।
পৃথিবীতে এমন কোন কোম্পানি নেই যাদের গ্রাফিক ডিজাইনারদের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি কোম্পানিকেই নিজেদের প্রচার প্রচারণার জন্য এবং নিজেদের পণ্যের ডিজাইনিং এর জন্য গ্রাফিক ডিজাইনারদের অবশ্যই অবশ্যই প্রয়োজন হয়ে থাকে। এইজন্য গ্রাফিক ডিজাইনাররা একদমই বসে থাকতে পারে না। কোনো না কোনো ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন চাকরির সন্ধান পেয়ে যায়।
মার্কেটপ্লেসগুলোতে সার্ভিস প্রদান করার ক্ষেত্রে প্রথম ক্যাটাগরিতে থাকে গ্রাফিক ডিজাইনাররা। সুতরাং আপনি যদি একজন ডিজাইনার হতে চান, আজ থেকেই আপনি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারেন। এবং এটি নিয়ে আপনি অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
ড্রপশিপিং অনলাইন বিজনেস
বাংলাদেশের মধ্যেও এমন অনেক চালাক ব্যক্তিরা রয়েছে। যারা অনলাইনে বিজনেস করতেছে দক্ষতার সাথে। ড্রপ শিপিং বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে হয়তো আপনাদের অনেকেরই জানা থাকতে পারে। তবে বেশিরভাগ মানুষেরই শিপিং সম্পর্কে অভিজ্ঞতা কম থাকতে পারে। ড্রপশিপিং বিজনেস আইডিয়াটি হচ্ছে অসাধারণ একটি আইডিয়া।
এই বিজনেস মডেলটি অনেকটা রিসেলিং এর মত। তবে ড্রপশিপিং এবং রিসেলিং বিজনেস এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য বিরাজমান রয়েছে। আপনি চাইলে বাংলাদেশেই বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেই ড্রপশিপিং বিজনেস করতে পারবেন। একটি ই-কমার্স বিজনেস ট্রাক শিপিং ব্যবসার পরিপূর্ণ সমাধান।
এক্ষেত্রে নিজের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে
এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মতোই আপনাকে আপনার পণ্য ও সেবা বিক্রয় করতে হবে। ড্রপশিপিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এই ব্যবসার জন্য আপনাকে কোন পণ্য ক্রয় করতে হবে না। এবং পণ্য ডেলিভারি করতে হবে না। ড্রপশিপিং এর জন্য শুধুমাত্র আপনাকে মাঝখান থেকে বসে মার্কেটিং করতে হবে। এবং পণ্যের জন্য অর্ডার সংগ্রহ করতে হবে।
যখন কোন পণ্যের অর্ডার আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন। সে অর্ডারটি আপনি আপনার ড্রপশিপিং পার্টনার কোম্পানির কাছে সরবরাহ করবেন। তখন উক্ত কোম্পানি আপনার পণ্যটি ডেলিভারি করবে এবং আপনার পণ্যটি সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দিবে।
ড্রপশিপিং ব্যবসার জন্য অ্যামাজন ও আলিবাবা হচ্ছে জনপ্রিয় কিছু কোম্পানি। অ্যামাজন ও আলিবাবাকে নিয়ে ড্রপ শিপিং বিজনেস করে হাজার হাজার উদ্যোক্তারা বর্তমানে তাদের আইডিয়া বাস্তবায়নের সফল হয়েছে। আপনিও চাইলে আজ থেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ড্রপিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রতিদিন আপনার ড্রপ শিপিং ওয়েবসাইটের জন্য ২ থেকে ৩ ঘন্টা অনলাইনে সময় দিলেই এই ব্যবসাটি সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।
সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লয়েন্সার:
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লয়েন্সার এর ডিমান্ড এবং একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কত টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব? এই বিষয়ে আপনি বিস্তারিত জানতে পারলে, আমি নিশ্চিত আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আজ থেকেই লেগে পড়বেন। তবে আপনাকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পর্যাপ্ত টাইম আপনাকে দিতে হবে।
শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের অ্যাক্টিভিটি ভালো থাকলেই হবে না পাশাপাশি আপনার অডিয়েন্স যারা থাকবে তাদের কে আপনাকে এনালাইজ করতে হবে। এবং নিয়মিত আপনার অডিয়েন্সদেরকে আপনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করতে হবে। এবং তাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি আপনাকে তৈরি করতে হবে।
আপনি যত বেশি আপনার অডিয়েন্সের মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন এবং তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন। ততবেশি সম্ভাবনা রয়েছে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ পাওয়ার।
আপনি যদি একটু লক্ষ্য করেন, তাহলে আমাদের চারপাশে অনেক বড় বড় ইনফ্লুয়েন্সার দেরকে আপনি দেখতে পাবেন। যারা অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসগুলো প্রমোট করে। বিভিন্নভাবেই ইনফ্লয়েন্সার হিসেবে অনলাইন থেকে ইনকাম করছে।
ঠিক আপনারা যদি একজন অনলাইন সেলিব্রিটি হওয়ার স্বপ্ন থাকে এবং নিজেকে একজন অনলাইনের জনপ্রিয় সেলিব্রেটি হিসেবে গড়তে চান, তাহলে আজকেই আপনি ইনফ্লুয়েন্সার এর কাজ শুরু করতে পারেন। এবং নিজের প্রোফাইল অনলাইনে আপনি তৈরি করতে পারেন।
কেমন লেগেছে আমাদের একুশটি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া?
আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। নিচে কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত লিখে আমাদের জানান। একুশে বিজনেস আইডিয়া থেকে আইডিয়া টি আপনার জন্য সেরা এবং আপনি কোন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন সে বিষয়টি আমাদের জানান। এমনকি এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য আপনি কি কি স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করতে চান তা নিয়ে আমাদের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন।