অনলাইনে চাকরি করতে কি কি জানতে হবে – অনলাইন জব করার উপায়
বিশ্বাস করুন! ভবিষ্যতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে অনলাইন জব করার উপায় আপনাকে জানতে হবে। পুরো পৃথিবীর মানুষকে লকডাউনের সময় বাড়িতে অবস্থান করতে হয়েছে। সবার উপার্জনের রাস্তা কমবেশি বন্ধ হয়েছিল। যারা ঘরে বসে কোনো উপার্জনের রাস্তা খোঁজে পাইনি, তাদের জীবন কিভাবে অতিবাহিত হয়েছে তারাই ভালো জানেন।
যারা অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা করেছে বা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং নিয়ে কাজ করেছেন। তারাই লকডাউন চলা কালিন সময়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। আমাজন, আলিবাবা, ফেসবুক এবং ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর কোম্পানিগুলোর প্রফিটের হার প্রায় 3X গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে লকডাউনের সময়। ভেবে দেখুন যদি আপনারও একটা অনলাইন ভিত্তিক প্লাটফর্ম বা দক্ষতা থাকতো, তাহলে আপনি চিন্তা ছাড়া ঘরে বসে উপার্জন করতে পারতেন।
পুরোপুরি লেখাটি পড়ুন। একটু পড়ে এড়িয়ে যাবেন না। পড়লে আপনি কিছু বুঝতে পারবেন।
চাইলে কি একটা নিজের অনলাইন প্লাটফর্ম করা সম্ভব?
হ্যাঁ, অবশ্যই করা সম্ভব। আমি জানিনা কেন বাংলাদেশীরা অনলাইনে বিনিয়োগ করতে এতো ভয় পাই। অনলাইনে বিনিয়োগের দিক থেকে ভারতীয়দের আমার অনেক ভালো লাগে। তাদের মধ্যে একজন ছাত্রও অনলাইনে কাজ করে উপার্জন করেন। আমার সাথে মাঝে মাঝে অনেক ভারতীয়দের সাথে কথা হয়। কলকাতায় বসবাস করে এমন হলে বাংলায় কথা বলে অনেক মজা পাই। আচ্ছা যাই হোক, বর্তমানে বাংলাদেশেও অনেকেই অনলাইনে বিনিয়োগ করছে। তার মধ্যে আমিও একজন।
অনলাইনে নিজের একটা উপার্জনের প্লাটফর্ম তৈরি করতে বিনিয়োগ করতেই হবে এমনটা কিন্তু নয়। অনেকগুলো এমনও পদ্ধতি রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র নিজের জ্ঞান কে ব্যবহার করতে হবে। যেমন- ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা, কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করা, ডিজাইনার হিসেবে কাজ করা, ইত্যাদি।
বিনিয়োগ মানে এই নয় যে, আপনাকে কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানির কাছে টাকা জমা দিতে হবে। বিনিয়োগ বলতে একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে যেসকল টুলস ক্রয় করতে হবে তা বুঝানো হয়েছে। যেমন ধরুন একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা, ব্লগ সাইট তৈরি করা, ইত্যাদি। বিডিব্লগ.কম হচ্ছে আমার অনলাইন ইনকামের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। এটা তৈরি করতে প্রাথমিকভাবে আমাকে ৬ হাজার টাকার মতো বিনিয়োগ করতে হয়েছে।
বিডিব্লগ থেকে আমি বিভিন্নভাবে আয় করি। ব্লগ সাইট থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের সাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে।
অনলাইন জব করার জন্য কি নিজের প্লাটফর্ম থাকা বাধ্যতামূলক?
না। আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল কিছুর প্রয়োজন নেই। অন্যদের তৈরি করা প্লাটফর্ম গুলোতে অনলাইন জব করা সম্ভব। নিজের প্লাটফর্মটা হচ্ছে একটা নিজের স্বাধীনতা। আপনি ফাইভার, আপওয়ার্ক এর মতো বড় বড় মার্কেটপ্লেসে অনলাইন জব করতে পারবেন।
জেনে নেওয়া যাক অনলাইন জব করার উপায়:
পৃথিবীতে যত রকমের দূর্যোগ আসুক। আমার মনে হয় না কখনও অনলাইন উদ্যোক্তাদের বসে থাকতে হবে। আপনি যদি ভবিষ্যতে নিজেকে কোন কাজের বাঁধা হিসেবে না দেখতে চান, তাহলে আপনার অবশ্যই অনলাইন জব করার উপায় জানতে হবে। চিন্তার কোন কারন নাই। আর্টিকেলের মধ্যে আপনি অনলাইন জব সম্পর্কিত সকল তথ্য পাবেন। আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন অনলাইনে জব করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে আপনার কি কি করা প্রয়োজন? যদি আপনি এটি প্রয়োজন মনে করেন আপনার জন্য। তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন এবং আমাদেরকে আপনার মতামত জানাবেন। আমাদের আজকের লিখাটি পড়ার পর আপনি কি শিখতে পেরেছেন?
অনলাইন জব করার উপায় কেন জানতে হবে?
সহজ কথায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিজেকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে অনলাইন জব করার উপায় জানতে হবে। বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত অনলাইনে কাজ করার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল উদ্যোক্তা বৃদ্ধির কারণে চাকরি প্রত্যাশীদের অনলাইনে কাজ করার দক্ষতা প্রয়োজন। অনলাইনে কিভাবে কাজ করতে হয়? সে বিষয়ে যদি আপনার কোন দক্ষতা না থাকেন। তাহলে আপনি এই প্লাটফর্মে কখনো নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। মূলত অনলাইন প্লাটফর্ম হচ্ছে এমন একটা প্লাটফর্ম। যেখানে আপনি পূর্বে থেকে প্রাক্টিস না করলে বিষয়গুলো সহজে সমাধান করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে অনলাইন জব করার উপায় সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
অনলাইন জব করার উপায় কিভাবে জানতে পারবেন?
বর্তমানে অনেকগুলো সুনামধন্য কোম্পানি অনলাইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। তবে ভালো প্রতিষ্ঠান না চিনে প্রশিক্ষণ নিলেও আপনি অনেক বড় সমস্যায় পড়ে যাবেন। এজন্য আপনি নিজ থেকে সাবধান থাকবেন এবং সব তথ্য যাচাই করে প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হবেন। সবচেয়ে ভালো হয় আগে কয়েকদিন ফ্রি ক্লাস করে ভালো মন্দ যাচাই করা।
কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে কোচিং করাটা মূলত একদম যারা নতুন তাদের জন্য উপযুক্ত। যারা অনলাইনের বেসিক সম্পর্কে জানেন। তাদের মূলত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করার প্রয়োজন হয় না। আমি নিজেও কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করিনি। ইউটিউব এবং গুগল থেকে আমি নিয়মিত প্র্যাকটিস করেছি। যার ফলে আমার জ্ঞান খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আমি অনলাইনে যেকোন কাজ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পন্ন করতে সক্ষম।
কিছু জনপ্রিয় অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
উক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো ছাড়াও বর্তমানে সুযোগ রয়েছে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার। আপনি যদি একটু চোখ কান খোলা রাখেন, তাহলে অনেকগুলো সুবিধা আপনি গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে “লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট” হচ্ছে সরকারের অনেক বড় একটা প্রকল্প। এখানে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরও অনেকগুলো জনপ্রিয় কোর্স চালু রয়েছে।
অনলাইনে চাকরি করার উপায় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে কত টাকা খরচ হয়?
উপরে যে সকল প্রতিষ্ঠানের নাম আমরা আপনাদের জানিয়েছি। সবগুলো প্রতিষ্ঠানে কিছু কোর্স ফ্রি পাওয়া যায়। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বিশ্বমানের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। টাকা দিয়ে এদের কোর্স করতে বড় একটা বাজেট প্রয়োজন হয়। “BOHUBRIHI” হচ্ছে বাংলাদেশের একটা অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। “BOHUBRIHI” এর কোর্সগুলো সবচেয়ে কম দামে করা যাবে। তবে আমি বলি, আপনি যদি একটু সময় নিয়ে চেষ্টা করেন, তাহলে ইউটিউব ও গুগল থেকে আপনি সবকিছু ফ্রি-তে শিখতে পারেন। বর্তমানে ইউটিউব ও গুগলের থেকে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমার মনে হয় না আর আছে।
অনলাইনে কাজ শুরু করার জন্য কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন?
আমি নিজেই যেহেতু অনলাইনে কাজ করে প্যাসিভ ইনকাম করছি। তাই আমি আপনাদের পরামর্শ দেব। অনলাইনে কাজ শুরু করার জন্য আপনার ৩ টি বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন:
- ইচ্ছা
- ধর্য্য
- দক্ষতা
আমি মনে করি, এই তিনটি বৈশিষ্ট্য আপনাদের থাকলে অবশ্যই অনলাইনে উদ্যোক্তা বা চাকরি করার সুযোগ পাবেন।
অনলাইন জব করার উপায় জেনে নিন:
উপরোক্ত আলোচনা গুলো যদি আপনি ভালো করে পড়ে থাকেন, তাহলে আপনি বুঝে গেছেন আপনাকে কি করতে হবে। অনলাইন জব করার জন্য আপনাকে প্রথমে চাকরি খোঁজে বের করতে হবে। এতক্ষণ পর্যন্ত অনলাইন জব করার দক্ষতা নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আবার আলোচনা করব অনলাইনে জব পাওয়ার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে। মনে রাখবেন, কোন চাকরিতে আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই যুক্ত চাকরি সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা আছে কিনা তা যাচাই করে নিবেন। যদি উক্ত প্রদর্শনের জন্য আপনার যথেষ্ট দক্ষতা থাকে তাহলে কখনো উত্তরপ্রদেশের জন্য আবেদন করবেন না।
অনলাইনে ২ পদ্ধতিতে কাজ শুরু করতে পারেন:
- নিজের প্লাটফর্ম তৈরী করে
- অন্যের হয়ে কাজ করতে পারেন।
নিজের প্লাটফর্ম তৈরী করে কাজ শুরু করতে হলে আপনাকে একটা নিজের ব্রান্ডিং করতে ওয়েবসাইট করতে হবে। অন্যের হয়ে কাজ করতে আপনাকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আবেদন করতে হবে। যেমন:
- ফ্রিলান্সার ডটকম
- ফাইভার ডট কম
- আপওয়ার্ক ডটকম
- পিপলস পার আওয়ার, ইত্যাদি।
আপনি যদি ব্যক্তিগত একটি প্লাটফ্রম তৈরি করতে চান, তাহলে কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। এবিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে অনেকগুলো আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন। একটি ওয়েবসাইট তৈরি সম্পর্কিত কয়েকটি আর্টিকেল নিচে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
আমি প্রতিনিয়ত এসব বিষয়ে খন্ড খন্ড করে আলোচনা করে যাবো:
আজকের লেখাটি মূলত সামান্য একটা বেসিক ধারণা। অনলাইনে আসার আগে এগুলো অবশ্যই জানা প্রয়োজন। তাই এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা আমার সাথে সময় দেন, তাহলে আমি আপনাদের জন্য ভালো কিছু করতে চেষ্টা করবো। আমাকে কমেন্টে জানান আপনি আরও কি কি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান?
আমি একজন কম্পিউটার অপারেটর। আমি অনলাইন থেক কাজ করতে চাই
অবশ্যই! আপনি চেষ্টা করলে পারবেন।
আস্সালামু আলাইকুম… আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে পারেন। এর প্রচুর চাহিা আছে।
অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলো শরীয়ামত বৈধ-না অবৈধ-জানা থাকলে জানাবেন
অনলাইন এবং অফলাইন যেকোনো জায়গায় বৈধ এবং অবৈধ দুই ধরনের কাজ রয়েছে। আপনি যদি অনলাইনে বৈধ পদ্ধতিতে কাজ করতে চান, তাহলে আপনাকে যে কাজগুলো বৈধ ক্যাটাগরিতে রয়েছে সে কাজগুলো করতে হবে। অনলাইনে এমন অনেকগুলো কাজ রয়েছে। যেগুলো করা বৈধ নয়।
এক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের কাজ করতে যাচ্ছেন? তার ওপরে নির্ভর করে আপনার কাজটি বৈধ নাকি অবৈধ। ধর্মীয় বিষয়ে সরাসরি ফতোয়া দেওয়া আমার দ্বারা সম্ভব নয়। অনলাইনের কাজ গুলো বৈধ নাকি অবৈধ? এবিষয় সম্পর্কে আপনি যদি ধর্মীয় দিক থেকে জানতে চান, তাহলে কোন আলেমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমি মানবিক দিক থেকে আপনাকে উত্তরটি দিয়েছি। মানবিক দিক থেকে আপনি যেকোন কাজ বৈধ-অবৈধ তার মধ্যে পার্থক্য তৈরী করে বাছাই করতে পারেন। যে কাজটি আপনার বৈধ মনে হবে। সে কাজটি আপনি করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে অনলাইনেও অনেকগুলো কাজ রয়েছে যে কাজগুলো করা যায়।
ধন্যবাদ, আসলে কুরআন হাদিস দ্বারা যেই কাজটি হারামের দলিল আছে, সেই কাজটাই হারাম… আর যেমন গান বাজনা, কারো বিরুদ্ধে অপবাদ দৌয়া বা কারো ছোট করার জন্য যে কোন কাজ অণলাইনে হোক বা অফলাইনে হোক সেটা হারাম,, আপনি অনলাইনে এমন একটি কাজ বেচে নিন যেটা সদকায়ে জারিয়া হবে । হতে পারে আপনি একটা আপনার একটা youtube চ্যানেল আছে আপনি সেখানে কুরআন তিলওয়াত করেন, এতে করে আপনার আয়ও হচ্ছে অন্যদিকে সাদকাও হচ্ছে।