অনলাইন ইনকাম করার জন্য সেরা ১০টি উপায়
1 min read

অনলাইন ইনকাম করার জন্য সেরা ১০টি উপায়

বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম করার একাধিক কাজের সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনার রকেট চালানোর জ্ঞান থাকার প্রয়োজন নেই। অনলাইন সম্পর্কিত  সামান্য কিছু জ্ঞান থাকলেই তার বিনিময়ে আপনি অনলাইন থেকে প্রফেশনাল ভাবে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। এখন চাকরিজীবি হোক বা বেকার অথবা একজন শিক্ষার্থী। অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে ও বিদেশি বায়ারদের কে সার্ভিস প্রোভাইড করে ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারে।  আমি একটু আগেই বলেছি,  অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন মোটেও কঠিন কোনো বিষয় নয়। শুধুমাত্র যেকোন একটি বিষয়ে আপনার কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। একাধিক দক্ষতা থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। 

অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনার লক্ষ্য যেরকম ঠিক করবেন। আপনি সেভাবে অনলাইন থেকে উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। চাইলে আপনি ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে অতিরিক্ত অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।  অথবা যারা প্রফেশনালি হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে যাচ্ছে তাদের মতই আপনি অনলাইন কে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। চাকরিজীবীরা চাকরির পরে অবসরে, বেকার ও শিক্ষার্থীরা তাদের অতিরিক্ত সময়টিতে এসব অনলাইন জব করতে পারে। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য  দিনরাত গাধার মত খাটতে হয় না। আমি নিজেও একজন ছাত্র হিসেবে আপনাদেরকে এই বিষয়ে খুব জোর দিয়ে বলতে পারি।

পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন ইনকাম সম্ভব?

হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। আমি ২০১৫ সাল থেকে অনলাইনে কাজ করার জন্য আমার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। যখন আমি নতুন অনলাইনে কাজ শুরু করেছিলাম তখন আমার হাতে শুধুমাত্র একটা স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট কানেকশন ছিল। আমার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমি অনলাইন থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু করি। একাধিক বিষয় সম্পর্কে জানার পরে আমি আমার প্রফেশন হিসেবে ব্লগিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কে গ্রহণ করেছি।

দেশ ও বিদেশের মধ্যে অনেকগুলো ক্লায়েন্টের হয়ে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করে থাকি। যখন হাতে কোন কাজ থাকেনা, তখন আমি বসে বসে আমার ব্লগের জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে সময় দিই। সত্যি বলতে যখন আপনি অনলাইনের কাজ সম্পর্কে মজা উপলব্ধি করতে পারবেন। তখন আপনি এই প্রফেশন কে কখনো অবহেলা করবেন না।

সুতরাং আপনি একজন ছাত্র হন, অথবা চাকরি ছাড়া বেকার হন, বা চাকরির পাশাপাশি যদি আপনি নিজের একটা অনলাইন বিজনেস দাঁড় করানোর জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। একদম কোন কিছু চিন্তা না করেই আপনি অনলাইনে ইনকাম করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। অনলাইন থেকে যে পরিমাণ অর্থ আপনি উপার্জন করতে পারবেন। সে পরিমাণ অংশ আপনার জন্য অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে। এমনকি এটি লাইফের জন্য একটি অনেক বড় সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।

“মোবাইলে অনলাইনে আয়” করার সঠিক গাইডলাইন

মোবাইল দিয়ে আয়ের তথ্য।

আপনার যদি আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি আজ থেকে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। যদি পূর্বে থেকে আপনার অনলাইন বিষয়ে কোনো রকম দক্ষতা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার পরে একটা বিষয় পছন্দ করুন। এবং সেই বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জনের জন্য ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখুন। ইউটিউব ভিডিও দেখে আপনি ভালভাবে শিখতে না পারেন, তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানান। আমি যদি পারি তাহলে আপনার জন্য কোন পেইড কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি-তে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।

যদি পূর্বে থেকে আপনার সামান্য কোন অনলাইন বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনার বিদ্যমান দক্ষতা ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি শিক্ষার্থী হন বা বেকার হোন এটি আপনার জন্য মোক্ষম সময়। যদি মনে হয়, আপনি সত্যিই অনলাইন থেকে উপার্জন করার জন্য আগ্রহী, তাহলে এখানে আপনার জন্য রয়েছে ১০টি এমন আইডিয়া। যেগুলো ব্যবহার করে আগে অনলাইন থেকে নিশ্চিত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম করতে সেরা উপায় –

এখানে আমরা যেসকল আইডিয়া ও উপায়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সবগুলো উপায় খুবই জনপ্রিয় ও কার্যকর। যারা এসকল উপায় নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আপনাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে যেকোনো একটা উপায় নিয়ে কাজ করার। অনেকেই একাধিক কাজ একসাথে করার চেষ্টা করে অনলাইনে আয় করতে সক্ষম হননা। যদি যেকোনো একটা উপায় নিয়ে কাজ করেন, তাহলে দ্রুত সফলতা পাওয়া যাবে। সহজে অর্থ উপার্জন করাও যাবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক অসাধারণ উপায় সমূহ –

ফ্রিল্যান্স রাইটিং জব করে অনলাইনে টাকা ইনকাম –

লেখক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার অনলাইনে গঠন করার জন্য ফ্রীলান্স রাইটিং খুবই মজাদার একটি পেশা। শুধুমাত্র অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে নয়, এটি আপনাকে একজন স্মার্ট এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। ফ্রিল্যান্স রাইটিং শিক্ষিত বেকার, চাকরিজীবী, ও শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভাল ও বেশি অর্থ প্রদান করা অনলাইন জব। আপনি নিজেকে যে ভাষার জন্য পারদর্শী মনে করেন। নিজেকে সে ভাষার ফ্রীলান্স রাইটার হিসেবে এগিয়ে নিতে পারেন এবং কাজ করতে পারেন। এই সেক্টরে কাজ করার জন্য আপনাকে কোনরকম বাধার সম্মুখীন হতে হবে না। 

কারণ আপনার যদি কোনো ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকে, হাতে থাকা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে ফিনান্স রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। যাদের মধ্যে লেখার দক্ষতা রয়েছে এবং ভাল ব্যাকরণ এবং যেকোনো বিষয়ে গবেষণা দক্ষতা রয়েছে। তারা খুব সহজে ফ্রিল্যান্স রাইটিং জব করতে পারেন। এই কাজগুলো করার জন্য আপনার কেবল ইন্টারনেট ও সাথে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের প্রয়োজন হবে।

অনলাইন ইনকাম
অনলাইন ইনকাম

অনলাইন ইনকাম করতে কোথায় ফিন্যান্স রাইটিং কাজ পাওয়া যাবে?

ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস সরবরাহকারী ওয়েব সাইট গুলোতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লেখার কাজগুলো একাধিক পাওয়া যায়। বর্তমানে অনেকগুলো বিশ্বের মধ্যে ফ্রীলান্স রাইটিং ওয়েবসাইট রয়েছে। অনলাইনে যারা নিজের ওয়েবসাইট রয়েছে। তারা ফ্রীলান্স রাইটার দের কে অনেক বেশি মূল্য দিয়ে হায়ার করে থাকে। খুব সহজে ফ্রীলান্স রাইটিং এর কাজ পাওয়া যায় এমন কিছু ওয়েবসাইটের লিস্ট নিচে দিয়ে দেওয়া হল।

  • Contena
  • Upwork
  • ProBlogger
  • FlexJobs
  • Fiverr
  • Freelance Writing Jobs
  • Textbroker
  • Contently

কি কি ধরনের ফ্রীলান্স রাইটিং জব অনলাইনে পাওয়া যায়?

বেশিরভাগ লেখার কাজের মধ্যে প্রমোশনাল রাইটিং, ব্লগ পোস্ট এবং ওয়েব সাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেকোনো বিষয়ে লেখার কাজটা সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে একটি সময়সীমা দেওয়া হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে আপনাকে কাজটা সম্পন্ন করে বায়ারের কাছে জমা দিতে হবে।

কিভাবে ফ্রীলান্স রাইটিং কাজ গুলো খুজে বের করবেন?

উপরে আমরা ইতিমধ্যে যেসব ওয়েবসাইটে ফ্রীলান্স রাইটিং এর কাজ পাওয়া যায়। সে সকল ওয়েবসাইটের একটি লিস্ট আপনাদের জন্য দিয়েছি। উক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে আপনি আপনার তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলে। একাধিক প্লেনস রাইটিং এর জব খুঁজে পাবেন। অথবা আপনি চাইলে সরাসরি কোনো লাইভ জব বোর্ড ওয়েবসাইট থেকেও এ ধরনের লেখার কাজ খুঁজে বের করে নিতে পারেন। 

সহজে কাজ পাওয়ার জন্য আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইট লিস্ট গুলোতে প্রোফাইল তৈরী করুন। এবং সেখানে একাধিক কাজের মধ্য থেকে বাছাই করা কাজগুলোর জন্য আপনি বিড করতে শুরু করুন। আপনি যেভাবে সুবিধা কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেভাবে কাজ করবেন তার উপর নির্ভর করে কাজটির জন্য আপনাকে পেমেন্ট করা হবে। যদি ভালো রাইটিং সরবরাহ করতে পারেন, তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে পারিশ্রমিকের পাশাপাশি  আরো বেশী খুশী হয়ে টিপস দিতে পারে। ফাইবার  ও আপওয়ার্কের মত ফ্রিলান্স সাইট গুলোতে কাজ করলে পারিশ্রমিকের পাশাপাশি টিপস এর পরিমাণ অনেক বেশি পাওয়া যায়। 

রাইটার হিসেবে কাজ সরবরাহ করতে যে সকল দক্ষতা প্রয়োজন – 

কিছু কিছু ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য আপনাকে প্রাথমিকভাবে একটি ছোট পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হবে আপনি ব্যাকরণের দিক থেকে কোনরকম ভুল-ত্রুটি করেন কিনা। ফিন্যান্স রাইটার হিসেবে কাজ করার জন্য ব্যাকরণের সঠিক ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে ভাষার জন্য কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করবেন। উক্ত ভাষায় যদি আপনার ব্যাকরনের ব্যবহার সঠিকভাবে করতে পারেন, তাহলে আপনি কাজ করার জন্য উপযোগী হয়ে উঠবেন।

অনেকক্ষেত্রে আপনার লেখার কতগুলো স্যাম্পল গ্রহণ করতে পারেন। অর্থাৎ আপনার পূর্বের লেখাগুলো থেকে আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে যাচাই করার জন্য স্যাম্পলগুলো সংগ্রহ করা হবে। আপনার জমা দেওয়া স্যাম্পল গুলো যদি সঠিকভাবে থাকে এবং গ্রামার এর ব্যবহার যদি সঠিকভাবে করা হয়ে থাকে, তাহলে 100% আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজের জন্য সিলেক্ট হয়ে যাবেন।

সাধারণত, লেখার কাজগুলি প্রতি শব্দ, আর্টিকেল বা প্রকল্পের ভিত্তিতে প্রদান করা হয় বা প্রতি ঘন্টা ভিত্তিতে প্রদান করে।

ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইন ইনকাম করুন –

সাধারণত যারা অনলাইনে একদম নতুন তাদের জন্য ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো উপযুক্ত। আপনি যদি অনলাইনে কোন ধরনের কাজ না করে থাকেন, তাহলে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে অনলাইনে কাজ শুরু করতে পারেন। ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য পূর্বে থেকে কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনার অবশ্যই কম্পিউটারের কিবোর্ড চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে। 

আপনি যদি নির্ভুলভাবে দ্রুত টাইপ করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং এই ধরনের কাজ পেলে আপনি কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ডেটা টাইপ এর কাজগুলো খুবই ভালো হয়। যেহেতু এ কাজের জন্য পূর্বে থেকে কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। এবং এই কাজগুলো করার জন্য কোন জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না। এইজন্য এ কাজগুলো যেকোন ছাত্র-ছাত্রী অবসর সময়ে সম্পন্ন করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

ডাটা এন্ট্রির কাজ করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

সাধারণত অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ গুলোর জন্য কম টাকা পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। তবে আপনার যদি ভালো দক্ষতা থাকে, তাহলে ডাটা এন্ট্রি করে ও অনেক ভালো পরিমাণ এর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।  নতুন হিসেবে যদি আপনি এই কাজে অংশগ্রহণ করে থাকেন তাহলে মাসে ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সহজ হবে। যদি আপনি আরো বেশি ইনকাম করার স্বপ্ন দেখেন তাহলে আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এবং যে কোন ডাটা এন্ট্রির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার সামর্থ্য আপনাকে রাখতে হবে।

 ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ গুলো কোথায় পাওয়া যাবে?

বিশ্বের মধ্যে একাধিক ডাটা এন্ট্রি জব অফার করে এরকম ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনাকে আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে, যেন আপনি কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এখানে এমন কিছু ওয়েবসাইটের লিস্ট করেছি যে ওয়েবসাইটগুলোতে সাধারণত ডাটা টাইপের কাজ অফার করে থাকে। নিচে যুক্ত করা ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে কাজের সন্ধান শুরু করতে পারেন।

  • Speakwrite
  • Upwork
  • Transcribeme
  • Worknhire
  • iFreelance
  • Scribie
  • Go transcript
  • Flexjobs
  • Rev
  • Smart Crowd
  • Clickworker

উপরে উল্লেখিত এই সকল ওয়েব সাইটে আপনি খুব সহজে ডাটা টাইপ এর কাজ গুলো খুঁজে পেতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করার জন্য পরীক্ষা দিতে হতে পারে। আপনি এমন ওয়েবসাইটে কাজ করুন যেখানে নতুনদেরকে কাজ করার সুবিধা প্রদান করে থাকেন। যখন আপনি একজন এক্সপার্ট হিসেবে পরিচিত লাভ করবেন। তখন বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য জনপ্রিয় ওয়েব সাইটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। 

অনলাইন ইনকাম করতে ভার্চুয়াল সহকারী চাকরি করুন –

ভার্চুয়াল সহকারি হিসেবে কাজ করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। যেহেতু ভারত সরকারের কাজটা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এই জন্য অবসর সময়ে ছাত্রছাত্রীরা তাদের অবসর সময়ে ব্যবহার করে। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে বা সহকারি হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে যারা সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা রয়েছে তারাও কিন্তু এই সুযোগ-সুবিধা টি ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে যারা বর্তমানে চাকরিতে যুক্ত রয়েছেন, তাদের জন্য সহকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করাটা অনেকটা জটিল হয়ে যেতে পারে। 

যেহেতু আপনি নিজেই একটি কোম্পানির হয়ে চাকরিতে যুক্ত রয়েছেন। সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি অন্য কোন কোম্পানির হয়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যুক্ত না হওয়াটাই সবচেয়ে ভালো। যদি আপনার থাকে এমন হয়ে থাকে চাকরির কাজ সম্পন্ন করার পরে আপনার অনেক সময়ই বেঁচে যায়। তাহলে আপনি একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরির পাশাপাশি  অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন। 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কি কি কাজ করতে হতে পারে?

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট মূলত এক প্রকারের অনলাইন সহকারি। আপনি বিশ্বের যেকোন দেশে বসেই একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন। অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন সিডিউল কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি তাদের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করে থাকে। যেমন উক্ত কোম্পানীর জন্য নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট করা,  কোম্পানির ঘন অনলাইন মিটিং থাকলে সে মিটিং সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা,  কোম্পানির অনলাইন ইভেন্টগুলো পরিচালনা করা, উক্ত কোম্পানীর সাথে সম্পর্কিত বাৎসরিক বিভিন্ন প্রোগ্রামের টাইম সিডিউল সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা, ইত্যাদি। 

সুতরাং আপনি বুঝতে পেরেছেন একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা খুব সহজ একটি কাজ। তবে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার ভাষার দক্ষতা ভালো থাকতে হবে। এবং যেকোন বিষয় সহজে বুঝানোর ক্ষমতা রাখতে হবে। প্রেজেন্টেশন দক্ষতা সবচেয়ে বেশি আপনাকে এগিয়ে দিবে। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার জন্য।

কত টাকা আয় করা সম্ভব একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে?

আপনি যদি নতুন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে জয়েন করে থাকেন তাহলে আপনাকে কম টাকা পেমেন্ট করা হতে পারে। সাধারণত একজন নতুন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে প্রতি ঘন্টায় ৫ থেকে ১০ ডলারের মতো পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। যদি আপনি একজন অভিজ্ঞ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ৩০ ডলারেরও বেশি আপনি বায়ারের কাছ থেকে পেমেন্ট আদায় করতে সক্ষম হবেন। যদি আপনি কাজ করেন আপনার বায়ান বা কোম্পানির  মনোযোগ আকৃষ্ট করতে পারেন। তাহলে আপনি অস্থায়ীভাবে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে।

প্রাথমিকভাবে কোন কোম্পানি আপনাকে অস্থায়ীভাবে তাদের কোম্পানিতে এসিস্টেন্ট হিসেবে জয়েন করতে সুযোগ নাও দিতে পারেন। অধিকাংশ কোম্পানি অস্থায়ী ভিত্তিতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। যদি আপনার কাজের দক্ষতা ভাল পায় এবং আপনার বিশ্বস্থতা তাদের  কাছে ভালোবাসা হিসেবে জন্ম নেয়। তাহলে আপনাকে উক্ত কোম্পানীর বা ব্যক্তির এসিস্টেন্ট হিসেবে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে পারেন। 

অনলাইন ইনকাম করার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জব কোথায় পাওয়া যায়?

অনলাইনে যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। সবগুলো ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসকল ওয়েবসাইটগুলোতে বায়াররা এসে তাদের কোম্পানির জন্য জব পোস্ট করতে থাকে। এখান থেকে আপনাকে বাছাই করে আপনার সুবিধা মত একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যে কোন চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। যদি আপনার আবেদনটি বায়ারের পছন্দ হয় তাহলে বায়াত আপনাকে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন। 

যদি আপনি কোন ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চাকরিতে জয়েন করেন। এক্ষেত্রে আপনার চাকরির বেতন থেকে ৫ থেকে ১০% ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এর এডমিনরা কেটে নিতে পারে। যে পরিমাণ অংশটি আপনার বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে। উক্ত অংশটি হচ্ছে যে প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আপনি চাকরি সংগ্রহ করেছেন সেই প্ল্যাটফর্মের ফি!!! 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি পাওয়া যায় এমন কিছু ওয়েবসাইটের লিস্ট –

  • Virtalent
  • Virtual Staff Finder
  • 24/7 Virtual Assistant
  • LinkedIn
  • UAssist.Me
  • Virtual Employee

অনুবাদ করার কাজ করে অনলাইন ইনকাম করুন –

একজন অনুবাদক হিসেবে কাজ করার জন্য আক্তার বিভিন্ন বিষয়ে ভাষার অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন। যারা অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন তাদেরকে একটি বাসা থেকে অন্য ভাষার বিভিন্ন কনটেন্ট ট্রান্সলেট করে দিতে হয়। যেমন কোন ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত আর্টিকেলটি আপনাকে আবার আরবি ভাষাতে টাইপ করে দিতে হবে। অর্থাৎ কোন লেখাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করে দেওয়ার যে পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতিকে অনুবাদক বলা হয়। 

অনুবাদক হিসেবে কত টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব?

বর্তমান সময়ে অনুবাদকদের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য এই প্লাটফর্মে ঝুলি আপনি কাজ করে থাকেন তাহলে আপনাকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ফ্রীলান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই ধরনের কাজ একাধিক পাওয়া যায়। অনুবাদকদের কে সময় এবং কাজের দীর্ঘ তার ওপর নির্ভর করে পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। সময় হিসেবে যদি আপনি কাজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টায় ৫ থেকে ৫০ ডলারের বেশি পেমেন্ট পেতে পারেন। আর যদি তাদের দীর্ঘতার উপরে নির্ভর করে কাজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রতি পেজ ট্রান্সলেট করার জন্য ৫ থেকে ১০ ডলার পেমেন্ট করা হতে পারেন।

ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?

একজন অনুবাদক বা ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক। বিশেষ করে ভাষার ব্যাকরণ জাতীয় ভুল করা যাবেনা। ব্যাকরণগত ভুল থাকলে আপনাকে ট্রান্সলেটর এর কাজ দেওয়া হবে না। এজন্য আপনি যদি একজন ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনার ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন করতে হবে।

এক্ষেত্রে সহজে কাজ পাওয়ার জন্য আপনি যে ভাষায় বেশি পারদর্শী। সেই ভাষাগুলোর জন্য অনলাইন থেকে কাজ সংগ্রহ করুন। বিশেষ করে ট্রান্সলেট জাতীয় কাজগুলো করার জন্য আক্তার টাইপিং স্পিড খুব ভালো থাকা প্রয়োজন। যত দ্রূত আপনি একটা ভাষাকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেট করতে পারবেন। তত বেশি আপনি এখান থেকে অর্থ উপার্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম করুন –

শিক্ষার্থীরা দ্রুত অর্থ উপার্জন করতে পারে এমন সর্বোত্তম উপায়গুলির মধ্যে একটি হলো অনলাইন সার্ভে করা। প্রচুর বৈধ জরিপ সংস্থা বা সাইট রয়েছে। যারা আপনাকে তাদের সাইটগুলোর সাথে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে দেয়।

একটা প্রোফাইল রেজিষ্ট্রেশন করে অনলাইনে সার্ভে কাজ শুরু করা যার। এটি খুব সহজ কাজ বলে নতুনরাও ভালো করতে পারে। একটা সার্ভে সম্পন্ন করলে এক ডলার থেকে দশ ডলারের মতো পেমেন্ট পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। সার্ভে কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা সমস্যাও হতে পারে। সমস্যা দেখা দিলে পেইড ভিপিএন ব্যবহার করে কাজ করতে হবে।

ওয়েবসাইট টেস্টিংয়ের কাজ করে উপার্জন করুন –

ওয়েবসাইটের মালিকদের তাদের ওয়েবসাইটের ইউজার অভিজ্ঞতা যাচাই করার প্রয়োজন হয়।  নির্দিষ্ট ডিভাইস থেকে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে। আপনার মত লোকদের প্রায়শই তাদের মতো সাইটগুলির পরীক্ষা করতে প্রয়োজন। একটা ওয়েবসাইটের ইউজার অভিজ্ঞতা পরীক্ষা করতে সাধারণত ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় প্রয়োজন হতে পারে। ওয়েবসাইটের মালিকরা পরীক্ষার জটিলতা এবং সময়ের দৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি সাইটের পরীক্ষার জন্য ১০ থেকে ২০ ডলারের মতো পেমেন্ট করে।

ওয়েবসাইট পরীক্ষার কাজগুলি করার জন্য আপনার একটি মাইক্রোফোন এবং ওয়েবক্যামের প্রয়োজন হতে পারে। এখানে কিছু নামী সাইটের তালিকা রয়েছে। যারা ওয়েবসাইট পরীক্ষার কাজের সুযোগ দেয়:

  • ইউজার টেস্টিং
  • YouEye
  • ইউজার্লাইটিক্স

টিউটর হিসেবে অনলাইন ইনকাম করুন

অনলাইন টিউটর হিসেবে বর্তমানে ছাত্রদের পড়ার জন্য অনলাইনে বিশাল সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যে বিষয়ে শিক্ষা দান করেন। সে বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের খুঁজে বের করার জন্য বর্তমানে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে।

ওয়েব সাইটগুলোতে গিয়ে আপনার শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে আপনার নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন এর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর। আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছাত্রদের পড়ানোর জন্য চাকরির আবেদন করতে পারবেন। 

পাশাপাশি আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে থাকে এক্ষেত্রে অনলাইন টিউটর হিসেবে আপনি উক্ত বিষয় গুলোর ছাত্রদের শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইনে বর্তমানে প্রযুক্তিগত শিক্ষার জন্য ছোট থেকে বয়স্ক সবাই আগ্রহী হয়ে থাকে। যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলো ঘরে বসে করা যায়।

এইজন্য ছোট-বড় সবাই এই ধরনের কাজগুলোতে আগ্রহী হয়। তবে যারা নতুন অনলাইনে কাজ করতে চায়, তারা কাজ না জানার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, আপনি একজন ট্রেনার হিসেবে আগ্রহী প্রার্থীদেরকে অনলাইনে শিক্ষা প্রদান করতে পারেন। 

অনলাইন টিউটর হিসেবে যেসকল দক্ষতা প্রয়োজন –

একজন অনলাইন টিউটর হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার রকেট সাইন্স এর কোন দক্ষতার প্রয়োজন নাই। শুধুমাত্র কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়? এ বিষয়ে বেসিক ধারণা থাকলেই যথেষ্ট। কিভাবে অনলাইন ক্লাস শুরু করতে হবে? এবং কিভাবে ছাত্রদেরকে মনিটরিং করতে হবে? এই বিষয়ে যদি আপনার সাধারন অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি একজন অনলাইন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারেন।

অনলাইন শিক্ষক হিসেবে যে সকল উপাদান আপনার প্রয়োজন হবে:

আপনি যদি অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পরিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে অনলাইনে শিক্ষাদানের জন্য একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ব্যবস্থা করতে সক্ষম না হন, তাহলে মোবাইলের মাধ্যমে আপনি ছাত্রদেরকে শিক্ষা দিতে পারবেন। তবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে আপনাকে পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে। যদি টেকনিকেল বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকা প্রয়োজন। 

এখানে কয়েকটি ওয়েবসাইট পরীক্ষা করতে পারেন:
  • findglocal.com
  • টিউটার.কম
  • bdtutors.com
  • dhakatutors.com

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করুন –

অনলাইন এক্সপার্টদের জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে খুবই প্রফেশনাল একটি পেশা। প্রথম থেকে একটি আফিলিয়েট ওয়েবসাইট দাঁড় করানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যদি কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। 

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কমিশন জেনারেট করার জন্য কনটেন্ট গুলো আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। আপনি যে বিষয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেছেন। সেই বিষয়ের উপর যদি কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। তাহলে ভিজিটর আপনার লেখাগুলো পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন। ফলে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে আপনার প্রমোট করা পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হবে। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির পণ্যের মার্কেটিং করে ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করে দেওয়ার মাধ্যমে একশন সংগ্রহ করার ফলে যে কমিশন পাওয়া যায়, তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলেন। সহজ কথায় যদি কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির পণ্য বিক্রয় করে দিতে পারেন। উক্ত বিক্রয়ের উপর যে পরিমাণ প্রফিট হয়। তার অংশকে মার্কেটারদের সাথে কমিশন হিসেবে ভাগ করার পদ্ধতি কে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?

ইতিমধ্যে আমাদের বিডি ব্লগ ওয়েবসাইটে  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার বিভিন্ন গাইড শেয়ার করা হয়েছে। আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন? সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন। কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন এ বিষয়ে অনেকগুলো কৌশল ও টিপস ট্রিক্স আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করেছি। 

জনপ্রিয় কিছু এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট: 
  • আমাজন
  • ই-বাই
  • ফ্লিপকার্ট
  • আলিবাবা, ইত্যাদি।

অনলাইনে মাইক্রো জব করুন –

শিক্ষার্থীদের কিছু বাড়তি নগদ অর্থ উপার্জনের অন্যতম সেরা উপায় হ’ল ছোট কাজগুলি করা। বা মাইক্রোগিগ সাইটে ব্যবসায় এবং লোকদের জন্য ছোট পরিষেবা প্রদান করা। এমন অনেক নামী দামি মাইক্রোবজ সাইট রয়েছে। যা আপনি করতে পারেন এমন যে কোনও কাজ বা পরিষেবা সরবরাহ করতে সুযোগ দেয়। আপনি যে প্রতিটি কাজ করবেন বা পরিষেবা সরবরাহ করবেন।

সেই সব নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিক বিনিময় হিসেবে আপনাকে পেমেন্ট করবে। আপনি বিভিন্ন ধরণের ফ্রিল্যান্স পরিষেবা সরবরাহ করে বা আপনার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের ছোট কাজ সম্পন্ন করে মাইক্রো জব সাইটগুলি থেকে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন পরিষেবা মাইক্রো জব হিসেবে প্রদান করতে পারেন। যেমন:

  • কোম্পানির এবং লোকদের জন্য লেখা,
  • আর্টিকেল সম্পাদনা করা,
  • একাডেমিক কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়া,
  • সাইটের ডিজাইন তৈরি করা,
  • লোগো ডিজাইন করা,
  • ভিডিও এডিটিং,
  • সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং
  • এসইও পরিষেবা, ইত্যাদি।

এমনকি আপনি একটি শুভ জন্মদিনের গান গাইতে পারেন, নিজের মজার ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং আরও বিভিন্ন রকমের কাজের সুযোগ রয়েছে। আপনার দক্ষতা মতো  আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছানোর জন্য মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে কাজটি শুরু করতে হবে। যদি কোনও ক্লায়েন্ট আপনার কাজ পছন্দ করে এবং ভাল প্রতিক্রিয়া জানাই। তবে আপনি আরও ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করতে পারবেন। আপনার বিদ্যমান কাজের সাথে যদি তারা খুশী হন, তবে আপনি বিদ্যমান ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে আরও অর্ডার পেতে পারেন। জনপ্রিয় মাইক্রোগিগ সাইটগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ফাইবার
  • গিগবাক্স
  • ফাইভস্কুইডস
  • টেনবাক্স
  • এসইও ক্লার্কস
  • আমাজন মেকানিকাল তুর্ক

ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম করুন

অনলাইন ইনকাম করার জন্য ব্লগিং হচ্ছে অসাধারণ একটি পেশা। আমি ২০১৫ সাল থেকে ব্লগিং এর কাজ করে আছি। ব্লগিং বিষয়ে আমার প্রচুর ধারণা রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। এর মধ্যে ব্লগিং আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দের একটি বিষয়। 

বর্তমানে ব্লগিং করে আমি অনলাইন থেকে ভালো ইনকাম তৈরি করতে পারছি। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ব্লগিং থেকে যখন আপনি ইনকাম শুরু করবেন। তখন এই অনলাইন ইনকাম আর কখনো বন্ধ হবে না। যেটাকে অনলাইনের ভাষায় বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম। আপনি যদি আজীবন কোন একটা প্লাটফর্ম থেকে কাজ না করেও ইনকাম করার স্বপ্ন দেখেন, তাহলে ব্লগিং হচ্ছে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ব্যবসা। 

প্রাথমিকভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে আপনার এক থেকে দুই মাসের মত সময় প্রয়োজন হতে পারে। অর্থাৎ এক থেকে দুই মাস যদি আপনি একটু প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় নিয়ে কাজ করতে পারেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।  আমি প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘন্টা মত ব্লগিং এর কাজের সময় দিয়ে থাকি।

এক ঘন্টা অথবা দুই ঘণ্টা সময় ব্লগিং এর জন্য যথেষ্ট। যখন আমি অবসর সময়ে বসে থাকি, তখন আমি মোবাইল নোডে ব্লগিং এর জন্য বিভিন্ন আর্টিকেল লিখতে থাকি। যখন কম্পিউটারের সামনে বসি, তখন আর্টিকেলগুলো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি।

অনলাইন ইনকাম করতে ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন?

একটা ব্লগ পরীক্ষার শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার পছন্দের একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। যেমন ধরুন আপনি টেকনোলজি বিষয়ে অভিজ্ঞ। এক্ষেত্রে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। অথবা মনে করেন আপনি হেলথ টিপস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। এক্ষেত্রে আপনি একটি হেলথ টিপস ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

দ্রুত সফলতা পাওয়ার জন্য মূলত আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে বিষয়ে কাজ শুরু করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন না। সে বিষয়ে কাজ করতে গেলে জটিলতা তৈরি হবে। এবং বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হবে। যেন আপনাকে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে না হয়। এজন্য আপনি একটি সহজ বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করুন।

ব্লগিং শুরু করার জন্য যে সকল বিষয় প্রয়োজন:

একটা ওয়েবসাইটে শুরু করার জন্য একটি ডোমেইন ও একটি হোস্টিং আপনার প্রয়োজন হবে। ডোমেইন এবং হোস্টিং এর মাধ্যমেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। কিভাবে একটি ব্লগ ও ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়? এই বিষয়ে যদি আপনার ধারনা না থাকে। তাহলে আপনি অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। আপনি যদি ব্লগিং থেকে ইনকাম এর পরিপূর্ণ গাইড সহ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে চান। তাহলে আমাদের কে ম্যাসেজ করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেইজে। 

নিচে কয়েকটি লিংক যুক্ত করে দিয়েছি। সেগুলো অনুসরণ করলে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরির বিভিন্ন ধারণা অর্জন করতে পারবেন এখান থেকে। আপনি চাইলে মোবাইলের মাধ্যমে একটি সিম্পল ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। একটি সিম্পল ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য আমরা একটি প্রাক্টিক্যাল ব্লগ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি।

ব্লগিং করতে নতুন ব্লগারদের ৮টি ভুল অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে ও ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা

মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি | Creating website with mobile

অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট :

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো অনলাইনের সাইট রয়েছে। যদিও সবগুলো বাংলাদেশী ওয়েবসাইট বিশ্বস্ত নয়। বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকামের বাংলাদেশী ওয়েবসাইট খুঁজে বের করার জন্য আপনাকে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করতে হবে এবং যখন আপনি কাজ শুরু করবেন তখন বুঝতে পারবেন আসলে কোন সাইটটি সত্যি পেমেন্ট করে।  সহজে রিয়েল সাইট গুলো খুজে বের করার জন্য ইউজার এর রিভিউ দেখতে পারেন। ইউজার রিভিউ দেখলে সাধারণত বুঝা যায় ওয়েবসাইট বা একটি সত্যি পেমেন্ট করে কিনা।

যারা বাংলাদেশি সাইট থেকে অর্থ উপার্জন করতে চাচ্ছেন, তাদেরকে আমি পরামর্শ দেব আপনারা বাংলাদেশি সাইটগুলোতে সময় অপচয় না করে। অনলাইন ইনকাম করার জন্য আন্তর্জাতিক ওয়েব সাইটগুলোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। বাংলাদেশে বর্তমানে যে সকল ওয়েব সাইট পেমেন্ট করে থাকে, উক্ত সাইটগুলোতে কাজ করতে গেলে মূলত আপনার সময় লস হবে বেশি।

তিন ঘন্টা কাজ করে যদি ৩০ টাকা ইনকাম হয় এটাকে কখনও অনলাইন ইনকাম বলা যায়না। তিন ঘন্টা কাজের বিনিময় কমপক্ষে ২০০ থেকে  ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম হলে, তাহলে এই ধরনের কাজ গুলো করে আপনি লাভবান হতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে চূড়ান্ত চিন্তাভাবনা –

অনলাইনে অর্থোপার্জন সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারিক। আপনাকে কেবল এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনি যে কাজটি করতে চান, বা আপনি যে পরিষেবাটি দিতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার ভালো দক্ষতা রয়েছে। অনলাইনে একটি অনলাইন কাজ বা আরও বেশি কিছু করে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার খরচ পরিশোধ করতে পারে। একটি ব্যয়বহুল উপহার কেনার জন্য সঞ্চয় করতে পারেন। এবং অন্য কোনও আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনলাইন ইনকাম করার চেষ্টা করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *